
বাতাসের মত্ত-প্রবলতায় নিমজ্জিত উদ্বেগ
চার পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়, নিরায়ন হরণের টিকটিক শব্দে;
অজস্র প্রহরী সমভিব্যাহারে সামনে এসে দাঁড়ায়
রোদ-ঋতুর হু হু বাতাস গর্জনের সিদ্ধ-স্বভাবে সোঁদা-মাটি গন্ধে।
মরুর মত খাঁখাঁ রোদ্দুরে, বেদুঈনের শুভ্র উদাসীনতায়
নমনীয় বক্রতায় পাশ কাটাতে চায়, পারঙ্গম-ক্ষিপ্রতায়;
মৌ-গন্ধি বাতাস নীরব চাহনি হেনে ঝাপটে ধরে
সবাক-অবাক দ্বিধাগ্রস্ততায়,
স্বপ্নের চিমটিতে জেগে ওঠে প্রণয়-হৃদয়,
নিঃশ্বাসের লোনা-জল জ্যোৎস্নার সোনা-জলে গড়ায়।
তারপর-ও কিছুটা থেকে যাবে
প্রণয়-প্রগাঢ়-পাঁড়-পাকনা-পাণিপীড়ন, প্রাতঃপ্রত্যহে দুজনের ঘুমে,
পাতকিনী ভালোবাসার সিথান সিঁথিতে সিঁথিপাটি! তাও জ্বলে থাকে।
৩৮টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
কেউ এনারে থামাও।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি পাকনা! না!
ছাইরাছ হেলাল
হে বিধাতা, মানুষ কে হিংসিত হতে দিন, দিনে ও প্রবল রাত্রিতে,
আমিন।
মনির হোসেন মমি
সকলে বলেন আমীন।ভাইয়া আমরা আছি চালিয়ে যান।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যখন সাহস জোগাচ্ছেন ভয় কী মরণে!!
ছাইরাছ হেলাল
উপচে পড়া প্রবল নদ/নদী জল থামান যাবে
বাঁধ টেনে,
ঐ দূর আকাশের নক্ষত্র, উল্কা পিণ্ডের পতন উন্মুখতা থামানো যাবে,
জ্যোৎস্না-চাঁদ ঢেকে দেয়া যাবে,
পাহাড় গড়ানো চাই চাই পাথর খণ্ড থামান যাবে,
হুল্লোড়ের হাসি থামিয়ে দেয়া যাবে, জোরছে মুখ চেপে,
দুর্বিষহ প্রেম-সন্তাপ, অস্থির ক্রন্দন ,শোক মগ্নতা
কাটিয়ে দেয়া যাবে,
চলে যাওয়া বসন্ত ফিরিয়ে-ও আনা যাবে;
শুধু পাকনা ভালোবাসার লেখা
আঁটকে রাখা যায়-না, যায়-নি, যাবে-ও-না.
রিতু জাহান
শব্দের ডালার ঝুড়ি খুলেছে আজি এ প্রহরে।
কি জানি কি বলে যায়!!
ভালবাসার সিঁথান সিঁথিতে সিঁথিপাটি!
সিঁথিতে আর জ্বলে কোথায়!
লুকিয়ে থাকে ভালবাসার সে লাল আবীর। দ্বিধাগ্রস্ত টালমাটাল জীবনে কতো কতো প্রেম লুকিয়ে পড়ে তার হিসেব রাখে মৌগন্ধী বাতাস।
পাশ কাটিয়ে যেতে চায় না যে তা না, উদ্বেগ মন পাশ কাটিয়ে হেঁটে যায় অন্যপথে সে পথও গিয়ে মিশে যায় ও পথে।’
আসতেছি, আছিই বলা যায়। ডিকশনারি নামায়ে লই। ওয়েট প্লিজ,,,
ছাইরাছ হেলাল
আপানার আর ডিকশনারি লাগবে না। বিনা বইতেই যা ভালোবাসা দেখাচ্ছেন
সেটাই অনেক।
শুন্য শুন্যালয়
আসলেই আসলেই। চণ্ডিদাস -রজকিনী, শিরি-ফরহাদ, লাইলী-মজনু, রোমিও-জুলিয়েট, এইসব প্রেম কেউ ঠ্যাকায় রাখতে পারছে! এক দেশ থাইক্কা মরা লাশ ভাইস্যা আরেক দেশে প্রেমিকের কাছে গিয়া পৌঁছাইছে। এইসব তো নস্যি প্রেমের দিগবিজয়ী কবির পাকনা প্রেমের কবিতার কাছে।
আমাদের কোথাও কোন আশা নেয়, কে দেবে ভরসা!
তা এইবার কাকে টপকালেন? নিরায়ন শব্দের মানে কি?
ম্যালা ম্যালা সুন্দর শব্দ লাগাইছেন, কিন্তু মূল ভাব বুঝিনাই। শুধু বুঝলাম, কারো বন্দনা হচ্ছিল, ধ্যান হচ্ছিল। এবার একটু বোঝান টিচার।
রিতু জাহান
আর বলিও না। মাথা ঘুরান্টি দিতাছে এমন সব শব্দে।
পড়াশুনাতে নামায়ে ছাড়লো এ পাকনা কবি,,,
শুন্য শুন্যালয়
তোমারে এইসব পাগল- টাগলের লেখা বুঝতে কে কইছে? নিজের লেখায় মন দাও। শেষে মাথা ঘুরাইলে আসলে কারণ কইয়াও কুল পাইবানা, এই কবিও তোম্রে তখন চিনবেনা। কবিতা নিয়া ভাগবে।
ছাইরাছ হেলাল
কানপড়া দেয়ার অভ্যাস বদলান ভাইয়া,
পট পট করে কেমনে এত্ত কথা কইয়া যায়!! কথার কী বিষম ছিরি!! মরি মরি!!
ছাইরাছ হেলাল
একটু অপেক্ষা করুন প্লিজ, সব হবে ফকফকা,
না শেখালে কেমন বিটকেলে হয়, এক্ষণ বুঝতেছে!
ছাইরাছ হেলাল
শুরু করতে পারি এ-ভাবে,
পুরো ব্যাপারটি প্রেম/ভালবাসার, ভেতরে গিয়ে ভালোবাসা নিজেকে দুভাবে বিভক্ত করছে।
‘বাতাসের মত্ত-প্রবলতায় নিমজ্জিত উদ্বেগ
চার পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে যায়, নিরায়ন হরণের টিকটিক শব্দে;
অজস্র প্রহরী সমভিব্যাহারে সামনে এসে দাঁড়ায়
রোদ-ঋতুর হু হু বাতাস গর্জনের সিদ্ধ-স্বভাবে সোঁদা-মাটি গন্ধে।’
এখানে নারী অনেকটা ডমিনেটিং, প্রহরী বেষ্টিত হয়ে সে এসেছে তার প্রেমিকের কাছে।এখানে সে নিজের মানসিক রাজকীয় অবস্থার বয়ান দিচ্ছে, নিরায়ন বলতে নিরাভরণ/ কৌলীন্য/ মার্জিত/ছিমছাম /আড়ম্বরহীন ভাবে অত্যন্ত সুন্দর , সব কিছু মিলালে যা হয় তা। মানে এই একটি শব্দে আধা পৃষ্ঠা সেরেছি। অকৃত্রিম ভালোবাসা নিয়ে সে এসেছে।
‘মরুর মত খাঁখাঁ রোদ্দুরে, বেদুঈনের শুভ্র উদাসীনতায়
নমনীয় বক্রতায় পাশ কাটাতে চায়, পারঙ্গম-ক্ষিপ্রতায়;’
প্রেমিকটি আসলে পাশ কাটাতে চায়, আর তাতে সে সিদ্ধ হস্ত। কিন্তু সে স্বচ্ছ উজ্জ্বল সুন্দর মনের।
‘মৌ-গন্ধি বাতাস নীরব চাহনি হেনে ঝাপটে ধরে
সবাক-অবাক দ্বিধাগ্রস্ততায়,
স্বপ্নের চিমটিতে জেগে ওঠে প্রণয়-হৃদয়,
নিঃশ্বাসের লোনা-জল জ্যোৎস্নার সোনা-জলে গড়ায়।’
যেহেতু প্রেমিক পাশ কাটাতে চায় তাই জোর কর তাকে ধরে, জোর খাটিয়ে প্রেম আদায় করে নেয়।
‘তারপর-ও কিছুটা থেকে যাবে
প্রণয়-প্রগাঢ়-পাঁড়-পাকনা-পাণিপীড়ন, প্রাতঃপ্রত্যহে দুজনের ঘুমে,
পাতকিনী ভালোবাসার সিথান সিঁথিতে সিঁথিপাটি! তাও জ্বলে থাকে।’
তারপর সকালে ঘুম থেকে দেরিতে উঠে তাদের দিন কাটে আনন্দে।
আসল কোথায় আসি।
লেখক শব্দের তুমুল বিপুল ঝংকার তুলে যাদু বিস্তার করে পাঠকে বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়েছে।
পরিকল্পিত ভাবে পাঠক কে বিভ্রান্ত করে নিজের শক্তি মত্তা প্রদর্শন করেছে, চেষ্টা করেছে, কী পেরেছে তা আপনারা দেখবেন। মূলত এটি প্রেম/ভালোবাসা বিরোধী একটি লেখা, লেখক শুধু একটি শব্দ ব্যানার করে তার অবস্থান জানান দিয়েছে, ‘পাতকিনী’।
আসলে প্রেম বলে কিছু নেই, এখানে লেখকের এই অবস্থান।
প্রহেলিকা
উঠ-কিস্তির চাল, পাঠক অকায় অগাকান্ত, ভবঘুরের বেশে উড়কি ছোঁয়। তুমুল উদ্দীপনায় উদ্ব্যক্ত এসে পায় হিম-তলানী।
গলেগলে গলন্ত, বিঁধে উল্কাপিণ্ডে।
একাক্ষরা ওয়াকেফে কজ্জলিত, তবুও প্রহেলিকা কটিভূষণে কট্টর।
কবোষ্ণ উষ্ণতায় ঐন্দ্রজালিক শব্দের ঝংকার শিৎকারের নির্মোহ সুর্যশিশির-বীজ। মূলতঃ লেখকের কায়ক্লেশে হন্তারকের কসরতে পাঠক খাবি খায়।
এভাবেই ইচ্ছা অনিচ্ছায় নড়বড়ে পাটি সখাদ সলীলে।
ছাইরাছ হেলাল
আমগো অগা মগা পাইয়া এই হিব্রু চালাইয়া দেলেন!
ফের যদি ব্যাখ্যা চান, খবর আছে কিন্তু।
প্রহেলিকা
লেখকের গুণগাণইতো করলাম। পাঠকের দাতের পাটি নড়েবড়ে কি মজা পান কে জানে।
লেখকের সবগুণই দেখা হলো এবার খালি সহজ করে বিভ্রাটের বুনন দেখতে চাই। শিরোনাম নিয়ে বললাম না কিছু! উহ্য থাক।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক আছে তৈরি থাকুন, আপনি বললে তো না করতে পারি না।
নীলাঞ্জনা নীলা
এ তো দেখি আয়নিক প্রেম! কবি যদি জ্যোতিষ হয়ে প্রেম নিয়ে গণনায় বসে প্রেমমালা জপ করে, তাহলে তো পৃথিবীর ভুত, প্রেত, দৈত্য-দানো, আসুরী, পেত্নী থেকে শুরু করে সকলেই ছুটে আসবে। পারবেন তো সামাল দিতে হে আয়ন কবি?
ছাইরাছ হেলাল
আরে আপনি!! প্রাণটি ফাল দিতে চায়, ঠিক আছে পরে নাচুম নে!!
আপনি সাথে থাকলে হ্যাপা সব আপনার মাথায় রেখে পালিয়ে যাব, ঐ দূরের পাহাড়ে, যেখানে আকাশ ঘুমায় নীলাচলে।
প্রহেলিকা
কবিতা পড়তে গিয়া দাঁত সব নড়েবড়ে। বুড়ো হইছি, লেখকরা যদি তা ভেবে লিখতো একটু তাইলে এ যাত্রায় বেচে যেতাম।
পাকনা নিরায়ন, আর কতকিছু যে লিখলেন, আমার এই সীমিতজ্ঞান নিয়া দূরেই থাকি, সেটাই ভালা।
ছাইরাছ হেলাল
দূর কিন্তু দূর না, দূরে থাকতে কে দিচ্ছে সেটি আগে বলুন। তারপর ও, দূরে থাকার অনুমতি
কার কাছ থেকে নিলেন সেটি আগে জানান, জাল অনুমতি পত্র সোনেলায় অচল।
কঠিন কিচ্ছু লিখিনি। জবজবে বজবজে প্রেম গাঁথা বানিয়েছি, মানে চেষ্টা নিয়েছি।
ব্যাখ্যা দেয়া হবে পাঠকের জায়গা থেকে।
প্রহেলিকা
ক্যান আমাগো কি পাঠক মনে হয় না? লেখার পাঠক ছিলোই এখানে, একেক পাঠকের একেক রকম মন্তব্য। ব্যাখ্যা দেয়া হোক লেখকের জায়গা থেকেই।
ছাইরাছ হেলাল
তাহলে আপনি কবি পালিয়ে যাবেন।
আগে এটি দেখে নিন।
তৌহিদ
এইজন্যই আপনি কবি। আপনাদের মত পরশ পাথরে একটু নিজেকে ঘষামাজা করতে চাইলাম আর আমারে কুবি আখ্যায়িত করলেন!!☺
আপনার কবিতায় পাকনা প্রেমের শব্দভাণ্ডারের ইতিহাস জানতে আমাকে অভিধান খুলতে হবে।
আসলেই আপনি কবি।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন নিজেকে কবি বলি না, ভাবিও না, আমি নিজেকে ‘কোবি’ বলি ব্যঙ্গ করে।
কবিতা কে আমি যে জায়গা থেকে দেখি তা কিছুটা ভিন্ন, তাছাড়া নিজেকে পাঠক ভাবতে পছন্দ করি,
অবশ্য পাঠক হতে পেরেছি কী না সেটি নিয়ে সন্দিহান। আর একটি কথা ‘শব্দ’ একটি প্রাণ-পছন্দের বিষয়, নিজের কাছে।
আর শব্দের ঝংকার তুললেই কবিতা হয়ে যায় মনে করার কোন কারণ নেই, ভাববেন না জ্ঞান দিচ্ছি, নিজেকে আমি এভাবেই প্রকাশ করতে পছন্দ
করি। এই অধমের সব শব্দ অভিধানে হয়ত পাবেন না।
এই সামান্য মজার লেখাটি নিয়ে আমি পাঠক হিশেবে বলার চেষ্টা করব, সময় পেলে পড়ে দেখতে পারেন।
আর হ্যা, মজা করে কী মাত্রায় আমরা একজন আর এক জনকে পচাই তাও লক্ষ্য করতে পারেন।
আবার বলছি নিজেকে কবি ভাবি না। তবে এক দিন কবিতা লিখব তা ভাবি।
তৌহিদ
অবশ্যই পড়বো ভাই। তবে সত্যি আমি কিন্তু কবিতা কম বুঝি।
কমেন্টে সবার মজা করা দেখে আমার ভালো লাগে। তাই নিজেও মাঝেমধ্যে করি। কিছু মনে করবেননা আবার! আর মনে করলে ডিরেক্ট বলবেন। আপনাদের ৬ বছরের সম্পর্ক কি আমি ১০ মাসে মিলাতে পারি?
আপনি কবিতা লিখুন, বেশি করে লিখুন।
ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
লিখব অবশ্যই। আর কবিতা তো বোঝার জিনিস না।
সাবিনা ইয়াসমিন
এটার ভাবসম্প্রসারন দিন, তারপর বুঝে দেখি কেমন কাঁচা-পাঁকা মানে পাঁকনা ঘুম ছিলো।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, এসেই নোট বই খুঁজছেন!!
দেখুন এবার।
সাবিনা ইয়াসমিন
নোট বই আগে খুলে রাখবেন না !! দেখান কই 👀
ছাইরাছ হেলাল
একটু তাকান, এদিক সেদিক। দিয়েছি তো।
সাবিনা ইয়াসমিন
ওটা দিয়ে হবে না। প্রেম যদি নাই থাকবে তাহলে পক্ষ-বিপক্ষ এলো কেন ? ধোয়ার আড়ালে আগুন রেখে উম নেয়া এত্তো সোজা ? ঝেড়ে কাশেন,
ছাইরাছ হেলাল
মন্তব্য না দেয়ার বুদ্ধি ভালই বের করছেন, এমন একটি পাকনা লেখায়।
সাবিনা ইয়াসমিন
পাকনা লেখায় কাঁচা প্রেমের বিরহ গীত গাইবেন, আর জানতে চাইলে দোষ?
ছাইরাছ হেলাল
আপনি বিশেষজ্ঞ তাই এমন কঠিন কথা বলতেই পারেন।
তবে প্রেমের কাচা/পাকা ফরম আছে এই পরথম হুনলাম।
আপনার দোষ!! আপনি প্রেমের ডাক্তার!!
জিসান শা ইকরাম
লেখায় মাইনাস,
যে লেখা পাঠকরে বুঝাইতে হয়, সে লেখায় মাইনাস দিতেই থাকুম,
জবাবে বুঝায়ে না দিলে মাথা ফাটিয়ে ফেললেও মস্তিস্কে ঢুকত না।
চলুক
ছাইরাছ হেলাল
আপনার সাথে একমত, একই সাথে যেগুলো চাঁদের মত ফকফকা
সেগুলো কি আমরা সব বুঝে ফেলছি! কৈ কারো কোথায় তো তেমন মনে হয় না।
অতএব কঠিন বা সহজ বলে কিচ্ছু নেই, সব ই ফক ফকা!!