
বছরের শেষে এসে লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে, লিখব ভাবছি আর ভাবছি, কী লিখব জানিনা, লিখব কিনা তাও বুঝছি না। লিখলে কী হবে? না লিখলেই বা কার কী এমন বয়ে যাবে? আসলে লেখালেখি করা একদম ঠিক না। আমিও ঠিক করেছি আসল কিছু লিখব না। কাউকে পড়ার ফ্যাসাদে পড়তে হবে না। শীত-ঘুম জারি আছে, থাকুক তা।
তবে কথা হলো বছরের শেষ না লিখলে কেমন হয়! সারা বছর তো কিছুই লিখলাম না। কথা কিন্তু মিছা না। শুনতে পাই কী-বোর্ড দাপালেই/দাবালেই লেখারা সুর সুর করে হামলে পড়ে, বেশ তো তা হলে তো হয়েই গেল, কিন্তু কৈ এতক্ষণ ধরে চেষ্টা-চিত্তির করে যাচ্ছি কিছুতেই তো কিচ্ছু হচ্ছে-টচ্ছে না, আচ্ছা সবুরে মেওয়া!!
দিগন্তে এলিয়ে পড়া সোনালী আভা
শূন্যতা এড়িয়ে লাজুক আলো জ্বেলে বলে,
আসবো আবার ফিরে ফিরে আধারের সমীকরণ
ছিঁড়ে ফেলে, সমান্তরাল শূন্যতা ঢেকে ফেলে
আড়াল বারান্দাতে দেখতে পাবে;
এ সব ঢেঁড় শুনেছি-দেখছি, স্পষ্ট রূপে,
চ’লে যেতে যেতে স্বভাবী-ছলনায় মুখস্থ শ্লোক বাক্যের মত
সবাই এমন-ই বলে!
শুনতে পাই লেখারা গাছে ধরে, খুঁজে-পেতে তেমন গাছ আমার-ও চাই, পাইও তা, কিন্তু কৈ! গাছ থেকে টুপ করে তো কোন লেখা পড়ে না, পড়ে ছুটে-ফুটে আসে না। বেমালুম বিরক্তি এড়িয়ে নাছোড়-বান্দা টাইপ কিছু একটা হয়ে গ্যাঁট হয়ে বসে গেলাম, লেখা আমার চাই-ই এই শেষের বেলায়। জড়িয়ে-গড়িয়ে সে যেমন করেই হোক। হিম বাতাস বয়ে যায়, পাখিরা আসে যায়, কিন্তু লেখা তো অধরাই থেকে যায়, চাদর মুড়ে বসে বসে ভাত ঘুম এসে যায়……………
সম্মতি-বানী হাতে নিয়ে নেমে আসে লেখা-পরী,
অকারণ ভালোবাসায়, উষ্ণ-নিঃশ্বাস-সোহাগে ঢেকে বলে
ভেবো না তো আর অতশত, এই আমাকে দেখো চোখ মেলে,
পুঁথির ভাঁজ খুলে পড়ে নেও যত খুশি, সমর্পণের সব পাতা; শেষ অবধি।
সহসাই কাক-চেঁচামেচিতে তন্দ্রা কেটে যায়, সহস্র কাকের কা-কা ধ্বনি!
এ আমি কোথায়! কোথায় সে লেখা-গাছ! লেখা-পরী! কাক রাজ্যে আমিও কী আজ কাক-বাসী!
(দিল-নরম-শরম কবিদের কাছে ক্ষমা-প্রার্থী)
৪০টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
১তম
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই প্রথম।
ফয়জুল মহী
জীবন চলমান। তাই আগামীতে আল্লাহ সহায় হোন। শুভেচ্ছা সতত।
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ-ই আমাদের একমাত্র সহায়।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
যাক, লিখবেন না বলে সাদা কাগজ জমা দেননি তাতেই খুশী। নরম শরম বলে ক্ষমা করলাম। লেখা নিয়ে আসলেই সবার ই কম বেশী এমন হয়। আপনার সাথে একমত। শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো। নতুন বছরের নতুন দিনে একটি লেখা চাই শব্দার্থ, সারমর্ম ও উদাহরণ সহ।
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, সাদা কাগজ জমা আর দিতে পারলাম কৈ! ক্ষমা কবিদের হাতিয়ার!
আপনাকেও নব বর্ষের শুভেচ্ছা। লেখা গাছের কাছে আমার হয়ে একটু বলে-কয়ে দিন।
সুরাইয়া পারভীন
শুনতে পাই লেখারা গাছে ধরে, খুঁজে-পেতে তেমন গাছ আমার-ও চাই, পাইও তা, কিন্তু কৈ! গাছ থেকে টুপ করে তো কোন লেখা পড়ে না, পড়ে ছুটে-ফুটে আসে না।
সত্যিই নাকি লেখা গাছে ধরে? আমি তো জীবনেও শুনিনি এমন কথা।
লেখা গাছে ধরুক না ধরুক আপনার আঙ্গুলে ধরেছে ঠিকই।
চমৎকার উপস্থাপন
ছাইরাছ হেলাল
আপনার বুঝি অনেক কুড়ি আঙ্গুল!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও নূতন বর্ষের শুভেচ্ছা।
সুরাইয়া পারভীন
হা হা হা হা হা হা
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো ভাইয়া
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
সাবিনা ইয়াসমিন
নরম-শরম দিল/ কলিজা ছিঁটকে-ফুঁটকে কই যে গেলো… দাঁড়ান খুঁজে আনি। তারপর কমেন্ট দিবো।
কবিদের জন্যে সাবধানী বার্তা রাখলেন, অ-কবিদের কথা বেমালুম ভুলেই গেছেন! 😵😵
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষার ফল শুনেছি মিষ্ট হয়!
সাবধানী বার্তা কৈ! মাফ-সাফ চাইলাম। ভুলি কেমনে! লিখতে না-পারাদের ঘাড়ে মাথা তো একটাই!
স্বঘোষিত অ-কবির আর বেল নাই। সে এখন(আগে থেকেই) কবিদের কাতারে।
কামাল উদ্দিন
ভাত ঘুমের পড় তরকারি ঘুমেরা আসে ক্রমান্বয়ে লবন পানি সব আসে, শুধু ওনারাই আসে না আমার কাছে 🙁
কামাল উদ্দিন
পড় = পর
ছাইরাছ হেলাল
ও কিছু না।
ছাইরাছ হেলাল
মিছা কথা কওন ঠিক না, ওরা আসে চুপে, আপনি শুধু বলেন না, আজ শুধু বলেছেন।
কামাল উদ্দিন
ও আচ্ছা এইটা তাহলে মূল বিষয়। আমি তো ভাই আগেই কৈফিয়ত দিয়ে বলেছিলাম এসব আমি বুঝি না 😀
ছাইরাছ হেলাল
বেশি বেশি বুঝা কিন্তু ভালু না।
এই ই অনেক, ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
কাক-বাসীটা পড়ে ব্যফক বিনুদিত হইলাম ভাই, শুভ নববর্ষ
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও ব্যপক শুভেচ্ছা, আপনাকেও ঐ দলে দেখা যাচ্ছে কিন্তু।
কামাল উদ্দিন
এক সময় কা কা করার চেষ্টাটা ভালোই ছিলো, এখন আর ব্রেন খাটাতে ইচ্ছে করে না, ধন্যবাদ ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ব্রেনের যত্ন নিন,
শুভেচ্ছা নূতন বছরের।
সুপায়ন বড়ুয়া
“দিগন্তে এলিয়ে পড়া সোনালী আভা
শূন্যতা এড়িয়ে লাজুক আলো জ্বেলে বলে,
আসবো আবার ফিরে ফিরে আধারের সমীকরণ
ছিঁড়ে ফেলে,সমান্তরাল শূন্যতা ঢেকে ফেলে “
কত সহজে বন্ধু আমার
সাবলিলভাষায় বলে।
শুভ নববর্ষ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা নব বর্ষের।
জিসান শা ইকরাম
তা লেখা পরীর সমর্পনের সব পাতা পড়েছেন তো প্রথম থেকে?
নিজেই যখন সমর্পন করল, তখন না পড়াটা বোকামি 🙂
আপনাকে দিয়ে লেখা হপেনা,
নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন 🌹 🌹
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন দেবতারা পরতে অপারগ হয়েছেন, আমি কোন ছাড়!
সে এক বিশাল ঝকমারি, পড়তে বলে-টলে, পড়তে দেয়-টেয় না!
কিচ্ছুই হয়নি, হবেও না! শুভেচ্ছা নব বর্ষের।
নিতাই বাবু
ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি শ্রদ্ধেয়দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা নব বর্ষের।
মোঃ মজিবর রহমান
দিগন্তে এলিয়ে পড়া সোনালী আভা
শূন্যতা এড়িয়ে লাজুক আলো জ্বেলে বলে,
আসবো আবার ফিরে ফিরে আধারের সমীকরণ
ছিঁড়ে ফেলে, সমান্তরাল শূন্যতা ঢেকে ফেলে
আড়াল বারান্দাতে দেখতে পাবে;। সবার ক্ষেত্রেই যেন ঘটে এমন প্রত্যাশায় রেখে গেলাম প্রিয়।
ছাইরাছ হেলাল
নব বর্ষের নব নব প্রত্যাশা নিয়ে ভাল থাকুন, আনন্দে থাকুন এই কামনা করি।
মোঃ মজিবর রহমান
কি আশায় বাধি বুক?
ছাইরাছ হেলাল
ফুল পাখি আকাশ বাতাসের আশা!
তৌহিদ
না লিখতে না লিখতে লেখার কথা লিখতে গিয়েও কত কথা লিখে ফেললেন! কবিদের ভয় দেখাচ্ছেন মহারাজ?
কবিদের লেখা আজকাল গাছের পাতায়ও দেখতে পাচ্ছেন নাকি? শোনেন এসবে ডরায় না কবি, ঠিক আছে? নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, ল্যাক্তে না পারলে যা হয় আর কী!
আরে না না, আমি কবিদের খুব ডরাই!
বাপ্রে, আপনি কবি! মনে ছিল না!
শুভেচ্ছা অবিরত।
রেহানা বীথি
লেখা টেখা না আসুক টাসুক, দিল নরম-শরম করে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েই দিলাম। আজ তো আবার টিপ টিপ বৃষ্টি, ভাতঘুমেই কাটিয়ে দিন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি নিয়মিত লেখেন না!
কবিদের দিল এমন-ই হয়, ভাত ঘুম সব সময় হয় না,
আপনাকেই শুভেচ্ছা নূতনের।
সঞ্জয় মালাকার
দাদা লেখা গাছে ধরুক না ধরুক আপনার আঙ্গুলে ধরেছে ঠিকই।
ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিবেন, শুভ কামনা দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
যাক, ধরলেই হয়, সে গাছে হোক আর হাতের আঙ্গুলেই হোক।
আপনাকেই অনেক অনেক শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
ধন্যবাদ দাদা ভালো থাকবেন আপনিও।
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, ভালো থাকুন।