
স্রোত-নদীর মত কাউকে চাই,
ভাসবে, ভাসাবে, জলের তরঙ্গে তরঙ্গে,
এক চুমুক-স্রোতে বিষ-জল ছুঁড়ে ফেলে দেবে
সব জ্বালা জুড়িয়ে!!
এমন কাউকে চাই——–
সবুজ-কবিতায় তোলপাড় তুলে
জমানো বুক-ব্যথা মুছে দেবে
শব্দহীন নিবিড় উচ্ছাস-উৎসবে!!
হোক সে রাতজাগা নিরক্ষর বিভ্রান্ত পথের পথিক,
ভুল-ভাল পাসওয়ার্ডে সারাক্ষণ ঘুর ঘুর করে
এ-পাতা থেকে ও-পাতায়, শরীরী ভাঁজে ভাঁজে;
চোখের আগুন ছুঁড়ে ভস্ম করতে ইচ্ছে করে,
গণিতে এত কাঁচা! কী করে অংক শিখবে/শেখাবে
ত্রস্ত হাতে বোতামছিঁড়ে! হিশেব মেলাতে মেলাতে!!
শূন্যস্থানে পড়ে আছে দাবার ছক,
দক্ষ দাবাড়ুর হাতে, বলে কয়ে কিস্তিমাত!
সে তো চাই-ই;
ছবি ও গান নেটের।
২৮টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
প্রতিটি লেখার পেছনে আপনি একটা গল্প রাখেন।
এবার বলে ফেলেন এই লেখার পেছনের গল্প।
আমি আন্দাজে ধারনায় ধারনা করার ধৃষ্ঠতা করা থেকে বিরত রাখলাম নিজেকে🙂
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, আপনি তড়িৎ এসে গেলেন!
কোন গল্প নেই, আরজুকে মন্তব্য করেছিলাম, দেখুন।
তার পরে আর একটু লিখে আপনাদের দরবারে পেশ করলাম।
এবার বলুন কী বলবেন!!
বন্যা লিপি
ঠিক ধরেছি!!!! আমি আগে বলতে চাইনি….. যা ভেবেছিলাম লেখা পড়ে,আপনি তাই বললেন।
আপনার সাহায্য লাগবে আমার।কিভাবে পেতে পারি, রাস্তা বাৎলে দিয়েন।
লিখতে পারছিনা, ভাবতে পারছিনা,যাচ্ছেতাই অবস্থা……
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন অনলাইনে দোয়া করা শুরু করিনি, অফ লাইনে দোয়া দেই, সে কিন্তু কার্যকার!!
কাজেই টিনের বাক্সের ব্যাপারটি ফয়সালা হয়ে গেলে আর চিন্তা নেই।
হাপুস-হুপুস করে খাওয়া চালু হয়ে যাবে।
ভাবতে বসুন পানের ডিব্বা নিয়ে!!
বন্যা লিপি
এইরে!!! সব ঘোরেল কথা কী আর এত বুঝি নাকি!!
দোয়াও লাগবে আবার টিপস ও লাগবো।এহন কন কেমনে কি?
ছাইরাছ হেলাল
লেইখ্যা ফাডাইহালাইবেন এমন কিছু না,
প্রাণ দিয়ে/খুলে ডায়েরি লিখুন, সাথে থাকবো!
সুরাইয়া পারভীন
যা বাবা
আমি প্রথম এলাম
আর মন্তব্য লিখতে লিখতেই দ্বিতীয় হয়ে গেলাম🤔🤔
ছাইরাছ হেলাল
আরে ব্যাপার না, কবির জন্য।
সুরাইয়া পারভীন
নদীর ধর্মই বয়ে যাওয়া
তাও যদি হয় স্রোতস্বিনী নদী
তবে তো অবশ্যই বিষ-জলে ডুবাবে
তারপর এতে জ্বালা জুড়াবে নাকি বাড়বে বলা মুস্কিল!
রাতজাগা বিভ্রান্ত ভুলোমনা অংকে কাঁচা
এমন একটা পথিক চেয়ে নিজের বিপদ বাড়ানো কেনো শুনি?
ছাইরাছ হেলাল
শুনুন, অনেক শিক্ষক আছে যে পড়াতে ভালোবাসে,
ভুল-ভাল হলে বারে বারে শেখানোতে হয়ত তুমুল আনন্দ লুকিয়ে থাকতেও পারে।
আপনার লেখা কৈ?
ভাল থাকুন।
সুরাইয়া পারভীন
তবে এমন একজন শিক্ষক আমারও চাই
চাই-ই-চাই
এমন শিক্ষকের সহচার্যে এলে নিরক্ষরতার পাশাপাশি
সমস্ত অনিয়ম উচ্ছৃঙ্খল থেকে পরিত্রাণ মিলবে
সাথে বড্ড এলোমেলো, খানিক উসকোখুসকো আর অনেক উড়নচণ্ডী আমিকে মানুষ বানাবে 🤦
ছাইরাছ হেলাল
তাই তো আমিও তো এমুইন-ই মারদাঙ্গা ওস্তাদ খুঁজি,
পেলে জানান দিয়েন, ভর্তি হয়ে যাব।
নিতাই বাবু
আমি দাবাখেলা বুঝিই না। আবার কবিদের কঠিন শব্দ গাঁথুনির নির্মাণ কবিতা একেবারেই না। তবু্ও পড়ি মাথায় ঢুকে না। ঢুকাতে চাইলেও সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। তারপর এই সাদা মগজ সাদাই রয়ে যায়।
সাথে আছি।
ছাইরাছ হেলাল
শুধু সাথে থাকাটুকুই আমাদের চাওয়া, তা পাচ্ছি, এটি অনেক পাওয়া।
ভাল থাকুন।
প্রদীপ চক্রবর্তী
সত্যি বলতে কি আপনার লেখা দুবার পড়া ছাড়া আমি কখনো বুঝতে পারিনা।
আজও তাই!
দাবার ঘুটির থাবায় কিস্তিমাত।
আর শূন্যস্থান কখনো শূন্য থাকে না বরং একদিন না একদিন পূর্ণতা আনবে।
সে সাথে সেসবের অঙ্ক মিলে যাবে।
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক বলেছেন, শূন্যস্থান বলে কিছুই নেই, থাকেও না।
আপনি মন দিয়েই পড়েন, তা জানি।
ভাল থাকুন।
হালিমা আক্তার
নদী ভাসে এবং ভাসায়। নদী কাউকে ভালোবেসে ছুড়ে ফেলে দেয় কিনা জানিনা। নদী গিরিখাতে বয়ে আনা সকল কষ্টকে জয় করে, কিছুটা ফেলে যায় চরের বালুকণায়। কিছুটা নিয়ে যায় সাগরের মোহনায়। শূন্যস্থান হয়তো ক্ষণিকের তরে থাকে কিছু শূন্যতা। এক সময় কিছুটা হলেও পূর্ণতায় ফিরে আসে। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, অনেক সুন্দর করে বলে ফেলেছেন।
স্রোতে বয়ে যাওয়াই নিয়তি, পথে কিছু ফেলেও যাই আমরা। জেনে না-জেনেও।
ভাল থাকুন।
আরজু মুক্তা
ভালো দাবাড়ু তো কিস্তিমাত করতে চাইবেই তাই বলে প্রতিপক্ষ ছেড়ে দিবে কেনো? প্রতিপক্ষকে অবশ্যই ভাবতে হবে সেও আমার মতো। আমিও খেলেই যাবো।
শুভ কামনা সবসময়
ছাইরাছ হেলাল
কেউ কারে নাহি ছাড়ে, সমানে সমান!!
কুরুক্ষেত্র চালু রাখতে চান!! নো ডাউট জয়ের পাল্লা হেলে যাবে আপনার-ই দিকে।
শুভেচ্ছা।
আরজু মুক্তা
ভাব নিলাম জয়ের।
ছাইরাছ হেলাল
জয় যখন অবধারিত!!
সাবিনা ইয়াসমিন
দুটো বিশ্রি খেলার নাম জানি, একটা লুডু আরেকটা দাবা। লুডুওয়ালারা গুটি চালতে চালতে কখন মারামারি শুরু করে দেয় নিজেরাই টের পায় না। আর দাবাড়ু! এরা খেলতেই থাকে খেলতেই থাকে, তারপর ঘুমের মধ্যেও খেলে। এদের জগৎটাই এক সময় দাবার ছঁকে পরিনত হয়ে যায়।
এটা হলো শিরোনাম আর ফিচার ছবির মন্তব্য।
লেখার মন্তব্য দিলাম না, সবাই দিয়ে দিয়েছে 🙂
ভালো থাকুন মহারাজ, শুভ কামনা 🌹🌹
ছাইরাছ হেলাল
আমরা কেউ-ই এই খেলার বাইরে না, কে কীভাবে খেলছি/খেলছে সেটাই ভাবনার বিষয়।
না-খেলার ভান ধরে খেলতে পারাও কম কিছু না।
আপনি ও আনন্দে থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
দাবার কুটচাল, প্যাঁচগোচ আমি বুঝিনা একদমই। শুধু এমন একজনকে চাই যে আমার মনের শূণ্যস্থান পূরণ করবে কিস্তিমাতের মতোই। অফুরন্ত শুভকামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
আপনার চাওয়া অবশ্যই পুরণ হবে, একটু অপেক্ষা করা লাগবে বলে মনে হচ্ছে!!
আপনি যে কৈ কৈ থাকেন!!
ভাল থাকবেন আপনি।
জিসান শা ইকরাম
আসবে এমন একজন হঠাৎ করেই আগাম জানান না দিয়েই,
এমন একজনের অপেক্ষা থাকে সবারই,
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষাই জীবন, পাওয়া না-পাওয়া মিলিয়েই সুখ খোঁজা,
এটাই হয়ত প্রকৃতির নিয়ম।
ধন্যবাদ।