
সুরঞ্জনা,
মনে পড়ে তোমার সেদিন সকাল বেলা
সোনালী ধানের গন্ধ শুখে হাটলাম সারাবেলা ?
আমন ধানের পাকা শীষ গুলো পড়েছিল নুইয়ে
গরীব কৃষক দিন গুণে যায় কপাল কুঁচকে নিয়ে।
দিবা নিশি স্বপ্ন বুনে আলের পাড়ে বসে
কখন তিনি কাটবে ধান গোলায় তুলবে শেষে।
বন্ধুরা সব দিন গুনে যায় মাঠটি পাবে ফিরে
আবার জমবে ফুটবল খেলা ধান কাটার পরে।
একপাশে হবে ফুটবল খেলা আরেক পাশে ভলি
রাতের বেলা আড্ডা জমবে আর ব্যাটমিন্টন খেলি।
নানান রকম উৎসব হবে শিল্পীরা থাকে তৈরী
এইখানে হবে বিজয় দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারী।
পাড়ার ছেলেরা মাঠে নেমে যায় কাস্তে হাতে নিয়ে
ধান কাটার উৎসবে মাতে বাদ্য বাজনা নিয়ে।
এ প্রান্তে ছিল দেশের প্রতাকা ও প্রান্তে ফুটবল ভলিবল
বাম পাশে ছিল একতাই শক্তি, ডান পাশে একতাই বল।
সেদিন গ্রামে উত্তেজনা ছিল, ছিল আনন্দ উন্মাদনা।
মান অভিমান সবাই ভুলে এক হওয়ার প্রেরণা।
গ্রামের মায়েরা এনেছিল সেদিন ডাল-ভাত পান্তশালা
বোনেরা সেদিন এনেছিল তারা নানান বরন ঢালা।
সৌখিন ছেলেটি এনেছিল সেদিন আলোক চিত্রশিল্পী
মনের মতো ছবি তুলে সে লিখে যায় শ্রুতলিপি।
তুমি ও সেদিন নেমেছিলে মাঠে ওড়না মাথায় দিয়ে
জল খাওয়ানোর আনন্দেতে কলসী কাকে নিয়ে।
তোমার হাতেও কাস্তে ছিল ছবিটি এখনো আছে।
মিথ্যা বলিনি বোন দেখে নিও তুমি পাছে।
সেদিন গ্রামে আনন্দ ছিল উৎসব ছিল সবে
দু:খ কষ্ট সব ভুলে যায় একতার শক্তি তবে।
সেই মাঠটি আজ হারিয়ে গিয়েছে
স্মৃতি খুঁজে সবাই ঘুরে
সেখানে উঠেছে বসত বাড়ি
নদী ভাঙনের পরে।
গ্রামের ছেলেরা আজও আছে সবে
শহর বন্দর ঘুরে।
আবার সবাই এক হয়ে যায়
যদি কেউ বিপদে পরে।
তাইতো আমি স্বপ্ন দেখি
দেশটি ভরবে সোনায়
মন্দ লোকেরা যতই বলুক
ভরেছে আবর্জনায়।
৪৮টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
শুরুতে সুরঞ্জনা দেখে ভাবলাম , যাক বাঁচা গেল, ভাইয়ের ও সুরঞ্জনা আছে,
যেমন থাকে সবার,
কিন্তু হোচট খেলাম এ তো ‘বোন’ বভাবনা। জান বাঁচানো ফরজ, বোন-ই থাকুক।
আমরা সেই সব আনন্দ-দিনের স্বপ্ন দেখি, ভাবি কবে ফিরে ফিরে আসবে সেই অবিরল আনন্দধারা।
সুরাইয়া পারভীন
আমিও তো তাই ভেবেছিলাম
বদ্ধ ঘরে আবদ্ধ থেকে সুরঞ্জনা কে নিয়ে
স্মৃতি রোমন্থন করবেন দাদা
ছাইরাছ হেলাল
ভাই ভয়ে আছে! তাই অন্য দিকে ছিটকে গেছে। জান বাঁচানো ফরজ।
সুরাইয়া পারভীন
হা হা হা হা হা
যা বলেছেন ভাইয়া
আগে তো ঘর
পরে না হয় …..🙈🙈
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ আপু।
সুরঞ্জনা বাসায় আছে তো।
স্মৃতি হাতড়িয়ে বেড়ানো আর কি।
ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সুরঞ্জনা রা কি শুধু প্রেমিকার নাম হয়? তারা সবার আগে কারো কন্যা, বোন তারপরে প্রেমিকা। দাদা সুরঞ্জনা নামটা লিখে ফেঁসে গেছেন। 😋😋😋😋
ছাইরাছ হেলাল
আমরা একজন সুরঞ্জনাকেই চিনি/জানি!!
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক ধরেছেন দিদি।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
যাই ভাবলাম তাই হলো
লেখার কাটতি বেড়ে গেল।
হলুদ সাংবাদিকরা যা করে
আমার লেখাটা বাস্তব প্রতিচ্ছবি যেটা আমরা আমাদের গ্রামে সত্যি করতাম।
আর এখন লেখলাম যারা ধান কাটার উৎসবকে সমালোচনা করে নিরোৎসাহিত করছেন তাদের জন্য।
সবাইকে অভিনন্দন। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হা হা হা। সেটাই দাদা। কাটতি বেড়ে গেছে এক নামেই। নামটা মনে হয় শুধুই জীবনানন্দ এর ! নামটির সাথে এমনভাবে ই মিশে আছেন যে জীবনানন্দ আর সুরঞ্জনা একে অপরের পরিপূরক। একজন এর নাম নিলে আরেকজনের নাম চলে আসে।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক তাই দিদি
এই নামটি আমি বহু বার ধার করেছি
আমার যুগল বন্দী কবিতায় ডুয়েট আবৃতি ও করেছি
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ ভাইজান ,
আপনার সুরঞ্জনাকে ধার করে
ভালই করলাম। আপনাকেতো বিচলিত করা গেল।
যাক সুরঞ্জনারা ভাল থাক।
শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
সেই সব দিন আবার আসবে ফিরে
সোনার ধানে গোলা ভরবে
গা-য়ের মেয়ে বউরা নতুন ধানের ঘ্রাণে
মন জুড়াবে
আমন ধান ঘরে তুলে উঠবে মেতে নবান্নে
সব আগের মতোই হবে
শুধু সেই সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে
সুপায়ন বড়ুয়া
আমরা সবাই সেই আশায় আছি আপু
আবার মুখরিত হবে জনপদ।
ফিরে পাবে প্রাণ।
ভাল থাকবেন আপু। শুভ কামনা।
সুরাইয়া পারভীন
আপনিও ভালো থাকুন দাদা
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাদা কি লিখলেন! মুগ্ধ হয়ে গেলাম। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরলেন। আর কি ফিরে পাবো না সেই বাংলা? ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ দিদি
আমার লেখাটা বাস্তব প্রতিচ্ছবি
যেটা আমরা আমাদের গ্রামে সত্যি করতাম।
আর এখন লেখলাম যারা ধান কাটার উৎসবকে সমালোচনা করে নিরোৎসাহিত করছেন তাদের জন্য।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ফয়জুল মহী
আচ্ছা নেতারা কি সত্যিই ধান কাটতে মাঠে গিয়ে ছিল। তাতে কতটুকু কৃষকের উপকার হলো
সুপায়ন বড়ুয়া
এতে কি সন্দেহ আছে ভাই ?
ক্ষুধার জ্বালা বড় জ্বালা।
এই ধান তুলতে না পারলে দেশে যে দুর্ভিক্ষ লাগবে
সেটা তারা ভাল করেই জানে।
সারা বিশ্বে খাদ্য ঘাটতি হবে।
পেঁয়াজের কথা ভুলে গেলে কি চলে ?
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
তোমার হাতেও কাস্তে ছিল ছবিটি এখনো আছে।
মিথ্যা বলিনি বোন দেখে নিও তুমি পাছে।
সেদিন গ্রামে আনন্দ ছিল উৎসব ছিল সবে
দু:খ কষ্ট সব ভুলে যায় একতার শক্তি তবে।
সেই মাঠটি আজ হারিয়ে গিয়েছে
স্মৃতি খুঁজে সবাই ঘুরে
সেখানে উঠেছে বসত বাড়ি
নদী ভাঙনের পরে।
মন ছুঁয়ে গেলেন দাদা, দারুণ লিখেছেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ ভাইজান।
এটা কিন্তু বাস্তব ছবি যেটা আমরা করতাম।
আর এখন লেখলাম যারা ধান কাটার উৎসবকে সমালোচনা করে নিরোৎসাহিত করছেন তাদের জন্য।
সবাইকে অভিনন্দন। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ দাদা, শুভকামনা জানবেন।
সুরাইয়া নার্গিস
দাদা ভাই লেখাটা পড়ে মুগ্ধ হলাম।
শহরে থাকার কারণে ধান ক্ষেত জীবনে প্রথম বইয়ের পাতায় ছবিতে দেখি। পরে টিভিতে, তারপর ১২ বছর বয়সে বাস্তবে দেখেছি।
আপনার লেখা পড়ে আরেকটা গ্রামে ধান কাটা,ধান মাড়ানো দেখার ইচ্ছা জাগছে।
দেশ করোনা মুক্ত হলে আরেক বার গ্রাম দেখতে যাব।
ভালো থাকবেন,সাবধানে থাকবেন দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
সত্যি আপু ধান কাটা, মারাই আর
সবাই কুলা দিয়ে বাতাস দিয়ে বাছাই করে তোলা
গানের সুরে কি আনন্দটাই না হতো।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
নদী ভাঙনে হারিয়েছে অনেক কিছু,
কিছু স্মৃতি আর হয়তো স্বপ্ন ভাঙা মন।
কিন্তু কৃষকের কারুকাজ কি থেমেছে?
সোনার বাংলার সোনালী কৃষক
সেতো একূল ভাঙা ওকূল গড়া নদীরই মতন,
দিনের শেষে দিন ফুরায়ে আসে নতুন দিন
স্বপ্ন গড়া নতুন আলোয় আসবেই সুদিন..
অনেক সুন্দর কবিতা পড়লাম দাদা,
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা আপনার জন্যে
🌹🌹
সুপায়ন বড়ুয়া
নদী ভাঙনে বিবর্ণ চেহারা হয়ে যায় গ্রাম
সর্বসান্ত হয়ে যায় মানুষ।
তবু ও থেমে থাকে না জীবন
এতো সুন্দর করে মন্তব্য করেন
জবাব ও পারিনা দিতে।
ভাল থাকবেন সবসময়। শুভ কামনা।
মাহবুবুল আলম
দাদা! স্মৃতি জাগানিয়া কবিতা। পড়তে পড়তে ফিরে গেলাম কৈশোর ও যৌবনে।
শুভেচ্ছা রইলো ।
সুপায়ন বড়ুয়া
স্মৃতি গুলো শুধু
ফিরে আসে বারে বারে
যখন আমার সোনার বাংলার
মানুষ বিপদে পড়ে।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
সুপায়ন বড়ুয়া
মানুষ বিপদে পরে।
কামাল উদ্দিন
আপনিও তাহলে সেদিনের সেই সৌখিন ছেলেটি? ছবি তো ভালোই তুলেন, যেমন ভালো লিখেন কবিতা।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনাকে দেখে শিখি
সময় যদি পাই তবেই লিখি।
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
কামাল উদ্দিন
আপনার জন্যও শুভ কামনা সব সময়।
প্রদীপ চক্রবর্তী
একরাশ মুগ্ধতা রেখে গেলাম দাদা।
এমন কবিতা আরও চাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ দাদা সাথে থাকার জন্য
অফুরন্ত সময় কিভাবে যে কাটাই।
তাইতো আজো স্মৃতি আওড়িয়ে বেড়াই।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
সঞ্জয় মালাকার
তোমার হাতেও কাস্তে ছিল ছবিটি এখনো আছে।
মিথ্যা বলিনি বোন দেখে নিও তুমি পাছে।
সেদিন গ্রামে আনন্দ ছিল উৎসব ছিল সবে
দু:খ কষ্ট সব ভুলে যায় একতার শক্তি তবে।
সেই মাঠটি আজ হারিয়ে গিয়েছে
স্মৃতি খুঁজে সবাই ঘুরে
সেখানে উঠেছে বসত বাড়ি
নদী ভাঙনের পরে।
দাদা মন ভরে গেলো লেখা পড়ে
চমৎকার উপস্থাপন দাদা, ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা //
সুপায়ন বড়ুয়া
লেখাটাতে আছে রূপের উপমা
ঘঠনা সত্যি ভাই।
সেচ্ছা শ্রমকে মানুষ ব্যঙ্গ করে
তখন কষ্ট পাই।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
তৌহিদ
সুরঞ্জনার সাথে কথোপকথন পড়ছিলাম আর অনেক স্মৃতি রোমন্থন করছিলাম। কোথায় আজ সেসব দিন হাড়িয়ে গিয়েছে!
অনেক ভালো লাগলো লেখাটি দাদা। ভালো থাকবেন।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক তাই ভাইজান ,
ঘটনাটা বাস্তব। হয়ত কবিতায় রূপকের আশ্রয় নিলাম
ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
তৌহিদ
ধান কাটা নিয়ে আজ গল্প লিখবো ভাবছিলাম। দেখি কাল বা পরশু দেব।
সুপায়ন বড়ুয়া
সেটাই ভাল। আশাই রইলাম
ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
দেশের কঠিন বিপদে ঠিকই সবাই এগিয়ে আসবে কাস্তে হাতে,
বর্তমানে শিক্ষিত মানুষ এগিয়ে এসেছে কৃষকের ধান কাটার জন্য। প্রচেস্টা হয়ত ক্ষুদ্র, তবে এতে উৎসাহ পায় অনেকে।
সুন্দর স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করতেই পারি।
কবিতা ভালো হয়েছে খুব,
শুভ কামনা দাদা।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনি ঠিকই ধরতে পেরেছেন ভাইজান।
মানুষ যখন বিপদে পড়ে ঠিক
বিবেকবান মানুষেরে এগিয়ে আসে
কেউ সহযোগীতা করতে। কেউ অনুপ্রেরণা দিতে।
এটা নিয়ে ব্যঙ্গ করলে কষ্ট লাগে।
তাই একটি বাস্তব ঘটনা তুলে ধরলাম।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
মাছুম হাবিবী
মনে হচ্ছে গ্রামীণ প্রতিচ্ছবি গুলো নিজের চোখের সামনে দেখছি। অনেক সুন্দর লিখেছেন দাদা
সুপায়ন বড়ুয়া
ধন্যবাদ ভাইজান।
বর্তমানের ধান কাটার উৎসব দেখে
মনে পড়ে গেল।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
শিরিন হক
খুব সুন্দর লিখেছেন। মজা পেলাম কিছুটা।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক তাই আপু
ধান কাটা উৎসব এখন
দেখতে লাগে মজা।
করোনা কালের ছুটির সময়
অংশ নেয়া সোজা।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
ছোটবেলার কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
সুপায়ন বড়ুয়া
ঠিক তাই ছেলে বেলার স্মৃতিগুলো তাড়িয়ে বেড়ায়।
শুভ কামনা।