বেশকিছু দিন ধরে ভাবছি ফান পোষ্ট লেখি। অনেক দিন ফান পোষ্ট লেখি না।কিন্তু ফান লেখার একটা বড় ঝামেলা আছে আর সেটা হল সব ফান সবার কাছে ফান নাও হতে পারে। আমি চেষ্টা করবো যাতে আমার ফান গুলো সবার জন্য “ফান”হয়। হোস্টেলে থাকা অবস্থায় যে সব ঘটনা ঘটছে সে গুলোই আমি লেখার চেষ্টা করছি।
ঘটনা ১
আমি হোস্টেলে ওঠার মাত্র কয়েকদিন পরের ঘটনা। সেই সময় দু একজন ছাড়া সবাই অপরিচিত। আমি কথা বলার মানুষ পাইনা। তাই খুজে খুজে একটা ইয়া বড় হেডফোন কিনলাম। যাতে কানে লাগালে বাহিরের কারর কোন কথা শোনা না যায়। একরাতে সেই হেডফোন কানে দিয়ে বেলকনিতে বসে গান শুনছি। হঠাৎ দেখি পুরো বিল্ডিং হালকা ভাবে কেঁপে গেলো। আমি কোন কিছু না ভেবে গিয়ে শুয়ে পরলাম। জানি কিছু একটা ড্রামা হবে। কিছুক্ষণ পর হেডফোনের সাউন্ড কমায়ে শুনতে পেলাম আমার রুম্মেটরা বলা বলি করছে ” কোন এক ফ্লোরে ভূত বেড় হইছে”। সেটা দেখে এক আপু অজ্ঞান হয়ে গেছে। আর তাকে দেখে আর এক মেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে। আমি ভাবলাম সকালে দেখা যাবে। সকাল বেলা সেই বড় আপুকে দেখলাম আর মনে মনে ভাবলাম ভাগ্যিস আমি রাতে প্রত্যক্ষদর্শী হতে যাই নাই । গেলে আর একটা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়তো। কারন আল্লাহ মনে হয় ঐ আপুকে বানানোর সময় “মেলানিন” নামক উপাদান টা যোগ করতে ভুলাই গেছে।
সেই বড় আপুর অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পেছেনে আমার নিজস্ব একটা ধারনা আছে আর সেটা হলো ভুত দেখা টা ছিলো ঐ বড় আপুর হ্যালোসিনেশন। কারন ” শুক্রবার কি রাত,ভূত এফ এম কি সাথ টাইপ কিছু একটা হবে”।
ঘটনা ২
হঠাৎ একরাতে শুনি কি যেনো নিয়ে চিল্লাপাল্লা হচ্ছে। পর দিন সকালে পুর ঘটনা টা শুনে তো আমি হাসতে হাসতে শেষ। ঘটনা টা হচ্ছে এমন ” এক মেয়ের উপর একটা খুব খারাপ ভুত ভর করছে। তার কাছে কেউ গেলেই সে দাঁত মুখ খিঁচায়ে সব্বাই কে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। কে যেনো এক বড় আপু গেছে তাকে শান্ত করতে, গিয়ে ডান হাতে নিজের গাল চেপে ফিরে আসছে। তারপর গেছে এক ম্যাডাম সেই ম্যাডাম কেও দিছে দুটা চটকনা।
এই ঘটনার পিছেও আমার নিজস্ব মতামত আছে। আর সেটা হলো ছোট মেয়ে কিছু একটা নিয়ে হয়তো ঐ বড় আপু তারে অপমান করছে আর ম্যাডাম তাতে সাথ দিছে,তাই নিজে প্ল্যান করে দুজন কেই পিটাইছে।
বিঃদ্রঃ মেলানিন হলো মানব শরীরে এমন একটা উপাদান যার কম বেশির উপর মানুষের কালো বা ফর্সা হওয়া নির্ভর করে। মেলানিন বেশি হলে মানুষ কালো হয় আর কম হলে ফর্সা। আর হ্যা মেলানিন বিহীন আপুর সাথে পরে আমার অনেক ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছিল 🙂
৩৩টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এখানে লিখতে গিয়ে এত্ত এত্ত চিন্তার কিছু নেই, দুম করে লিখে ফেললেই হোল। ফান, ফানই।
লেখাটিতে মেলানিনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই পড়তে ভালই লাগল।
ভাগ্যিস আপনি ফিট হন নি, তাহলে আর এমন গল্প পড়তে পারতাম কিনা কে জানে।
মেহেরী তাজ
ধন্যবাদ ভাইয়া।
এখানে একটা আহ্লাদী ইমো দিতাম কিন্তু আমি ইমো দিতে পারি না।
রিমি রুম্মান
হোস্টেল জীবনের অনেক মজার ঘটনা … পড়ে অতীতে ফিরে গিয়েছিলাম ……
মেহেরী তাজ
আপু আপনার হোস্টেল লাইফ নিয়েও কিছু লিখুন আপু।
ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
তোমার হোস্টেলে কিন্তু সত্যি সত্যি একটা ভূত আছে। নাম বললে চিনে ফেলবা তাই বললাম না :p তবে আমরা তাকে ভয় পাইনা। তাকে দেখলে, তার লেখা পড়লে আপনা আপনি আমাদের ঠোঁটে মুচকি হাসি লক্ষ্য করা যায়।
অনিকেত নন্দিনী
শুন্য’র সাথে একমত।
মেহেরী তাজ
একে তো নাচনী বুড়ি তার উপর ঢোলের বাড়ি। নন্দিনী আপু আপনি ও।!?
অনিকেত নন্দিনী
হ্যাঁ, আমিও। তো? কি হইছে? আমরা কি মিছা কইছি? 😮
মেহেরী তাজ
আরে বাবা এতো রাগ করার কি আছে?। আমি বলছি আপনিও আমায় দেখে ভয় পান না। তাই আর কি।
মেহেরী তাজ
আমি তো হিমু ভুত সবাই কে ভয় দেখাই না। যারা ভয় পায় তাদের দেখায়।তার লেখা পড়ে হাসি পেলে সেটা তো ভুতের স্বার্থকতা।
অনিকেত নন্দিনী
ঘটনা দুই জটিল লাগলো।
মেহেরী তাজ
আপু জটিল কিছুই ভালো না।
আবার পড়েন সহজ লাগবে।
এখানে মুখ ভেংচির ইমো দিতাম, কিন্তু ইমো কাজ করে না।
অনিকেত নন্দিনী
জটিল বলতে দারুণ বলতে চেয়েছি।
এইটা কমন পড়ছে! হোস্টেলে থাকিনি যদিও, মারামারি কিন্তু কম করিনি! :p
ঘুষি বা মারামারির ইমো নাই ;( বলতে হবে মারামারির ইমো চাই।
মেহেরী তাজ
মারামারির ইমো? হাসি কান্নার ইমোই তো দিতে পারি না। না জানি মডুরা কত দিনে দেখবেন আমার এই কষ্ট!!!
জিসান শা ইকরাম
ব্যাপক মজা পেলাম
ঘটনার সাথে নিজস্ব মুল্যায়ন, কারন এটাও ভাল হয়েছে।
ম্যাডামকে চটকান মারার তো ভালোই বুদ্ধি 🙂
মেহেরী তাজ
হোস্টেলের মেয়েদের যে কত বুদ্ধি, আর তারা যে কত কিছি করে তা লিখবো মাঝে মাঝে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
খেয়ালী মেয়ে
হোস্টেলে থাকবা আর ভূত প্রেতের সাথে দেখা সাক্ষাত করবা না, তা কি করে হয়?….
প্রতিটা হোস্টেলকে ঘিরে ভূত আর জিনের গল্পের ছড়াছড়ি…যাক তোমার হোস্টেলও দেখি এর ব্যতিক্রম না 🙂
মেহেরী তাজ
আপু সাক্ষাত না হলেও আমি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেই।
আমার হোস্টেলে আমি আজ অব্দি কোন ভুত দেখি নি( নিজেকে ছাড়া)।
ব্লগার সজীব
ওস্তাদ কিভাবে এত মজা করে লেখেণ? আমিও ট্রাই করে দেখবো ফান লেখার।
মেহেরী তাজ
শিষ্য তোমার ফান গুলার কথা কি আর বলবো, তুমি নেহায়াত আমাকে প্রথমে ওস্তাদ ডাকছো তা না হলে আমি তোমাকে ওস্তাদ ডাকতাম।
তোমার ফান তো আমার ফানের চেয়ে এক কাঠি উপরে।
ব্লগার সজীব
এত প্রশংসা করলে হার্ট ফেইল হয়ে যাবে।তখন কিন্তু আমার মৃত্যুর জন্য আমার ওস্তাদ দায়ী হয়ে যাবে 🙂
মেহেরী তাজ
না না এতো দূর্বল হার্ট হলে চলে।?
আমার শিষ্যের হার্ট এতো দূর্বল হতে পারে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
:D)
মেহেরী তাজ
আপু এতো হাসবেন না মুখে গান্দীপোকা ঢুকে যাবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
গিয়েছে অলরেডি :D)
মেহেরী তাজ
কচকচ শব্দ করে না???
আর খেতে তো অনেক টেষ্টি তাই না?
লীলাবতী
আমাদের তাজ তো আবোল তাবোল লিখে ফাটিয়ে দিচ্ছে।আমিও লিখবো নাকি আবোল তাবোল? 🙂
মেহেরী তাজ
লিখে ফেলেন আপু।
sajib40
আমি ও হোস্টেল এ থাকি।
হোস্টেল জীবনটা আনন্দময় তবে পীড়াদায়ক।
মেরিন এর হোস্টেল খালি রুল এ ভরা।
মাঝেমাঝে মন টা মুক্তি চায়।
মেহেরী তাজ
ভাইয়া সব জায়গায় রুলস আছে। আবার সেগুলাতে ফাকাঁ ও আছে। আগে রুলস গুলো ভালো করে খুব ভালো করে জানুন। তারপর মুক্তি খুজুন পেয়ে যাবেন। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
কেন জানি মনে হচ্ছে সেই ভূতে ধরা ছোটাপুটিকে ঐ ম্যাডামসহ চড়ানোর বুদ্ধি তাজাপুর!!! ;? ;? ;?
মেহেরী তাজ
না নীতেশ দা সেটা আমার বুদ্ধি না। আমি তখন হোস্টেলে একদম নতুন। সব কিছু জানতাম ও না। আর সব নিয়ম না জেনে হিমুগিরী করা যায় না। 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
:p এই পোস্টগুলো বন্ধ কেন এখন?
;?