আর কোন বিদ্রোহ নয়।
আজ থেকে আর কোন অনুযোগ নয়,
আজ থেকে আর ভালোবাসার নয়।
মৃত শব্দের লাশ বানিয়ে
মিছিলে যাবেনা কেউ,
লাশ নিয়ে সদাই হবেনা কোন,
ইচ্ছে হলে নিজের গলা টিপে
সামিল হয়ে পরো।
আজ হতে কোন অতীত হবেনা
আজ হতে কোন ভবিষ্যৎ বাণী চলবেনা,
আজ হবে নিশ্চল ‘ঘড়ির কাঁটা’
আজ হবে স্বয়ং ঈশ্বর।
ঈশ্বর তোমাকে আর কোন অভিযোগে বিদ্ধ করবোনা!
ঈশ্বর তোমায় আর মহান করা হবে না,
তোমায় নিয়ে টানাটানির ঘানি ঘুরবেনা আর।
আজ আস্তিক, নাস্তিক আর সুবিধেবাদীর দল
স্বর্গ নরক নিয়ে আলোচনায় বসবেনা।
আজ হতে ঈশ্বর শুধুই থামিয়ে দেওয়া সময়।
ঈশ্বর আজ তোমায় মাটিতে পুঁতে বলছি
আজ হতে তোমার আর কোন মহাকাল থাকবেনা।
আজ হতে ‘আমি’ ঈশ্বরের কোন অস্তিত্ব থাকবেনা।
৩৮টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
যতই অভিমানে ঈশ্বরকে দূরে সরিয়ে দেইনা কেন দিন শেষে তার চরণেই আত্মসমর্পণ করতে হয়
নীতেশ বড়ুয়া
অনেকেই ভুল করছেন।
আমার এই লেখার শেষ লাইন আর শিরোনাম কিন্তু কোন ব্যক্তিকে নয়, নয় ঈশ্বরকে নিয়ে। এই ঈশ্বর হচ্ছে ‘আমি’ বা আমিত্ব। ঈশ্বর মানব ধর্ম দিয়েছেন সাথে মন। আর এই মুটাই মানব ধর্ম ভুলে ‘আমি/আমিত্ব’ ধর্মে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
এখানে কোন ব্যক্তি বা ঈশ্বরকে নিয়ে নয় বরং তার অহম নিয়েই বলা। -{@
অরুনি মায়া
ওহহ আগে বলবেন তো ;?
নীতেশ বড়ুয়া
কি বলবো আগে? আর পরে কি বললাম আবার 😮 ;?
লীলাবতী
ব্যাপক কঠিন চিন্তা ভাবনার একটি কবিতা।লেখেন কিভাবে এমন কবিতা?
নীতেশ বড়ুয়া
অভিজ্ঞতা থেকে লিখি লীলাপু… হয়তো মাঝে মাঝে আমার চারপাশ, গুরুজনেরা আমাকে ভাবতে শেখায় তাই ভেবে ফেলি :p
আপনার পোস্ট কই?? :@
অপার্থিব
ভাল লাগলো কবিতাটি। একই থিমের আরো একটি বিখ্যাত কবিতার কয়েক লাইন মনে পড়ল
“ঈশ্বরই জ্ঞান , জ্ঞানই আত্মা।
মানুষ মাত্রই জ্ঞানী।
আমি মানুষ,আমার ঔরসে জন্মায় দেবতার কারিগর।”
নীতেশ বড়ুয়া
ধন্যবাদ আপনাকে এবং সেই সাথেই ধন্যবাদ কবিতার লাইন কয়টির জন্য। (যদিও কবিতাটি আমি পড়িনি আগে, পড়লেও মনে নেই :p )
-{@
নীলাঞ্জনা নীলা
নীতেশদা তোমার ভাবনাকে স্যাল্যুট জানাতে হয়। (y)
“প্রথম উচ্চারণ মা ছিলো,
দুটি অক্ষরের মধ্যে যুক্ত অক্ষর “শ্ব” দিয়ে কোনো সেতুবন্ধন হয়নি।
তুমি কে!”
ধর্ম নিয়ে যা চলছে সারা পৃথিবীতে, তা কি সুন্দর আর সহজ করে তুলে এনেছো কবিতায়। অনেক অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম। আচ্ছা আমায় কিছু ভাব দেবে এমন ধারার? ধারাবদলের চেষ্টায় বিফল হচ্ছি রোজ। -{@
নীতেশ বড়ুয়া
স্যালুট কেন দিদি!
আপনার বলা কোটের লেখায় আমি একমত নই। প্রথম উচ্চারণ মা নয়, শিশুর কান্নায় মা উচ্চারণ আসে না প্রথমেই। যা আসে তার অর্থ আজ পর্যন্ত কেউ বের করতে পারেনি, ভেবে নিয়েছি মাত্র।
মূলত ধর্ম নিয়ে নয় বরং ‘আমি/আমিত্ব’বাদীদের নিজেকেই সর্বক্ষমতার উৎস ভাবার ব্যাপার নিয়ে বলেছি। এই ‘আমি/আমিত্ব’ ঈশ্বরকে শেষ করতে হবে নচেৎ মানবের এই পৃথিবী ধ্বংস হবেই হবে শেষ দেখার আগেই।
ধন্যবাদ নীলা’দি -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও দেখছি কঠিন ভাবনা সহজ-কঠিন ভাষায় লিখে ফেললেন।
আমিত্বের অবসান চাই ই। তা হবে কী হবে না ভাবতেও চাই না।
নীতেশ বড়ুয়া
একেবারে ঠিক ধরেছেন, আমিত্বের অবসান চাই… এইজন্যেই আমি আপনার ভাবনার ভক্ত হয়ে উঠছি দিনে দিনে 😀
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন নিজের আমিত্ব নিয়ে আমি যদি নিজেকে তাল গাছ ঠাওরাই তা কিন্তু
ঘরে বসে করতেই পারি, জনারণ্যে এলে ব্যপক ধরা।
অতএব সাধারণ ভাবনায় সাধারণের মতই সাধারণ থেকে যেতে চাই।
সময়োপযোগী লেখাটি অনেক ভাল লাগল।
নেট স্পিড এত খারাপ যে মন্তব্য অ করা যাচ্ছে না।
নীতেশ বড়ুয়া
‘আমি কি হনুরে’ যাদের মনোভাব তাদের জন্য সুকুমার রায়ের ‘অবাক জলপান’ হলে সমুচিত জবাব হতো বটে :D)
আমারও নেট স্পীড অবাক করার মতো। এই ভাল তো এই খারাপ 🙁
শুন্য শুন্যালয়
সময় তোমাকে কবর দিয়ে ফেললো দাদাভাই? দেখবার যে আরো অনেক অনেক কিছুই রয়েছে, সবে তো শুরু। কাওকে অভিযোগ করে কোন লাভ নেই, বাকি শুধু নিজের গলা টিপে সামিল হয়ে যাওয়া।
অদ্ভূত সুন্দর দৃঢ়তা তোমার লেখায়, ঘৃণা, ক্রোধ। সময় ঈশ্বরের উপর ছেড়ে দেওয়া যাচ্ছেনা, ইচ্ছে করছে ভাঙি।
নীতেশ বড়ুয়া
হ্যাঁ এটা ঠিক লেখায় ঘৃণা, ক্রোধ, ক্ষোভ আনার চেষ্টা করেছি। কিন্তু-
আমার এই লেখার শেষ লাইন আর শিরোনাম কিন্তু কোন ব্যক্তিকে নয়, নয় ঈশ্বরকে নিয়ে। এই ঈশ্বর হচ্ছে ‘আমি’ বা আমিত্ব। ঈশ্বর মানব ধর্ম দিয়েছেন সাথে মন। আর এই মুটাই মানব ধর্ম ভুলে ‘আমি/আমিত্ব’ ধর্মে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
আমি এই নিয়েই বলতে চেয়েছি মাত্র শুন্যাপু :p
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো বুঝেছি লেখা দাদাভাই। সময় ঈশ্বর বলতে সময়ের কথা বুঝিয়েছিলাম।
এই মন কে নিয়ন্ত্রণ করে বলতে পারিস? আমি নিজেই। ইনফ্লুয়েনশিয়াল বা অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কঠিন একটি কাজ, যারা পারছে তারা তার ব্যবহার করছে তাদের নিজেদের মতো করে।
যে আমি র চাবির নিয়ন্ত্রণ নিজের নেই সেই আমিত্বের অবসান আমিও চাই।
নীতেশ বড়ুয়া
শুন্যাপু, অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করা খুবই সহজ আমার মতে। আর সবচাইতে কথিন হচ্ছে নিজেকে ‘আমিত্ব’ বাদে নিয়ন্ত্রণ করা।
তাই-
‘আমি’ঈশ্বর আজ তোমায় মাটিতে পুঁতে বলছি
মৃত শব্দের লাশ বানিয়ে মিছিলে যাবেনা কেউ,
লাশ নিয়ে সদাই হবেনা কোন,
ইচ্ছে হলে নিজের গলা টিপে সামিল হয়ে পরো।
আজ হতে তোমার আর কোন মহাকাল থাকবেনা।
জিসান শা ইকরাম
চারদিকে যা দেখছি তাতে ঈশ্বর এর উপর ক্ষভ না জন্মানোর কোন কারন নেই
ঈশ্বর মাত্র একটি ধর্ম দিলেই পারতেন
হিংশ্র কোন প্রানীর মাঝেও এত হানাহানি নেই যতটা আছে ধর্ম নিয়ে হানাহানি মানুষের মাঝে
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব, একথা শুনলে বিদ্রুপের হাসি আসে আজকাল
মানুষ সৃষ্টির সেরা হিংশ্র প্রানী।
লেখা ভালো হয়েছে
শুভ কামনা।
নীতেশ বড়ুয়া
ঈশ্বর একটাই ধর্ম দিয়েছেন, আর তা হচ্ছে মানব ধর্ম। কিন্তু সেই সাথে ঈশ্বর মানবকে মনও দিয়েছেন এবং এতেই যত্তসব :p
আমার এই লেখার শেষ লাইন আর শিরোনাম কিন্তু কোন ব্যক্তিকে নয়, নয় ঈশ্বরকে নিয়ে। এই ঈশ্বর হচ্ছে ‘আমি’ বা আমিত্ব। ঈশ্বর মানব ধর্ম দিয়েছেন সাথে মন। আর এই মুটাই মানব ধর্ম ভুলে ‘আমি/আমিত্ব’ ধর্মে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
ধন্যবাদ জিসান ভাইয়া 😀 -{@
আবু খায়ের আনিছ
আমাদের অভিযোগের অন্ত নাই, কিন্তু যতটুকু সুযোগ আছে তার ব্যাবহার কি আমরা করছি? যদি উত্তর না হয় তাহলে অভিযোগ করার কোন অধিকার আমাদের নাই।
দাদা যে লেখা দিয়েছেন, সাধারণ পাঠক ( উগ্রধর্মপন্থী) এরা এর মর্ম বুঝার আগেই ত ঝাপিয়ে পড়বে। এটা কোন সাধারণ লেখা নয় যা তাদের বোধগম্য নয়।
একটা উদাহারণ দেওয়া যেতে পারে, রবিন্দ্রনার্থ তার অনেক লেখায় অর্ন্তনিহিত ভাবে ঈশ্বর বনন্দনা করে করেছেন কিন্তু অনেক পাঠকই তার মর্ম উদ্ধার করতে পারেনি।
আমিত্ব এর ব্যবহার নিয়ে বলা যায় অনেক, বড় ভাই, আপুরা অনেক বলেছে। তাই আমি এই বিষয়ে নিশ্চুপ।
আবু খায়ের আনিছ
রবীন্দ্রনাথ, বানান ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
নীতেশ বড়ুয়া
রবি ঠাকুরকে ইদানীংকালের তথাকথিত কবি ও বল্গাররা আস্তিক বলে দাবী করেন সেই একই কারণেই :p
প্রলয় সাহা
ঈশ্বর আমার প্রেমিকার নাম
ভালবাসতে ঢের জানি।।
ভাল লেগেছে দাদা 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
সেই প্রেমিকার চাইতে ‘আমিত্ব’ ঢের গুরুত্ব পেলে সতীন হয়ে যায় ঈশ্বর :p
ভাল থাকবেন দাদা 😀 😀
ছাইরাছ হেলাল
কোথায় গেল ??
নীতেশ বড়ুয়া
ডুবে ডুবে সোনেলার জল খাচ্ছি তাই দেখতে পাচ্ছেন না :p
ব্লগার সজীব
খুবই কঠিন ভাবনা।আমিই ঈশ্বর 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
সজু বাইয়া, আপনি কুথায়?? ছুনেচি আপনি নাকি ইদানীং ‘আমার পাত্রী’র খোঁজে শুন্যালয়ের অলিগলিতেও পা দিচ্ছেন না?? ;?
দীপংকর চন্দ
শুভকামনা অনিঃশেষ।
//মৃত শব্দের লাশ বানিয়ে
মিছিলে যাবেনা কেউ,//
বিশেষ ভালো লাগা কিছু বিশেষ অংশের জন্য।
অনেক ভালো থাকবেন।
শুভকামনা পুনরায়।
নীতেশ বড়ুয়া
ভাল লাগাতে পেরে ধন্যবাদ দীপংকর দাদা। খুশি হলাম।
আপনিও অনেক বেশী ভাল থাকবেন এই কামনায় -{@
নাসির সারওয়ার
সংগীতে জাহ (Jah) বলে একটা কথা ব্যবহার করে, বিশেষ করে রেগে (reggae) তে। যার মানে মোটামুটি “আমি” বলা যায়। আর এই আমিটা এক বিশেষ দল ধর্ম মনে করে। এই শব্দটা হিব্রু ভাষা থেকে আনা।
সেই “আমি” ধর্ম কি আমার দাদাভাইও আনতে চাচ্ছে নাকি! দিনকাল যা পরেছে, ভাবনায় ফেলে দিলেন যে!
নীতেশ বড়ুয়া
উরেব্বাস!! নাসির ভাই? এই ‘আমি’ নিয়ে আর কি কি জানা আছে জানান জলদি। আমি তো এসবের কিছুই জানি না 🙁
অন্তরা মিতু
আমি পুরাই আস্তিক, তাই লেখা পড়ে খানিকটা ভীত………..
জীবনে দুর্দিন কারো কম আসে না…. আপনার মতোন সাহসী ব্যক্তির প্রয়োজন অপরীসীম, এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে । আপনার এই দৃঢ় কথা শুনে ঈশ্বর যদি বা চোখ-কান খুলেন এক মূহূর্তের জন্যও, ভুলেও…..
নীতেশ বড়ুয়া
আমি আসলে আস্তিক বা নাস্তিক শব্দের মানে জানি না তাই আপনার ভীতির কারণ অনুধাবন করতে পারছি না। ইদানীং আস্তিক অনেক রকমের আবার নাস্তিকও অনেক রকমের :p
জীবন হচ্ছে প্রবাহমান নদীর মতো, প্রবাহ আছে বলেই একূল ভেঙ্গে ওকূল গড়ে। সাহসী নই আমি, তবে নিজের সততাকে বিকিয়ে দেইনি বা Compromise করিনি বলে ভুগি, ভুগছি আজো :p
ঈশ্বরের আগে ঈশ্বরকে যারা জানে চিনে বা অস্বীকার করেন তাঁরা সবাই যদি সেই চেনা, জানা বা অস্বীকারের মনটাকেই নিজেকে ঈশ্বর ভাবা হতে বিরত করে তবে সেদিন নিশ্চিত ঈশ্বর/নিরাকার বা আকারহীন শূন্যতা মুচকি হাসবে আর বলবেঃ
সার্থক জন্ম তবে এই শূন্যালয়ে
প্রাণ দিয়াছি যায়নি বিফলে।
অনেকদিন পরে আপনাকে আবার সোনেলাতে দেখতে পেলাম। নিয়মিত চাই আবারো আপনাকে। Welcome Back -{@
অন্তরা মিতু
শুধু বিপদে পড়ে নয়, সুখের সময়েও ঈশ্বরকে ভুলি না – আমি হচ্ছি সেইরকম আস্তিক… 🙂
মজার ইমো দিলেও এই কথাই সত্য যে, এই নাটুকে দুনিয়ায় যারা অভিনয় করতে জানে না, সততা নিয়ে নিশ্চল দাঁড়িয়ে থাকে, তাদের ভুগতেই হয়। তবে আশা হারানো ঠিক না । আপনি যেমন আছেন তেমনই থাকুন, একদিন সব চাওয়া পূরণ হবেই।
হু মাঝে একটু অসুস্থ ছিলাম… অবশ্যই নিয়মিত থাকবো। আর এতদিন পরে এসে এত নতুন মুখ নতুন লেখা দেখছি, এই রঙিন আনন্দের মাঝ থেকে ছুটে যাওয়া সন্ভব হবে না মনে হয়…. অনেক ধন্যবাদ আপনাকে… -{@
নীতেশ বড়ুয়া
আমরা নতুনেরা পুরনো আপনাদের দেখলে আনন্দিত হই অনেক 😀 \|/
আশা সেই হারায় যে যেকোন পরিস্থিতিকে গ্রহণের অভ্যেস করতে না জানে… আম্মার গ্রহণের অভ্যেস আছে সবকিছুকেই সহজে। 😀
ফিরে এলেন নিশ্চয়ই সুস্থ আছেন। এবার তবে জমুক সাহিত্যে, কথায় আড্ডা। \|/
নীতেশ বড়ুয়া
“আমার* গ্রহণের অভ্যেস আছে সবকিছুকেই সহজে। :D” :p