অর্ষা-, রুপোলী নারীশ্বরী আমার
টেনে নিলে আমায়-
তাঁর মধুময় চাকের কাছে
গোলাপি অধরের সতৃষ্ণ
তৃষ্ণায়, কেঁপে ওঠে স্নিগ্ধ মনভুমি ।
উষ্ণ স্তনযুগলে কিঞ্চিৎ-
ভালোবাসা আঁকার সুতীব্র বাসনায়
হৃদ স্পন্দন এতটাই বেড়ে যায়
যেন চিরকালীন অস্তসূর্যে
সমস্ত পৃথিবী তখন নিথর হলেও
বিবসনা সৌন্দর্যের বৈভবে
বোধহয় পাবোনা কিছুই টের !
লিপস্টিক রাঙ্গানো ওষ্ঠাধরে ওষ্ঠাধর রেখে
লালসার ক্রুর অনামিকা স্তব্ধ বিছানায়
ভ্রমন করে এলে নাভিমুলে-
আদুরে স্তনদ্বয়ে খেলে যায়
রৌদ্র-জোসনার লুকোচুরি ।
শরীরী আহবানে ঝড়ে রিরংসার ঝাড়বাতি-
যেন উন্মাতাল ঢেউ হয়ে প্রকাশিত হতে চায় ।
যোনিফুলে তাঁর তখন ঝড়ে স্বর্গীয় নির্যাস
কেঁপে ওঠে একটু ছুঁলেই,
শরীর বিকানোর কামজ অভিপ্রায়ে-
যেন অক্ষরবিহীন কবিতার সৌন্দর্য তখন
ভালোবাসা রোপণের ভাঁজে ভাঁজে !
অথচ, এই কামজ বাসনাটুকু পার হলে,
বিষ ঝড়ানোর সুখটুকু বিস্মৃত হলে
আমার ছায়াটুকুও পর্যন্ত আর মাড়ায় না !
১৫টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
বাপরে বাপ , সাহিত্য চর্চা দেখে ভয় পাইছি
শব্দের প্রয়োগে অবিভুত ।
মর্তুজা হাসান সৈকত
ধন্যবাদ ভাইয়া । কবিতাটি আমার নিজের কাছেও অনেক প্রিয় ।
খসড়া
নরীশ্বরী নারী + ঈশ্বর +ঈ নতুন শব্দ। আমার যতটুকু ধারনা ঈশ্বরী বোলে কোন শব্দ আমার জানা নেই। রিরংসার শব্দের অর্থ প্লিজ বলবেন।
আপনার কবিতাটা একটু আদিরসাত্মক হয়েছে শব্দ চয়নের জন্য।প্রতিটি শব্দের সমার্থক শব্দ রয়েছে যার প্রয়গ উচ্চারনে জড়তা আনে না। ধন্যবাদ।
মর্তুজা হাসান সৈকত
নাহ ভাইয়া শব্দটি নতুন নয় । ত্রিশ পরবর্তী বাংলা সাহিত্যে ভালোবাসার মানুষকে বেশ কিছু মহৎ আধুনিকই নারীশ্বরী নামে অভিহিত করেছেন । আমি তাঁর ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছি কেবল । আর রিরংসার ঝাড়বাতি শব্দটির মাধ্যমে মিলিত হওয়ার সুতীব্র ইচ্ছেটাকেই বুঝিয়েছিলাম মূলত ।
খসড়া
মুর্তজা আপনি শব্দ তৈরি করতে পারেন না। কবিতা লেখার জন্য আপনি শব্দ তৈরি করবেন আর আমরা তা গ্রহন করবো এটা ভাবা ঠিক না।
আপনার কবিতা যে সভ্যতা বহির্ভুত এটি আমি আগের মন্তব্যে করেছি যা আপনার বোঝার ক্ষমতার বাইরে দেখে এবার সরাসরি বলছি এটা কোন যৌনতা প্রকাশের ব্লগ নয়। এ ধরনের লেখা এই ব্লগের জন্য নয়। ধন্যবাদ।
আফ্রি আয়েশা
সুন্দর বর্ণনা … সাহিত্যে আদি রসের চর্চা অনেক পুরনো , আপনি আবার নতুন করে করলেন এবং আমার দৃষ্টিতে সফল । ভালো লাগা জানবেন 🙂
মর্তুজা হাসান সৈকত
আপনিও শুভ কামনা জানবেন কবিতাকে কবিতার দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করার জন্য । ধন্যবাদ ।
আদিব আদ্নান
আরে ভালোবাসা দেখছি ‘নির্দিষ্ট’ জায়গায় কেন্দ্রিভুত হচ্ছে ।
তবে ভাল হয়েছে ।
মর্তুজা হাসান সৈকত
আরে নাহ ভাই সে হয়নি । কবিতার কেন্দ্রে আমাকে না বসালেই অনেক প্রশ্নের উত্তর কিন্তু এসে যাবে এমনিতেই ।
মিসু
মর্তুজা হাসান সৈকত ভাইয়া , পড়লাম আপনার ভিন্ন উপাস্থপনার কবিতা । যা এ যাবত সোনেলায় পোস্ট করা কবিতা থেকে ভিন্ন। এমন কবিতায় মন্তব্য করা আসলে কঠিন , আমাদের সামাজিক সীমাবদ্ধতার কারনে। এই সীমাবদ্ধতা আসলে আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্যই প্রকাশ করে। জীবনের সহজাত আকাংখা একজন কবি তার নিজের মত করে উপস্থাপন করতেই পারেন। আমরাও এর থেকে বাইরে নই। আপনি বরাবরই ভালো লিখেন , এটিও অনুপম শব্দের বন্ধনে গেথেছেন।
তারপরেও কিছুটা অস্বস্তি কিন্তু হচ্ছে । আপনার একটি ক্লিন প্রেমিক কবির ইমেজ কিন্তু এখানে তৈরী হয়ে গিয়েছে । সোনেলায় লগইন হয়েই কিন্তু আমি আমার প্রেমিক ছোট ভাইয়ের কবিতা খুজি। এই কবিতা কিন্তু খুজবো না । তবে একজন কবি একটি টাইপে বন্ধী হয়ে থাকবেন , তাও আশা করা উচিৎ না।
আমার স্বামী , স্কুলে পড়ুয়া ছোট ভাইও এই সোনেলা পড়ে । অনেকরই আমার মত অবস্থা আমি জানি।
আপনার লেখা সীমিত করতে আমি বলতে পারিনা। তবে অস্বস্তি হয় এমন লেখা না লিখতে তো ছোট ভাইটিকে অনুরোধ করতে পারি । আমরা সবাই তো , সোনেলা নামের এই ছোট পরিবারের সদস্য।
কবিকে শুভেচ্ছা -{@ -{@
মর্তুজা হাসান সৈকত
দায় স্বীকার করে মার্জনা চেয়ে নিচ্ছি আপি । কবিতাটি আমার কবিত্বের একটি ব্যাতিক্রমি নিদর্শন হিসেবে বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন প্রিন্টিং এবং অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশ হয়ে আসছে । তবে এখানে এটা প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট অনেককে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত, ব্যাপারটি বুঝতে পারছি আমি । আপনি চাইলে কবিতাটি আমি সরিয়ে নেবো কথা দিচ্ছি । ওহ আরেকটা কথা আমাকে তুমি করে বললেই খুশি হবো ।
সিহাব
এক কথায় “জটিল”… (y)
মর্তুজা হাসান সৈকত
ধন্যবাদ সিহাব । সম্ভবত আমার কবিতা প্রথম পড়লেন আপনি ।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই ভাল হয়েছে , সরিয়ে নিতে হবে না ।
তবে এখানে অনেক ছোটরা আছে আমার জানা মতে ।
সামান্য সচেতন সাবধানতা প্রয়োজন ।
লীলাবতী
পড়লাম ।