হেফাজত ইসলাম নামে সংগঠনটির হঠাৎ উত্থান , ৫ ফেব্রুয়ারী কাদের মোল্লার রায়ে বিক্ষুব্ধ বাঙ্গালী জাতি যুদ্ধাপরাধীদের ফাসির দাবীতে এক হয়ে যাবার পরে এই হেফাজত ইসলাম এর আত্ম প্রকাশ। মুলত যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা এবং জামাতকে হেফাযত করার জন্য এটির অভ্যুদয় , এটি বুঝতে বেশী জ্ঞানের প্রয়োজন হয়না। প্রকাশ্যে এরা যে দাবী দিচ্ছে , তা বাংলাদেশেকে আফগানিস্থান বানানোর পরিকল্পনা । এদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে রাস্তায় নেমেছে বিএনপির যুব মহিলা দলও। এই নারীরা কি জানে – কি হতে পারে এই হেফাজত ইসলামের শাসন হলে ?
মনে পড়ে গেল প্রিয় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য এর এই কবিতাটি ।
একটি মোরগের কাহিনী -কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য
একটি মোরগ হঠাৎ আশ্রয় পেয়ে গেল
বিরাট প্রাসাদের ছোট্ট এক কোণে,
ভাঙা প্যাকিং বাক্সের গাদায়–
আরো দু’তিনটি মুরগীর সঙ্গে।
আশ্রয় যদিও মিলল,
উপযুক্ত আহার মিলল না।
সুতীক্ষ্ণ চিৎকারে প্রতিবাদ জানিয়ে
গলা ফাটাল সেই মোরগ
ভোর থেকে সন্ধে পর্যন্ত–
তবুও সহানুভূতি জানাল না সেই বিরাট শক্ত ইমারত।
তারপর শুরু হল তাঁর আঁস্তাকুড়ে আনাগোনা;
আর্শ্চর্য! সেখানে প্রতিদিন মিলতে লাগল
ফেলে দেওয়া ভাত-রুটির চমৎকার প্রচুর খাবার!
তারপর এক সময় আঁস্তাকুড়েও এল অংশীদার–
ময়লা ছেঁড়া ন্যাকড়া পরা দু’তিনটে মানুষ;
কাজেই দুর্বলতার মোরগের খাবার গেল বন্ধ হয়ে।
খাবার! খাবার! খানিকটা খাবার!
অসহায় মোরগ খাবারের সন্ধানে
বার বার চেষ্টা ক’রল প্রাসাদে ঢুকতে,
প্রত্যেকবারই তাড়া খেল প্রচণ্ড।
ছোট্ট মোরগ ঘাড় উঁচু করে স্বপ্ন দেখে–
‘প্রাসাদের ভেতর রাশি রাশি খাবার’!
তারপর সত্যিই সে একদিন প্রাসাদে ঢুকতে পেল,
একেবারে সোজা চলে এল
ধব্ধবে সাদা দামী কাপড়ে ঢাকা খাবার টেবিলে ;
অবশ্য খাবার খেতে নয়–
খাবার হিসেবে
বিএনপির মহিলা এম পি দের মিছিল । হেফাজতিরা ক্ষমতায় আসলে পারবেন এঁরা এমনি চলাচল করতে ?
১২টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
শিশির কনা , এক্সিলেন্ট । কবিতাটি খুব সুন্দর ভাবে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছেন।
এই নারীরা যদি বুঝতো কিসের আশায় তারা আন্দোলন করছে , আর এর শেষ পরিণতি কি হবে , তাহলে এরাই হেফাজতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিত অবশ্যই।
শিশির কনা
আসলেই জিসান ভাই , এরা বুঝতেছে না এদের শেষ গন্তব্য কোথায় ! বিএনপিকে জামাত গ্রাস করে নিয়েছে। এত বড় একটি সংগঠন কে নাচাচ্ছে জামাত। জামাতের ইচ্ছা বাস্তবায়নে নেমেছে বিএনপি। যেদিন বুঝবে , সেদিন আর কিছু করার থাকবে না। নারীদের পিঠে চলবে চাবুক।
যাযাবর
প্রিয় কবিতাটি পড়লাম অনেক বছর পর। ভালো মিলিয়েছেন।
শিশির কনা
ধেয়ে আসছে আফগানিস্তনি শাসন ।
বনলতা সেন
হেফাজত ইসলাম নামের হেফাজত জামাতকে রুখতেই হবে। নইলে দেশে আসবে চরম বিপর্যয় । এই বোকা মহিলারা বুঝছে না , কি নিয়ে খেলা করছে এরা।
শিশির কনা
জামাতকে রুখতেই হবে।
যাযাবর
হেফাজতিদের চক্রান্ত রুখে দিবেই এই বীর বাঙ্গালী।
শিশির কনা
সব কিছুতে বড় বিলম্ব হয়ে যাচ্ছে ।
ছাইরাছ হেলাল
চক্রান্তকারীরা অবশ্যই পরাজিত হবে ।
শিশির কনা
পরাজিত না হলে তো বেঁচে থাকাই অসম্ভব হয়ে যাবে হেলাল ভাই।
প্রজন্ম ৭১
ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে এই সমস্ত নারীরা দানব কে প্রশ্রয় দিচ্ছে। যখন বুঝবে , তখন আর সময় থাকবে না।
শিশির কনা
এদেরকে সব অন্তপুর বাসিনী করা হবে ।