হুজুর বলিলো “চমৎকার”
চামচা বলিলো” চমৎকার,সে তো হতেই হবে যে, হুজুরের মতে অমত কার!”
তোষামোদকারী ব্যাক্তি যারা,তারা মুলত নিজেদের জন্য ও সমাজের জন্য কিছু করার যোগ্যতা রাখে না।তারা অকর্ম বলেই যোগ্য ব্যক্তিকেও অযথা অযোগ্য করে তোলে।
মানুষ মাত্রই ভুল হয়।তা সে যতো যোগ্য লোকই হোক না কেন।আর এই ভুল ধরিয়ে দিয়ে তাকে বুঝিয়ে ভালো পরামর্শ দিয়ে,গঠনমূলক কাজ করাই মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হওয়া উচিৎ।স্বাভাবিক কাজগুলোর প্রশংসা স্বভাবতই আমরা অত্যন্ত পছন্দ করি।
তোষামোদকারী ব্যাক্তি যোগ্য ব্যাক্তিকে তার বিশেষ বিশেষ কাজের জন্য অতিরঞ্জিতভাবে প্রশংসা করে।তার মন্দ দিক গুলো এড়িয়ে গিয়ে বিপক্ষের মানুষের উপর আঙ্গুল তোলে।এতে যোগ্য ব্যাক্তি তুষ্ট হলেও, সমাজ, রাষ্ট্র,ঐ যোগ্য ব্যাক্তি কিন্তু ক্ষতিগ্রস্থ হয়।যোগ্য ব্যক্তিটি সাধারণ মানুষ থেকে দূরে সরে যায়।তোষামোদকারী আমাদের সমাজে কম নয়।সব ক্ষেত্রেই আছে এই তোষামোদকারী।মানুষ স্বভাবতই তোষামোদ ভালোবাসে। তাই তো তোষামোদকারীরা হাজার বছর ধরে টিকে আছে।এরা নিজেদের বিবেক,বোধ,ব্যক্তিত্ব,সন্মান সবই মাটির নিচে চাপা দেয়,নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য।একটু ঠাঁট বাট দেখানোর জন্য এক ধাপ উপরের ব্যাক্তির পায়ের জুতাও খুলে দ্বিধাবোধ করেনা।
আমরা সব কিছুর জন্য সরকার প্রধানকে দায়ী করি।কারণ তার আশেপাশে অনেক তোষামোদকারীই তারই ছত্রছায়ায় টিকে আছে।সরকার প্রধান যখন কোনো স্থান পরিদর্শনে যান বা উদ্ভোধন করতে যান,তার চলার পথের সব রাস্তা,অফিস,সরকারি,বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চকচকে ঝক্ঝকে করে রাখা হয়।তাও হয় ক্ষণস্থায়ী। নিম্নমানের উপাদান দিয়ে রাস্তা ঠিক করা হয়।এক বর্ষাকাল যেতে না যেতেই যা তা অবস্থা।তারা আসলে দেখাতে চায়,জনগন তো ভালোই আছে।আর এভাবে সরকারি টাকাও নষ্ট হয়।আর সরকারেরও আসলে বোঝার উপায় নাই কি হচ্ছে।
যাই হোক যা বলতে চাই,সমালোচনা সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে সবাইকে।আর সমাজে তোষামোদকারীর সংখ্যা যদি বেড়ে যায়,তাহলে প্রকৃত কাজের লোকের সংখ্যা কমে যাবে।কারণ ব্যক্তিত্ববান প্রকৃত কাজের মানুষগুলো যখন কাজ করতে চায় তারা এই তোষামোদকারীদের জন্য দূরে সরে যাবে।
২৭টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রথমেই স্বাগত জানাচ্ছি আমাদের এই সোনেলা নীড়ে।
আর প্রথম পোষ্টেই বুঝে গেছি অনন্য এক লেখিকাকে পেয়েছি আমরা।
তবে এই যে সময় যতো বেশী তোষামোদী, ততো বেশী পাওয়া।
আরোও লিখুন। জেগে ঘুমিয়ে থাকা সমাজের ঘুম যদি ভাঙ্গে। (y) -{@
মৌনতা রিতু
এই ঘুম যদি ভাঙ্গে,চোখের ওপরে যদি আলো পড়ে,আমাদের সবাই এর সুফল ভোগ করতে পারবে।জানিনা সেই দিন কবে।আশা নিয়ে বেঁচে থাকি তাই আশায় বুক বাধি।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। (3 -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
লিখুন এভাবেই। আছি পাশে। -{@
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় স্বাগতম -{@
তোষামোদকারীরাই দেশটাকে পিছিয়ে দেয়
উচ্চপদস্থ্ কারো জুতা মুছে দিতেও এদের লজ্জা হয় না
তোষামোদকারীরা নিজেদের স্বার্থই কেবল দেখে
দেশের স্বার্থ না
এরা সব দল এবং সমাজে আছে।
সমাজে দেখা এই অবস্থা থেকে পোষ্ট দিলেন
ভালো পোষ্ট
নিয়মিত লেখুন সোনেলায়।
শুভ কামনা।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাইয়া।আপনিই তো দিলেন উৎসাহ।আমি জানি আপনি আমাকে অনেক দোয়া করেন।আর তাই জানি পাশে থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
শুভেচ্ছা আপনাকে, এখানে আসার জন্য।
আপনি আমাদের সমাজের একটি ঘাতক ব্যাধিকে যথার্থ ভাবেই তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।
অতি সজ্জন যোগ্য মানুষ ও তার কাঙ্খিত স্থানে অনেক সময় ই পৌঁছুতে পারে না এই তোষামোদকারীদের ভীড়ে।
তোষামোদ আমরা আবার একটু পছন্দ ও করি, কচলানো হাতের কদর ই আলাদা।
তবুও আমারা সচেতন হবো ও থাকব সচেতন ভাবেই।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ।আমাকে এই বিভাগে সাদরে গ্রহন করার জন্যও ধন্যবাদ। -{@
মোঃ মজিবর রহমান
তোষামোদ করতেও যোগ্যতা লাগে
তসামদকারীর ছলচাতুরী ধরার যোগ্যতা
নাই প্রতিভাবান ও সৎ ব্যাক্তির।
সময় ও কালের
সঙ্গে তোষামদকারীর চরিত্র ও অবস্থান পাল্টিয়েছে।
আপনার পোস্ট পড়ে ভাল লাগলো।
শুভেচ্ছা অবিরত।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ,পাশে থাকার জন্য।
মোঃ মজিবর রহমান
লেখা চাই
-{@
মৌনতা রিতু
চেষ্টা করব।
মোঃ মজিবর রহমান
ও কে।
ব্লগার সজীব
আমাদের সোনেলা পরিবারে স্বাগতম আপু।প্রথম লেখাতেই বুঝিয়ে দিলেন যে আপনি সমাজের অসংগতি নিয়ে লিখবেন।এমন একটি লেখা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।তোষামোদকারী মুক্ত দেশ চাই।
মৌনতা রিতু
সবক্ষেত্রে জী হুজুর ঠিকই কইছেন বলা লোক ঝেড়ে ফেলতে চাই।
ব্লগার সজীব
জী হুজর টাইপের লোকদের শনাক্ত করে এদের থেকে দূরে থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
প্রলয় সাহা
দারুণ বলেছেন।
মৌনতা রিতু
কি যানি কি বলে ফেলি।তবে এলোমেলো লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
অরুনি মায়া
সোনেলায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি 🙂 -{@ |
আসলে ব্যক্তিত্বহীন মানুষরাই তোষামোদে ব্যস্ত থাকে | তেলা মাথায় তেল দিতেই মানুষ পছন্দ করে | ভাল লিখেছেন |
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ।
তানজির খান
সোনেলায় স্বাগতম। অনেক ভাল বলেছেন। খুব সত্য কথা বলে দিয়েছেন সহজভাবে। -{@
মৌনতা রিতু
মনে যা আসে বলে ফেলি।তাই শত্রু ও আমার অনেক।
তানজির খান
এটা ভাল গুণ
অপার্থিব
একালে সব ধরনের প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ফেসবুক,ব্লগ সবজায়গায় তোষামোদকারীদের দেখা যায়। আসলে কোনটা প্রশংসা আর কোনটা তোষামোদ তার পার্থক্য নির্ধারণ একটু কঠিন, সবাই সেটা পারে না। অনেক সময় প্রশংসাকারী প্রশংসা করতে যেয়ে একটু বেশিই বলে ফেলে, সব ক্ষেত্রে তাই এটি নেতিবাচক নয়। তবে এই বিষয়ে সচেতনতা থাকা জরুরী। ভাল লেখা।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ,অনেক অনেক ধন্যবাদ।পাশে থাকার জন্য,উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আবু খায়ের আনিছ
আপদত যা মনে একটা বিষয়কে ইঙ্গিত করেই লিখেছেন বিষয়টা। যদি তাই হয় তবে কিছুদিন আগে বলা একটা কথা আবার রিপিট করব।
আমার দেশের মানুষ না খেয়ে মরবে আর আমি সেটা প্রচার করতে পারব না কেন? প্রশ্নটা সত্যজিৎ রায় করেছিল ততকালীন ভারত সরকার কে তার পথের প্যাচালী সিনেমা নিয়ে সমালোচনার জবাব দিতে। পথের প্যাচালী এর লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় কে এমন সমালোচনার মুখমুখি হতে হয়েছিল কিনা আমার জানা নেই।
গনতন্ত্রের একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, সমালোচনা। সরকার কাজ করবে বিরোধী দল বা অন্য যে কোন নাগরিক তার সমালোচনা করার অধিকার রাখে। সমালোচনা সরকারকে জবাবদীহি করতে বাধ্য করে। এখন যে সরকার সমালোচনা সহ্য করার মত ক্ষমতা রাখে না তাদের রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার অন্যকোন যোগ্যতাও গ্রহণ যোগ্য না।
মৌনতা রিতু
কিছু বলার অধিকার যদি না থাকে,কেন এই স্বাধীনতা?আমি বলতে চাই,আমরা বোলতে চাই।
আবু খায়ের আনিছ
সহমত আপনার সাথে। আমরা বলতে চাই।