প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যাবস্থায় ভ্যাট সনযুক্তির প্রতিবাদে ছাত্রছাত্রীরা গতকাল ঢাকার রাস্তায় আন্দোলন করে………………………………………এক ছাত্রীর হাতে একটি প্ল্যাকার্ড ” জয় বাংলা, ভ্যাট সামলা “। যার অর্থ জয় বাংলা একটি দলের পরচয়ের সাথে অঙ্গাঙ্গী যুক্ত । অথচ ৭১-এ জয় বাংলা ছিল প্রতিটি বাঙ্গালীর উদীপ্ত প্রাণ স্ফুলিঙ্গ । হজম করতে কষ্ট হল। কিন্তু তবুও নোংরা হতে পারলাম না । আরেক ছাত্রীর হাতে ” মন পাবি, দেহ পাবি , ভ্যাট পাবি না”। উনি কি সত্যি কোন ছাত্রী ? নাকি বারোয়ারী ? এমন শিক্ষার প্রয়োজন কি ? সইতে পারলাম না । আমার আছে শুধু কলম আর ৭১ এর আগুন শিখা ……………………
কে তুমি তরুণী ?
শালীন পোশাকে আচ্ছাদিত,
হবে নিশ্চয়ই কোন সম্ভ্রান্ত রমণী ।
তোমার হাতে উৎকীর্ণ প্ল্যাকার্ড
তুমি বাংলা বোঝ ,
বোঝ কি বাংলা অভিধান ?
জয় বাংলা-বাংলার উদীপ্ত শ্লোগান
জেগেছিল সাড়ে সাত কোটি প্রাণ।
কে তুমি তরুণী ?
একাত্তুরের ধর্ষিতা মায়ের অপজাত নও তুমি
পেয়েছ সুখতৃপ্ত বাস,
একখন্ড স্বাধীন জন্মভু্মি
তাই কি বোঝ না
বোঝ না নিষিক্ত আবহ বাংলার গান ।
কে তুমি তরুনী ?
তোমার উচ্চকিত প্ল্যাকার্ড
রক্ত, রক্তের দুর্গন্ধ নির্যাস
ভূলুণ্ঠিত আমার জননী ।
কে তুমি তরুণী ?
তুমি কি নব্য রাজাকার ?
তুমি কাকে ভয় দেখাও ?
ভয়ের কঙ্কালে যার বীজ অঙ্কুরোদগম
বেওয়ারিশ লাশে তার বিশ্রাম শয়ান ।
আমি আজো আলোকবর্তিকা
আত্মকথন নয়, যুদ্ধবাজ আমি,
আমি জয়বাংলা
সবাধীন আলোর শিখা ।
১১/০৮/১৫
১৯টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
ব্যাপার গুলো সত্যি ই লজ্জা জনক,,,,
পারভীন সুলতানা
একান্ত নিরপেক্ষ হয়ে বলছি, হায় একি অবক্ষয় ! আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে ।
জিসান শা ইকরাম
”মন পাবি, দেহ পাবি , ভ্যাট পাবি না”
এর উত্তরে যদি কোন তরুণ বলে বসে ”ঠিক আছে মন আর দেহ দেন আমাকে,ভ্যাট আমি দিয়ে দেবো”
তাহলে কেমন হয়?
এই তরুণেরা মোবাইল ইউজ করে বছরে ২-৩ টি।
ব্যান্ড শো বা শাহরুখ খানকে দেখতে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে পারে
শুধু ভ্যাট দিতে পারবে না। ফালতু সব।
প্রতিবাদী লেখাটি খুবই ভালো হয়েছে।
পারভীন সুলতানা
অনেক ধন্যবাদ ।
নীতেশ বড়ুয়া
মজার ব্যাপার হচ্ছে এই ভ্যাট দিতে হবে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই যা এতোদিন দেয়নি। কিন্তু ছাত্রদের কাছ থেকে সেটা আদায় করতে পারবে না প্রতিষ্ঠানগুলো। এই ব্যাপারটা সামনে না আসা পর্যন্তই আমাদের অনলাইন প্রতিবাদকারীরা তাঁহাদের চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে ফেলেছেন নানানভাবেই।
এখন যে কোন প্রতিবাদে উচ্চারিত হয়ঃ জয় বাংলা… জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো, জয় বাংলা!
অবাক করার ব্যাপার হচ্ছে কিসের আগুন, কার আগুন এই সময়ে জয় বাংলায়!! কেউ বুঝে না আর ‘জয় বাংলা’ আসলে কার…
আমাদের সামাজিক আর মানসিক শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থান আজকাল এই…
পারভীন সুলতানা
আমি বুঝি না , জয় বাংলায় এত আগুন জ্বালাতে উদ্গ্রিব কারা ?
নীতেশ বড়ুয়া
‘জয় বাংলা’ পুঁজি করছে যারা…রাজাকার বিরোধী আনন্দোলনকে মছে রুপান্তরকারীরা, মানবন্ধনকারীরা আর নিজেই যে বাংলার অবিচ্ছেদ্য অংশ সেই সব রাজনীতিবিদরা…
শুন্য শুন্যালয়
দুঃখজনক হলেও সত্যি জয় বাংলা দলীয়করন কিন্তু নতুন কিছু নয় আপু। এদেশের সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে দেয়ালের জাতির পিতার ছবি পরিবর্তন হয়েছে এমনটাও দেখেছি। এ দোষ সব আমাদের। 71 এর সে আগুন ধরে রাখতে পারিনি। পরের যে প্ল্যাকার্ডের কথা বললেন আপু, ছি: বলবো তাকে আর কিছু নয়। নারীদের অবমাননা সবচাইতে বেশি করে নারী।
কবিতাটি অসম্ভব ভালো হয়েছে।
পারভীন সুলতানা
খুউব সত্যি কথা বলেছেন, নারীদের অবমাননা যা নারীরাই করেছে তা। পুরুষ তার সহযোগী হিসাবে কাজ করেছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ।
মরুভূমির জলদস্যু
হুম, এমনটাই
পারভীন সুলতানা
ঘৃণাকে ঘৃণা করতে পারছি না।
আবু খায়ের আনিছ
দুষ্টের কাজ অন্যের অনিষ্ট করা, আন্দোলন হচ্ছে আর হবে, এখন যদি ভ্যাট বন্ধ না করা যায় হয়ত অদূর ভবিষ্যতে এর পরিমাণটা আরো বাড়বে। কিছু মানুষের এই আন্দোলন এ চুলকানী আছে আর কিছু আছে অতি উৎসাহী। নিজেকে টাইম লাইনে আনার কৌশলটা এরা ভালো করেই জানে, আবার ভালো কাছে বাধা থাকবেই।
জয় বাংলা কথাটার যখন জন্ম হয় আর যেই সব মানুষগুলো এর জন্ম দেয় তাদের সময়কার কথাগুলো চিন্তা করলে যেমন কষ্ট হয়,তেমনি মন থেকে একটা প্রতিবাদ,একটা অগ্নিশিখা জ্বলে উঠে অন্যায়,অত্যাচার এর বিরুদ্ধে।
পারভীন সুলতানা
আমি যে সেই কস্ট বুকে ধারন করে আছি। নেহাতই বালিকা ছিলাম বটে কিন্তু জয়বাংলায় আমি নিজেকে ফিরে পেয়েছি বারংবার ।
ইমন
এদের মতো স্টুডেন্টদেরকে এতোদিন দেশের আলো-বাতাসের নির্মম অপচয়ের জন্য কুটি পার্সেন্ট ভেট আদায় করে দেশ থেকে বিদায় করা হোক। ^:^
পারভীন সুলতানা
কয়জনকে বের করবেন , এরা যে সর্ষের ভুতের মত । ভুত ছাড়ানো খুব মুশকিল । আসলে নৈতিক অবক্ষয় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।
নীলাঞ্জনা নীলা
হায়রে অবক্ষয়। এ কি শিক্ষা!!! ছিঃ!!!
আপা এসব মেয়েদের জন্য আমরাও সম্মান হারাই।
অসাধারণ একটি কবিতা লিখেছেন। (y) -{@
পারভীন সুলতানা
অনেক ধন্যবাদ। মন্টা বিদ্রোহ করে উঠল , তাই লিখলাম।
অরুণিমা
ছিঃ!!!
পারভীন সুলতানা
অপূর্ব !