জীবনে প্রথমবার সমুদ্র দেখে আমি কেমন ভাবলেশহীন ছিলাম, মনে মনে শুধু বলেছিলাম, এই তাহলে সমুদ্র!! এতো আমাদের পদ্মা নদীর মতই, অদৃশ্য ওপাড়ের কূল। ধীরে ধীরে সম্মোহন। মাত্র কএক ঘণ্টায় কুয়াকাটায় এক গভীর কুয়া খনন করে এলাম। আসবার সময় বারবার তাকিয়েছি, আবার কবে দেখবো!! ————-১৮ বছরেও আর আবার ফিরে আসেনি।
জীবনে প্রথমবার, হ্যাঁ প্রথমবার, ঝর্নার সামনে আমি। কেমন অনুভূতি হচ্ছে ঠিক বুঝতে পারছিনা। ভাঙ্গা ভাঙ্গা উঁচু পাথর, হাতের মুঠিতে ছেলের একটি হাত ধরে আছি, আমার চঞ্চলতা বারবার আঁটকে যাচ্ছে, সিডি হ্যাং হবার মতো। এব্রো থেব্রো পাথর ধরে ধরে এক জায়গায় বসালাম ওকে। একদম নড়া চলবেনা। এরপর কেডস মোজা খুলে আমি আমাতে। এক পা পানিতে একটু ভেজানোর সাথে সাথেই, “শুন্যাপু…”, চমকে এদিক ওদিক তাকালাম, কোথাও কেউ নেই। বোধ হয় ভুল শুনেছি। আবার পানিতে পা ছোঁয়াতেই, “ও শুন্যাপু…”। এখানে কেউ আমায় শূন্য বলে ডাকবে কি করে? আর এই কন্ঠ যে আমি খুব চিনি। মাঝে মাঝে ভ্রমগুলোও সুন্দর হয়। জলের ভেতর থেকে কন্ঠ ভেসে এলো।
দাদাভাই, এ আমার প্রথম ঝর্না ছোঁওয়া। বলো কি!! বিষ্ময়ে বিষ্ময় নিয়ে কথা বলছি গাব্দুগুব্দু দাদাভাই এর সাথে————-
– ভীষন পিচ্ছিল বুঝলি? পানিতে পা ভেজানো চলবেনা।
* ইশ!! এত ভয়? কি আছে জীবনে। যাও যাও ভেজো।
– জীবনে প্রথমবারই যদি শেষ বার হয়!!
* সেই-ই তো। ধরে নাও, এই-ই তোমার শেষবার। কোন আক্ষেপ রেখে যেওনা।
– আক্ষেপ ছাড়া যাওয়া কি হয়! চলেই যাব, তাই প্রাপ্তি দিয়ে কিছুই হয়না, কিছুই না।
* ধুর ধুর, দেখছো ঝর্না, কথা বলছো আঁটকে থাকা ডোবার মতো
– হুম, অই দেখ দূর থেকে কেমন এক শান্ত ডোবা হয়ে গেছে, ঝর ঝর ঝর্না
* যা কাছ থেকে দেখা যায়, তাকে দুর থেকে দেখোনা, অপরিচিত ঠেকবে
– আমরা সবাই সবার কাছে অপরিচিত, যত কাছ থেকেই দেখি, যতদিন ধরেই দেখি।।
* কাঁচের মত রেশমি পানি। শুন্যাপু দেখেছো? আয়নার জন্য সিলভার লাগেনা। নিজেকে কি সুন্দর দেখা যায়।
– জলে নিজেকে দেখা যায়, তবে জল স্থির হতে হয়।
* জল অস্থির হলেও তাতে ডোবা যায়
– তুই ডোব, সাঁতার দে, খাঁদে পড়ে যা, যা ভাগ। ঝর্না দেখতে এসেছি, এসে পটর পটর করছে।
—————————দাদাভাইইইইইই?
চলে গেলি? ইশ বকর বকর করতে ইচ্ছে হলে তোকে ছাড়া আর কাকে খুঁজবো?
# কি বললেন? আপনি আর কাউকে চোখেই দেখেন না বুঝি? যান, আর কোনদিন আপনার সাথে কথা নাই।
– ওরে, এতো আমার পিচ্চি ভুতের কন্ঠ। ও তাজাপু, পিচ্চি আপু, কেমন কাঁপছিস জলের ভেতর। আজ আমার মন খুব ভালো। তবে একটু আগে মেজাজ খারাপ হয়েছিল।
# কেন?
– অনেক কষ্টে লাফিয়ে লাফিয়ে একটা ধারা টপকে ওপাড়ে গিয়ে পানিতে পা দিয়ে পোজ মেরে ছবি তুললাম। এরপর ফিরে এসে দেখি সব ছবি ব্লাক, ভুল করে তার হাতে ক্যামেরা দেবার সময় অটো’র জায়গায় বাল্ব মোড দিয়েছি 🙁
# খুব ভালো হয়েছে একা একা আমায় ছেড়ে ঝর্না দেখছেন আবার ছবি তুলছেন।
– 🙁
– পিচ্চি এ স্বচ্ছ জল একটা বোতলে ভরে তোর জন্য নিয়ে যাবো, তুই এমন চেয়েছিলি না?
# হ্যাঁ আপু। আমি আপনাকে যখনই মিস করবো তখন এই বোতলটা আমার গালে চেপে ধরবো।
– তুই তো আমাকে সারাক্ষনই মিস করিস, তাহলে বোতল ছাড়া তো থাকতেই পারবিনা
# কে বলেছে আমি আপনাকে সারাক্ষন মিস করি, মোটেও না।
………………… জলের উপর ভেসে যাওয়া একটা গাছের পাতা দেখে মনে মনে বলি, মিথ্যের রূপ ও অনিন্দ্য হতে পারে।
* ফিরে যাচ্ছি ভূত
# আমি আপনাকে কত ডাকি আপু, আমার ডাক বুঝি আপনার কাছ পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই হারিয়ে যায়।
* দুরত্বের সাধ্য নেই শব্দ কে হারিয়ে ফেলবার। তবে দূরত্বের কিছু সীমা আছে, সময়েরও সীমা আছে। ঝর্না ভালোবাসি, কারন জলের প্রবাহের মত আমরা আমাদের সীমাগুলো অতিক্রমের স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন ছুঁতে পারবো কি পারবোনা, ভাবিও না।
………………… সামনের অনাকাঙ্ক্ষিত আবেগ জমিয়ে জমিয়ে ভরে ফেলছি কোঁচর, পেছন থেকে কিছু খসে পড়ছে পথে। হে ঝর্না, বয়ে চলো, থেমো না।
ছবিঃ উলশেড জলপ্রপাত / ১৪.১১.২০১৫
৯৩টি মন্তব্য
ভোরের শিশির
………………ঝর্না ভালোবাসি, কারন জলের প্রবাহের মত আমরা আমাদের সীমাগুলো অতিক্রমের স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন ছুঁতে পারবো কি পারবোনা, ভাবিও না।………………
(প্রিয়তে নিলাম)
(পড়তে গিয়ে বারেবারে খেই হারাচ্ছিলাম আমার সেই খাগড়াছড়ির আলুটিলার ঝর্ণার সময়গুলোতে ফিরে গিয়ে। বেশ অনেক কিছুই মিলেছে তোমার লেখা কথাগুলোর সাথে)
শুন্য শুন্যালয়
আলুটিলা ঝর্না নিয়ে লিখেছিলে কি দাদাভাই? পড়তে চাই। আর না লিখে থাকলে স্মৃতি খুঁজে লিখে ফেল।
অপেক্ষায় থাকলাম।
ভোরের শিশির
আমার স্মৃতিচারণ করে লেখা হয় না কিছুই। ভ্রমণ নিয়ে তো নয়ই… ছবি আছে বেশ কিছু কিন্তু আমি তোমাদের মতো করে লিখতে পারি না ভ্রমণ বা কিছু দেখা/জানা নিয়ে :p
হয়তো কোন একদিন লিখবো এই আলুটিলা ঝর্ণা নিয়ে।
ভোরের শিশির
ছবি যা তুলেছিলাম সব ফেবুতে, ল্যাপট্যাপ ছিনতাই হওয়াতে হারিয়ে গিয়েছে। ফেবুতে ফিরলে লিখবো কিছু ছবি নিয়ে কথা দিলাম। তবে কথোপকথনে যা বলেছে তার অনেকটাই ঘটেছে, যেমন পিছলে যাওয়া, ঝর্ণার জলতরঙ্গে হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি… :p
শুন্য শুন্যালয়
লিখতে কেউ পারেনা, লেখা হয়ে যায় আপনাআপনি। তোর ধুন্ধুমার বিদ্রোহী লেখা পড়েছি। আবার ছিপ দিয়ে তারা শিকারও, ঝর্নাও হয়ে যাবে। Ready, steady, go…….. ছবিগুলো দে, ওগুলোই কথা বলবে।
ভোরের শিশির
খেক্সসসসসসসসসস…
সব Steady হয়ে গিয়েছে :D)
ফেবু ডিক্টিপ কইরালছি জুলাইতে। সরকারীভাবে ফেবু এলাও করলে আবার এক্টিপ কইরা চিন্তাইমুনে ছুন্যিয়ালয় ছুন্নাপু :p
শুন্য শুন্যালয়
জুলাই তে আমি জন্মাইলাম, আর তুই ফেবু মাইরাইলি? :p
তোর ম্যাডাম কেমন আছে? 😀 আহারে কবে যে তার সাক্ষাতকার নিমু?
ভোরের শিশির
আমিও জুলাইতে জন্মাইছি 😀 \|/
আমার কুনো ম্যাঠাম নাইক্কা, আমাদের ম্যাঠাম থাকেতে নেই-বলে গেছে কোন এক ঝর্ণা :D)
শুন্য শুন্যালয়
তাই? এই জন্যেই তো কই, তুই মনে লয় আমার হসপিটালতত ভাই। 😀
তাজের ম্যাডাম নাকি তোর সেই ঝর্না বেগম? :p
ভোরের শিশির
অয় অয়… আমরা-আমরি হসপিটালতত ভাই-বুইন \|/
হইলেও হইতারে… য্যাম্নে তুমার নাম লইছে :D)
শুন্য শুন্যালয়
এইবার তোরে ডাকবে ছিছির 😀
ভোরের শিশির
ছিছিরের বুইন ছুন্যিয়া ছুইন্য :D)
শুন্য শুন্যালয়
হেয় কি জানে হ্যায় সোনেলায় সুপার হিট? 😀
ভোরের শিশির
ক্যাম্নে জানপে? ভূতের তাজ তাজাপু জানালেই তো! কথায় আছে ভূত আপন ইজ্জত বাঁচা :p
মেহেরী তাজ
নাইটেছ দা সেই ম্যাডাম জানিত পারলে আমারা পান মসলার মত চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে!
আমারে বলে ” এই মেয়ে তোমার কাছে দুইটা ফোন কেনো”? দুটা ফোন দিয়ে তুমি কি কর হ্যা?” দুটা ফোন ব্যবহার করবা না এটা খুব খারাপ জিনিস”!
ভোরের শিশির
তাছাপু, আপনি ম্যাডামকে বল্পেনঃ ম্যাঠাম দইটা ফন দিয়ে দই ফনের খবর রাখাই কনটা কতায় আচা :p
ভোরের শিশির
(ভাবালুতায় পেয়ে বসেছে তাই কি মন্তব্য বা কি বলবো বুঝতে পারছি না)
শুন্য শুন্যালয়
বকবকানি রা কথা হারিয়ে ফেললে বুঝতে হবে, something is wrong or something is very right. 🙂
ভোরের শিশির
এই লেখার ছবি আর ভাব Almost near to the perfect… এই জন্যেই একেবারে ভাবের ধাক্কায় বেহাল হয়ে গেলাম…
শুন্য শুন্যালয়
হাল ছেড়োনা বন্ধু বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে। 😀
ভোরের শিশির
তুমি কি সাড়া দিবে…আবারো কি সাড়া দিবে………। :D)
শুন্য শুন্যালয়
আবার ঝর্না দেখায় দিস্টাব দিলে তোর খবরই আছে :@
ভোরের শিশির
ডিস্টাপ?? এক্কেরে পানিত ফালায়া দিমু, আবার কয় ডিস্টাপ! :D)
শুন্য শুন্যালয়
গায়ে জোর বাড়া তাইলে, আমি কিন্তু ৭০ আপ। 😀
ভোরের শিশির
আমি তাইলে ৬০ আপ, 7up 😀
জিসান শা ইকরাম
ঝর্নার জলের মত কুলকুল বয়ে গেলো যেন আপনার লেখা। লেখা এবং ছবির ভিন্ন ধরনের উপস্থাপনায় শুধুই মুগ্ধতা 🙂
শুন্য শুন্যালয়
হায়রে, হেয়তে খালি মুগ্ধতা দেখে আজকাল ^:^
ধন্যবাদ ভাইয়া। কুলকুল করেই বয়ে গেলো মন্তব্য। 🙂
জিসান শা ইকরাম
মুগ্ধ হলে মুগ্ধতার বিকল্প তো কোন শব্দ খুঁজে পাইনা। কি করা যায় বলুনতো?
শুন্য শুন্যালয়
আমিও ভাবতেছি, দিনে দিনে নানা শব্দে আপনার বেড়ি পড়ছে।
নু প্রব, মুগ্ধতার বিকল্প পাবেন না। 🙂
জিসান শা ইকরাম
আসলে মুগ্ধতার বিকল্প হচ্ছে বেশী বেশী মুগ্ধতা -{@
শুন্য শুন্যালয়
মিথ্যেগুলো ভেবেই আমরা আনন্দ নিতে ভালোবাসি। সবকিছুরই বিকল্প আছে, মুগ্ধতারও।
অরুনি মায়া
এই ভোরের শিশির কোথা হতে এল ভর দুপুর বেলা, কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে ;?
তোমার তোলা ছবি তাইনা শুন্যাপু? আমি কোনদিন ঝর্ণা দেখিনি 🙁 । আজ তোমার চোখে দেখলাম 🙂 । সুন্দর উপস্থাপন আপু।
ঝর্ণাকে আমি সব সময় পাহাড়ের কান্না বলেইই ধরে নেই।
ভোরের শিশির
ইদানীং দুপুরেও কুয়াশা থাকে তাই ভোরের শিশির দুপুরেও ঝরে… -:-
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো এখনও চিনতে পারতেছিনা, এইটা কেডা?
উম, ছবিগুলো আমারই। ঝর্নাকে পাহাড়ের কান্না ভেবোনা, পাহাড়ের জলকেলি ভাবতে পারো। always this one 🙂 not this one 🙁
ভোরের শিশির
এইডা ন্যুবডিজ ন্যুওয়ান-always this one 🙂 not this one টাইপের :D)
অরুনি মায়া
তাইলে এই রকম আরো ভাল 😀
অরুনি মায়া
নীতেশ দা দুইটা নাম ই দেখা যাচ্ছে
ভোরের শিশির
সাপ খোলস পাল্টালে মড়া চামড়া রেখে যায়, মানুষ বদলালে তার চিহ্ন রেখে যায়। এইজন্যেই।
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা, দাদাভাই 😀
ভোরের শিশির
😀
শুন্য শুন্যালয়
হ তাও ভালো, :D) এইটাতে সমস্যা, মাটি থেকে ওঠাই যাবেনা @মায়াপু 😀
অরুনি মায়া
নীতেশ দার ভাব দেখে আর বাঁচিনে ^:^
ভোরের শিশির
;? হুম।
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা দুইজনে এবার কাইজ্জা করো, আমি গেলাম। শুভরাত্রি আজকের মতো। টাটা। @মায়াপু, গাব্দু।
ভোরের শিশির
:D)
মোঃ মজিবর রহমান
দারুন!
কই! পাব ঝর্না! মনেই উঠে না আবেগ।
কেম নে লেখ গো দিদি।
চমৎকার লাগ্ল।
শুন্য শুন্যালয়
ভাইয়া আমাদের ভুলে যান নি দেখে খুশি লাগলো।
আবেগ কোথা থেকে এসে যে জমা হয় কে জানে। আমাদের দেশেও অনেক সুন্দর সুন্দর ঝর্না আছে, বেড়িয়ে পরুন ভাইয়া। ভালো থাকবেন সবসময়।
মোঃ মজিবর রহমান
দিদি আমি এক অধম কয়েকদিন আমি অভ্র ফ্রন্ট চেঞ্জ হয়াতে বিপদে ছিলাম।
একজনকে ডাক্লে দিতে হবে ১২০০/=
মুই ত টাকাহীন তাই ফ্রী করতে লেইট হল।
ভুলি নাই ভুল্ব কেমনে?
শুভেচ্ছা অবিরত দিদি।
শুন্য শুন্যালয়
এই যে মনে করা চলে আসা, এজন্য সহস্র কৃতজ্ঞতা ভাইয়া। ভালো থাকবেন আপনি সবসময়। -{@
লীলাবতী
নিজের দেখা ঝর্নার ছবি দিয়ে ছবি ব্লগ আর প্রিয় দুজন মানুষের সাথে বকর বকর,খুবই সুন্দর এক পোষ্ট।ছবি ব্লগের মাঝে কথোপকথন এই প্রথম দেখলাম 🙂 মনে ধরেছে আপু।দেখি আমিও চেষ্টা করে পচা একটি পোষ্ট দিতেও পারি :p
এত আনন্দের মাঝেও চোখ আঁটকে গেলো এই চার লাইনে…………
‘ আক্ষেপ ছাড়া যাওয়া কি হয়! চলেই যাব, তাই প্রাপ্তি দিয়ে কিছুই হয়না, কিছুই না।
আমরা সবাই সবার কাছে অপরিচিত, যত কাছ থেকেই দেখি, যতদিন ধরেই দেখি।।
…… জলের উপর ভেসে যাওয়া একটা গাছের পাতা দেখে মনে মনে বলি, মিথ্যের রূপ ও অনিন্দ্য হতে পারে।
ঝর্না ভালোবাসি, কারন জলের প্রবাহের মত আমরা আমাদের সীমাগুলো অতিক্রমের স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন ছুঁতে পারবো কি পারবোনা, ভাবিও না।’
শুন্য শুন্যালয়
তুমি পঁচা পোস্ট দিলেও তাতে মৌ ছড়াবে। লিখেই ফেলো ভত্তাবতী।
তোমার নজর, এড়াবেনা কিছুই। এগুলো কষ্টের কথা নয় কিন্তু, এগুলো সত্যি।
ভালো থেকো তুমি।
লীলাবতী
জানি এগুলো কষ্টের কথা নয়,সত্যি কথা 🙂
শুন্য শুন্যালয়
কি লিখি না লিখি জানিনা, তাই সত্যি মিথ্যাও জানিনা। আপনি জানতে পারলে ভালই লীলাবতী। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা। -{@
ছাইরাছ হেলাল
ঝর্ণা বয়ে চলে আপন গতিতে নিজেকে ছুঁয়ে সীমানা পেরিয়ে,
আমারাও বয়ে যাই নিজেদের না ছুঁয়েই।
ভিন্নতার সাধ এনে দিলেন, হঠাৎ করেই, সাথে বোনাস আপনার তোলা ছবি।
আর আমাদের প্রিয় দুজনকেই এমন করে তুলে ধরার জন্য আবার ও ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
গড়গড় করে আপনিও লেখায় মন্তব্য করে গেলেন। 🙂
যে যার মত বয়ে যাক, ছুঁয়ে বা না ছুঁয়ে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাউ।
লীলাবতী
জমজমাট আড্ডা হয়ে গেলো 🙁 আমি থাকতে পারিনা এমন আড্ডায় 🙁
শুন্য শুন্যালয়
আপনি কোথায় কোথায় থাকেন, শুনি একটু।
লীলাবতী
ঘুম আর ব্যস্ততার রাজ্যে ছিলাম :p
শুন্য শুন্যালয়
ঘুম এবং ব্যস্ততা দুটোই ভালো থাকার জন্য ভালো। শুভকামনা ভত্তাবউ। -{@
অপার্থিব
দারুন ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার ছবিব্লগের ফ্যান হয়ে উঠছি। শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ অপার্থিব। পাকাপোক্ত ফ্যান হয়ে গেলে আরো খুশি হবো। 🙂 ভালো থাকবেন।
মেহেরী তাজ
আচ্ছা আড্ডা গুলা আমি এমন মিস করি কেনু!! ;(
লেখা প্রিয় তে নেয় কেমনে? কেউ কি আছেন?
ছাইরাছ হেলাল
লেখার নীচে ‘প্রিয়তে নিন’ ক্লিক করুন।
মেহেরী তাজ
হ্যা এই জন্যই তো এক লেখাই ৪ বার প্রিয়তে নিয়ে নিছি! 🙁
শুন্য শুন্যালয়
হা হা হা, মাত্র? :p
মেহেরী তাজ
😀 😀 😀
শুন্য শুন্যালয়
অপশন গুলো নতুন, ঠিক ঠাক করে নিতে একটু সময় লাগবে। তবে তোর প্রিয় পোস্ট একটাই চারবার, আমার কিন্তু হেভী লাগছে 😀 :p
শুন্য শুন্যালয়
আমিও তো সেটাই বলি, তুই থাকিস কই? ব্যস্ততা কে না সাইড বললি! 🙁
আমার লেখা ছাড়া অন্য লেখা প্রিয়তে নিলে খবরই আছে তোর।
মেহেরী তাজ
আপু বিচ্ছিরি রকম কাজ জমে গেছে! আসতে পারছি না নিয়মিত!
অন্য কারর লেখা প্রিয়তে নেবোই না আপনি কি খবর করবেন??? :p
শুন্য শুন্যালয়
কিছু করবোনা, চকলেট দেব 😀
কাজরে গুল্লি মার। তবে বেশি জমে গেলে আমি কিন্তু কোন হেল্প করতে পারবোনা, আগেই বলে দিলাম।
জিসান শা ইকরাম
@তাজ প্রিয় লেখা সম্পর্কেঃ
যে কোন লেখা প্রিয়তে নেয়ার আগে পোষ্টের নীচে লেখা থাকবে ‘ প্রিয়তে নিন ‘
প্রিয়তে নেয়া হয়ে গেলে ওটা হয়ে যাবে ‘ প্রিয় পোষ্ট”
যে লেখার নীচে ‘ প্রিয় পোষ্ট’ লেখা আসবে – বুঝতে হবে ঐ লেখাটা প্রিয়তে নেয়া হয়ে গিয়েছে।
বুঝতে পেরেছো আশাকরি।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু তোমার লেখা এবং ছবির বড়োই ভক্ত আমি। সেটা তুমি জানো। ছবিগুলো কথা বলে নাকি কথাগুলো কথা বলে, এটাই শুধু ভাবতে থাকি তোমার ছবিব্লগের পোষ্ট দেয়ার পর। -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
আমি সবসময় ছবি দেখেই ক্যাপশান লিখি, শুধু এটা ব্যতিক্রম ছিল। এটা লিখেছি যা খুশি, এরপর ছবি দিয়েছি। আমি জানি তুমি আমাকে পছন্দ করো, তাই আমার সবকিছু তোমার ভালো লাগে। আমিও তোমার ছবি, লেহার ভক্ত। ভালো থেকো।
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস তোমাকে পছন্দ করি আমি, কে বললো! লেখা আর ছবি পছন্দ করি শুধু। :p
আর সত্যিই মনটার ভেতর ছুঁয়ে গেছে। -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা আর কিছুনাতো? দেইক্ষো কিন্তু 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
তোমাকে। কিন্তু তুমি আমায় একটুকুও ভালোবাসো না। ভালোবাসা আর অবহেলা মানুষ বড়ো বোঝে। 🙁
শুন্য শুন্যালয়
অবহেলা কেন করবো আপু? আমিযে কি দৌড়ের উপ্রে আছি তা যদি বুঝতে 🙁
-{@
ব্লগার সজীব
কেউ মনে রাখেনা,চোখের আড়াল হলেই মনের আড়াল হয়ে যায় 🙁 আমাকে সবাই ভুলে গেছে 🙁 এত ভালো একটি পোষ্টে আমার নাম নেই। যাক আমার নাম না হলেও চলবে,ওস্তাদের নাম তো আছেই 🙂 ওস্তাদ থাকলে শিষ্য এমনিতেই এসে যায় 😀
শুন্য শুন্যালয়
ওস্তাদ ছাড়া মুখে কোন কথাই নাই। তা ওস্তাদের কাছ থেকে এতদিন কি শিখলা ভাভু ভাইয়া? গায়েব হয়ে যাওয়া? দুইদিন পর পর গায়েব। ভুলেই গেছি তোমারে হাছা কথা, আর মনে করুম না।
ব্লগার সজীব
একমাত্র ওস্তাদই আমাকে মনে রেখেছেন,এটির প্রমান এই ব্লগেই আছে আপু 🙂 আপুরে কাজ করে খেতে হয়।একটু বিজি।নিয়মিত হবার টাইম পেয়ে যাবো আশাকরি।
শুন্য শুন্যালয়
তা ভালো, আপনাকে মনে রাখবার কেউ একজন আছে। আমাদের ওস্তাদও নেই, কেউ মনে রাখেওনা। 🙁 কদিন না আসলেই বোঝা যাবে। শূন্য জায়গা ফিল আপ।
ছাইরাছ হেলাল
রেশমি পানি সবাই দেখে না, কেউ কেউ অবশ্যই দেখে।
ছোঁয়া হবেনা জেনেও স্বপ্নাতিক্রমের স্বপ্ন দেখার সাধ জেগেই থাকে।
মিথ্যা-মিথ্যির রূপ অনিন্দ্য হলেও মন্দ কী, হোক না ক্ষনিকের!!
পিচ্ছিল পথের স্থির জলে অস্থির হতেই চাই, জীবন তো একটাই।
আপনি কোন ছবি পোস্ট এত কথাযত্নে এই ই প্রথম সাজালেন।
শুন্য শুন্যালয়
বাপরে আপনার চার লাইনের উত্তর দিতে গেলে আরেকটা পোস্ট হয়ে যাবে।
কেউ কেউ অবশ্যই দেখে, শুনেছি কেউ কেউ জ্বিন পরী দেখতে পায়, এমন নাতো আবার? হা হা, দুস্টামি আমাকে ছাড়বেনা বুঝতে পেরেছি। দেখার গুন হতে পারে, আবার হতে পারে দেখিয়েই ছাড়ে, জলের এমন গুন, না দেখার ভান করে যাওয়াই চলেনা।
স্বপ্ন- আচ্ছা স্বপ্নের আগে কেউ অলৌকিক শব্দ কেন বলে? স্বপ্ন শব্দটাই তো অলৌকিক, ছোঁয়া যাবেনা, দেখা যাবেনা। হিসাব কষে, কড়ে গুনে আর যাই হোক স্বপ্ন দেখা যায়না, যারা করবে তারা বরং ঘড়ি দেখুক।
মিথ্যের এ অনিন্দ্য রূপকে সতীনাথের একটা গান দিয়ে বলতে চাই, আমার খুব প্রিয় গান “এমন অনেক কিছুই বলো তুমি, মন থেকে যা বলো না, আবার অনেক তোমার সত্যি কথা, আমি ভাবি ছলনা”। ক্ষনিকের মূল্য আছে বৈকি।
শেষের লাইনটায় মন্তব্য করতে পারছিনা, যা বলার আপনিই বলে দিয়েছেন, এতো সুন্দর করে আপনি উত্তর দেন কি করে। স্থির জলে অস্থির হতে চাই, জীবন একটাই। -{@
একটু যত্ন করেই করেছি, আপনার নজরে পড়েছে বলে এত্তো ধন্যবাদ।
—–এরকম মন্তব্য করে আমাকে বিপদে ফেলে দেয়া ঠিক না, উত্তর দিতেই জীবন কাহিল ।
নাসির সারওয়ার
ভিন্ন ঘ্রাণ, ভিন্ন স্বাদ। ছবিগুলো লেখার সাথে মিশে পাহাড়কে কাঁদাচ্ছে। অনন্ত এই কান্নার শেষ নেই। হয়তো জানাও হবেনা ওর কি কষ্ট।
অনেক না বুঝেও লেখাটা গুছিয়ে রাখলাম।
আর হ্যাঁ। এই লেখাটার সাথে কি যেনো যোগাযোগ আছে এই গানটার। না না, আমি না। মাইলস।
https://www.youtube.com/watch?v=jttipK99MLo
শুন্য শুন্যালয়
ভেজা তার তনু মন ধরা দেয়না, কি স্বপন এঁকে গেলো বলা যায়না। 🙂
কান্নার মধ্যেও প্রশান্তি আছে। বলতে শোনেননি? কাঁদ, কেঁদে বুকটা হালকা কর। পাহাড়ের কোন কান্না নেই, ভালো করে শুনুন, রিপিট করে তার সুর চলছেই চলছে।
লেখাটা রেখে দিয়েছেন, এটা যে যেকোন লেখার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, কৃতজ্ঞতা আর অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
স্বপ্ন নীলা
দুরত্বের সাধ্য নেই শব্দ কে হারিয়ে ফেলবার। তবে দূরত্বের কিছু সীমা আছে, সময়েরও সীমা আছে। ঝর্না ভালোবাসি, কারন জলের প্রবাহের মত আমরা আমাদের সীমাগুলো অতিক্রমের স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন ছুঁতে পারবো কি পারবোনা, ভাবিও না’’————অসাধারণ, ছবি আর বর্ণনায় মুগ্ধ আমি
শুন্য শুন্যালয়
নীলা আপু দুবার মন্তব্য করলে বুঝতেই হবে কিছু একটা হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন।
আবু খায়ের আনিছ
সত্যি বলছি লেখা পড়িনি, তবে শুধু ছবিগুলো দেখলাম আর জাফলং এর কথা মনে করছিলাম। আমাদের দেশের একটা ঝর্না আর পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের ঝর্না পাশাপাশি অবস্থিত অথচ দেখলে একটা বাচ্চা ছেলেও বলে দিতে পারবে আকাশ পাতাল তফাৎ।
শুন্য শুন্যালয়
পরীক্ষা ভালো হোক আনিছ ভাই। ছবি দেখেছ তাতেই চলবে। হুম ছবি দেখে বোঝা যায়ই। তবে আমাদের দেশের কিছু ঝর্না প্রথম প্রথম দেখে আমার বিশ্বাসই হয়নি এইটা আমাদের দেশের। এখন জানি কত সুন্দর ঝর্না আছে আমাদের।
স্বপ্ন
আমাকে সাথে নিলেন না কেনো? 🙁 আমিও যেতাম আপনার সাথে 🙂 দুজনের সাথে কথোপকথনে জীবনের বেশ কিছু সত্যি উপলব্দি পড়লাম আপু।এমন লেখার সাথে ছবিগুলো বেশ মানিয়েছে।
শুন্য শুন্যালয়
পোস্ট তো মন দিয়ে পড়েনই নি, পুরোটাতেই তো আপনি ছিলেন। আপনাকে ছাড়া কি কোথাও যাওয়া হয়? :p
ছবি ব্লগে ছবিটাকেই গুরুত্ব দেই, এইটা একটু আলাদা করার চেষ্টা করেছিলাম। ধন্যবাদ স্বপ্ন। ফাইটিং কেমন চলছে?
স্বপ্ন
যেখানেই যান সাথে যাবো আমিও,যে মায়া আপনার আপু 🙂 মায়ার মায়ায় সাথেই থাকতে চাই 🙂
শুন্য শুন্যালয়
মায়া কমে গেলেও স্বপ্ন হারাবেনা। স্বপ্নটুকুই আছে। ভালো থাকবেন।