দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে গিয়েছে এমন খুব কমই হয়েছে আমার। আজ গেলো। তবে এটাকে দুঃস্বপ্ন নাকি স্বপ্ন বলবো ঠিক বুঝতে পারছিনা। নিশাচরীদের জন্য রাতের শুরু বলা যায়। ১২.১৫। খুব অস্থির লাগছে। হালকা শীত এখনো আছে। এখানে মাস দুএক বাদে সারাবছরই লেপের ভেতর রাত্রিকে পাহারা দিতে হয়। গুমোট গরমে আমার কেমন শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ছুটিপুর ২ এর সেই শুনশান জায়গায় চলে এসেছি কি? কিন্তু আমার তো সেই শেষ চিঠিগুলো এখনো লেখা হয়নি, সেই লাল শাপলাদের দেয়া কথা রাখা হয়নি। কার্জন হলের সামনে বুকড করে রাখা সময়! The Beach মুভির চিকচিক করে ওঠা জলের উপর চাঁদের আলোয় হেঁটে বেড়ানো। আরো, আরো কিছু ছিলো, আরো কিছু আছে, মনে পড়ছে না কেন। দুটো গাঢ় নিঃশ্বাসে ফিরে এলাম আমার চেনা বিছানায়, টেনে আনলো কেউ যেন ধাঁধাঁর ভেতর থেকে। টুপটুপ করে জানালার কাঁচে বৃষ্টি পড়ছে। এ শব্দটা বেশির ভাগ সময়ই শুনি, পার্থক্য শুধু শিশির আর বৃষ্টিকনায়। আচ্ছা শিশির আর বৃষ্টির কম্পোজিশন কি এক? তাদের অর্কেস্ট্রা কেন মাঝে মাঝে এক হয়ে যায়? এক শিশিরের কতো কতো নাম, শিশির, কুয়াশা, শিলা, তুষার। আচ্ছা স্বপ্নের নাম দিইনা কেন তাহলে অনেক করে? মাঝে মাঝে কএক মিনিটের জন্য চোখ বুজলেই স্বপ্ন দেখে জেগে উঠি, তার নাম হবে স্লিপিং স্বপ্ন, উহু স্লিপিং এর চাইতে ঘুম বেশি মিষ্টি, তাহলে ঘুমন্ত কিংবা ঘুমানিয়া স্বপ্ন। হুম ঘুমানিয়া, লকড করে দিলাম। কোন কোন স্বপ্ন থেকে আর জেগে উঠতে ইচ্ছে করেনা, যেন ভেসে ডুবে হারিয়ে যাই। কি দেয়া যায় তার নাম? মেহেদী? যেন যতই গাঢ় হোকনা কেন মুছে সে যাবেই। চাঁদপুকুর দেব কোন এক স্বপ্নের নাম। কোনটার? ঘুম ভাঙলে কেমন এক আচ্ছন্ন হয়ে থাকা এরপর আলোর সাথে মিলিয়ে যাওয়া? আচ্ছা কি নিয়ে লেখা শুরু করেছিলাম যেন? আমার স্বপ্ন। হুম, কারো লেখায় নেই আর আমি। আরেকটু সত্যি করে যদি বলি চলমান কোন সিরিজের চরিত্র বদল, এই আমার স্বপ্ন ছিল। এ স্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙ্গে এতো অস্থিরতার কি কারন থাকতে পারে? আর আমার ঘুমটা ভাঙ্গিয়েই বা কে দিলো! পরের অধ্যায়, ইশ জানা হলোনা, শুন্য কি সত্যিই শেষ পর্যন্ত ভরে গেলো কানায় কানায় ঘোলা জলে?
অবাক ঘরে নিবেদিতা
দুই প্রহরী ঠিকঠিক
চন্দ্র সামাল বুক জোছনায়
ঘন্টা বাজায় টিকটিক।
ব্যস্ত হলে কলের সময়
দুয়ারে দেয় বাঁধ
নিবেদিতাও বড্ড অবাক
মেঝে ডোবে ভুলের জলে
আলোয় তার কাঁধ।
অন্দর কিবা অন্তরে
নিবেদিতা নিশ্চুপ
কান পাতে না কেউ
নির্জনতায় রয় শুধু এক
শব্দ শাপের রূপ।।
৬০টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
তোমার ঘুম ভেঙেছে স্বপ্নদের কোলাহলে!
নয়ত নিরবতার হট্টগোলে!
স্বপ্নে বিভোর ছিলনা ওই দুটি আঁখি
হয়ত অসময়ে গেয়ে উঠেছিল রাত জাগা কোন পাখি !
তুমি কানে দিয়ে তালা আবার ঘুমাও
মনের চোখেতে নতুন করে আবার প্রাণের স্বপ্ন সাজাও,,,
শুন্য শুন্যালয়
বলতেছ? আচ্ছা ঘুমাইলাম। আল্লাই জানে এরপর কি স্বপ্ন দেখুম।
হুট করে ফুট করে এক একটা ছন্দ বের করে ফেলো তুমি, কিন্তু ক্যাম্নে। আমি কিন্তু হিংসিত 🙂
অরুনি মায়া
আমিও তো তাই ভাবছি না জানি কি দেখবা স্বপ্নে আর আগে পিছে না ভেবেই পোস্ট দিয়ে দিবা! শেষে পিচ্চি পাচ্চা পাঠক রা এডাল্ট পোস্ট ভেবে লজ্জায় আড় চোখে তাকাবে :p
হিংসা করতে নেই, তুমি না কত্ত ভাল!
শুন্যাপু কোথাকার 🙂 (3
শুন্য শুন্যালয়
হে হে আমি কি মায়াপুর মতো নাকি? আগে পিছে না ভেবেই মিউ এর মত পোস্ট দিমু? :p
সিক্রেট স্বপ্ন সিক্রেটই থাকে, থাকবে 🙂
আমি ভালো তোমারে কে কইলো? ;?
মায়াপু কোথাকার -{@
অরুনি মায়া
ও শুন্যাপু ও শুন্যাপু বলনা গো কি স্বপ্ন দেখলে?
রাত তো শেষ
শুন্য শুন্যালয়
স্বপ্ন দেখে দেখে সবতো টুকে রেখেছিলাম তোমাকে বলবো বলে, কিন্তু খুঁজে পাচ্ছিনা যে 🙁
সেই শরীর অসাড় করে দেয়া, স্বপ্নের স্বপ্নরা আর আসেই বা কোথায় !!
তোমার স্বপ্ন বলো মায়াপু, আমিতো একটা বললাম।
নীতেশ বড়ুয়া
দুজনেই ঘুমিয়ে গেলেন নাকি! :@
নীতেশ বড়ুয়া
স্বপ্ন আমার সত্যি হবে
ঘুমের মাঝে ঘুমিয়ে গেলে,
পড়ে আছি স্বপ্নেতে
ছুটিপুরের ঘুমেতে
স্বপ্ন আমার সত্যি হলে
ঘুমের মাঝে চাঁদ পেলে,
জেগে দেখি স্বপ্নেতে
ঘুম পেয়েছি দু’চোখেতে
স্বপ্ন আমার সত্যি হবে
ঘুমের মাঝে ঘুমিয়ে গেলে!
মাত্রই এমন ঘুম আর স্বপ্ন হতে জেগে উঠলাম। উঠেই দেখি তোমার এমন পোস্ট! মনে হচ্ছে ঘুমের মাঝে আমি তুমি ছিলাম আর তুমি আমার ঘুম :p আহা!
শুন্য শুন্যালয়
আহা। কয়খান লাইন লিখলাম এক সপ্তাহ ধরে, আর তুই কিনা এক মিনিটেই। কদমবুচি দাদাভাই।
ঘুমের মাঝেও ঘুমিয়েছিস আজ বুঝতে পেরেছি, আর চাঁদ তারা, নীহারিকা, রেড প্লানেট কি কি পেয়েছিস তা কিন্তু অজানাই থাকলো।
ঘুমিয়ে পর। এখন ভোর। ভোরের স্বপ্ন সত্যি হয়, তাই বেশি বেশি ভোরে ঘুমাবি। ভুলেও উলটাপালটা স্বপ্ন দেখিস না আবার।
যাচ্ছি আমি এখন। বিদায় বিদায়। :=
নীতেশ বড়ুয়া
ঘুম ভেঙ্গে ভাবি এই তো সময় শুন্যাপু কিংবা নীলা’দিকে কাছে পাওয়ার! এসে দেখি সত্যি কিন্তু বুঝতে বুঝতে না বুঝতেই বলে বিদায়!!!!! 🙁 ;(
তুমি সপ্তাহ ধরে ভাবো বলেই তোমার লেখা হয় গুছানো আর অনেক অনেক অন্যরকম আর আমি যেই ভাবা সেই কাজ বলে লিখে ফেলি তাই আগোছালো :p
নীলাঞ্জনা নীলা
নীতেশদা আগামীকাল থেকে আবার আসবো। ছুটির দিন শনি-রবি-সোম।
আপনি ঠিক বলেছেন শুন্য আপুর লেখা এতো গোছানো আর সুন্দর হয় কারণ সময় নিয়ে অনেক ভেবে-চিন্তে লেখে যে। আমিও না এক সিটিং-এ লিখে ফেলি। রেখে দিলেই গেলো। সর্বনাশ হয়ে যায়। কতো কতো লেখা যে পাঁচ বছর থেকে পড়ে আছে। ধরার মুডই আর আসেনি। তাই ঠিক করেছি এক সিটিং। যা হয় হবে।
শুন্য শুন্যালয়
পোলাপাইন বলে কি, আমি সময় নিয়ে ভেবেচিন্তে লিখলে এখনকার চাইতে আরো বেশি যাচ্ছেতাই হবে, তাই ওর মধ্যে যাইনা। সেতো দাদাভাই এক মিনিটেই মন্তব্য লিখে ফেললো বলে বলেছিলাম। আমিও সম্ভব হলে একবারেই লিখে ফেলি, তবে কিছু লেখা আমি আধা রেখে দিয়েছি অনেককাল, সেগুলোতে হাত দিতে আর ইচ্ছে করেনা।
কাল আসবো আমিও নীলাপু। আড্ডা দেব 🙂 তুমি কিন্তু আগের চাইতে কম আসছো, আমাদের উপর কি রাগ করেছো? রাগ করোনা নীলাপু। সময় কমে আসছে।
নীতেশ বড়ুয়া
আমার এক দুলাইনের অনেক কিছুই পড়ে আছে যা কি ভেবে লিখেছিলাম তাই মনে আসে না! আর মনের ভাবনা? এখন আর সাথে সাথে লিখতে মনে চায় না বলেই আর লিখতে পারি না :p @নীলা’দি
তুমি ভেবে লিখো আর চিনতে লিখো বা যাই করো না কেন তোমার পোস্ট মানেই বিশেষ কিছু সব সময়ই 😀 @শুন্যাপু
শুন্য শুন্যালয়
@দাদাভাই
তুই গোছালো কি অগোছালো লিখিস তা কিন্তু আর কথা না, তোকে আমরা জাজ করেই ফেলেছি। কএক মিনিটে আস্ত একটা গল্প লিখে ফেলতে পারিস তুই। সেগুলো অসামান্য, অগোছালো নয় মোটেই।
আমি সময় হলেই অনলাইনে চলে আসবো, তোদের মত ঘাপটি মেরে থাকবোনা।
এখন কোথাও কেউ নেই 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
আমি অগোছালো লিখি এইটা আমি নিজেই মানি কারণ একবার লিখে ফেলে কিছুদিন পর সেটা পড়তে গেলেই এমনই কাঁটাছেড়া করতে ইচ্ছে হয় যে শেষে দু’লাইন টিকে থাকে কোনমতে 🙁
ক’মিনিটেই আস্ত গল্প আর কোথায় লিখলাম! গল্পের জন্য যা দরকার তা তো অরুনি মায়া নিজেই দিয়ে রেখেছিলেন আমার জন্য! আমি শুধু সেগুলো দিয়ে বকবক করেছি 😀
সত্যি বলতে কি বিচ্ছিন্ন মনে কিছু পড়তে বা মন্তব্য করতে ইচ্ছে করে না তাই আড়ালে থাকি অনেক সময় :p
নীলাঞ্জনা নীলা
কোথায় তোমরা? আমি এসেছি।
নীতেশ বড়ুয়া
আমি সেই কবে থেকে \|/
শুন্য শুন্যালয়
এরকম কাঁটাছেড়া করে শেষ কোন দুইলাইন থেকে যায়, তা জানতে মন চাইলো। লেখা অগোছালোই ভালো দাদাভাই, আমার মতো এমন গুছিয়ে দেয়া লেখা যা মাথার তার সব অগোছালো করে দেয়, এমন আমিও অপছন্দ করি।
আজ অনেকটা সময় থাকতে পারবো বিকেলে মনেহয়। লেখা দে একটা দাদাভাই।
নীতেশ বড়ুয়া
আরে শেষ দু’লাইন যা হয় তাও তো আর পছন্দ হয় না কিছুতেই :p
সবার মাথার উপর দিয়ে যায় কি না জানি না তবে ‘অফুরান রঙেরা’ তো কারো মাথার উপর দিয়ে যায়নি সেটা দেখাই গেলো 😀 এদিকে আমি ভাবি আমার লেখাই অনেকে বুঝে না আমি কি বলতে চেয়েছি, অন্তত গত ২০১৪-২০১৫ তে যা দিয়েছি তাঁর মধ্যে ৯৫% লেখাই কেউ বুঝেনি :p
নতুন করে কিছু লেখার ভাবনা মাথায় নেই যে! 🙁
শুন্য শুন্যালয়
তোর পুরনো লেখাগুলো এখানে দে, দেখি বুঝতে পারি কিনা।
আজ আমার মাথা জ্যাম হয়ে আছে। নিজের কোন লেখা নিজের কাছে কঠিন লাগেনা। এই লেখাটিও কঠিন হয়েছে সবার, ভাবছি লেখালেখি বন্ধ থাকবে কিছুদিন, বেশকিছুদিন। শুধুই পড়া। 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
দিয়েছি পুরনো একটি লেখা।
এই লেখাটি কঠিন! এই লেখা তো নিজেকে আয়নায় না দেখে বরং নিজের মনের ভেতরে নিজেকে দেখার মতো! এই দেখতে চাওয়াটা তো অদ্ভুত ভাল কেননা নিজের মধ্যে ডূব দিয়ে নিজেকে এইভাবে নানান দিকে দেখতে চাইতে পারে কজনে!
ফাঁকিবাজি বন্ধ করো, লেখা দিতেই হবে… :@
শুন্য শুন্যালয়
তুমি খুব সুন্দর বলো, ভাবতে ইচ্ছে করে। যাই, এখন তোমার নতুন পোস্ট পড়ে নিই আগে।
নীতেশ বড়ুয়া
আহারে! আমার চারপাশে তোমাদের মতো এতো সুন্দর ভাবনার মানুষ থাকলে ভাবতে পারবো না কেন! 😀 \|/
তানজির খান
চলমান কোন সিরিজের চরিত্র বদল, এই আমার স্বপ্ন ছিল – দারুণ।
ঘুম আসুক আর নাই আসুক তবুও স্বপ্ন আসুক।কলের সময় আটকে যাক চোখের পাতায়।
শুন্য শুন্যালয়
ঘুম আসুক আর নাই আসুক তবুও স্বপ্ন আসুক, খুব সুন্দর বলেছেন তানজির ভাই। স্বপ্ন ছাড়া আর আছেই বা কি। ধন্যবাদ আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম বলে। 🙂
জিসান শা ইকরাম
দেখলাম পোষ্ট দিয়েছেন ……
সময় নিয়ে পড়তে হবে
শুভ কামনা রাশি রাশি -{@
শুন্য শুন্যালয়
আপনাকে দেখে চমকে উঠেছিলাম ভাইয়া। যাক, দেখেছেন তবুও।
আপনার জন্যেও শুভকামনা রাশি*রাশি -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
শুন্য আপু তোমার লেখা পড়তে হলে একবারে সাধ মেটেনা। কয়েকবার পড়া হয়ে গেছে, লিখতে লিখতেও পড়েছি ২/৩ বার। কিন্তু তাতে যত্ন করে মন্তব্য করা হবেনা। আমি চাই মনের গভীর থেকে যা উঠে আসবে সেটা লিখতে। এখন সেটা হবেনা। ঘুমকে নিয়ে এসেছি। সকালে দে-ছুট। তবে হুম বাসে বসে একবার চান্স নেবো।
-{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
এখন যেটা লিখেছ সেটাও মনের গভীর থেকে উঠে আসা, তাতে যত্ন স্পষ্ট। যখন পারবে দেবে। সুইট ড্রিম নীল ফুল নীলাপু। -{@ (3
নীলাঞ্জনা নীলা
এই মেয়ে কানে যাচ্ছেনা ডাক? সেটা জানি যাচ্ছেনা। কিন্তু মনের ভেতর টান খাচ্ছেনা, এ অসম্ভব! ফিলিংস ওয়ান ওয়ে নয়, কথাটা ১০০% সমর্থন করি। চলে এসো। -{@ -{@
অরণ্য
“হুম, কারো লেখায় নেই আর আমি। আরেকটু সত্যি করে যদি বলি চলমান কোন সিরিজের চরিত্র বদল, এই আমার স্বপ্ন ছিল। ” – নাহ! ও তেমন কিছু নাও হতে পারে কারো জন্যে। আবার শুন্যের জন্য তা হয়তো অনেক, তাই বিচলিত হয়েছেই সে কিছুটা। আচ্ছা, ডাক্তারি শাস্ত্র কি বলে আমরা কোন ঘুমগুলোতে স্বপ্ন দেখি? আমার জানতে ইচ্ছে করছে। তবে আমার কাছে ঘুমের স্বপ্নের স্থায়িত্ব বা রেশ খুবই কম। ভয়ংকর ব্যাপার হইল আমি অনেক দিন জাগিয়া, অনেক করিয়া ভাবিয়া তিলে তিলে যে স্বপ্ন তৈরি করিয়া তাহা ফের ভাংগিয়া যায়। 😀
শুন্য শুন্যালয়
নাহ! ও তেমন কিছু না 🙂
স্বপ্নতো সব ঘুমের মাঝেই আসতে পারে, যদিও লাইট স্লিপেই বেশি আসে। একটা ইন্টারেস্টিং কথা জানিস? অন্ধরা বেশি স্বপ্ন দেখে। ঘুমের স্বপ্নের স্থায়িত্ব কম হতে পারে, তবে রেশ বা ডেপথ্ অনেক বেশি, আমার কাছে। দিনের স্বপ্নের কথা বলছিস? সেতো ভাঙ্গার জন্যেই 🙂 জেগে জেগে আমরা সেই স্বপ্নই বেশি দেখি যা হবেনা। 🙂
আবু খায়ের আনিছ
স্বপ্নের নাম দেওয়া যেতে পারে। উদ্যোগ নেওয়া হোক দিদির মাধ্যমেই।
শুন্য শুন্যালয়
বাংলা একাডেমীতে যোগাযোগ করবো ভাইয়া? 🙂
আবু খায়ের আনিছ
দেখতে পার যোগাযোগ করে, যদি কিছু হয় মন্দ হবে না। 😀 🙂 🙂
শুন্য শুন্যালয়
বাংলা একাডেমী আমার নাম শুনলেই আগে পাগল বলে দূর দূর করবে 😀
আবু খায়ের আনিছ
;( :D) :D)
জিসান শা ইকরাম
একই স্বপ্নের মাঝে এত কিছু দেখে ফেলেছেন?
আমি তো একটি স্বপ্নেরও সম্পুর্ন দেখিনা ঘুমের মাঝে
অবশ্য জেগে থেকে যে স্বপ্ন দেখি, তা সম্পুর্নই দেখি……
কেউ আপনাকে নিয়ে লিখছেন না!!
কত লেখা আপনাকে নিয়ে লেখা
আঙ্গুলের কড় গুনেও তা শেষ হবে না…
চলমান সিরিজের চরিত্র বদল,স্বপ্নের নাম দেয়া……… এমন প্রথম শুনলাম।
ভালো থাকুন সারাক্ষন।
শুন্য শুন্যালয়
আমিওতো সম্পুর্ন দেখিনা কোন স্বপ্ন, সব আধা। 🙂
ঘুমের স্বপ্ন সিরিয়াসলি নিতে নাই, জেগে থাকার স্বপ্নই সত্যি 🙂
আমাকে নিয়ে কই কে লিখছে, আপনি তো আজ পর্যন্ত একটাও লিখলেন না 🙂
এমন প্রথম শুনলাম, কথাটা শুনে এখন গান মনে পড়ছে। “এই শহর জানে আমার প্রথম সবকিছু”
আপনিও ভালো থাকুন ভাইয়া সারাক্ষন।
রিমি রুম্মান
কোন কোন স্বপ্ন দেখলে আর জেগে উঠতে ইচ্ছে করে না___ ঠিক যেন আমারই কথা।
শুন্য শুন্যালয়
সত্যি আপু, খুব আফসোস হয় তখন। অনেক ধন্যবাদ আপু 🙂
স্বপ্ন নীলা
ব্যস্ত হলে কলের সময়
দুয়ারে দেয় বাঁধ
নিবেদিতাও বড্ড অবাক
মেঝে ডোবে ভুলের জলে
আলোয় তার কাঁধ —————-অসাধারণ গো অসাধারণ
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ আপু। বহুদিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগলো। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ডুবে থাকা গহীন নীরবতা একেকটি ঘুম পার করে আসে
কতো হাজার মাইলের পথ?
টুপটাপ শিশির, অঝোর বর্ষা
না-পাওয়ার আঁচলে গুঁজে দেয় স্বপ্ন,
দাক্ষিণ্য স্বরূপ।
মুঠো ভরা নিদ্রাহীনতায় পাশে থাকেনা কোনো নিঃশ্বাস
অপলক কড়িকাঠের দিকে,
না কড়িকাঠ কোথায়! ইট-সুরকি-চুনের ছাদ!!
নেপথালিনের মতো উড়ে যায় ভাবনার পর্দা
বুকের ভেতর বিশাল সমুদ্র তোলপাড় করে ভাসিয়ে নিতে থাকে কোন অজানায়!
সবই কি অলীক!
হায়! এ কোন স্বপ্ন, কেমন স্বপ্ন কেবল ভাঙ্গনের কথা বলে?
আপু তুমি লিখতে পারো। এই যে লিখলাম তুমি লিখতে পারো বলেই। ঘুম আর স্বপ্ন ও দুটো বড়ো দামী। স্বপ্ন তবু আসে খোলা চোখে, শুধু ছোঁয়া যায়না। মনটা নদীর মতো ছলাৎ ছলাৎ করে উঠছে তোমার লেখা পড়ে। -{@ (3
শুন্য শুন্যালয়
না পাওয়ার আঁচলে গুজে দেয় স্বপ্ন, দাক্ষিণ্য স্বরূপ? বাহ্ দারুন বললে, কিন্তু এ কেমন দাক্ষিণ্য দিয়ে নেয়া যাওয়া? হ্যাঁ ঠিক তাই এ কেবল ভাঙ্গনের কথা বলে!
কতো সুন্দর লিখলে আপু, এ আমার মাথায় কস্মিনকালেও আসবেনা। ছাইপাশ কি যে লিখি, তাতেও তোমাদের অনাবিল মন্তব্যে আচ্ছন্ন হই। ভালো থেকো খুব আপু। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু যারা দেয়, তারাই তো কেড়ে নেয়।
মানুষের জায়গার বদল হয়, কিন্তু মানুষের বদল হয়না। স্টপেজ বদলে যায়।
স্বপ্নেরও বদল হয়না এটা আমার মনে হয়। কারণ স্বপ্নগুলো যে পূর্ণতা পায়না!
ভালো রেখো। -{@
শুন্য শুন্যালয়
তোমার তিনটা লাইনের দিকেই তাকিয়ে আছি নীলাপু। যারা দেয় তারাই কেড়ে নেয়? তবে দেয়ই বা কেন?
কখনো কখনো জায়গা বদল হলেই মানুষের বদল হয়ে যায়, স্টপেজ বড়ই অদ্ভুত।
স্বপ্নের বদল হয়না কেন জানো? কারন স্বপ্নটা আমার। তবে সেই স্বপ্নের মানুষগুলোর বদল হতে পারে। একটা কথা কি মনে হয় মাঝে মাঝে জানো, এই যে একজন আরেকজন কে ভালোবাসে, এ আসলে তার নিজের ছায়াকেই ভালোবাসে, নইলে চেনাজানা অপরিচিত কাউকে কেউ হুট করে ভালোবাসেই বা কেমন করে !!
ভালো রেখো 🙂 এটাইতো বড় মুশকিল 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
বহু আগে কয়েকটি লাইন লিখেছিলাম একেবারে নিজের জীবন থেকে নিয়ে। ভুলে গেছি কোথায় লেখাটি ছিলো! তবে ভাবধারাটা ছিলো এমন, আমরা মেয়েরা প্রেমে পড়ি তাদের যারা ভাবের কথা গাঁথে। মুখোশধারী পুরুষদের প্রতি মেয়েদের টান বেশী। সে বোঝে, জানে কি হতে চলেছে কিংবা কি হবে, তাও আবেগকে একটু একটু করে প্রসারিত করে কাছে টেনে নেয়। তখন কেউ যদি ধরিয়ে দিতে যায়, সে-ই শত্রু হয়ে যাবে।
আপু আমি সব মেয়েকে এই কথাটি বলি ভালোবাসা রাখো এমন জায়গায় যেখানে একাকীত্ত্ব হলেও যত্ন পাবে। অন্তত এটুকু স্বস্তি যে কেউ ভালোবাসছে ঠিক তোমার মতো করেই সে যতোই দূরত্ত্ব হোক না কেন! মিস করা ওয়ান ওয়ে নয় কিছুতেই। যখন মিস করতে গিয়ে আবেগের কাঁপুনি আসেনা, সেখানে কিছু নেই। কিচ্ছু নেই।
বিশাল লেকচার দিয়ে ফেললাম। এসো না গো আপু। প্লিজ। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
**মিস করা কিন্তু টু ওয়ে। ওয়ান ওয়ে মিস হয়না কিন্তু।
শুন্য শুন্যালয়
তোমার মন্তব্যের উত্তরে একটাই কথা মনে আসছে, নিজেকে নিজে বুঝিয়ে ফেরানো ছাড়া অন্য কেউ তা পারেনা।
মিস করা ওয়ান ওয়েও হয় আপু। আবেগের ধার সবার নিজ নিজের মত, ফেরত না পেলে ধার হয়তো কমে যায়, তবুও নিজস্বতা থাকেই। ভালো থেকো নীলাপু।
ছাইরাছ হেলাল
শিশির আর বৃষ্টির পার্থক্য না জানলেও দু’টোর জলেই আমরা ভিজি, ভেজাই ও,
‘কারো লেখায় নেই আর আমি’ বুঝলাম তো ভাউ, সবাই প্রতিদান পাবে, সহজ করে বলে দিলেই পারতেন!
স্বপ্ন এবার ছ্যাঁত করেই ধরা দিয়েছে, নাকি ধরে ফেলেছে!! কিছু আমাদের দিয়ে দিলেও পারতেন,একেবারে না দিলেও
ধার-ধোর দেন। সুখ করি।
কানায় কানায় হয়ে এবার গলে গলে গোল গোল হয়ে পড়ছে, পড়ুক।
বদলের নবতম অধ্যায়ে স্বাগত, ব্যাপার না,
শুন্য শুন্যালয়
খুব বুঝি তাড়া ছিলো! তা অবশ্য থাকতেই পারে, তবু যে কৃপা দৃষ্টি দিয়েছেন এখানে, তাতেই ধন্যবাদ অশেষ। ছাইপাশ লেখায় এত মন না দিলেও চলবে। আমার বদল পেলেন লেখায়? অবাক হলাম। শুন্যের কোন বদল হয়নি।
‘কারো লেখায় নেই আর আমি’, হ্যাঁ সহজ করে বলা সম্ভব হয়না আমার পক্ষে। ডিরেকটলি বললে, একজনের লেখায় নেই আমি, তার লেখা আছে, লেখার চরিত্র শুধু বদল হয়েছে। আফসোস করেছি, কারন শেষ টুকু দেখতে পারিনি। যে শুন্যের স্থান বদল হলো তার, তা শেষ পর্যন্ত কানায় কানায় পূর্ন হলো কিনা, এটা দেখতে পারিনি। যেহেতু ঈর্ষা ছিল, আছে, তাই সরোবর কিংবা সমুদ্রের জল হলেও তাকে ঘোলা জল ভেবেই নিজের মনে খুশি হলাম। এই টুকুই।
নেক্সট টাইম সহজ করে বলার চেষ্টা করবো, আপনাদের মস্তিস্কে এত চাপ দেয়া ঠিক না, আপনাদের তো আরো কাজ আছে। ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
ভাউ,আপনি রাজবৈদ্য!!, রেগে গেলে কই যাই!! আন্ধার লাগে চারিপাশ।
এরপর খুপ মন দিয়ে পড়ব, পড়তে পড়তে ফাতাফাতা করে ফেলব,
মুখস্ত করে ফেলব, আপনি পরীক্ষা করে দেখবেন, প্লিগ লাগে,
শুন্য শুন্যালয়
আইচ্ছা, আমি কিন্তু ফেল্টুস স্টুডেন্ট একদম লাইক করিনা।
লীলাবতী
স্বপ্নকে বিভিন্ন ভাবে নাম দেয়াই যায়।এক নতুন শুন্য শুন্যালয় কে দেখলাম এই লেখায়।নতুন করে ভাবায় এই লেখা। নিবেদিতা ভালো থাকুক -{@ -{@
শুন্য শুন্যালয়
নতুন শুন্য শুন্যালয়? নতুন করে আমিও ভাবছি, আর কিভাবে কিংবা কবে শিখতে পারবো লেখা?
নিবেদিতারা কিন্তু ভালোই থাকে, তাদের কোনকিছুই যেন ঠিক স্পর্শ করেনা। সে যাই হোক, আমি কিন্তু নিবেদিতা না 🙂
লীলাবতী
বন্ধুর কাছে দাবী করাই যায়।অভিমানও করা যায়।বন্ধুর অপ্রকাশিত অভিব্যক্তি বুঝে নিতে হয়। আমরা অনেক কিছুতে সীমাবদ্ধ।ইচ্ছে থাকলেও প্রকাশ করা যায়না।ইচ্ছেকে বুঝলেই সব কিছু বুঝে নেয়া যায় আপু -{@
শুন্য শুন্যালয়
লীলাবতী এত কঠিন করে কি বললা? বুঝিনাতো ;?
বন্ধুর সাথে অভিমান, মাইর ধইর সব চলে 🙂
বনলতা সেন
তলে তলে পঁচাশি? আর কত অপেক্ষা? সহে না যাতনা। কে খেপিয়েছে নাম বল প্লিজ। নাছরিন কে ডাকতে হল আওয়াজ
দিও একটু। কচু কাটা হয়ে যাবে।
শুন্য শুন্যালয়
ভালো মানুষের নাম বলেছ, ওপাড় থেকে টেনে আনবে বুঝি? তা তুমি পারোও, তোমাকে দিয়ে অসম্ভব না, জল্লাদিনী। ক্ষেপেছি তোমার উপরেই, লেখা দাওনা কেন? আর ঠিক ঠিক বলো, এতদিন কোন মুল্লুকে ছিলা আমাগোর রাইখা?