সকালঃ
আম্মা,ভাবি,ভাতিজী আর বুয়ার দুইটা পিচ্চি নিয়ে টিভি দেখতে বসেছি । এটিএন বাংলায় হচ্ছিলো “পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী” আর এনটিভিতে “তারকাঁটা” । দুইটাই মোটামুটি মানের হলেও দেখতে ভালোই লাগছিলো
আমি কিছুক্ষন এই ছবি দেখি আর কিছুক্ষন পর আবার ঐ ছবি দেখি(এক সাথে দুইটাই দেখে ফেলার ইচ্ছা ছিলো আরকি), রিমোট আমার হাতে থাকায় সবার আমার ইচ্ছামতই আমি যা দেখছি তাই দেখতে হচ্ছিলো । আমার ভাল্লাগছিলো “তারকাঁটা” বেশি, মাঝে মাঝে আশিকি ২ এর নকল মনে হলেও দেখতে খারাপ লাগছিলো নাহ
কিন্তু বাকি আর সবার মনে হয় “পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী” ভালো লাগছিলো বেশি(সাকিব খান ছিলো নাহ ? বুঝতে হবে তো :p) ।
আমি চ্যানেল চেঞ্জ করলে কেউ কিছু না বললেও বুয়ার পিচ্চি দুইটা চিল্লানো শুরু করছিলো “অ্যান্টি ঐটাতে দেও” বলে । তাদের মধ্যে সাকিব খান আবার একটু বেশিই জনপ্রিয়
আমি মাঝে মাঝে হাসছিলাম, মাঝে মাঝে রাগ করছিলাম, মাঝে মাঝে ঐ চ্যানেলে দিচ্ছিলাম নাহ কিন্তু তাও চ্যানেল চেঞ্জ করলে তারা এটা বলবেই ঠিক করেছিলো হয়তো তাই ……
বিকেলঃ
দুপুরে ছোটখালামনির বাসায় পোলাও আর কলিজা ভুনা খাওয়ার দাওয়াত । সব মেয়েরা ঠিক করেছি শাড়ি পড়ে যাবো, সেই অনুযায়ী রেডি হতে মাত্র ১ঘন্টা সময় লেগেছে সবার
খালামির বাসায় ঠিক দুপুর ৩টায় গিয়ে পৌঁছানোর পরই খালামনি “খাইতে আসছো যখন খাও” বলে টেবিলে খাবার দিয়ে দিলো
খাওয়ার পর (সবাইকে যে রোগে ধরেছে সেটা কি আর আমাদের ছাড়বে ?) শুরু হলো সেলফি তোলা
সেটা গিয়ে একদম সন্ধ্যা পর থেমেছে
আল্লাহ মানুষ এত্ত সেলফি তুলে কিভাবে (ইঙ্কলুডেড মি) ??
সন্ধ্যাঃ
ছোটখালামনির বাসা থেকে বের হয়েছি মেঝো খালামনির বাসায় জাবো, রিক্সায় আমি সহ আরো দুইজন । রিক্সা চলছে আর সাথে আমাদের হাসাহাসিও । কিছু দূর যাওয়ার পর রাস্তার পাশে ফুচকা বা চটপটি খাচ্ছিলো এমন একটা ছেলে চিৎকার দিয়ে উঠলো “সুন্দর” বলে । আমিও সুন্দর করে “বান্দর” বলে দিলাম, কিন্তু পোলাগুলা এত্ত বদের বদ যে মোটরবাইক নিয়া অনেকদূর পর্যন্ত পিছনে আসলো । এ ব্যাপারে আর কিছুই বলার নেই কারন এগুলাকে আমি সোজা বাংলায় পাগল কুত্তা বলি
রাতঃ
বিয়ের বয়স কমানো প্রসঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে মেঝো খালামনি এইটে পড়ুয়া মামাতো ভাইকে বললেনঃ আচ্ছা বলো তো মেয়েদের জামাই মরে গেলে বিধবা বলে কিন্তু ছেলেদের বউ মরে গেলে কি বলে ?
মামাতো ভাই এককথায় জবাব দিলোঃ সৌভাগ্যবান
খালামনিঃ আচ্ছা বুঝছি তুই বেটা চালাক । একটা মরলে আরেকটা বিয়ে করবি তাই সৌভাগ্যবান বললি
মামাতো ভাইঃ নাহ আমি জোড় সংখ্যা লাইক করি নাহ করলে তিনখান করুম
আমি পাশ থেকে বললামঃ বুঝছি কেন তিনখান করবি ?
মামাতো ভাইঃ কেন ?
আমিঃ দুইবউ একটা আরেকটার চুল ছিঁড়লে তুই যাতে তিন নাম্বারটারে নিয়ে আরামে থাকতে পারিস তাই
এখনঃ
রিলাক্স হয়ে ফেবু চলাচ্ছি আর ভাবছি ঈদের একটা অনুষ্ঠানও তো ভালো করে দেখলাম নাহ
কাল থেকে সকাল,বিকেল,সন্ধ্যা,রাত শুধু টিভি দেখবো
একটা ভালো অনুষ্ঠানও বাদ যাবে নাহ
বি দ্রঃ কোন ভালো ব্যান্ড বা আর্টিস্টের লাইভ মিউজিক প্রোগ্রাম হলে আমাকে জানাবেন তো
এগুলা আবার আমি বিরাট পছন্দ করি
৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
ঈদনামচা ভালই লাগল। বান্দর এড়িয়ে চলুন।
এত দিন পর লিখলে হপে না। বেশি বেশি লেখা চাই।
এবারের লেখাটি কিন্তু ভাল হয়েছে।
কৃষ্ণমানব
হুম , উহুম , ওম ।
লেখাটা পড়ে একটা গানের কথা মনে পড়ে গেলো ,,
যদি বান্দরনী সাজোগো ,
আরো সুন্দর লাগবো গো :p
আজকাল মেয়েরা রাস্তঘাটে চরম পরিমানে ইফটিজিং এর বহিঃস্বিকার হয় ।
ঈদের দিনো রক্ষা নেই !!
এক ধরনের বিকৃত মন মানুষিকতা তাদের ঐ পর্যায়ে ধাবিত করে …
অতঃফর
আপনার খালাতু ভাইয়ের বুদ্ধির চরম তারিফ করিতে হইপে !!
আমিও ঐ জায়গায় থাকলে তাই করতাম :p
জানি না ,
কতটুকু সেরা সময়
কাটিয়েছন ,,
পরিশেষে বলি
কিছু সেলফি
বিশেষ এলবামে
রেখে দিয়েন ,,।
তাহলে পরবর্তীত ছবি দেখলেই মনে পড়িবে ,,
আহা কি মধুর সৃত্মি 🙂
সুখের সময়গুলো এভাবেই ভাগ করে দিবেন ,
সবার মাঝে ..
শুভাকাঙ্খী হিসেবে
ভালো থাকাটা প্রত্যাশা করি !!
মরুভূমির জলদস্যু
সকালে নামাজ, নামাজ শেষে কোরবানী, সমস্ত কজ শেষ হতে হতে ৪টা। বিকেলে মিরপুর উকিল শ্বশুরের বাড়িতে গোস্ত নিয়ে যাওয়া। রাতে ঘুম। ঈদ শেষ।
নুসরাত মৌরিন
বাহ্ খুব মজার একটা দিন কাটিয়েছেন তো!! 🙂
মিজভী বাপ্পা
ডাকু সেজে সারাদিন নেটেই পরেছিলাম 🙂
লীলাবতী
আপনার উপস্থাপনা অত্যন্ত আকর্ষনীয় আপু। লিখুন নিয়মিত।
খেয়ালী মেয়ে
ভালোই ঘুরাঘুরি করছেন দেখি–
কৃন্তনিকা
ঈদ তো তাহলে বেশ মজার কেটেছে…
আগামী ঈদও এমন হোক 🙂
সোনিয়া হক
বেশ মজার ঈদ ছিলো আপনার।