শান্তা, আরজু, কনকচাপা, অরুন্ধতী নারীদের আলাদা আলাদা নাম। ভিন্ন ভিন্ন এদের পরিচয়, অস্তিত্ব, জীবন কাহিনী। এরা সমাজের বিভিন্ন স্তর, পরিবেশে বেড়ে উঠে স্ব স্ব স্থানে স্থীর হয়েছে। উচ্চতা, শরীরের বর্ন, রুচি, চিন্তা ভাবনা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আর্থীক অবস্থা এক থেকে অন্যের ভিন্ন হলেও তাদের একটি জায়গায় শতভাগ মিল, তারা সবাই নারী, হাজার বছর যাবৎ যে নারী পুরুষের অত্যাচার সহ্য করে আসছেন, সীতার আগুন বহন করে আনছেন সীতার কাছ থেকেই। এদের ইতিহাস ভিন্ন হলেও ইতিহাসের সারাংশ এক, বঞ্চনা।
প্রত্যেকের স্বপ্ন চুরমার হয়ে গিয়েছে হিংশ্র পশুর থাবায়। এদের জীবনে পুরান সেই দৈত্য দানো নেমে এসেছিল।
*************************
আমাকে ঘিরে থাকা মানুষদের মাঝে এই নারীরাও আছেন। এদের জীবন, বঞ্চনার কাহিনী, স্বামী দ্বারা অত্যাচারিত হবার ইতিহাস বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন আমাকে। এই সব নারীদের বাস্তব কাহিনীগুলো পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ করবো সোনেলায়।
বলাবাহুল্য যে এদের নাম গুলো পালটে দেব, প্রথমে যে নাম গুলো লেখা হয়েছে সে নামই ব্যবহার করা হবে।
ভবিষ্যতে কোন একদিন হয়ত আসল নাম, অত্যাচারী পশু রুপী মানুষের নামও তখন প্রকাশ করে দেব।
নারীদের প্রতি এমন অত্যাচারের সত্যি কাহিনী কারো জানা থাকলে আমাকে ইনবক্স করতে পারেন।
এ বিষয়ে কারো কোন পরামর্শ থাকলে বলতে পারেন কমেন্টে। যুক্তিপুর্ন পরামর্শ অবশ্যই গ্রহন করা হবে।
৩২টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা সাধুবাদ জানাই এমন একটি পোষ্টের জন্য।
পাশে আছি। :c -{@
জিসান শা ইকরাম
অনেকদিন যাবত লেখার চেষ্টা করে আসছি,
লিখবো কি লিখবো না এমন অবস্থার মাঝে ছিলাম
অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম, লিখেই ফেলি।
শুভ কামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার কাছেও অনেক চিঠি আসতো একসময়। এখনও আসে। কিন্তু এখন আর লিখতে ইচ্ছে করেনা। অত্যাচারের এতো ধরণ আমি নিতে পারিনা।
কবে দিচ্ছো নানা প্রথম পর্ব?
মিষ্টি জিন
জিসান ভাই অসাধারন একটা পোষিট নিয়ে এসেছেন।ধন্যবাদ।
একটু স্পধা দেখাচ্ছি। সমরেশ মজুমদারের ” মেয়েরা যেমন হঁয়” বইটা একটু পডে নিয়েন।
আশা করি এই ব্যাপারে বইটা আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।
জিসান শা ইকরাম
অবশ্যই পড়বো,
তবে প্রথম পর্ব প্রকাশের পরে পড়ে বলবেন মেয়েরা যেমন হয় বইটি পড়তে হবে কিনা,
আমি যা লিখতে চাচ্ছি, তা কিছুটা ভিন্নও হতে পারে।
মিষ্টি জিন
অপেক্ষায় রইলাম।
মোঃ মজিবর রহমান
পশু!!!
জিসান শা ইকরাম
শুরুই তো করলাম না ভাই 🙂
মোঃ মজিবর রহমান
আরও! কেমনে বাচব? এত অত্যাচার অনাচারে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
শুভ কামনা।নারী মা জাত ঘরে কি বাহিরে দেশে কি বিদেশে তাদের কষ্টের কথা সীমাহীন যা কল্পনাতীত।লিখুন। -{@
জিসান শা ইকরাম
হুম লিখবো অবশ্যই।
মৌনতা রিতু
অসাধারন এক চিন্তা মাথায় এনেছেন। অবশ্যই এমন হাজার হাজার চিত্র আছে আমাদের চোখের সামনে। আমি মনে করি, যে সব নারী এর থেকে বের হয়ে এসে নিজের জীবনকে আবারো সুন্দরভাবে গোছাতে পারে এরাই প্রকৃত বীর নারী। আর যেসব নারীরা মুখ বুজে সব সহ্য করে তারা আসলে একটা অপদার্থ। শুধু নিজেই নিজের জীবনকে ধিক্কার দিয়ে একটা মিথ্যে শান্তনার মাঝে বেঁচে থাকা।
এই বেঁচে থাকার চেয়েও মরে যাওয়া ভাল।
জিসান শা ইকরাম
সুন্দর গোছানো মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ইঞ্জা
দারুণ শুরু, আশা করি দেশের নারীরা আপনার পোষ্ট পড়ে নিজেদের জানার, চেনার সুযোগ পাবেন।
শুভকামনা জানবেন ভাইজান।
জিসান শা ইকরাম
আপনার জন্যও শুভ কামনা,
নদী তো তেমনই এক নারী।
ইঞ্জা
এইখানেই আমাদের মিল ভাইজান। (y)
নিহারীকা জান্নাত
সুন্দর চিন্তা, তবে সাথে সাথে পুরুষ নির্যাতন নিয়েও লিখুন। ব্যালেন্স হোক। নাহলে আবার ছেলেরা আপনার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে পারে।
জিসান শা ইকরাম
ব্যালেন্সের কিছু নেই আসলে,
আমি কয়েকজন নারীর সত্য ইতিহাস তুলে ধরবো মাত্র।
পুরুষ নির্যাতনের ইতিহাস আমার কাছে নেই, ভবিষ্যতে জানলে দেব অবশ্যই।
নিহারীকা জান্নাত
ঘরে ঘরে স্বামীরা নাকি স্ত্রীদের দ্বারা নির্যাতিত। ঘরে বাইরে এই জিনিস শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা। আপনার গল্প দিয়েই না হয় শুরু হোক 😀
ছাইরাছ হেলাল
সকল নির্যাতন নিপাত যাক লিঙ্গভেদে, তা কামনা করি,
জিসান শা ইকরাম
আগে তো নারী নির্যাতনের কথা লেখি।
নাসির সারওয়ার
কঠিন প্রোজেক্ট।
দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন নিয়ে আইন আছে। কিন্তু পুরুষ নির্যাতন কি হয়না! পুরুষরা সবাই গোল্লায় যাক।
জিসান শা ইকরাম
হুম, কঠিন প্রজেক্টই বটে,
যে কোন নির্যাতনেরই বিচার আছে, নারী নির্যাতন আইনের বাইরে যে সব নির্যাতন তা পুরুষের জন্য প্রযোজ্য।
রুম্পা রুমানা
ভালো চিন্তা জিসান ভাই। অন্ধকার দেরই দূর করতে হবে। নারী-পুরুষ সবাই মিলে একটি সুন্দর , সুস্থ্য সমাজ গড়া যায়।
জিসান শা ইকরাম
একমত আপনার মন্তব্যের সাথে।
ধন্যবাদ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সাধুবাদ জানাই। প্রকাশিত হোক নিপীড়নের জাঁতাকলে পিষ্ট নারীর স্বামীত্ব আঁকড়ে বেঁচে থাকার কাহিনীগুলো। ফুটে উঠুক পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ভেতরের চিত্র। জানুক মানুষ কেনো নারী এতো আক্রান্ত হয়েও টিকে থাকার চেষ্টা করে। (y)
জিসান শা ইকরাম
প্রকাশিত হবে ইনশ আল্লাহ্,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
শুন্য শুন্যালয়
চমৎকার পদক্ষেপ। হ্যাটস অফ আপনাকে। কোনদিন আপনার কোন সিক্যুয়েল হিসাবে আমিও লিখে ফেলতে পারি।
যারা ভাবছে বা বলছে পুরুষ নির্যাতনের কথা, তাদের জন্য বলা – লিখুন আপনারাও। যেকোন নির্যাতনই দূর হোক। তবে একটা কথা, নারী পুরুষকে ফিজিক্যালী টর্চার করার শক্তি রাখেনা। হয়তো বলবেন মানসিক টর্চার কি কম যন্ত্রণার? তবে প্রশ্ন রাখবো তবে কী নারী শুধু ফিজিক্যালী টর্চারড হয়? মানসিক ভাবে নয়? তুলনা করুন তাহলেই বুঝবেন।
ধীরে ধীরে লিখে ফেলুন। পাশে আছি।
জিসান শা ইকরাম
লিখতে থাকি আমি,
আপনিও লেখুন, আপনার লেখার পাঠক সংখ্যা অনেক, প্রচার পাবে বেশ।
নারী দুই ভাবেই টরচার্ড হয়, শারীরিক এবং মানুষিক,
ধন্যবাদ আপনাকে পাশে থেকে অনুপ্রেরনা দেয়ার জন্য।
আবু খায়ের আনিছ
আমাদের চারিপাশে এমন অনেক নারী আছে, লিখতে থাকুন হয়ত আমার জানা ঘটনার সাথেও মিলে যেতে পারে।
জিসান শা ইকরাম
মিলতেও পারে, নির্যাতনের ধরন তো প্রায় একই।
ধন্যবাদ আনিছ।
আবু খায়ের আনিছ
শখের বসে একজনকে গল্প বলছিলাম হাসপাতালে বসে বসে। রাত কাটানোর জন্য সঙ্গ পেয়েছিলাম।
ভাবছি সেই গল্পটাই লিখে দিব সোনেলায়, মিলে গেলে আমি দায়ী নয়।