পরিপক্ক একটা অপেক্ষা নিয়ে ঝিমোচ্ছে প্রেম।
প্রেম দেখতে কেমন?
নারী-নদী-আলো-ছায়া-বৃষ্টি?
নাকি পুরুষ-বিদ্যুৎ-আকাশ-মেঘ?
কবির কবিতা বলে যা রং ছড়ায়, তা-ই হচ্ছে প্রেম।
আর পরাজিত প্রেমিক-প্রেমিকারা বলে শুধুই খেলা।
এসব সত্যি নাকি মিথ্যে জানিনা কিছুই;
শুধু বলতে পারি,
একটি পরিপূর্ণ আবেগ অপেক্ষায় থাকতে থাকতে তারুণ্য কাল পার করে দিলো।
বোকা হৃদয়টা তারপরেও ভেবেই চলছে যখন তুমি আসবে,
ছাই রঙা মেঘের জলে তোমায় নিয়ে ভিঁজবো,
নাকি সন্ধ্যায় রূপালী বৃষ্টির জলে?
প্রশ্ন এবং উত্তরের মধ্যে অনেক দ্বন্দ্বের শুরু হয়।
নিজেকে বোঝাই, আর জমতে থাকে শীতল অভিমান।
কিন্তু ভোরের শিশিরের মতো অভিমানগুলো হাওয়ায় মিলিয়ে যায়
যখনই ভাবি তুমি তো আসবেই—
এই প্রতীক্ষায় বড়ো যন্ত্রণা,
বুকের ভেতরে যেনো কেউ খামচে ধরে রাখে
ব্যথায় নিঃশব্দ চিৎকার করে উঠি
আচ্ছা বলোতো জল গড়িয়ে না পড়লে তবে কি তা কান্না নয় ?
ওহ এতো প্রশ্ন করছি, তুমি তো শুনতেই পাচ্ছো না, কি করে উত্তর দেবে?
এলে দেখবে কেমন ছিলাম, আর কিভাবে আছি।
জানো না তুমি,
একটা বিষণ্ণ সন্ধ্যা জানালার পিঠে ঝুলছে সেই কবে থেকে—
আর আমি আলো জ্বালিয়ে ধরে রেখেছি।
.
.
হ্যামিল্টন, কানাডা
৮ জুলাই, ২০১৫ ইং।
দুটো ছবি-ই আমার বারান্দা থেকে তোলা আমার সেলফোনে। ঝড় আসার ঠিক আগে এমন একটি নীল সন্ধ্যা দেখেছিলাম জানালায় দাঁড়িয়ে, দৌঁড়ে তুলে ফেলি। আর তারপরেই ঝড়ের তান্ডব শুরু হয়। আর প্রথমটি ভর দুপুরের। অমনই ঝড় আসার আগে। একই আকাশ, একই ব্যালকনি আর একই সেল ফোন, কিন্তু সময়ের বদলে কেমন হয়ে যায়।
২৪টি মন্তব্য
স্বপ্ন
প্রেম আসবেই তা যেভাবেই হোক। লেখা ভালো লেগেছে খুব।ছবি দুটোও।
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক অনেক ধন্যবাদ। পুরোনো সেলফোনে ছবি তেমন ভালো আসতো না। ২ বছরে পুরোনো ছবির সাথে নতূন লেখার সেতুবন্ধন। -{@
তানজির খান
এই লেখা পড়ছি যখন আমি ঢাকা থেকে বাড়ী যাচ্ছি। নিজেকে প্রশ্ন করছি প্রেম দেখতে কেমন? আমার মনে হয় প্রেম ধেয়ে আসা ঝড়। তবে এ ঝড়ে জানালায় দাঁড়িয়ে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখেও বাচা যায় না আপি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া প্রেমের কবিতা লিখি ঠিকই, কিন্তু প্রেম যে আসলে কি আজও জানা হয়নি। ;?
বাড়ী পৌঁছেছো?
সাতকাহন
খুব সুন্দর একটি লেখা, মুগ্ধতার সাথে পড়লাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
চেষ্টা করি লেখার। আপনাদের ভালো লাগলে প্রেরণা পাই আবারও লেখার। অসংখ্য ধন্যবাদ সাতকাহন। -{@
আদিব আদ্নান
পুরোটাই প্রেমময়। লেখায় বিষণ্ণতা কৈ? আনন্দের অপেক্ষার মত মনে হচ্ছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
অপেক্ষাকে আনন্দে রাখার চেষ্টা না করলে, বিষন্নতার ঔষধ খেতে হবে যে! 🙂
অনিকেত নন্দিনী
পরিপক্ক অপেক্ষা ঝুনো নারকেল হয়ে খসে পড়ার আগেই যেনো পুর্ণতা পায় তাই চাই দিদি।
লেখায় ভালোলাগা (y) আর দিদির জন্য ভালোবাসা -{@ (3
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার জন্য ভালোবাসাটুকু জড়িয়ে নিলাম। আর তার বদলে -{@ (3
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
বেেশ লম্বা কবিতা অনেক দম লাগে -{@ বেশ আবেগময় প্রেম জিজ্ঞাসসা প্রেমকে খোজা সত্যিই তাকে খুজে পাওয়য়া যায়? -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
নিঃস্বার্থ হলে প্রেম পাওয়া যায়। চাওয়া-পাওয়ার আশা শুরু হলেই পিছ’পা হয় মানুষ। কি জানি!
ধন্যবাদ ভাইয়া কবিতাটি পড়েছেন। -{@
বন্দনা কবীর
একটি পরিপূর্ণ আবেগ অপেক্ষায় থাকতে থাকতে তারুণ্য কাল পার করে দিলো।
বোকা হৃদয়টা তারপরেও ভেবেই চলছে যখন তুমি আসবে,
ছাই রঙা মেঘের জলে তোমায় নিয়ে ভিঁজবো,
নাকি সন্ধ্যায় রূপালী বৃষ্টির জলে?…… নীলা ভালো লিখেছেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে বন্দনা। আপনার নামটা আমার এক দিদির কথা মনে করিয়ে দিলো। নামটায় একটা আবেগীয় শক্তি আছে।
আপনার জন্যে -{@
অরণ্য
একুইরিয়ামে বিষন্নতা; সে আসলে প্রসন্নতারই এক অন্যরূপ বিষন্নতা লালন করার মাঝে। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
দারুণ মন্তব্য। আমি মুগ্ধ। ধন্যবাদ অরণ্য। 🙂
লীলাবতী
কবিতা দুটো পড়ে অদ্ভুত এক অনুভুতিতে মন আচ্ছন্ন হলো আপু।এত ভালো লেখেন কিভাবে?
নীলাঞ্জনা নীলা
ওভাবে বলতে নেই। মাথা-মুন্ডু যাই লিখি তাই যদি ভালো লাগে, তাহলে যে অনেক লজ্জ্বা পাই। 🙂 -{@
ব্লগার সজীব
লেখার সাথে ফটো মানিয়েছে,নাকি ফটোর সাথে লেখা মানিয়েছে! দুটোই এত ভাল লেগেছে যা প্রকাশ করতে পারছি না দিদি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া ভালোবাসা মানুষকে অনেক উঁচু মাত্রায় নিয়ে যায়। এই দিদিটাকে ভালোবাসেন বলেই তো ছবি এবং লেখা ভালো লেগেছে। -{@
শুন্য শুন্যালয়
আবগে অপেক্ষা করতে করতে তারুণ্য পার করে দিয়েছে? হি হি হি। আমি তো বলি, কবে বুড়ো হবো। পাকাপোক্ত ঝুনো পাকা আবেগ দিয়ে এমন একটা প্রেম করবো না!!!
সেতো এই এলো বলে, একটু অপেক্ষা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আহা প্রেম।
আমিও অপেক্ষায় আছি ;?
মেহেরী তাজ
আপু আমি তো কবিতা লিখতে পারিনা। পারলে ঠিক আপনার মত করে কিছু লিখেই ফেলতাম।
আসোলেই আপনি এতো ভালো কেমনে লেখেন?
আবার ছবির ক্রেডিট টাও নিয়য়ে নেন….
আমাদের জন্য তো কিছু রাখেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি কিছুই পারিনা। যা কিছু লিখি তা তোমাদের প্রেরণায় গো আপুমনি। অনেক অনেক (3