
জাতির জনকের দৌহিত্র , মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র পুত্র, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেস্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে কাগজে কলমে হত্যা করলো তেল মর্দনকারী আমলারা।
এই উপমহাদেশে প্রতিটি শাসক গনের চারপাশে সব সময়ই কিছু তেলবাজ, চামচা প্রকৃতির মানুষের অস্তিত্ব থাকে। এরা তেলবাজি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে। এরা ক্ষমতাধরদের জুতো, পায়ের তলা জিহবা দিয়ে চেটে পরিস্কার করতেও দ্বিধা করে না। যে কোনো বিষয়ে ইয়েস স্যার/ ম্যাডাম এ প্রস্তুত এরা।
বর্তমান সরকারের তেলবাজদের মান সর্বনিন্ম পর্যায়ে। এদের সামান্যতম মেধা নেই। গোপাল ভাড়ও একজন তেলবাজ ছিলেন, তার মেধা, বুদ্ধির ধারে কাছেও এরা নেই। কিছু কিছু তেলবাজ মন্ত্রী/ আমলাদের কর্মকান্ড হাসির খোরাক জোগায় আমাদের।
সজীব ওয়াজেদ জয় এর যোগ্যতা সম্পর্কে আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে তাঁর অবদান প্রস্নাতীত। দেশের মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেস্টাদের মধ্যে তিনিই একমাত্র সফল বলে আমার ধারনা।
কিন্তু তাঁর জন্মবার্ষিকীতে রাস্ট্রিয় অংশগ্রহণ খুবই দৃস্টিকটু। তিনি আমাদের গর্ব, আমরা তার সুস্বাস্থ, দীর্ঘ জীবন আন্তরিক ভাবে কামনা করি। তবে তাঁর জন্মদিনে রাস্ট্রের অংশগ্রহণ সমর্থন করিনা। একজন উপদেস্টা হিসেবে যদি রাস্ট্রের অংশগ্রহন থাকে, তাহলে সমস্ত মন্ত্রী এবং উপদেস্টার জন্মবার্ষিকীতে তা থাকা উচিত।
গত ২৭ জুলাই সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সজীব ওয়াজেদ জয় এর ৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকেট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিল মোহর অবমুক্ত মুক্ত করা হয়। এটি যে সম্পুর্নই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য করা হয়েছে তা সমস্ত জাতিই বুঝতে পেরেছে। ডাক বিভাগ অন্য কোনো মন্ত্রী বা উপদেস্টাদের বিশেষ দিনে এমন প্রগ্রাম নিয়েছে বলে আমার জানা নেই। এই মেধাহীন, অকর্মন্য তেলবাজরা উদ্বোধনী খামে চরম একটি আহাম্মকি কাজ করেছেন। খামের উপরে সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরে ব্রাকেটে প্রিন্ট করা হয়েছে ( ১৯৭১- ২০২১ )
এই গর্ধব, আহাম্মক, মেধাহীন চাটুকর, তেকবাজরা কি জানে না এভাবে ব্রাকেটে সন লিখলে বুঝা যায়, তিনি ১৯৭১ এ জন্মগ্রহণ করেছেন, ২০২১ এ মৃত্যু বরন করেছেন। সজীব ওয়াজেদ জয় কি ২০২১ এ মৃত্যু বরন করেছেন? আহাম্মকেরা কি ডকুমেন্টারি জয়কে মৃত ঘোষনা করলো?
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই খামে স্বাক্ষর করেছেন। এসব বিষয় দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনো যোগ্য আমলা নেই? ডাক বিভাগের কাছে সজীব ওয়াজেদ জয় মনে হয় মৃত।
এইসব মেধাহীন, অকর্মন্য, অযোগ্য, তেলবাজদের কি অপসারণ করা হবে?
কিছু উদাহরণ:
বংগবন্ধু সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় লেখা:
ইন্দিরা গান্ধী সম্পর্কে উইকিপিডিয়া লেখা:
তাজউদ্দীন আহমদ সম্পর্কেভ উইকিপিডিয়ায় লেখা:
শেখ ফজিলাতুন্নেছা সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় লেখা:
শেখ কামাল সম্পর্কে উইকিপিডিয়ায় লেখা:
২১টি মন্তব্য
নাজমুল আহসান
আওয়ামীলীগ সরকারের কৃতিত্বের আটআনা খেয়েছে ছাত্রলীগ (এবং অন্যান্য খুচরা-লীগ) আর আটআনা খেয়েছে আমলারা। আর এই ষোলআনা খাওয়া রাক্ষসবাহিনী তৈরি এবং লালনপালন করছে স্বয়ং আওয়ামীলীগের তথাকথিত সৎ লোকজন।
সবাইকেই একদিন পস্তাতে হয়, এই “সৎ” লোকেরাও একদিন পস্তাবে।
জিসান শা ইকরাম
সব স্থানে অযোগ্য লোক বসিয়ে হাস্যস্পদ, অজনপ্রিয় হচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
কিছুদিন আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বললেন ” করোনা মোকাবেলা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের কাজ নয়। ”
এই সরকারের সব কৃতিত্ব শেষ করে দিচ্ছে এরা।
মোঃ মজিবর রহমান
এই মন্ত্রীয় তো তেল মেরে হয়েছে তাঁর কাছে কি আশা করবেন ভাইজান। তাঁর মন্ত্রী কোন যোগ্যতাবলে হয়েছে বলেন। দলের দুর্দিনে যারা শ্রম, রক্ত ঝরিয়েছে, অর্থ কষ্ট দিয়ে দলের কাজ করেছে তাঁদের মাঝে তাঁর থেকে অনেক যোগ্যতাবান ব্যাক্তি আছে কিন্তু আমার মনে হই প্রধামন্ত্রীই চাই যোগ্যতাবান মন্ত্রো হোক।
সে কতটুকু হীন মনের মানুষ বিজয় ছাড়া বাংলায় সরকারি কাজে লিখা যাবে না রুল করেছে, অথচ লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন বিজয় ছেড়ে অভ্র, প্রভাত সহ অন্য সফটওয়ারে লিখে দ্রত কাজ করছে।
শুভেচ্ছা ভাইজান আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
এসব দেখে কিছু বলার ভাষা হাড়িয়ে ফেলেছি।
দেশ মূলত আমলারা চালাচ্ছে, শক্তিশালী এবং সিনিয়র নেতাদের মন্ত্রী করা হলে আমলাদের আধিপত্য বিস্তারে সমস্যা হবে, তাই এসব অচেনা মন্ত্রী।
আর কাগুর কথা আর না বলাই ভালো। আমরা অভ্র দিয়ে লিখি।
শুভ কামনা।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আমাদেরও একই প্রশ্ন — এইসব মেধাহীন, অকর্মন্য, অযোগ্য, তেলবাজদের কি অপসারণ করা হবে?
জিসান শা ইকরাম
অপসারণ করা হবে না নিশ্চিত। তেলবাজদের জয়জয়কার চতুর্দিকে।
শুভ কামনা।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
ওরা সর্বকালে ছিল আছে এবং থাকবে। ধন্যবাদ।
তৌহিদুল ইসলাম
তেলবাজী কি পরিমান হলে এবং নিজেদের জ্ঞানগরিমা কতটুকু থাকলে এরকমটা হতে পারে তাই ভাবছি। তবে খবরটি প্রথম দেখেই আমার হাসি পেয়েছিলো খুব। এ হাসি আক্ষেপের, এ হাসি কষ্টের। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে মুখে বলছি আর কাজে প্রকাশ পাচ্ছে অথর্বতা।
ভালো লিখেছেন ভাই।
জিসান শা ইকরাম
তেলের জাহাজ নিয়ে এসেছে অনেকেই।
এদের মেধা দেখে খুবই অবাক হয়ে যাই। সার্কাস চলছে দেশে।
শুভ কামনা।
হালিমা আক্তার
এই তেলবাজরা দেশের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে।সব জায়গায় এদের জয় জয়কার। শুভ কামনা অবিরাম।
জিসান শা ইকরাম
আপনার মন্তব্যের সাথে একমত আপু। তেলবাজরা তেলের জাহাজ নিয়ে চলে এখন।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
হুজুর বলেন চমৎকার। মোসাহেব বলেন, চমৎকার তো হতেই হবে, হুজুরের মতো অমতকার।
জিসান শা ইকরাম
ঠিক ঠিক, তবে হুজুরদের এমন ভাবে তেল দেয় এরা যে হুজুরের সাধারণ বুদ্ধিও লোপ পায়।
রোকসানা খন্দকার রুকু
হাস্যকর ব্যাপার তো প্রতিনিয়তই হচ্ছে, ঘটছে। আরো অনেক দেখতে হবে।
জিসান শা ইকরাম
আরো অনেক কিছু দেখার জন্য তৈরী থাকতে হবে আমাদের।
ছাইরাছ হেলাল
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্প নিয়ে কী হচ্ছে তা আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি।
যাদের দায়িত্ব ছিল দেখভালের তারা কী জবাব দেবেন!!
তারা তো এবার দায় মুক্তির আইন পেশ করেছিলেন মন্ত্রীপরিষদের বৈঠকে, ভাগ্যিস পানি পায় নি।
জিসান শা ইকরাম
এদের কিছুই হবে না,
তদন্ত কমিটি হয়েছে। কমিটি এমন রিপোর্ট দেবে যে সব কিছুর জন্য ভূতেরা দায়ী।
এদের দায়মুক্তি লাগে না, এমনিই দায়মুক্ত এরা।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
এভাবেই সবক্ষেত্রে তৈলমর্দন করে চলছে রাষ্ট্রীয় কার্যকলাপ। যারা আওয়ামী লীগ কে মনেপ্রাণে লালন করে তারা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে এসব অনুপ্রবেশ কারীদের জন্য। এখন হচ্ছে যে যত তেল দিতে পারবে সেই উচ্চ পর্যায়ে চলে যায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনীত নিবেদন এখনো সময় আছে এদের লাগাম টেনে ধরুন তানা হলে যোগ্যহীন লোকদের জন্য সরকারের সুনাম নষ্ট তো হবেই জনগণের ভালোবাসা থেকে ও বঞ্চিত হবেন।
জিসান শা ইকরাম
আসল আওয়ামী লীগার বর্তমানে দলের মাঝে খুঁজে পাওয়া কঠিন।
দেশ আসলে অন্ধকারের দিকেই যাচ্ছে।
উন্নয়ণে এসব অন্ধকার দূর হবে না।
উর্বশী
কুইনাইন রোগ সারাবে বটে, কিন্তু কুইনাইন কে সারাবে কে ভাইয়া?
দেশ ডিজিটাল হলো,হচ্ছে,কিন্তু ডিজিটাল যুগের হাওয়ায় যোগ্যরা বঞ্চিত হয়ে অযোগ্যদের আসন পাকাপোক্ত হলো।মোল্লাদের দৌড় মসজিদ পর্যন্ত, আর এখানেই মাননীয় রা ধরা খেয়ে যান।এখন তো সব অযোগ্য দের ফ্যাশন ও প্যাশন চলছে।চলিতেছে সার্কাস, জনগন দেখতেও অভ্যাস।
আন্তরিক ধন্যবাদ সহ সালাম।
মোহাম্মদ দিদার
কিছু বলছিনা ভাই
তার মানে এই না
কিছুই বলার নাই
আমারও অনেক বলার আছে
কিন্তু বলবো ভাই কার কাছে?
চোখ ঘোরালেই আতেল দেখি
ভালো মানুস সেজেছে মেকি
জুরি নেই তাদের তেল বাজিতে
মানুষ হয়ে পশু সাজিতে
হরেক সত্য স্টেজে উঠে
নামতেই মিথ্যা ঘুরে পেটে।
ওদের হবেনারে ভাই জুরি
ওদের কাজই ছলচাতুরি
ওরা মিথ্যা কথার তেলবাজি করে
মারে পেছেন থেকে ছুরি!