দিন দিন নাকি সব কিছু সহজ থেকে সহজতর হচ্ছে। হাতের কাছেই পাওয়া যায় সব কিছু। ব্যাবহারবিধিও সহজ। কিন্তু একটা জিনিসের কোন রকমের পরিবর্তন বা বদল আমার তো চোখে পরছে না। ছোটবেলায় যেমন দেখেছি এখনো তেমনি দেখি। আকৃতি ও গন্ধে কিছুটা পরিবর্তন আসলেও পারষ্পরিক বন্ধনে কোন পরিবর্তন নেই। না আর কিছু না, আমি বলছি মশার কয়েলের কথা। ছোট থেকে যেমন দুটিতে মিশিয়ে জোড়া জোড়া করে প্যাকেটে রাখা দেখতাম, এখনো তেমনি দখি। আর প্রতিবার ওনাদেরকে জোড়া থেকে আলাদা করতে গেলেই সর্বনাশ! এমনি ভালোবাসা, যে ভাঙ্গে কিন্তু মচকায় না 🙁 আমি জীবনে অনেকবার মন শক্ত করে এই জোড়াদের আলাদা করার নিষ্ঠুর কাজটি করতে গিয়েছি এবং খুব কম সংখ্যক বারই সফলকাম হতে পেরেছি। হালকা প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ এমন জুটি পেয়েছি খুব কম, মানে যাদেরকে একটু মোচড়ামুচড়ি করা বা একটু ধমক দিলেই ভয়ে আলাদা হয়ে গেছে। বেশীরভাগ জুটিরই এমন অবস্থা যে, আত্মহত্যা না করে আলাদা হন না বা আলাদা করা যায় না। আহা! কি প্রেম!!! এমন প্রেমিকদের নিয়ে আমি আছি বিপদে। সবই যখন দিন দিন মডার্ণ হচ্ছে, সেক্ষেত্রে ওনাদের জোড়ায় জোড়ায় না রেখে আলাদা আলাদা ভাবে প্যাকেট করলে ক্ষতি কি? এতে আমরা অনাকাংক্ষিত মৃত্যুর হাত থেকে অনেক কয়েলের জীবন রক্ষা করতে পা্রবো বলে আমি মনে করি। এদের আলাদা করলে একটাই সমস্যা হবে যে প্যাকেটটা একটু বড় হবে। তাতে কি? জীবনের চাইতে প্যাকেটের মূল্য নিশ্চই বেশী হতে পারে না।
২৪টি মন্তব্য
ইঞ্জা
:D) ও দাদী আপনিও এসে পড়েছেন দেখছি, খুব খুশি হলাম, আপনাকে প্রথম মন্তব্য আমিই করলাম আর যথারীতি আপনাকে স্বাগতম সোনেলার উঠোনে, যে উঠোনে আপনি সব সময় ভালোবাসা আর সম্মান পাবেন বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
ভালো থাকবেন দাদী।
নিহারীকা জান্নাত
হাহাহাহা এসেই পড়লাম। তবে আমি কিন্ত পুরানো পাগল, আপনার জানা নেই 🙂 সোনেলার সবাই খুব আন্তরিক জানি আমি যদিও অনেকের সাথে আমার পরিচয় নেই। এবার দাদী-নাতি মিলে নতুন যাত্রা শুরু। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ইঞ্জা
ওরে বাবা কারে কি কই, তা দাদীজান নিয়মিত লেখেননা কেন, গত এক বছরে এই প্রথম লিখলেন, মানে আমি আসার পর এই প্রথম দেখলাম আপনাকে, আশা করি এখন থেকে আপনাকে নিয়মিত পাবো, ভালো থাকবেন দাদীজান।
নিহারীকা জান্নাত
সোনেলার জন্মলগ্ন থেকে কিছুদিন ছিলাম। তারপর সম্পুর্ণ ব্যক্তিগত কারণে ব্লগ এবং সকল গ্রুপ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম। এই হচ্ছে ঘটনা।
আবু খায়ের আনিছ
চিন্তার বিষয়, এভাবে কয়েল এর মরণ হতে দেওয়া যায় না। \|/
নিহারীকা জান্নাত
এদের চিন্তায় আমার ঘুম হয় না ভাই 🙂
ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘুমের ঘোরে কেটে যাওয়া অনন্ত পথ
হা হা হা
মজা পেলাম অনেক (y)
নিহারীকা জান্নাত
শুধু মজাই পেলেন, এদের দুঃখটাঃবুঝলেন না ভাই/আপা?
অনেক ধন্যবাদ। কিন্ত আপনি ভাই নাকি বোন ঠিক বুঝতে পারছি না ;?
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
খুবই রসালো লেখা…হ্যা তাইতো মশার কয়েল পেচিয়ে না রেখে খুলে রাখলেই তো ভালো তবে ভালবাসা কিন্তু এ ভাবে খুলে রাখলে ফতুর হতে পারে তাই ভালবাসার বন্ধন হউক কয়েলের মতো যা ভাঙ্গবে না কখনো।সুন্দর অনুভুতি -{@
নিহারীকা জান্নাত
অনেক ধন্যবাদ ভাই। এমন ভালোবাসাই দরকার।
মিষ্টি জিন
এতো অত্যান্ত জটিল একটা বিষয়। এখন ই সমঁয় এ নিয়ে ভাবার। নইলে সাডে সর্বনাশ হয়ে যাবে ।
নিহারীকা জান্নাত
বিরাট চিন্তায় আছি আপা। অনেক ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
মনে হচ্ছে এই প্রথম আপনার লেখা পড়ছি। স্বাগতম সোনেলায়। যদিও প্রোফাইল দেখলাম দুই বছর আগেই এসেছেন।
প্রথম পোষ্টেই অনেক মজা পেলাম। কয়েলের অটুট বন্ধন, কয়েলের প্রেম। বাহ!
কয়েলের গন্ধ নিতে পারতাম না, এলার্জি ছিলো কয়েলে। কিন্তু যেখানেই যেতাম কয়েল থাকতোই।
সবচেয়ে মজার কথা হলো আমাকে মশা একেবারেই কামড় দিতো না। 😀
এমনই ভয়ঙ্কর তেঁতো রক্ত। :p
নিহারীকা জান্নাত
আমাকে মশারা খুব পছন্দ করে আপা। 🙂 সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন আপা।
নীলাঞ্জনা নীলা
তার মানে আপনার রক্ত খুবই নরম। ড্রাকুলা বাবাজী জানলে কিন্তু খবর আছে। 😀
আপনিও ভালো থাকুন নিহারীকা। 🙂
নিহারীকা জান্নাত
আর ভয় দেখাবেন না আপা। ড্রাকুলা বাবাকে খুবই ভয় পাই আমি ;(
ছাইরাছ হেলাল
আপনি আসলেই আপনি তো? নাকি আপনার ভূত কে জানে!!
তাও মনে রেখে মনে করে এসে আবার লিখলেন দেখে সত্যিই ভালো লাগল।
থাকুন না আমাদের সাথে, অজুহাতের হাত এড়িয়ে, একেবারে মন্দ লাগবে না, সে কথা দিচ্ছি,
মোচড়ামুচড়ি না করে কোন কিছু করা যায় কিনা একটু হৃদয়মেলে ভেবে দেখুন না,
অল্প কথায় দারুণ লিখে ফেললেন কী করে তাই ভেবে পাচ্ছি না,
রোজ লিখতে শুরু কর দিন,
নিহারীকা জান্নাত
আমি ভাই আমি। ভুত যে নই তা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি 😀 এসেছি যখন তখন সোনেলার ঘুম ভাংগাবোই ইনশাআল্লাহ। ঘুম ভাংগাবো কি, সোনেলাকে ঘুমাতেই দেবো না 🙂 তবে আমার সমস্যা হলো, আমি লিখতে পারি না, পড়তে পারি। সবার লেখা দেখে আগে লেখা শিখে নেই তারপর দেখা যাবে। আর আপনার কবিতা পড়তেতো আমাকে বাংলা অভিধান নিয়ে বসতে হয়। বুঝেছেন তো আমার দৌড়?
ও আরেকটি কথা। “অকৃপণ সোনাশহর” আর “শরতচন্দ্রের বৈঠকি গল্পে” মন্তব্য দিলাম কিন্তু অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে এমন দেখাচ্ছে। সেই ভাইয়াদের একটু বলবেন কষ্ট করে ব্যাপারটা একটু দেখতে?
ভালো থাকবেন ভাই। শুভকামনা।
মৌনতা রিতু
কয়েলে আমার প্রচন্ড এ্যালার্জি। তবুও এদের প্রেম ভোঙ্গে টুকরো করে হলে ও আগুনে জালাতে হয়ই। কি করব, উপায় নেই।
এদের এই জোড় বন্ধন খুলতে গেলেই হয়ে যায় অনেক সময় বিপদ।
এভাবে ভেবে দেখিনি কিন্তু। আপনার দেখার চোখ আছে বলতে হবে!
পোষ্টে ভাল লাগা রইল।
নিহারীকা জান্নাত
এদের চিন্তায় আমি অস্থির!
আপা অনেক ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
শুভ পুনঃ প্রত্যাবর্তন,
ছোট একটি লেখা, অনেক বড় একটি বার্তা বয়ে নিয়ে এলো,
কয়েল গোষ্ঠীকে রক্ষা করতে হবে, এদের বিচ্ছিন্ন করা চলবেনা,
ভাল লিখেছেন, আরো লেখুন।
শুভ কামনা।
নিহারীকা জান্নাত
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আমি মুলত: পাঠক বেশি, লেখক কম। তবে মাঝে মাঝে চেষ্টা করবো তা বলতে পারি।
ইলিয়াস মাসুদ
হাহাহা খুব সত্য কথা,এমন করে আসলে ভেবে দেখিনি তবে বহু কয়েলের বিরহের কারন হয়েছি তবে
খুব ভাল লেগেছে আপু
নিহারীকা জান্নাত
একদিন কয়েলদের আলাদা করতে গিয়েই ব্যাপারটা মাথায় এলো। এই আর কি। ধন্যবাদ ভাই।