দিনমান আকাশের মন খারাপের পরে
ঝলমলে বিকেল গড়িয়ে এক সন্ধ্যা নামল,
গোধূলী আমায় অপেক্ষার দ্বীপালী জালাতে বলল,
গোধূলীকে পলকে মিলাতে বললাম।
তোমার গানের অপরূপ সুরের মূর্ছণায় সেজে উঠার আশায়,
আজ এক ঝলমলে রাত্রির অপেক্ষায় আমি।
রাত্রির সেই ঝলমলে ভ্রমণপথে,
নিকোষ কালো এক দেয়াল তৈরি হলো,
কোলাহলে সূরের সে মূর্ছণা আমার বাঁধা পেল।
আমি তবু হাওয়ায় কান পেতে রইলাম,
তোমার বুকের ঢেউ খেলানো ছন্দময়তার তরে।
ভাসিয়ে নাও এ সুরের স্রোতে আমায়,
ঘুমহীনতা এ দু’চোখ আমার, স্বপ্নীল আবেশে নিমীলিত করো।
রাত্রির দরজা খুলে দাও,
হেঁটে চলো কল্পনায় আঁকানো মেসেডোনিয়ার ঘন অরণ্যে ঘেরা সেই ঝিলের পাড়ে।
আমার এক টুকরো গোধূলী বেলা ও সাথে কিছু ছাইপাশ লীপির মালা মেলে ধরো।
ধুলো জমেছিল সেই কতোদিনে,
মরিচিকাও পড়েছিল তাতে,
তোমার হাতে সেজে উঠুক
পার্থিব রাতের এ অন্ধকার
তারা থেকে খসে পড়া শিশির বিন্দুতে সজীব হই,
ঝিলের জলে না হয় জলকেলী হোক।
,,,,,,,,,,,,,মৌনতা রিতু,,,,,,,,,,,,,২৯/৩/১৭.
২৪টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
মরিচিকা দূর হয়ে যাক,
ইচ্ছেরা গন্তব্যে খঁজে পাক।
ভাল হয়েছে লেখা।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আজকাল তোমার কবিতা অসাধারণ হচ্ছে। তুমি তোমার নিজেকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছো। জানো কি সেটা?
মেসেডোনিয়ার ঘন অরণ্য তো এখানে, তোমার খোলা চুলের অন্ধকারে
কান পেতে শোনো ঝিঁ ঝিঁ পোকার গান। আরেকটু দূরে ঝর্ণার জল পতনের শব্দ। শুনতে পাচ্ছো?
তুমি রাত্রি চাও, এই নাও পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর অন্ধকার তোমাকে দিলাম
কতো তারা-নক্ষত্র চাই তোমার বলো! ওই যে দেখো অজস্র জোনাক জ্বলজ্বল করছে
অরণ্যের দিন-রাত্রি তোমাকেই দিলাম।
গান চাও? আস্ত বসন্ত শুধুই তোমার
পার্থিব অন্ধকারের কথা বলেছো, এই যে আমি নিয়ে বসে আছি।
তুমি চাইলে অনায়াসে দিয়ে দিতে পারি যা কোনো কিছু, শুধু চেয়েই দেখো;
এখানে যে একটি হৃদয় আছে তার মালিকানা তোমার হাতে। —————
আপু গো লিখিয়ে নিলে তো! -{@
মৌনতা রিতু
তুমি তো লিখবেই। লেখার এক শব্দের কারিগর তুমি। তোমার কাছ থেকে শিখেছি অনেক কিছু। সাহস দিয়েই যাচ্ছ এই আমাকে। ভাল থেকো সব সময় আপু। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মৌনতা আপু তুমি অনেক বেশি প্রশংসা করতে পারো। খুব কম মানুষ এমনটি পারে। সবাইকে দিয়ে হয়না।
তুমি সত্যিই ভালো লেখো। কেন জানো? তোমাকে ভুল ধরিয়ে দিলে খুব সহজে মেনে নাও। যা আমার মধ্যেও নেই।
অনেক ভালো থেকো শান্তসুন্দরী আপু। -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সুস্বপ্নে বরাবর কালো থাবা আসবে তা ডিঙ্গাতে পারলেই আলোর দেখা।সব মরিচিকা দূর হয়ে ইচ্ছেগুলো পূরণ হউক এটাই কামনা। -{@
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ ভাই, শুভকামনা রাশি রাশি।
মিষ্টি জিন
কি সুন্দর শব্দমালা কি তার ব্যাপ্তি ,,
কবিতার মাঝে হারিয়ে গেলাম রে
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ আপু, ভালবাসা নিও। (3 -{@
ইঞ্জা
মুগ্ধতায় ভরে উঠা মন আমার, কাব্য যে আমায় ছুঁয়েছে আপু, অসাধারণ লিখেন আপনি। -{@
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ, ভাইজু। আপনারা পাশে আছেন এই সাহসে এগিয়ে আসার চেষ্টা।
ইঞ্জা
আলহামদুলিল্লাহ্
আবু খায়ের আনিছ
একদিন সাঁজের আলোয় মনটা ভিষণ খারাপ, বাড়ি ঘর সব কিছু ছেড়ে গিয়ে বসলাম মাঠের ঠিক মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া গ্রাম্য রাস্তায়। সাঁঝের বেলা গেলো, সন্ধ্যে এলো, জোনাকী আলো জ্বালতে শুরু করলে সামান্য দূরেই, মাঝে মাঝে হাতের কাছে ছুটে এসে পালিয়েও যাচ্ছিল। সন্ধ্যা ফুরিয়ে রাত গভীর হলো, শেয়ালের ডাক শোনা গেলো, ভৌতিক কুয়াশা আমাকে ঘীরে ধরা শুরু করল। রাতে শেষ প্রহরে আকাশে এক ফালি চাঁদ হেসে উঠল। আকাশের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিয়েছি আরো কিছু সময়, অনুস্বরে প্রকৃতি আমায় বলে গেলো, স্বাভাবিকতায় ফিরে যাও আনিছ।
এটা আমার জীবনের গল্প। কবিতা পড়ে সেই দৃশ্যপটে ফিরে গেলাম যেন। অসাধারণ হয়েছে আপু।
মৌনতা রিতু
ভাইটু, তোমার এই মন্তব্যতে আমার মনে কিছু শব্দ উঁকি দিল। অনেক কিছু বলে গেলো তোমার শব্দ গুলো ভাই।
ভাল থেকো সব সময়। অনেক স্নেহ রইলো।
আবু খায়ের আনিছ
আমার বড় বোন থাকলে হয়ত এমন করেই বলত। শুভ কামনা আপু।
মেহেরী তাজ
ভাবীজান চালাকি হচ্ছে আজ কাল! কবিতাকে একান্ত অনুভূতি বলে চালিয়ে দিচ্ছো!!
এবং আমি কবিতা বুঝি না। 😀
মৌনতা রিতু
হা হা হা। ভাল থাকিস সোনা। -{@ (3
মেহেরী তাজ
আমি এখন আর সোনা নাই। চান্দি হইয়া গেছি। এখন থেইকা চান্দি কইয়া ডাকবা। উক্কে???
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
ভাল লেগেছে 🙂
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ। শুভকামনা রইলো।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সুন্দর হয়েছে লিখা।
মৌনতা রিতু
ধন্যবাদ, শুভকামনা রইলো।
নীহারিকা
দারুন কবিতা। এ যেন জেগে ওঠার গান।
খুব ভালো লেগেছে আপা।
নীরা সাদীয়া
bah বেশ লাগল। খুব সুন্দর।