
অবশেষে শেষের কবিতাও শুরুতেই সান্ধ্যব্রত মাগে –
পথের সন্যাস পথ ভোলে কুহেলী কুয়াশা মেখে,
দায় ঠেলে মুখ ফেরাতে চায় আলোকের পানে – অদ্ভুত
ব্রত ভুলি বলে সব অসতী আলেয়ার খেল
অনির্বাণ- তোমার মাস্তুলের নিশানা কি আজ হেরফের ।
তোমার পদযাত্রা পথের ধূলিতে হবে ম্রিয়মান-
এ আমার বোধগম্য নয়,
অগ্ন্যুৎপাত বন্ধ হতে পারে তবে অগ্নি অক্ষয়
তুমি বর্ষমান ফল্গুধারা- মহাকালের অবিনশ্বর স্মৃতির পাতায়।
যেখানে আলো আছে, আছে বারুদের গোলাঘর
শূন্য রিক্ত হাতে এসেছিলাম- করে দিলে সিক্ত সজল
তারপর দখিনা পবনে পাল তুলে চলে গেছে সুদীর্ঘ সময়
অন্তরীক্ষে নীলের ছড়াছড়ি- নীল পুষেছি আমি ও আমরা
বিউগলে করুণ অথচ প্রশান্তির তরঙ্গ রাশি
তুমিই মহারাজ তুমিই এ তল্লাটে অদ্বিতীয় কলমী ঈশ্বর ।
কেউ কেউ দূরত্ব টানে বর্ণ শব্দ চরণে, দূরত্ব টানে সবিনয়ে
সংগোপনে, প্রিয়সময় প্রিয়মুখ প্রিয় প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে
সরে যায়- সুদূরে হারায় অথচ ক্লান্তির আঁচলে ঢেকে –
সতীর্থের দুঃসহ রোদন, তোমাকে চাই হে শব্দ খেলার ঈশ্বর
আমি ও আমরা কেবল তোমাকেই চাই –
কথা দাও কখনো তুমি আমাদের ছেড়ে যাবেনা ।
ফটো : Sushma_Sadaf
২১টি মন্তব্য
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অতুলণীয় উপমার সামাহারে
অনন্য অনুভূতির ব্যক্ততা।
অফুরাণ মুগ্ধতা রইল পাতায়।
আন্তরিক শুভ কামনা জানবেন সতত।
ত্রিস্তান
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা অনিমেষ সুপ্রিয় ব্লগার। ভালো থাকবেন সবসময়, শুভ কামনা নিরন্তর।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আমিও অবাকই হই মাঝে মাঝে। আমি কঠিন শব্দ সংকোটে ভুগি অথচ এ তল্লাটে একজনই শব্দের খেলায় ভাসেন। তার শব্দ চয়নে আমরা নাজেহাল। এটি শুধু তার দ্বারাই সম্ভব। শুভ কামনা দুজনের জন্যই।
ত্রিস্তান
আমি নজরুলের সমস্ত লেখা পড়েছি, বোধে বাঁধে যখন মহারাজাকে পড়ি, কি সহজ বাংলা অথচ বুঝতে চেষ্টা করলে মাথা চক্কর দিয়ে উঠে। একটা লাইন কয়য়েকবার পড়তে হয়। বঙ্কিমের উত্তরসূরী বললেও ঠিক মানানসই হয় না।
দাদার একটা কবিতায় বিয়োগের অনুজ্জ্বল আভাস ছিলো বলে মনে হয়েছে। আমি মানতে পারিনি। আমরা এতো সহজে হারাতে চাইনা। দাদা না থাকলে আমার ব্লগিং খুব খারাপ হয়ে যাবে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
তার তুলনা শুধু সে-ই। অন্য কারো সাথে মিলবে না। শব্দের অফুরন্ত ভান্ডার নিয়ে থাকেন। আপনি ও কম যান না। এতো কঠিন কঠিন শব্দ, উপমা কিভাবে করেন? ঈশ্বর আপনাদের দুজনের মঙ্গল করুন। অফুরন্ত শুভকামনা রইলো
ত্রিস্তান
মহারাজের তুলনা কেবলি মহারাজ। কলমী ঈশ্বর, শব্দের জাদুকর, শব্দ স্রষ্টা কোন উপমাতেই আমি মহারাজকে সীমাবদ্ধ করতে চাইনা। শব্দ খেলায় আমাদের মহারাজ কেবলিই মহারাজ। অনেক অনেক শুভকামনা দিদি।
রেজওয়ানা কবির
আমি কবিতা কমই বুঝি তাও আবার এমন কঠিন কঠিন শব্দে সাজানো সুন্দর উপমায় লেখা। তবে এটুকু বুঝি,, চমৎকার ভাব আছে কবিতার অনেকটা রিসেন্ট হিট হওয়া শ্রীলঙ্কার মেয়েটির গানের মতো,সেই গানের ভাষা বুঝি না কিন্তু মনে হয় বার বার শুনি। দারুন লাগে।
শুভকামনা।
ত্রিস্তান
আমি শ্রীলঙ্কান কিছু গান শুনি । তার মধ্যে সাবুরী গানটা খুব শুনতাম তবে এই মেয়েটার গানের কিছুই বুঝলাম না…হয়তো ওদের আঞ্চলিক ভাষা হবে হয়তো। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
হালিমা আক্তার
বাহ্! কি সুন্দর শব্দ চয়ন। একদম মহারাজের মতই।
শব্দের বিন্যাস মুগ্ধতা ছুঁয়ে গেল। দুজনের জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ত্রিস্তান
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন সবসময়।
ছাইরাছ হেলাল
বিস্তীর্ণ সময়ের পথে পথে কত কী -ই-না ঘটে, দেখা হয়,
কিছু থাকে সুখ স্মৃতি হয়ে কিছু দুঃখের, খুব ই সাময়িক বিভ্রম বা ভালোলাগা।
তবুও আমাদের পথ চলা চালু থাকে , আমরা পথেই চলি।
ত্রিস্তান
তব সমান্তরাল রেখায় চলে যাবো বহুদূর – বহুদূর
সফলতার সোনালী পালক; শিরোঙ্কিত হবে- হবে রাজমুকুটসম,
ঈষাণ অগ্নি আলোকিত করে ঘুচাবো কালান্তিকের কালো
ও হে ঈশ্বর, তবে এখনি সময় –
জ্বালো, তোমার দ্বীপশিখা জ্বালো ।
সাবিনা ইয়াসমিন
জবাব পোস্ট দারুণ হয়েছে।
আপনি যথার্থই একজন কবি। মহারাজকে তার উপযুক্ত দক্ষিণা দিলেন।
ধন্য হোক সমর্পণ, শুভ কামনা 🌹🌹
ত্রিস্তান
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা সোনেলা ব্লগের কাছে। সোনেলা সেই প্ল্যাটফর্ম যেখানে না আসলে আমি আমাকেই হয়তো চিনতে পারতাম না। কৃতজ্ঞতা আপনার প্রতিও নিয়ত অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত করার জন্যে।
আরজু মুক্তা
মুগ্ধতা রাখলাম।
ত্রিস্তান
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আর ভালোবাসা আপু। ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা।
মনির হোসেন মমি
তুমি বর্ষমান ফল্গুধারা- মহাকালের অবিনশ্বর স্মৃতির পাতায়।
বাহ্ চমৎকার উপমা।।
ত্রিস্তান
অসংখ্য ধন্যবাদ দাদাভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
অপূর্ব প্রকাশ — সতীর্থের দুঃসহ রোদন, তোমাকে চাই হে শব্দ খেলার ঈশ্বর
আমি ও আমরা কেবল তোমাকেই চাই –
কথা দাও কখনো তুমি আমাদের ছেড়ে যাবেনা ।
ত্রিস্তান
কৃতজ্ঞতা অনিমেষ প্রিয় সহযাত্রী। শুভ কামনা নিরন্তর।
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
আপনার প্রতিও শুভ কামনা অফুরান।