
সকাল থেকে কি হয়েছে জানিনা। আমি এমনিতেই ঘুম থেকে সকাল দশটার আগে উঠিনা। আগের রাতে মা বকেছিলো! “সারাদিন কম্পিউটার নিয়েই পরে থাকো! সংসারের কাজে একটুও মন দিও না! আমি কাজ করতে করতে মরে যাই!” কথাটা খুব গায়ে লেগেছিলো! সাথে সাথে কম্পিউটার বন্ধ করে দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে দিয়ে শুয়ে পরেছি।
অন্যান্য রাতের চেয়ে দুই ঘন্টা আগে শুয়েও রাত প্রায় সাড়ে তিনটা পর্যন্ত এপাশ আর ওপাশই করেছি। ঘুম কেন হলোনা বুঝলামনা! আমি তো ভীষণ ঘুমকাতুরে। ঘুমের মধ্যে কেউ তুলে নিয়ে গেলেও টের পাবো না এমন গভীর! তার উপর মোবাইলে ফজরের এলার্ম বেজে উঠেছে চারটা বেজে দশ মিনিটে। তারপরে নামাজ পড়ে শুয়েও একই অবস্থা! এই কাত আর ওই কাত! একবার ডানে । একবার বামে! ঘুমের পুরোই ফালুদা! কিচ্ছু ঘুম হয়নি! বিবেকে নাড়া খেলো বুঝি!
সকাল নয়টায় আবারো ঘুম ভেঙ্গে গেল এলার্ম এর শব্দে। ঘুম হয়নি তাই রাতে যতই রাগ করে সকাল সকাল উঠবার কথা বলি না কেন উঠতে ইচ্ছে করলো না! শুয়েই রইলাম। তারপরে উঠলাম আরো পঁয়তাল্লিশ মিনিট পর।
শোয়া থেকে উঠে দাঁত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নাশতা খেতে বসে দেখি আব্বা-আম্মার তর্ক চলছে। আম্মা বলছে, “রাইন্ধা একেবারে উদ্ধার করবা!”
আব্বা বলে উঠলেন, “তোমার চেয়েও ভালো পারবো! যাও টিভি দেখো গা! এদিকে আসবা না!”
আব্বাকে সবসময় খুব উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখি ঠিকই। কিন্তু আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসলেও ঝামেলা তৈরি করে ফেলে। গ্লাসে পানি ঢালতে গেলে টেবিলে পানি দিয়ে একাকার করেন। ভাত খেতে বসে প্লেটের চারদিকে ভাত ফেলে বিদিকিছরি অবস্থা বানান। ফ্রেশ রুমের বেসিনের আয়নায় দেখে দাড়ি মোছ ছেটে বেসিনে পানি না দিয়েই চলে আসেন। আরেকজন গিয়ে দেখে পুরা বেসিনে কালো কালো ছোটছোট চুলে ঢেকে আছে। এরকম আরো অনেক অনাসৃষ্টি!
মা তাই বিরক্ত এবং অনিশ্চিত। না জানি আবার কি ভেজাল লাগাবে। আর রান্নার সময় পেরিয়ে গিয়ে সব তখন না খেয়ে বসে থাকবো।
আমি রাতের অভিমান ভুলে আব্বা-আম্মার টেলিফিল্ম দেখতে বসলাম।
রান্না করতে বসেছে। কোন্ পাতিলে রানবে। মাছ কিসে ধুবে। কিছুই তাল পাচ্ছে না! আমি রান্না ঘরের দরজার সামনেই খাবার টেবিলের চেয়ারে বসে আছি। না আম্মাকে ডাকছি বাবার কান্ড দেখে যেতে! না আব্বাকে কিছু এগিয়ে দিয়ে হেল্প করি! চরম বদমাশের মত বসেই আছি।
একটু পরেই মায়ের ডাক পরলো,
– এইই, পেঁয়াজ বাটা লাগবে!
– আমরা পেঁয়াজ বাটি নাকি? কুচি করে কেটে দেই।
– দেও কুচি কইরা!
– এহ্, নিজে রান্তে চাইছো। নিজেই কইরা ন্যাও! আমারে কও ক্যাঁ!
– যাহ্ লাগবো না। পাটা কই? আমিই বাইটা নিতেছি!
থালাবাসনের স্ট্যান্ডের নিচে পাটা আছে। দেখিয়ে দিলো মা।
পাটা বের করে শিল ধোয়ার খবর নেই। আগেই বাঁটতে বসে যাচ্ছে! আম্মা হায় হায় করে উঠলো, “আরে করো কি? পাটা কি কোনকিছু দিয়া ঢাকা থাকে? ইঁদুর উঠে। তেলাপোকা বসে। ধুলা পরে না? এইটা না ধুইয়াই বাটতে লাগছো! এরেই কয় পুরুষ মানুষের কাম!”
আম্মার দাবরানি খেয়ে বাবা পাটা ধুয়ে নিলো। শিল ধুয়েছে কিনা দেখলাম না। খেয়াল করিনি। মনে হয় ধোয়নি।
তারপরে বসে বসে একটা একটা করে পেঁয়াজ পাটার উপরে রেখে থেঁতো করে মিহি বেটে বেটে স্টিলের বাটিতে তুলে তুলে রাখলেন। সেই ছবিটা তুলে রাখা দরকার ছিলো। মনে ছিলো না একদম!এখন আফসোস হচ্ছে!
তারপর আমি বসে বসে নাশতা খাচ্ছি। এদিকে মায়ের ডাক পরেছে, “এএএএই কোন পাতিলে রানবোওওও?” রান্নাঘর থেকে চেঁচিয়ে মাকে ডাকছে।
মা বাবার ডাক শুনতে পায়নি। আমি গিয়ে মাকে শোবার ঘর থেকে ডেকে নিয়ে এলাম, “তোমাকে ডাকে”।
– কি ব্যাপার, আমাকে ডাকো ক্যা?
-কোন্ পাতিলে রানবো? পাতিল দেও!
-এই ডিস্কো হাড়িটায়।
-আচ্ছা যাও, সরো এখান থেকে।
আম্মা সরে গেলেন। আমি রান্নাঘরে গেলাম চা গরম করতে। গিয়ে দেখি মাছ আর মশলাকে একত্রে খুনতি দিয়ে উল্টেপাল্টে দিচ্ছে। মাছ না ভর্তাই করে ফেলে! হায়রে! এর মধ্যে আমাকে বলা হলো, কল থেকে পিচ্চি পাতিলে করে পানি দিতে। আমি ভরে দিলাম। পানি দেয়ার পরে সবটুকু পানিই বাবা দিয়ে দিলো পাতিলে। একেবারে ডালের পানির মতন। টুবুটুবু। আঁতকে উঠলাম, এই মরেছে! মাছের ডাল রান্না করবে নাকি? আমি চা নিয়ে সরে আসতে আসতে দেখলাম, লবণ দিচ্ছে তরকারীতে তাড়াতাড়ি। চেহারা দেখে মনে হলো আগে দিতে ভুলে গিয়েছিলো।
কিছুক্ষণ পর আবার মায়ের ডাক পরলো, “এই, পটল কই? পটল দেয়া লাগবে তো!”
-“এতক্ষণে পটল দিবা? কুটতেই তো কিছুক্ষণ সময় লাগবে”। মা বললেন এসে।
– কাটো।
মা আর কথা না বাড়িয়ে তরকারিতে সবজি কাঁচা থাকবে ভেবে ঝটপট কেটে দিয়ে আবার সরে গেলেন। এখন বাবাকে আবার কিছু বললে রাগ দেখিয়ে কিভাবে পটল ছিলবে বা কাটবে তার ও তো ঠিক নেই। তরকারি প্রায় হয়ে এসেছে এই সময় বাবা আবার চেঁচিয়ে উঠলেন, “আলু নাই?”
-আলু দিয়া কি করবা? এতক্ষণে আলু দিলে সিদ্ধ হইবো?
-থাক তাইলে।
বাবার চেহারায় চরম আফসোস। ইস! কেন আগে মনে পড়েনি!
এর মধ্যে আমি ব্যস্ত হয়ে পরলাম। আমার কম্পিউটারের স্পিকারটা নষ্ট। মা খুব গান শুনতে পছন্দ করেন। হেড ফোন দিয়ে শোনা যায়। কিন্তু-ওটা দিয়ে শোনার এত সময় কোথায় তার! তাই স্পিকার হলে ভালো হয়। গান শুনলে মায়ের মন মেজাজ ভালো থাকে। আর আমি কম্পিঊটার নিয়ে বসে থাকলেও তখন রাগ করবে না। তাই বাসার অনেক আগে কেনা আরো একটি স্পিকার ছিলো প্রিন্টারের বাক্সে সেটা ফেলেই দেয়ার কথা। তবু, টেস্ট করে দেখলাম। কাজ করছে দেখে অবাক হয়ে গেলাম।
“বাহ্! ভালোই তো আছে। ভাগ্যিস ফেলে দেয়া হয়নি।“
গান শুনছিলাম। কম্পিউটারে কাজের ফাঁকে ফাঁকে রান্নাঘরের দিকে যেয়ে দেখতে পেলাম বাবা চলে গেছে নামাজে। মাকেই নিতে হলো মাছের তরকারির ফিনিশিং দেয়ার কাজ। পাতিলটা টেবিলে রেখে ছবি তুলে নিলাম। কিন্তু, পাতিলের চেহারা ভালো হয়নি। পাতিলের কানায় জ্বাল জোরে দেয়ার ফলে পোড়া পোড়া ভাব ধরেছে। তাই তরকারী সুন্দর করে ঢেলে আবার ছবি তুলে নিলাম, ব্লগে এটা নিয়ে একটা মজার পোস্ট দেওয়া যাবে, “ভাগনা মাছের সাথে পটলের ঝোল!”
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মা খেতে বসেছে। জিজ্ঞেস করে সন্তুষ্ট হাসি পেলাম। সেই সাথে আরো জানা গেলো, “মাছের তরকারীটা ভালোই হয়েছে। খাওয়া যাচ্ছে!”
বাবা নামাজ থেকে আসার পর বললেন, “ভালোই তো পারো। আমি অসুস্থ হইলে আর চিন্তার কিছু নাই। রাইন্ধা খাওয়াইতে পারবা!”
-“রানলে এমনেই রানবো। শুধু অসুস্থ হইলে কেন?” বলে বাবা খেতে বসলেন।
আমি তো নাক শিটকে শুটকে খেতে বসলাম। পরে খেতে শুরু করে দেখলাম, মায়ের রান্নার সাথে তেমন একটা পার্থক্য হয়নি। বাবা রেঁধেছেন জানা না থাকলে বুঝতেই পারতাম না!
২৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
দেখলেন তো নিজেই, বাবারা ইচ্ছে করলেই অনেক কিছু পারে,
মায়েরা তাদের প্রতিভার ন্যায়-মূল্য দেয়-না বলেই তা প্রকাশিত হয় না।
লেখা সুন্দর, বর্ণনা সাবলীল হয়েছে।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
আসলেই। বাবারা আসলেই অনেক কিছু পারে।
সাবিনা ইয়াসমিন
সোনেলা ব্লগ পরিবারে আপনাকে স্বাগতম যুথী 🌹🌹
প্রথম লেখাটিই লিখলেন বাবাকে নিয়ে। ভালো লেগেছে পড়ে। আরও লিখুন, পড়ুন অন্যদেরও।
শুভ কামনা 🌹🌹
জাকিয়া জেসমিন যূথী
জ্বী। পরের লেখাটি মা কে নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিলো। কিন্তু আজ আবার অনন্য এক বিষয়ে প্রকাশ করলাম।
জিসান শা ইকরাম
হা হা হা, দারুন উপস্থাপনা,
ছবি যে তুললেন সে ছবি আমাদের দেখাবেন্না ?
বাবা রান্না পারছে, আর চিন্তা কি? মনের সুখে মা মেয়ে গান শুনতে পারবে।
লেখার বর্ননায় মুগ্ধ হলাম ম্যাডাম।
সোনেলার উঠোনে স্বাগতম আপনাকে,
এটি এখন হতে আপনারও উঠোন,
নিয়মিত আসুন আপনার উঠোনে।
শুভ কামনা।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
সেই ছবিটা খুঁজে আনতে হবে।
হাহাহা…
ইঞ্জা
সোনেলা পরিবারে স্বাগতম আপনাকে, নিয়মিত লেখার অনুরোধ রইলো।
বাবার হাতের রান্না, এতো অমৃত সবসময় পাওয়া যায়না, আমি তো জীবনেও বাবার হাতের রান্না খেতে পাইনি, যদিও কোন এক সময় নিজে রান্না করে একা খাওয়ার অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে, কিন্তু আপনার বাবার হাতের রান্না খাওয়ার লোভ জাগলো মনে, আমি বাবা হারা ছেলে বলেই হয়ত এই লোভ।
খুব ভালো লেখেন আপনি, আরও লেখা চাই আপু। 😊
জাকিয়া জেসমিন যূথী
জ্বী ভাইয়া, খুব ইচ্ছে আছে লেখার। দোয়া করবেন যেন সময় পাই।
ইঞ্জা
অপেক্ষায় রইলাম আপু।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
ওকে ভাইয়া
মনির হোসেন মমি
হা হা হা তাহলে বুঝা গেল বাবাও রাধতে জানেন আবার সেই রান্নার স্বাদও মায়ের রান্নার কাছাকাছি। লেখাটা পড়লাম আর বকলাম মনে মনে এই আপুটায় সোনেলায় আরো আগে কেন আসেনি! যদিও আপনার লেখা ফেবুক আপনার প্রকাশিত বইগুলোতে পড়েছি।
অভিন্দন এবং শুভ কামনা আপু
আমাদের সোনেলা পরিবার এ
সাথেই থাকবেন।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
তাইতো আরো আগে কেন আসিনি? আমারও এখন আফসোস হচ্ছে।
নিতাই বাবু
এমন সাংসারিক ঝামেলাটা আমার সংসারে প্রায়ই বাধে। সময় সময় রাতে আমার রান্না করতে হয়, গিন্নির শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে। তবে আমার সংংসারে আমার গিন্নি হাতের রান্নার চেয়ে আমার হাতে রান্না করা সবাই ভালোবাসে, পছন্দও করে। সময় সময় নিজের অনিচ্ছা থাকাবস্থায় রান্না করতে গেলে আপনার বাবার মতনই অমনোযোগী হয়ে উঠি। তখন তরকারিতে লবণ বেশি, নাহয় হলুদের গুরো বেশি পড়ে যায়। আবার বিরক্ত নিয়ে সময় সময় আদা রসুন ঘরের মেঝেতে রেখে প্ততা দিয়ে ছেঁচে মসলা বাটার কাজ সমাধা করি। তবে একেবারে কিন্তু খারাপও হয় না, ভালোই হয়। খেতে খুব মজা মজা লাগে।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
সাংসারিক এই খুনসুটিগুলো কিন্তু সত্যি খুব উপভোগ্য।
নীরা সাদীয়া
হাহাহাঃঃ খুব মজা পেলাম আপনার বাবা মায়ের টেলিফিল্ম দেখে 😋 আরে না পড়ে! 😄
নিয়মিত এমন মজার মজার লিখা নিয়ে পাশে থাকুন, আমরা উপভোগ করবো নির্মল আনন্দ । এই প্রত্যাশা রইলো।
আরজু মুক্তা
দারুণ উপস্থাপনা। মজা পাইলাম।
আরও লিখুন বাবাদের সরলতা আর মাধুর্য্য।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
আরও লেখা দিবো। আরও মজা পাবেন।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
আরজু মুক্তা আপু, আমি এবার জ্বালাতে এসে গেছি। নিয়মিত লেখা দিয়ে জ্বালাবো।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
বাবা মায়ের টেলিফিল্ম? হাহাহা… চমৎকার বলেছেন আপু।
মোহাম্মদ দিদার
বেশ ভালো টেলিঃ
বাবা ও রাধতে জানে!!
জাকিয়া জেসমিন যূথী
হুম, বাবাও রাধতে জানে।
আমিও জানি 😉
চাটিগাঁ থেকে বাহার
বেচারা বাবা! এমনটি করা মা-মেয়ের উচিত হয়নি। আফসোস লাগছে আমার। যার কাজে তারে সাজে।
মা না হয় অভিমান করে বাবারে পাকঘরে ঢুকিয়ে দিছে, মেয়েও দেখি বাবার দুঃখ বুঝলো না!
জাকিয়া জেসমিন যূথী
মেয়ে তো মজাটা উপভোগ করলো। আমার বাবা তো প্রায়ই রাধেন। করতে না দিলেই বরং সমস্যা। রেগে, অভিমানে বোম হন।
বন্যা লিপি
হা হা হা হা, বেশ মজা পেলাম চমৎকার উপস্থাপনে। মাঝে মাঝে বাবা’দের ঠেলে দেয়া উচিত কিচেনে। দেখো বোঝো মা কত কষ্ট করে একটা মাছ পটলের তরকারি রাঁধতে।
স্বাগতম সোনেলার উঠোনে। আরো লিখুন। আমাদের সবার একজন হয়ে উঠুন।
শুভ কামনা নিরন্তর।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
মাঝে মাঝে বাবা’দের ঠেলে দেয়া উচিত কিচেনে। দেখো বোঝো মা কত কষ্ট করে একটা মাছ পটলের তরকারি রাঁধতে।— হাহাহা…
বাবা যেতে চান, কিন্তু মা তো দেন ই না।
তৌহিদ
সোনেলার উঠোনে স্বাগতম। আপনার লেখার হাত সত্যিই ভালো। বাবারা বুঝি এমনি হয়। শুধু মায়েদের নিকট নয় বাবাদের কাছে তার মেয়েরাও কিন্তু মায়ের চেয়ে কম নয়।
লেখা ভালো লেগেছে, লিখুন মনের মত করে। শুভকামনা রইলো।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
লিখবো, ভাইয়া। আশা করি, এবারে নিয়মিত হয়ে উঠবো। দোয়া করবেন।
আকবর হোসেন রবিন
আপনার বাবার চেয়ে আমি ভালো রান্না করতে পারি। ভবিষ্যতে আমার মেয়েও আমাকে নিয়ে লিখবে। আমার প্রচুর তারিফ করবে। হা হা …..
আপনার বাবা-মায়ের দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সবাই সুস্থ থাকুন। সুখে থাকুন।
জাকিয়া জেসমিন যূথী
আপনার বাবার চেয়ে আমি ভালো রান্না করতে পারি। ভবিষ্যতে আমার মেয়েও আমাকে নিয়ে লিখবে। আমার প্রচুর তারিফ করবে। হা হা …হাহা, করবে, দোয়া রইলো।
বাবাকে নিয়ে আরও অনেক গল্প আছে। প্রকাশ করবো একদিন।