=সজু কি করো?
– হাঁটি আপু
= হাঁটি মানে! এই দুপুরে পচন্ড রোদের মাঝে হাঁটো কোথায়? কোথায় যাচ্ছো?
– শাহাবাগ যাচ্ছি আপু, ইব্রাহীম কর্ডিয়াক হাসপাতালে বাংলামোটর থেকে। কি করবো এতটুকু পথে রিক্সা সিএনজি নেই, গরমে শেষ 🙁
= আহারে, গরমে পানি বেশি খাবে, হাসপাতালে কেনো?
– আমার এক বন্ধু অসুস্থ্য তাঁকে দেখার জন্য, আচ্ছা আপু।
***********************************************
= এই সজু কই তুমি? আগে কতবার কল দিলাম, রিসিভ করলে না। কাজটা কি করো শুনি?
– ফার্মগেটে জ্যামে বসে আছি বাসে। অসহ্য গরমে মেজাজ খারাপ, মেজাজ খারাপ অবস্থায় ফোন রিসিভ করলে ভালভাবে কথা বলা যায় না, তাই ধরিনি।
= ঢাকায় বাসে বা সিএনজিতে হাত পাখা লাগেই। তা এখন মেজাজ ভালো হলো কিভাবে তাহলে? এখনো তো জ্যামে আছো তাইনা? 🙂
– এখন মনে হলো আপনার সাথে কথা বললে ভাল লাগবে তাই কল রিসিভ করেছি 🙂
***********************************************
= সজু বেইলি রোডের আড্ডায় আসলে না যে?
– আপনারা কত বড় বড় মানুষ আসবেন আড্ডায়, লজ্জায় আসিনি আসলে। আপনাকে সহ সবাইকে দেখার খুবই ইচ্ছে ছিল। ছবিতে দেখে আফসোস কিছুটা দূর হয়েছে 🙂
= মাইর খাবা, লজ্জার কি আছে?
************************************************
= উফ এত শব্দ কথা তো কিছুই বুঝা যাচ্ছে না।
– হ্যাঁ আপু, ঢাকার রাস্তা না? বিশ্বের আর কোথাও গাড়ির হর্ন নেই, এটি কেবল আমাদের ঢাকায়।
= কোথাও যাচ্ছো এই গরমে?
– নিলক্ষেত যাচ্ছি আপু রিক্সায় জ্যামে আঁটকে পরে আছি। আর গরম নেই একটুও 🙂
= মানে কি? দুপুরের রোদে গরম নেই !
– না আপু, হাত পাখা সাথে আছে? নিজকে বাতাস দিচ্ছি।
= মানে? রিক্সায় বসে হাত পাখা দিয়ে বাতাস ! পাগল নাকি? গরম বাতাসই তো নিচ্ছ তাহলে।
– আপনি বললেন না সেদিন ঢাকায় চলাচলের সময় হাত পাখা প্রয়োজন 🙂
মোটেও গরম বাতাস না, শুন্য শুন্যালয় লিখে নিয়েছি হাত পাখায়, তাই বাতাস শীতল 🙂
= তুমি আসলেই একটা পাগল 🙂
সিরিজ স্বপ্ন এখানেই শেষ 🙂
****************************************************
কিছু মানুষের পরশে মানুষ জীবন পথের চড়াই উতরাই পার হয়ে যায় অবলীলায়
ধ্বংসস্তুপ থেকে বের হয়ে জীবন কে নিজের মত করে তৈরী করে
ভবনের প্রতিটি কক্ষ নির্মিত হয়
নিজস্ব স্বকীয়তায়।
কবে আসবেন আবার সোনেলার উঠোনে?
আমাদের মাঝে
আপনার নিজস্ব ভুবনে?
মিস ইউ আপু (3
৩৫টি মন্তব্য
অরুনি মায়া অনু
শুন্যাপু দেখি আপনাকে অনেক শাসন ও আদর দুটোই করেন।
হুম আপু অনেকদিন ব্লগে আসেননা।
আশাকরি ভাল আছেন।
ফিরে আসুন শুন্যাপু। আপনাকে সোনেলা মিস করছে।
ব্লগার সজীব
আমি খুবই হ্যাপি যে এমন একটি আপু এই সোনেলায় পেয়েছি, যিনি একই সাথে শাসন আর আদর সমান ভাবেই করেন। ফিরে আসবেন আপু শিঘ্রই, এ আমার বিশ্বাস।
শাহানা আক্তার
আদর শাসন দুটোই বিদ্যমান। তা তুলেও ধরা হয়েছে সুনিপুণভাবে। সত্যিই কারও কারও পরশে জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলোও অনেক সুন্দর হয়ে ওঠে। শুন্যাপুর জন্য শুভকামনা রইলো।
ব্লগার সজীব
জি আপু ঠিক বলেছেন। ব্যাক্তির প্রভাব অনেক মুল্যবান মানুষের জীবনে। যে কোনো ক্ষেত্রেই এটি হতে পারে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার তিলোত্তমা সুন্দরীকে আমিও খুব মিস করছি। সোনেলার তিলোত্তমা কোথায় লুকিয়ে আছো? চলে এসো ভাভু বাইয়া শুধু নয়, আমিও খুঁজছি তোমাকে।
শুন্য আপুর প্রতি ভাভু বাইয়া আপনার এমন ভালোবাসা দেখে আপ্লুত হলাম।
ব্লগার সজীব
স্বপ্ন এটি। তবে শুন্যাপুর ছবি, ভিডিও, লেখা, মন্তব্য পড়ে তার সম্পর্কে একটি ধারনা জন্মেছে আমার। তিনি এমনই হবেন যেমনটি আমি ভেবেছি। শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা পাবার যোগ্যা তিনি।
আপুকে কে মিস করেননা? 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
তা বুঝেছি ভাভু বাইয়া। স্বপ্ন তো আমরা তাকে নিয়েই দেখি, যাকে ভালোবাসি। অনুভব করি, আবেগ দিয়ে জড়িয়ে রাখি।
শুন্য আপু এমনই একজন যাকে ভালো না বেসে পারা যায়না।
আর তার প্রকাশ আপনার লেখাতে অনেক সুন্দরভাবে উঠে এসেছে।
ছাইরাছ হেলাল
খুবই জানের জট বুঝতে পারছি,
আপনি তাহলে ইসপেশাল পাঙ্খা ম্যানেজ করে ফেলছেন!
ফুল এয়ারকন্ডিশনের পাকা ব্যবস্থা।
আপনার এমন ডাকে সাড়া না দিয়ে পারেই না,
ব্লগার সজীব
জি ভাইয়া জানের জট চলছে খুব। পাক্কা এয়ারকন্ডিশন 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
শুন্য আপুর শুণ্যতায় সোনেলায় মন্তব্যের খরা যায়।শুভ আগমন শুন্য আপু।ব্লগার সজীব একজন অদৃশ্য মানব তাইতো ঐ আসরেে আসা হয়নি তার স্ব শরিরে তবুও ছিলেন আপনি অন্তরে।সামনে যে কোন আড্ডায় আপনাকে অদৃশ্য থেকে টেনে বের করে আনব ইনশাল্লাহ। -{@
ব্লগার সজীব
শুন্য আপুর শূণ্যতা অনুভব করছি ভাইয়া। দেখা যাক কোনো এক আড্ডায় হয়ত অদৃশ্য হয়ে উপস্থিত হয়ে যাবো 🙂
আবু খায়ের আনিছ
এত কেয়ারিং? এতদিন হল এখানে আছি, অনেকের সাথেই দেখা হল কিন্তু বারংবার সজুকে খুজেঁ পাই না। বড় ভাইকে প্রতিবার জিজ্ঞেস করেছি, সজু কই? উনি নিরুত্তর থেকেছেন। একবার যদি ঠিকানাটা পায় ধরে নিয়ে আসব পরের বার। হুমকি দিলাম রকম্যকার হুম।
ব্লগার সজীব
দেখা হয়ে যাবে একদিন ভাইয়া। আমিও দেখা করতে চাই সবার সাথে। কিন্তু হয়ে ওঠে না। -{@
আবু খায়ের আনিছ
অগ্রীম বলে রাখছি, সামনের ফেব্রুয়ারীতে কোন অজুহাত মানা হবে না, আগে থেকেই সময় ঠিক করে রাখবেন কিন্তু।
ব্লগার সজীব
চেষ্টা করবো সর্বাত্মক আসার জন্য। বাকিটা আল্লাহ্ ভরসা ভাইয়া 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আগেই কইয়া রাখলাম, আমার ফিরে আসার সাথে এই লেখার কোনই সম্পর্ক নাই।
তা স্মাইল প্লিজ এই ছিলো তোমার মনে? স্বপ্নে স্বপ্নে আমার সাথে কথা বলা!! আজ পর্যন্ত তোমার নামধাম কিচ্ছু জানলাম না, তুমি মাইয়া না পোলা হেইডাও না, আবার নাকি ফুনে ফুনে কতা কই 🙂
তয় আইডিয়াটা কিন্তু আমার সাথে সত্যি সত্যি মিলে গেছে, ঢাকার রাস্তায় আসলেই হাতপাংখা বহুত জরুরী। পাংখায় নাম লিখলে গরম বাতাস ঠান্ডা হয়ে যাবে? হা হা হা তুমি পারোও।
আমিও একটা পাংখা বানামু তাতে সজুর নাম লিখে রাখুম, এই পাংখা শুধুমাত্র মেজাজ খারাপ থাকলে ব্যবহার করা হবে যাতে দাঁত বের করে রাগের মধ্যেও হাসতে পারি। 🙂
মিস মুস যত খুশি করো, হার্টের ইমো সাবধানে, তোমার পার্ফিউম গিফটকারী জানলে খবরই আছে।
থাংকু এত্ত সুইট একটা পোস্টের জন্য স্মাইল প্লিজ। ব্যস্ততা যাচ্ছে বেশ, আসবো যাবো, কোমর বেঁধে কবে সোনেলায় বসতে পারবো বুঝতেছিনা। দোয়া করো আমার জন্য। -{@
ব্লগার সজীব
লেখায় এসে প্রথমেই বলে দিলেন যে এই লেখার সাথে আপনার ফিরে আসার কোনো সম্পর্ক নেই! 🙁 একবার আমার কথা ভাবলেনও না? আমি যে একটু ভাব নিতাম যে আমার পোষ্টের কারনে শুন্য শুন্যালয় ফিরে এসেছেন। এমন না বললেই কি চলতো না? 🙁
আমি পোলা না মাইয়া ? :D) খুবই মজা পেলাম আপু 🙂
যাক আইডিয়া তো মিলেছে এতেই শান্তি। কিছু মানুষের নাম মনে এলেই শীতল শান্ত একটি অনুভূতি জাগে, আছে না এমন কিছু নাম। কিছু মানুষের নাম মনে এলেই ঘৃনায় গা রি রি করে ওঠে, এমন নামও আছে( যেমন মিরজাফর, গোলাম আজম )। আমার নাম মনে এলেই যে আপনি হেঁসে ওঠেন এটি তো মিথ্যে নয় আপু। নাম আসলেই একটি ফ্যাক্টর। আমার নাম লিখে একটি পাংখা ব্যবহার করে দেখতে পারেন, বিফলে পাংখার মূল্য ফেরত :p
পার্ফিউম গিফটকারী জানলেও সমস্যা নেই, সে সোনেলার নিয়মিত পাঠিকা এবং সেও আপনার ভক্ত হয়ে গিয়েছে আপু -{@
দোয়া করি সমস্ত ব্যস্ততা কমে যাক, আনন্দে ঝলমল করুক জীবন আপনার। আমাদের মাঝে নিয়মিত আসুন ব্যস্ততা কাঁটিয়ে।
ভাল থাকুন আপু -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া আর তিলোত্তমা দুজনেই দেখি আবার লাপাত্তা। উফ এই দুই ভাই-বোন যে কতো জ্বালায়, অসহ্য! :@
ইঞ্জা
আসলেই ঠিক বলেছেন সাথে আমিও বলতে চাই “মিস ইউ আপু শুন্য শুন্যালয়”।
ব্লগার সজীব
চলে এসেছেন শুন্য আপু 🙂
ইঞ্জা
কই কই কোথায়? 😮
ব্লগার সজীব
মন্তব্য দিচ্ছেন বিভিন্ন লেখায় ভাইয়া 🙂
ইঞ্জা
ও হা দেখতে পেয়েছি, বেশ মিষ্টি আপু আমাদের। -{@
ব্লগার সজীব
🙂 -{@
নাসির সারওয়ার
দেশের কি যে হোল, লোকজন রাস্তায় হেঁটে হেঁটেও সপ্ন দেখে। নইলে এরকম হাতপাখা কোথায় পাবে! তবে এ সপ্ন ভালো রান্না হইনি। কিছু হলুদ কম হয়েছে। খাবোনা!!!!
ব্লগার সজীব
স্বপ্নের রান্না ভাল হয়নি? 🙁 হলুদ স্বপ্ন নিয়ে আসতে হয় তাহলে 🙂
অপার্থিব
হাত পাখাটা পছন্দ হয়েছে। আগে লোকজন পাখা বানালে এভাবে নিজের নাম লিখতো। কথোপকথন কাল্পনিক না বাস্তব এটা অবশ্য বোঝা গেল না।
ব্লগার সজীব
আমি ছোট বেলায় আমার নানু বাড়িতে এমন পাখা দেখেছি ভাইয়া। ‘ সিরিজ স্বপ্ন এখানেই শেষ ‘ লেখা আছে তো পোষ্টে 🙂
নতুন লেখা দিচ্ছেন না যে? লেখা দিন।
মিষ্টি জিন
কি মন্তব্য করবো?
যার জন্য লিখলে সে তো এসে গেছে।
তোমার এই পাংখা খান আমার খুব পছন্দ হইছে।
আগে গ্রামের মেয়েরা কাপড় দিয়ে হাতপাখা বানাতো, এবং তাতে লেখা থাকতো ( মধুর মিলন, ভুলানা আমায়, আমিন.,,,,,,) সেই অনুসারে তোমার পাংখার নামটাও সুন্দর।😬
ব্লগার সজীব
শুন্য আপু আসায় আমি খুবই খুশি, আমার মনে হয় সবাই খুশি তিনি আসায়। ছোট বেলায় নানু বাড়িতে দেখেছি এমন পাখা। সুতোর কাজ করা দুটো পাখির ছবির সাথে লেখা সুখে থাকো……… ভুলোনা আমায় 🙂 শুন্য আপু তো সুন্দর হবেনই 🙂
নতুন লেখা কোথায় আপু? লেখা দিন।
মিষ্টি জিন
শুন্য না থাকাতে সোনেলা শুন্য শুন্য লাগছিল , ফিরে আসাতে খুশি হয়েছি। 🙂
আলসেমি+ব্যাস্ত তাই লেখা হচ্ছে না। সবাই গল্প, কবিতা দেয় আমি যে কেন এসব লিখতে পারিনা
ব্লগার সজীব
‘ শুন্য না থাকাতে সোনেলা শুন্য শুন্য লাগছিল ‘ – আপু সুন্দর বলেছেন তো। ইচ্ছে করছে আপনার এই উদ্ধৃতিটি পোষ্টে দিয়ে দেই। যা ইচ্ছে লিখে ফেলুন তো। এখানে সব আমরা আমরাই 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ভালোবাসাবাসি! মায়াময় ভুবন।
তাইতো সেদিন আসলেন না কেনো আড্ডায়?
ব্লগার সজীব
জি আপু, এই ভুবন বড়ই মায়াময়, মমতা স্নেহ ভালোবাসায় পরিপুর্ন। কাজ ছিল আপু, তাই আসতে পারিনি। আপনাদের সবার ছবি দেখে নিজকে খুশি করেছি। ধন্যবাদ আপু।
জিসান শা ইকরাম
তা সজু সাহেব, আমি যে গত আগষ্ট হতে সোনেলায় আসতে পারিনি, আমাকে মিস করেন্না বুঝি?
জিসান নামে কেউ কোনকালে এই ব্লগে ছিল, তা কেউই মনে করলো না,
ভাবছি আমার নামের আগে পিছে শুন্য লাগিয়ে দেবো, তাহলে কেউ মিস করলেও করতে পারে 🙂