
সময়ের চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে নিরন্তর স্বপ্ন দেখি
দৃশ্য থেকে দৃশ্যান্তরে, নির্জনতার সুরে সুরে
তন্দ্রা-মগ্ন শূন্যতার একক প্রহরে;
নিঃশঙ্ক নাবিক পাল তোলে, দার ফেলে
জল সমুদ্রের গভীরে যাবে বলে,
সংকোচহীন নিপুণ হাতে;
দূর নীলাকাশের হাতছানি, স্বর্ণ-জলের
তুমুল আহবান, সমুদ্রের নুন–গন্ধি শরীর জলে
মেঘেদের আনাগোনা।
সময় এখন ক্ষরণ ও সন্তাপের অনুকূলে
শূন্যতা যখন সরব, সারা গৃহস্থালি জুড়ে,
অলীক বৃক্ষের মত সুখ দুঃখের ক্ষতগুলো
অনড় ডানায় উড়ে যাচ্ছে।
যেন এক স্থায়ী চির-দীর্ঘস্থায়ী নিঃসঙ্গতা,
প্রবল নৈশব্দের ধূলিঝড়ে।
ছবি নেট থেকে।
২০টি মন্তব্য
মোঃ রাশিদুল ইসলাম
অসাধারণ লিখনি, পাঠ মুগ্ধ হলাম❤️
ছাইরাছ হেলাল
কেন এ মুগ্ধতা তা বলতে হবে।
অন্যদের মন্তব্য দেখুন।
ধন্যবাদ।
খাদিজাতুল কুবরা
হে কবি,
শব্দের নিঁখুত কারুকাজ খচিত কবিতার ইমারত,
দেয়ালে ঝুলছে সুক্ষ্ম চিত্রা হরিণের সচিত্র!
আলোকোজ্জ্বল শব্দের ঝাড় হতে
ছুৃঁয়ে পড়ছে জহরত!
শ্রবণেন্দ্রিয়ে বাজছে নৈঃশব্দের করুণ নহবত।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কবি বলেই এমন করে দেখতে/লিখতে পারছেন,
আমিও এমন পারি/পারব কী না তা সন্দেহে/সন্তাপে ও রাখি।
এই অধম নিজেও এ লেখাটির প্রেমে পড়েছে!!
ক্যামনে কী লিখেছি, কেমন করে, জানি না, জানাতে চাচ্ছিও না, এখন ও।
শব্দদের আবেশে অবশ, ঘোরগ্রস্ত!!
কয়েকদিন কিছুই লেখা হবে না!
ভাল থাকুন।
খাদিজাতুল কুবরা
আসলে অমর সৃষ্টি সষ্ট্রার অজান্তেই বোধ হয় হয়ে যায়।
লেখাটি প্রিয়তে রেখেছি।
অমন সুন্দর একটি কবিতা রচনার পর দায়িত্ব বেড়ে যায় বহুগুণ।
অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী কাব্যের।
ছাইরাছ হেলাল
সুন্দর বা কম সুন্দর ইচ্ছে হলেই তো লিখতে পারি না।
যখন যা যেভাবে মনে হয় লিখে ফেলি।
আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে ভালোই লাগে।
আবা্রও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পপি তালুকদার
নিরন্তর স্বপ্ন দেখা এটা বড়ই শৈল্পিক কাজ।
সাধারণ মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারে না,
অলীক বৃক্ষের মতো সুখ – দুঃখ ক্ষত গুলো যদি পাখা মেলে উড়ে যেতে পারতো সত্যিই খুব ভালো হতো।
ছাইরাছ হেলাল
ক্ষতগুলো অনঢ় অচলের মত ঘাঁটি গেড়ে থেকে আমাদের অনুপায় করে রাখে।
এ এক কঠিন অবশ-বিবশ যন্ত্রণা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনার মতো করে যদি স্বপ্ন দেখতে পারতাম, ভাবতে পারতাম কি যে ভালো লাগতো। সময়ের চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে ও এভাবে স্বপ্ন দেখা যায় ! মহারাজ স্যালুট জানাই। অফুরন্ত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন সতত
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এর থেকেও ভাল তরতাজা স্বপ্ন দেখেন, কিন্তু আমাদের দেখান না!!
আপনার স্বপ্নের অপেক্ষায় আছি।
আপনাকেই শুভেচ্ছা অবিচ্ছিন্ন।
সাবিনা ইয়াসমিন
এমন আকাশ দেখিনি বহুদিন হয়ে গেলো। ছবিটি দেখে কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে! দেখি চেষ্টা করে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ছবি দেখেই এই অবস্থা!! লেখা পড়লে কী কী হবে কে জানে!
সাবিনা ইয়াসমিন
আকাশটা আমার হলে,
আমি তাকে সাজিয়ে রাখলাম সীমাহীন শূন্যতা দিয়ে,
নীল-নীলাভ শূন্যতায় বেমানান হয়ে সে নিতে চাইলো কিছু মনকাড়া রঙ!
এক ভূবণ সাদা মেঘে ঢেকে দিলাম আকাশের খোলা বুক,
শুভ্র পলকা মেঘ বুনে-বুনে যে পোশাক তার গায়ে চড়ালাম,
তার মাঝে সযত্নে লুকিয়ে দিলাম সাতরঙা রামধনু /
আরও দিলাম নৈসর্গিক নক্ষত্রের কারুকাজ!
আকাশের কামনা ছড়িয়ে পড়লো তার সমগ্র বিশালতার
মতোই,
দু’মুঠো সবুজ আনতে সাদা মেঘ গুলো ঝরে গেলো বৃষ্টি হয়ে,
আকাশ নেমে এলো সাদা মেঘ-বৃষ্টি-সবুজের পিছুপিছু,
আর আমি?
মাস্ক প্রহরায় আউড়েছি,
এখানে একটা আকাশ ছিলো
ছিলো বিশালতা
ছিলো ঝরা-বৃষ্টি, ছিলো এক আমি….
ছাইরাছ হেলাল
আপনার এ ক্লাসিক মন্তব্যের একাধিক উত্তর লিখে রেখেছি,
কোনটা রেখে কোনটা দিব তা ভেবে পাচ্ছি না, তবে দিয়ে দেব অচিরেই।
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
সময় এখন ক্ষরণ ও সন্তাপের অনুকূলে
শূন্যতা যখন সরব, সারা গৃহস্থালি জুড়ে,
অলীক বৃক্ষের মত সুখ দুঃখের ক্ষতগুলো
অনড় ডানায় উড়ে যাচ্ছে।
যেন এক স্থায়ী চির-দীর্ঘস্থায়ী নিঃসঙ্গতা,
প্রবল নৈশব্দের ধূলিঝড়ে।**** অসাধারণ। শুভ কামনা ভাইয়া ।
ছাইরাছ হেলাল
কপি মন্তব্যের জন্য এক চিমটি ধন্যবাদ দিলাম।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সময় নয় অনুকুলে
তবুও যেন স্বপ্ন দেখা আশা বুকে তুলে।
সুন্দর হৃদয়ছোঁয়া নিবেদনে মুগ্ধতা নিরন্তর ।
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা জানবেন ।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ দিলাম পড়ার জন্য।
আরজু মুক্তা
আকাশের মতো নিঃসঙ্গ তবে বিশাল।
ছাইরাছ হেলাল
এক আকাশ নিঃসঙ্গের বিশালতা সবাইকে ছুঁয়ে যায় না।
কাউকে কাউকে যায়।
ভাল থাকুন।