
আমার কুট্টিকালের কিছু কথা নিয়ে আবার এলাম, তার আগে বলে নিই গতবারের পোস্ট বিষয়ক, অনুরোধ করা হয়েছিলো রমজান এবং ঈদ নিয়ে আপনাদের স্মৃতিকথা লেখার কথা ছিলো, মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র লিখেছেন।
কেনরে ভাই, লিখার তো এখন অনেক সময় পাওয়া গিয়েছে, লিখতে তো অসুবিধা নেই, তাড়াতাড়ি লিখে ফেলুন, আমরা সবাই অপেক্ষা করছি আপনাদের লেখা পড়ার জন্য, অপেক্ষায় রইলাম।
এখন আসি মূল কথায়, হটাৎ মাথায় আসলো বিষয়টা, মনে পড়তেই ভাবলাম আড্ডার আড্ডা হবে, সাথে সাথে আপনাদের থেকেও জানা যাবে।
যেমন আমার জন্মের পর বাবা আমার আহমেদ পরিবারের হলেও আমার নাম রাখেন গোলাম নবী, একটু যখন বড় হলাম উনারা খেয়াল করলেন আমি হাতের কাছে যা খেলনা পাই তা খুলে ফেলি, ওগুলোর যন্ত্রপাতি নিয়ে নাড়াচাড়া করি, এরপর য়া আবার লাগিয়ে ফেলি, এতেই আমার পরিবার ডাক নাম লিখলেন ইঞ্জিনিয়ার, এই ইঞ্জিনিয়ার এক সময় শর্ট হয়ে গেলো, আমার মা খালা বোনরা ডাকা শুরু করলো ইঞ্জা নামে, দুইটা ডাক নামেই আমাকে বিভিন্ন জন ডাকতো, কেউ ইঞ্জিনিয়ার কেউ ইঞ্জা, বুঝুন অবস্থা।
কিন্তু এরপরেও আমার আব্বা আমাকে বেশ কয়েকটা অন্য নামে ডাকতেন।
নাম গুলো শুনে হাসবেন না কিন্তু, হাসলে কিন্তু খবর আছে। 😆
আব্বা মাঝে মাঝে ডাকতেন বল্লম বলে, কারণ টিংটিংগে লম্বা ছিলাম বলেই হয়ত এই নামেই ডাকতেন, আবার মাঝে মাঝে চট্টগ্রামের ভাষায় বলতেন, ” হত্তর হল্লা – কত বড় মাথা”। 🙄
এমনই সব মজার নাম আমার বোন বড়টাকেও দিয়েছিলেন আমার আব্বা, যেমন “ডিব্বা”।
মেঝ বোনকে ডাকতেন ” ম্যাননা” বলে, যেহেতু ওর ডাক নাম ছিলো মিনু।
এখন মোদ্দা কথায় আসি, এমনতর নিশ্চয় বিশেষ নামে আপনাদেরকেও ডাকা হতো, এখন লজ্জা শরম বাদ দিয়ে কমেন্ট বক্সে লিখে ফেলুন স্মৃতিতে উজ্জ্বল সেইসব নাম, এবং কেন ডাকা হতো তাও বলুন। প
বন্ধু ব্লগারগণ, আপনাদেরকে অনুরোধ করছি, রমজান নিয়ে তো অবশ্যই লেখা দেবেন, সাথে সাথে নিজের ছেলেবেলা নিয়ে স্মৃতিময় দিন গুলোর বিষয়ে লিখুন, আমরা পড়তে চাই, জানতে চাই।
তাহলে আর অপেক্ষা কিসের, লিখুন আপনাদের কথা। 😁
ছবিঃ গুগল।
৪৩টি মন্তব্য
তৌহিদ
ব্লগে স্টিকি করা পোস্টে অনুরোধ জানানোর পরেও অনেকেই লেখেননি যা দুঃখজনক। তবে এখন সিবার মাঝেই বিষণ্ণতা বিরাজ করছে বলেই এমন হয়েছে বলে মনে করি। আমার কাছে লিখালিখি হচ্ছে বিষণ্ণতা কাটানোর অন্যতম মাধ্যম। তাই যারা লেখা দিয়েছেন সকলকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
ইঞ্জা
অবশ্যই কৃতজ্ঞতা, সাথে অন্যদেরও লেখার আহবান জানাচ্ছি।
তৌহিদ
আপনার ইঞ্জিনিয়ার নামের গোপন অর্থ আজ জানলাম। ডিব্বা নামটি কিন্তু পছন্দ হয়েছে ডিব্বা ভাইয়া ☺
আমাকে স্কুলের বন্ধুরা চেয়ারম্যান বলে ডাকতো। আর কিছু স্যারও ডাকতেন চেয়ারম্যান নামে। কারন আব্বার পরিচিতি। বন্ধুরা ডাকতে ডাকতে স্যারেরাও সেই যে ডাকা শুরু করলেন। তারা দেখা হলে এখনো ডাকেন এই নামে।
কলেজে ম্যাডাম ডাকতেন এই দুষ্টু বলে। এটা নিয়ে সোনেলায় লিখেওছিলাম একটি স্মৃতিচারণা লেখা।
ধন্যবাদ ইঞ্জাভাই। এত সুন্দর একটি বিষয়কে আড্ডা পোস্টে নিয়ে আসার জন্য। আশাকরি সবাই উপভোগ করবেন এই আড্ডা।
ইঞ্জা
ডিব্বা ডাকতো আমার বোনকে, আমাকে বল্লম। 😆
বাহ চেয়ারম্যান দারুণ নাম, কিন্তু ঘরে মজা করে কে কি ডাকতো তা তো বললেন না ভাই?
তৌহিদ
ঘরে কেউই মজা করে আমাকে অন্য কিছু নামে ডাকেনি দাদা। তবে অনেকেই অনেক নামে ডাকতো।
ইঞ্জা
তা কি কি নামে ডাকতো শুনি, যেমন আমার স্কুলের ছাত্ররা আমাকে প্রিফেক্ট ভাইয়া আর বন্ধুরা এখনো ক্যাপ্টেন ডাকে।
তৌহিদ
বাবু, তমাল এসব নামে
ইঞ্জা
বেশ সুন্দর নামে ডাকতেন দেখছি, বাহ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমার টা কমু না। 🙄🙄🙄🤣🤣। আপনার ডাকগুলো খুবই মজার। সত্যিই এমন নাম খুবই আনন্দ দেয় কিন্তু শরম ও লাগে।যখন ডাকতো রাগ হতো না বা কষ্ট লাগতো না?
ইঞ্জা
আপু আমার এক বান্ধবীকে ডাকতো টেপি বলে, তাহলে আপনার বলতে অসুবিধা কি, আমরাই আমরা তো। 😁
না আপু, কিসের কষ্ট, বাবা আদর করেই ডাকতেন। 😉
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ছোটবেলায় কী বুঝতেন আদর করে ডাকছে? তখন তো খেপে যাবার কথা
ইঞ্জা
কার সাথে খেপবো, আব্বার সাথে?
উনি ছিলেন বাঘ, উনি রাগলে তো আমার বড় আপা কাপড়ে চোপড়ে এক শেষ হতেন। 😂
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পিছনে থেকে রাগ করতেন না? সামনে তো ভয় পাবেনই। আপনার আম্মুর সাথে বা অন্যদের সাথে রাগ দেখাননি এই বিষয়ে?
ইঞ্জা
যতদুর মনে পড়ে কখনোই অনুযোগ করিনি আপু।
সুপায়ন বড়ুয়া
এতদিনে জানা গেল ইঞ্জা নামের রহস্য।
সব নামের ই কিছু রহস্য থাকে।
যেমন আছে আপনার।
আমার নামটা মা ডাকত আদর করে সুপ বলে
আর সবাই মজা করে ডাকত সু——প বলে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
হা হা হা। দাদা খুব মজা লেগেছে।
ইঞ্জা
দাদার নামের সাথেই লেখা গুলোও স্যুপের (সু…..প) মতোই, বেশ মজা পেলাম দাদা, দাদা ছেলেবেলার কথা লিখুন, আমরা পড়ি। 😆
আরজু মুক্তা
আমি তো লিখেছি।
আব্বা আমাকে মুক্ত বলে ডাকতো
ইঞ্জা
মাশা আল্লাহ, মুক্ত আমার ঘরেই একটা আছে, আমি ভালোবেসে ডাকি মৌ বলে।
শিরিন হক
হা হা হা মজা পেলাম। তবে আমার কোনো এমন নাম ছিলোনা দুখ।
ইঞ্জা
ছিলোনা নাকি বলতে চান না, কেউ না কেউ তো এমন নামে ডাকতোই যাতে আপনার রাগ উঠে?
সাবিনা ইয়াসমিন
হত্তর হল্লা! ভাগ্যিস আপনি এর অর্থটাও জানিয়েছেন, নয়তো আমি এর অর্থ খোঁজার জন্যে গুগলে সার্চ দিতাম। সাথে ইঞ্জিনিয়ার থেকে ইঞ্জা হওয়ার তথ্যটাও জানা গেলো। ছোটবেলার আদরের ডাকগুলো অনেক সময়ে হারিয়ে যায়, আপনার ক্ষেত্রে হত্তর হল্লা আর বল্লম বাদে অন্যটা অক্ষতই আছে।
সময় স্বল্পতার কারণে ইচ্ছে থাকা সত্তেও আমি এবার এই লেখার আহবানে সাড়া দিতে পারছি না ভাইজান।
আশা করছি আমার অপারগতাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে রাখবেন।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন সবসময়।
শামীম চৌধুরী
ভাইজান আমি রাজস্থানের ভ্রমন নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে গেছি। সেটা ধরে ফেলেছি তাই রমজান নিয়ে লেখার সময় পাচ্ছি না বলে দুঃখিত। দুখ নামটা পছন্দ হয়েছে।
ইঞ্জা
লিখুন ভাই লিখুন, আমরাও যে অপেক্ষা করে আছি আপনার লেখার জন্য।
ছাইরাছ হেলাল
ইঞ্জা আর ইঞ্জিনিয়ারের ভেদ এত দিনে জানা গেল,
সবাই লিখুক লিখুক মনের আনন্দে (আমি বাদে) ভাল করে মন দিয়েই পড়বো,
কথা একদম পাক্কা।
ইঞ্জা
কেন ভাইজান, আপনার কি কুট্টিকাল ছিলোনা যা স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে?
ছাইরাছ হেলাল
হে হে আবার জিগায়!
ইঞ্জা
তাহলে আর কি, লিখে ফেলুন।
হালিম নজরুল
আজ লেখার চেষ্টা করব।
ইঞ্জা
অপেক্ষায় রইলাম ভাই। 😊
প্রদীপ চক্রবর্তী
আমি লেখা নিয়ে হাজির হচ্ছি দাদা।
কয়েকদিনের মধ্যে।
ইঞ্জা
অপেক্ষায় রইলাম।
সুরাইয়া পারভীন
আপনার ইঞ্জা নামের কারণ জানা গেলো। চমৎকার সব মজার নাম।
লেখা লেখি আর কি করি! চোখের যন্ত্রণায় মরে যাচ্ছি। অনেক কষ্টে পড়তে হচ্ছে ভাইয়া। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময়
ইঞ্জা
চোখে কি হলো আপু, চোখ উঠে থাকলে দ্রুত টেস্ট করে নিন।
রেহানা বীথি
ভাইয়ার নামের রহস্য জানা হল। অন্য নাম দুটোই দারুণ মজার। ছোট থেকেই আমাকে বীথি নামেই ডাকতো সবাই কিন্তু অতিরিক্ত বিচ্ছুপনার জন্য বীথির সাথে কেউ কেউ বিচ্ছুও জুড়ে দিতো।
আরও একটা নাম পেয়েছিলাম ভার্সিটিতে পড়ার সময়। সেটা নাহয় তুলে রাখলাম আমার পোস্টের জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া, একে একে আমাদের ছোটবেলাগুলোকে সামনে আনার সুযোগ করে দেবার জন্যে। ভালো থাকবেন সবসময়।
ইঞ্জা
বীথি নামটাই সুন্দর, আপনার এই বিচ্ছু নামটা আমি পেয়েছিলাম চট্টগ্রামের ব্যবসা জগতে, সবাই আমাকে বিচ্ছু নবী ডাকতো কারণ হলো, অন্যান্য পার্টস ইম্পোর্টারের মাল মার্কেটে নামলেই আমি দাম নামিয়ে দিতাম আমার মাল কম দামে দিয়ে, আবার অনেক সময় দরকারী পার্টস বিক্রি না করে ভালো সময়ে দাম দিয়ে বিক্রি করতাম তখন ক্রেতারা অবাক হতো এই মাল আমার কাছে এলো কি করে? 😂
সাদিয়া শারমীন
খুব ভালো উদ্যোগ । লিখিবো আশা রাখি
ইঞ্জা
অপেক্ষায় রইলাম।
আতা স্বপন
নামের প্রচার করোরে ভাই
নামযে মজার হয়
নামের মাঝে পাব তোমার
আসল পরিচয়।
————————————-ধন্যবাদ উদ্যোগ এর সফলতা কামনা করি। আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন্
ইঞ্জা
আল্লাহুমা আমীন।
ধন্যবাদ ভাই।
জিসান শা ইকরাম
ইঞ্জা নামের উৎস এতদিনে জানলাম,
অন্য নাম গুলোতেও মজা পেলাম খুব।
এই পোস্ট অনুযায়ী লিখে ফেলব কিছু একটা।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
অপেক্ষায় রইলাম ভাইজান।