
শূন্যতার ঘাসফড়িং
নিপুণ দর্শকের গাঢ়-চোখ এড়িয়ে
বিভ্রান্ত ঘাসফড়িং আয়না চোখে,
কী-যেন কিছু একটা খুঁজে বেড়ায়
আনন্দের সাজঘরে,
ঝাড়-বাতির মিহি ঘোলাটে আলোয়
শিশির-সম্ভ্রম ভুলে;
হেলতে-দুলতে থাকা ছায়াগুলো
গভীর ক্লান্তিতে নুইয়ে পড়ছে
ঝিলিক বিহীন শীতল নর্তকীর চোখের মত,
প্রদীপগুলো এক-চোখা হয়ে
এখনও জেগে আছে;
নিথর-পাথর ভেদ করে, ঘাসফড়িং শূন্যে মিলায়
মৌন সম্মতির উদ্ভাসন ফেলে
অনার্দ্র বুদ্বুদের মত, করোনার এই আকালে;
ছবি……নেটের।
২৮টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভীন
করোনার এই অকালে
ঘাসফড়িং এর মতো আমরাও রয়েছি চেয়ে
খুঁজেছি চলেছি মুক্তির উপায় শূন্যে দুহাত তুলে
করুণাময়ের করুণা পেলে বেঁচে যাই সবে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো দেখছি মন্ত্যব্যে বেশ সুন্দর কবিতা লিখে ফেলেছে।
অবশ্যই আমরা একমাত্র তাঁর-ই সাহায্য চাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
মুক্তি চাই , করোনার ছোবল থেকে মুক্তি চাই। ঘাসফড়িংয়ের মতো হেথায়, সেথায় যেতে চাই। খুব ভালো লেগেছে। শুভ কামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই মুক্তি চাই, তা ঘাসফড়িং বা ইন্য সে কন রূপে।
আপনার জন্য ও শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
বিভ্রান্ত ঘাসফড়িং শেষ পর্যন্ত উড়াল দিছে নাকি?
ছাইরাছ হেলাল
ফড়িং জীবন তো উড়ন জীবন!
সে উড়বেই, এটি-ই তার নিয়তি।
কেমন করে কীভাবে, শুধু তা আমরা জানি না।
তৌহিদ
প্রকৃতির বিষন্নতায় ঘাসফড়িং এরও মন খারাপ। মানুষ যেখানে করোনায় আক্রান্ত তাদের চোখতো ফাঁকি দিতেই হবে। বাঁচতে হবে যে!!
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের মত সবাই বাঁচতে চায়, কিন্তু কে কীভাবে বাঁচবে বা না, তা আমরা কেউ -ই জানি না।
ভাল থাকতে-ই হবে।
তৌহিদ
হ্যা ভাই এর বিকল্প নেই
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ,
সুপায়ন বড়ুয়া
“শূন্যতার ঘাসফড়িং
নিপুণ দর্শকের গাঢ়-চোখ এড়িয়ে
বিভ্রান্ত ঘাসফড়িং আয়না চোখে,
কী-যেন কিছু একটা খুঁজে বেড়ায়
আনন্দের সাজঘরে,”
যাক এই বিপন্ন করোনা কালে ও
ঘাসফড়িং আনন্দের সাজঘরে খুঁজে
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই, সবাই আনন্দ-বাঁচন চায়, আমরাও যেমন চাই।
ভাল থাকবেন অবশ্যই।
ফয়জুল মহী
এক রাশ মুগ্ধতা ।মনোরম লেখনী ।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে।
রেহানা বীথি
আমরাও বিভ্রান্ত, কবে পাবো শূন্যে ওড়ার ডানা!
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষার পালে হাওয়া এলেই সব পেয়ে যাব।
ভাল থাকুন।
ইঞ্জা
নিথর-পাথর ভেদ করে, ঘাসফড়িং শূন্যে মিলায়
মৌন সম্মতির উদ্ভাসন ফেলে
অনার্দ্র বুদ্বুদের মত, করোনার এই আকালে;
খারাপ বলেননি ভাইজান, খুবই সত্য বলেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ছেন দেখে ভাল লাগল, ভাই।
ইঞ্জা
শুভকামনা ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেও শুভেচ্ছা, ভাই।
কামাল উদ্দিন
আপনার ছবিতে কিন্তু ঘাস ফড়িং নাই। এটা এক অনন্য সুন্দর ফড়িং। আমাদের গ্রামের ভাষায় আমরা একে বিলাতি ফড়িং বলে থাকি।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক বলেছেন, ঘাসফড়িং এর ছবি খুঁজতে গিয়ে এই ছবির কাছে প্রকৃত ছবি ধরা খেয়েছে।
নীল আমার পছন্দের রঙ, তাই বুঝতেই পারছেন, ঘটনাটি কী!
ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
আমারও পছন্দের রং নীল
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, তা হলে তো মিলে গেল।
হালিম নজরুল
“হেলতে-দুলতে থাকা ছায়াগুলো
গভীর ক্লান্তিতে নুইয়ে পড়ছে
ঝিলিক বিহীন শীতল নর্তকীর চোখের মত”
———-চমৎকার পঙক্তি
ছাইরাছ হেলাল
ভালোলেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
ভাল থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
নাম রাখলেন ঘাস ফড়িং আর ছবি দিলেন প্রজাপতি ফড়িং এর! আপনি তো শুরুতেই ধাধায় ফেলেছেন!!
ঘাস ফড়িং উড়ে কম লাফায় বেশি। এক ঠ্যাং নিয়েও যেতে পারে বহুদূর। মানে চেষ্টায় তার কোনো কমতি রাখে না।
নীল ফড়িং / প্রজাপতি ফড়িং ( ছোট বেলায় এই নামেই চিনেছি) এটা দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি খুব-খুব নাজুক। একটু স্পর্শ পেলেই দিশাহারা হয়ে যায়। শুধু কি তাই! এদের গায়ে শিশির বিন্দুও সহ্য হয়না। জমে যায় এক বিন্দু শিশিরের ভারে। উড়তে পারেনা, অসহায়ের মতো মৃত্যুর প্রতিক্ষায় পরে থাকে।
এখন বলুন, এই লেখায় ঘাস ফড়িং এর কি কাজ? আর নাজুক ফড়িং এর অসহায়ত্ব কেন উন্মুক্ত করলেন?
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত কঠিন প্রশ্নের উত্তর হয় নাকি!!
ঘাস ফড়িঙয়ের সবটুকু সহায়ত্ব/অসাহায়ত্ব সহ-ই ভালোবাসি।
তাই উন্মুক্ত বা অ-উন্মুক্ততায় কী-ই বা আসে যায়।
ধন্যবাদ দিচ্ছি, নিরাপদে আছেন বলে।