
রোদ-ডানায় ভর করে কখন যে পৌঁছে গেছি, গোধূলির পর অন্ধকারের-জ্যোৎস্না পেরিয়ে স্ফটিক-শিশিরের সকালে,
জন্ম-সমুদ্রের ব-দ্বীপে; ক্ষয়িষ্ণু (পেন্সিলে আঁকা) জীবনে এও তো অনেক পাওয়া, সুয়োরানী দুয়োরানি বলে কিচ্ছুটি নেই, জন্মদাগে চিনতে পারে/পেরেছে সবাই, বৃত্ত-জীবনে আঙুলের ফাঁক গলে বেশী দূর যাওয়া, সহজ নয় মোটেই, বৃষ্টি-ভালোবাসায়।
কানামাছি-দিন-চিহ্নে পৌঁছে গেছি, আনন্দ সৈকতের গান-গল্পের পসরায় ডুবে যেতে যেতে শিমুল-বনে চোখ ফেলি, চাওয়া-পাওয়ার নিকেশ না-মিটিয়ে, কুড়বো মুক্তো-ঝিনুক; অপর্যাপ্ত দীর্ঘতম রৌদ্র-দিনের-শেষে জমিয়ে রাখা সুখ-দুঃখ কুয়াশা হেঁটে যায় পেছনে, ফিরে যায়,গুটি গুটি পায়ে পায়ে, সবুজের বনানী আবার সুখ খুঁজে নেয়/পায় সলাজ রোদে, অক্ষরে অক্ষরে, আত্মঘাতী ভিড় এড়িয়ে;
চৌকাঠে দাঁড়িয়ে মুখোমুখি,নিকালো উঠানে বেশ দেখতে পাচ্ছি ফেলে যাওয়া/রেখে যাওয়া ছাপ-ছবি,
ছিল-না প্রস্থান সেখানে, থাকবে-ও-না।
ভালোবাসার মন্ত্রদানে বোবা সুখ-পাখি আবার জেগে উঠে কথাচ্ছলে, অ-অলৌকিকত্বের বিশ্বস্ত বাগধারায়,
এখানে পুতে রাখা বীজ আবার জেগে উঠবে ঘ্রাণ-ফুলের সমারোহে, জন্মান্তরের মত, অনিঃশেষ যাদুতে।
ছবি নেটের।
২৬টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
পড়লাম। কমেন্ট পরে করবো। এবং ফাস্টও হলাম।
ছাইরাছ হেলাল
ফাস্ট আপনি বরাবর-ই!! লেখায়!!
অপেক্ষা রাখলাম।
আরজু মুক্তা
হিসাব নিকাশ বাদ দিয়ে চলুন প্রকৃতি ঘুরে আসি। প্রকৃতিই তো মা।
ছাইরাছ হেলাল
আহা, এতো আনন্দ সংবাদ, বনে-সুন্দর দিন কাটানো দারুন সুন্দর।
ধন্যবাদ।
বন্যা লিপি
লিখিত বা অলিখিত কড়চা। স্বিকারোক্তি…. চাওয়া-পাওয়ায় নিকেশটুকু থাকুক গ্রোথিথ ঊর্বর মাটির গর্ভে।
ছাইরাছ হেলাল
এটি আসলে একটি মন্তব্যের বাড়তি অংশ, রিতু জাহানের।
যেমন হয় আরকি, মন্তব্য করার পরে মনে হয় আরও কিছু বলার ছিল,
তেমন ভাবনা থেকে আবার একটু কিছু লিখে ফেলার চেষ্টা!!
কালে-ভাদ্রে পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ (অজুহাত হাতেই থাকে)।
বন্যা লিপি
অজুহাত নয় মহারাজ। পড়ি সবই,মন্তব্যের মেধাও নাই হয়ে গেছে। লেখা তো আরো। এখন শুধুই পড়ি……..
ছাইরাছ হেলাল
কত কথা বলেরে!!!!!
আমিও একটু মেধাবী মন্তব্যকারী হতে চাই।
ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
যখন সময় হয়েছে জীবনের খাতা খুলে দেখার
পাওয়া না পাওয়ার হিসেব নিকেশ করার
তখন সমস্ত চাওয়া পাওয়ার হিসেব উপেক্ষা করে
সবুজের সমারোহে, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্য
উপভোগ করতে মন পসরা সাজিয়ে শিমুল বনে গিয়ে
ঝিনুক-মুক্তো খোঁজে ফিরে
এমন অবস্থায় বলা যায় প্রাপ্তির খাতা পূর্ণ
প্রকৃতির থেকে পাওয়া ঐশ্বর্যে পূর্ণ কারো অপ্রাপ্তির হিসেবে বসা বৃথা
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, এমন ই পাঠ চাই, ঠিকঠাক আগের-ই মত।
মন দিয়ে মন খুলে পড়েছেন দেখে অভিনন্দন।
নিতাই বাবু
আমি কঠিন শব্দের কবিতা খুব কমই বুঝি। তাই আপনার কবিতায় মন্তব্য করার জো আমার নেই। তবুও সাথে আছি বলে জানান দিলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও অনেক কিছুই জানি না, বুঝি-অ না।
তবে সাথে থাকা জরুরী, আপনি আছেন/থাকেন,
অবশ্যই ধন্যবাদ।
হালিমা আক্তার
বার কয়েক পড়লাম। কি বুঝলাম জানিনা। মন্তব্য করারও সাহস হয় না। তবে জীবনের প্রাপ্তির খাতা কখনো শূন্য হয় না। হয়তো আমাদের হিসেব-নিকেশে যোগ বিয়োগের ভুল থাকে। শুভ কামনা অবিরাম।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো দেখছি ঠিকঠাক ই বুঝে নিয়েছেন,
কিছু হিশেবে তো অধরাই থেকে যায়। থাকুক না।
ভাল থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজ, ব্লগার্স প্রফাইল শুরু হয়ে গেছে।
দ্রুত অংশ নিন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
দ্রুত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
ধন্যবাদ আপনার কাছেই রাখুন, ভান্ডার শেষ হয়ে যাবে।
যেটা লিখতে বলেছি লিখুন,
নিরন্তর শুভ কামনা 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা শুভ কামনা আপনার জন্য ও।
লেখালেখি কঠিন বিষয়, সবাই সব জায়গায় লিখতে পারে-না।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
প্রকৃতির রুপ, রস একদম ঢেলে দিয়েছেন মহারাজ যে মনের ক্যানভাস টা সৌন্দর্যে ভরে উঠলো। জীবনের চাওয়া পাওয়ার হিসেব টা কখনোই এক বিন্দুতে মিলে না। প্রকৃতি আমাদের আয়ু বাড়ায় তাই তাকে বাঁচিয়ে রাখতে সবাই সচেষ্ট হই। অফুরন্ত শুভকামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃতি আমাদের বাঁচায়, আমরা বাঁচি, সব ভালোবাসার আকর,
পাওয়া না-পাওয়ার মাঝেই যেটুকু যেভাবে তুলে নেয়া যায়।
ভাল থাকবেন, এসময়ে।
সাবিনা ইয়াসমিন
আকাশে উড়তে উড়তে পানিতে নেমে আসে ক্লান্ত পরিযায়ী, জলে-তেই তার জীবন।
ফসিলের গায়েও থাকে জন্মদাগ,
হাড়-মজ্জা শুকিয়ে চৌচির, তবুও অটুট জন্মনিবন্ধন।
একরত্তি বীজ
একফোঁটা জল
মেঘে মেঘে সয়লাব উর্বর বনাঞ্চল,
নিকানো উঠোন ফুঁড়ে চাঁদ হাসে, হাসে সাক্ষ্যের হাসি/
সব-ই ফাঁদ পাতা গেরস্তের ফাঁকিজুঁকি গেরস্থালী..
ভালোবাসার ডাক শুনে মৃতরাও জেগে উঠে, (ভারতীয় সিরিয়াল দেখতে পারেন, বাড়তি উদাহরণ লাগবে না)
বোবা সুখ পাখি আর কতক্ষণই তব্দা মেরে পড়ে থাকবে! এ যে ভালুবাসার ডাক!
ছাইরাছ হেলাল
সত্য ভালোবাসাই (ফেসবুকিয়-না) একমাত্র সখ্যতা যা নিয়ে প্রকৃতি বাঁচে, আমাদের বাঁচায়।
জন্মদাগ থেকেই যায় অক্ষত ভাবে, তাই শেকড়ে আমাদের ফিরেই হয়, আমরা ফিরি।
খোঁচা সহ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, ইদের খুশি আসুক সবার জীবনে আনন্দের ফল্গুধারা নিয়ে।
রিতু জাহান
গোধূলির ঐ দীর্ঘসন্ধ্যাজুড়ে কি ছিলো অপেক্ষা মাতৃক্রোড়ে!!
মধ্যাহ্ন জীবন দীর্ঘ সন্ধ্যাজুড়ে হাসনাহেনার এলোপাথাড়ি সুবাস,,, কি যেনো ডেকে গেলো দূরের বাঁশি,, কদম ফেলার তাড়া ছিলো, ছিলো না জোর।
কেউ ডাকেনি বন্য হরিণীকে, বাজেনি থালার ঝনঝন বন্য পশু তাড়াবার।
হরিণী ফেরে হরিণীরই আবাসে,, মাতৃশিকড়ে।
ছাইরাছ হেলাল
আমরা ফিরে আসি শেকড়ের টানে কোন ডাক ছাড়াই, নিজ ভূমে নিজ উৎসে।
সুবাস ছড়িয়ে, সুবাস নিতে নিতে।
আপনাকে দেখে আনন্দিত হচ্ছি, স্মৃতি কাতরতা ও আচ্ছন্ন হচ্ছি।
ইদের শুভেচ্ছা নিয়ে ভাল থাকুন, সবার সাথে, আমাদের নিয়ে ।
ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
ভালোবাসাময় ক্ষুদ্র জগতে এক ধরনের বৃত্ত তৈরী হয়ে যায়ই, এ বৃত্তই আমাদের অস্তিত্ব, ভালোবাসার উঠোন।
বৃত্ত থেকে বেড় হলেও শিকড়ের টান থেকেই যায়। এই টানেই আমরা ফিরে ফিরে আসি।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
উৎসের টান এসেই যায় আপনা আপনি, এ তো একই বৃত্তায়ন।
আমরা ফিরি, ফিরে আসি, আনন্দের মিছিলে-সিজিলে।
ইদ শুভেচ্ছা।