অস্থির, চটপটে এক তারা সোনেলার উঠোনে বাসা বেঁধেছিলো ২০ জুলাই। তার উডু উডু আবেগী মন, কোনকিছুতেই এক নাগারে লেগে থাকা যার স্বভাবের মধ্যে পড়ে না। মেধাবী মানুষরা অতি আবেগী হলে সমস্যা এটা তাকে বললেই মন খারাপ করে। রাগ করলে পনেরদিন কথা বলে না, আবার তাকেই ট্যাগ করে স্ট্যাটাস দেয়। লোভ- লালসার উর্দ্ধে তার কাছে ভালোবাসাই বড়। ভালোবাসার মানুষগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবার আশায় সে মালয়েশিয়া পড়তে না গিয়ে ঢাকা ভার্সিটি পড়েছে।

তার ধারনা আমি তাকে ভালোবাসিনা, কেয়ার করিনা, খোঁজ নেই না। সবসময় ব্যস্ততার অজুহাত দেই। তার ম্যারেজ ডে, জন্মদিন মনে রাখিনা। তার গিফট করা জিনিস পরে স্ট্যাটাস দেই না। ছবি তুলতে চাইলে না করি। তার রান্না করা খাবার গপাগপ খাইনা। আসলে আমি ঝাল খেতে পারি না।

আর মানুষটাও আমি সুবিধার না। মাঝে মাঝে আমার উপর এতো বেশী রেগে থাকে যে পারলে খুন করে ফেলবে কিন্তু সামনে গেলেই ভুলে যায়। আবার জডিয়ে ধরে রাস্তায়, মাঠে, ঘাটে, হোটেলে যেখানে সেখানে। তার জামাই বড় বড় চোখে তাকিয়ে থাকে, আশেপাশের মানুষ জনও।

ছবি তোলা, রান্না করা, গান-কবিতা আবৃত্তি তার শখ। নিজের পোশাকের ডিজাইনও নিজেই করে। নীল তার পছন্দের রং, সাথে ম্যাচিং চাইই চাই। আমাকে ফ্যাসানিস্ট বানাতে অদ্যবদি যতগুলো চুড়ি, টিপ, মালা, কানের দুল গিফট করেছে একটাও যেহেতু পরা হয়নি তাই ভাবছি সেগুলো দিয়ে কোনএকদিন দোকান দিয়ে দেব!

ভাবছেন, ২০ জুলাই আবার কে? হ্যাঁ, সাবিনা ইয়াসমিনের দিনে আরো এক তারার জন্ম হয়েছিলো সোনেলার উঠোনে। সে আমার অতি আদরের, স্নেহের বোন রেজওয়ানা কবির!

তবে এবার মনে হচ্ছে কিছুটা হলেও তার অভিযোগ সত্যি কারন ২০ জুলাই সে একবছর পূর্ন করে ফেলেছে আমি খেয়ালই করিনি। অনেক রেগে যাবে বুঝতে পারছি। কি যে হবে? তবুও ক্ষমা চেয়ে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই তার বর্ষপূর্তিতে।

রেজওয়ানা কবিরের ব্লগীয় তথ্যঃ
নিবন্ধন করেছেনঃ ১ বছর ৩ দিন আগে
পোস্ট লিখেছেনঃ ৩৯টি
মন্তব্য করেছেনঃ ১১০০টি
মন্তব্য পেয়েছেনঃ ৯০৭টি

ব্লগে তার শুরু এই লেখা দিয়ে- 

সর্বশেষ লিখেছেন এই পোষ্ট-

তাকে বলেছি তোমার ব্লগার্স প্রোফাইল লিখি। মহাগরম, কারন আমি নাকি তার দোষ ছাড়া কিছু খুঁজে পাইনা। বোন হিসেবে তার কাছে প্রত্যাশা করা কি দোষের? এটা বুঝবে তবে আর একটু বয়স বাড়লে।

আমি তাকে সোনেলায় লিখতে বললে তার সহজাত মুদ্রা দোষীয় উত্তর- কি এক্টা অবস্থা; সময় কই? তারপর জিসান দাদার ধরায় দিলাম নাহ কাজ হয় না। তখন বাইরে গেলেই সাবিনা ম্যামের গল্প শুনাতাম, তার ছবি দেখা, কবিতা শুনানোর পর ফাইনালী আমার মনে হলো এই মানুষটার জন্যই সে লেখা শুরু করলো।

এরপর তার অনেক ভালো ভালো লেখা আমরা পেলাম। সম্পর্ক কি, কেমন, আর কেমন করে তার শুরু বা শেষ। প্রিয় মানুষ বা তার মনের যত্ন কিভাবে নিতে হয়। প্রিয় মানুষগুলোর আরও প্রিয় কিভাবে হওয়া যায় তার কাছ থেকেই শিখেছি। এত ভালো লেখার হাত হবার পরও মাঝে মাঝেই তাকে অলসতা ভর করে বসে। তখন তাকে টেনে তোলা কঠিন। আজ কাল করেই সময় পার করে দেয়/ দিচ্ছে।

লেখা তার কাছে ব্যাপার না কিন্তু “ পাগলা ঘোড়ার পাগলা মন, ছুটে চলে যেথায়- সেথায়, যখন-তখন!’ এই ঘোড়া কন্ট্রোল করা একটু কঠিন। আমি আজ তাকে বলতে চাই তোমার পছন্দের মানুষটাকে হারিয়ে বা জিতিযে দিতে নেমে পডো। তুমিও একদিন সাবিনা ইয়াসমিন হয়ে উঠবে।

আমার অনেক বোকা বোকা কাজে সে আমাকে বলে,তুমি এতো বোকা কেন? হ্যাঁ, আমি অনেক বোকা। কচ্ছপ বোকাই ছিলো খরগোশের চেয়ে, তবুও সে জিতে গেছে, শুধু একাগ্রচিত্ততা ও বোকামীর জন্যই। হাতি যখন শূন্যের দডিতে ওঠে সে জানেনা কতবড় বোকামী করছে, তবুও একসময় সে দড়ি বেয়ে জিতে যায়!

‘ The fool did not know it was possible, so he/she did it,,,,,

সফলতার সিঁডি ডিঙ্গোনোর জন্য হিসেব নিকেশ ছাড়াই মাঝে মাঝেই বোকা হতে হয়। তাহলেই সফলতা এমনি এমনি দুয়ারে আসে। অনেক অনেক দোয়া,সাফল্য ও শুভকামনা রইলো !

 

ছবি- নেটের

৭৮০জন ৫৫৪জন
0 Shares

৩৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ