দীর্ঘ অন লাইন জীবনে অনলাইনে পরিচিত মানুষদের সাথে কম মেলামেশা হয়নি। ব্লগে লেখালেখির কারণে বিশাল একটি সমাজ পেয়েছি, পাচ্ছি। সমমনা বন্ধু ভক্ত অনুরাগীর সংখ্যাটি ইর্ষনীয় ছিল বলা যায়। এই পরিচিতির সুবিধাও পেয়েছি বা পাচ্ছি। দেশ বা বিদেশের যে কোন স্থানে গিয়েছি, জিসান নাম এর পরিচিতির কারণে ভ্রমন, সময় কাটানো অত্যন্ত সহজ হয়ে গিয়েছিল, হচ্ছে। তা দেশের সিলেট, চট্টগ্রাম বা বিদেশের কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর হোক না কেন।
এই পরিচিতি বা অত্যন্ত চেনা জানা আপন মানুষদের প্রকৃত সংখ্যাটি হঠাৎ করেই কমে যায় ব্লগীয় এক ক্যাচালে, ক্যাচালটি ছিল মূলত রাজকারকারদের বিরুদ্ধে অনড় অবস্থান। যা স্বাভাবিক ভাবেই অন্য রঙ চড়ানো হয়েছিল। যাদের একান্ত আপন ভাবতাম, যারা জিসান অন্ত প্রাণ ছিল তাঁদের একটি অংশ দূরে ছিটকে গেলো।
দ্বিতীয় ধ্বসটি নামে শাহাবাগ গণজাগরণ মঞ্চের মাঝা মাঝি সময়ে, যখন বিএনপি এই আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, হেফাজতের পাঁচ মের অবস্থানের সময়। অনেক আপন ভাবা মানুষ, বন্ধু চলে যায় আমার বিপক্ষ মেরুতে।
শাহাবাগ আন্দোলনের সময় আমরা যারা ব্লগিং করি তারা নাস্তিক ট্যাগে ভূষিত হয়ে যাই। অনেক শিক্ষিত লোকও এখনো ব্লগাররা নাস্তিক এমন ধারনা পোষন করে। সোনেলা ব্লগের সাথে সাথে ফেইসবুকেও তখন প্রচুর লেখা আরম্ভ করি। আবার সমমনা অনেকের সাথে বন্ধুত্ব হয়। ভালোই উপভোগ করতাম ফেইসবুক তখন।
সময়ে অনেকেরই ভিতরের মানুষের সাথে পরিচিত হতে থাকি। যাদের একসময় আদর্শ, দেশাত্মবোধ, সমাজ চিন্তা, নারীর সন্মান, শিক্ষা ব্যবস্থা, রাষ্ট্রীয় এবং ধর্মীয় নীতি ইত্যাদি প্রশ্নে সমমনা হওয়ায় বন্ধু ভাবতাম তাঁদের অনেকেরই বিভিন্ন ইস্যুতে চরম প্রতিক্রিয়াশীল অবস্থান দেখে বিস্মিত হই। ধীরে ধীরে এদের কাছ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেই। একটি সত্যি উপলব্ধিতে উপনীত হই যে ফেইসবুকে লিখে লাইক কমেন্ট পাওয়া যায়, মানুষকে মোটিভেট করা যায় না। ২০১৭ থেকে ফেইসবুকে লেখা বাদ।
বন্ধুত্বের স্বরূপ চেনা জানার সংজ্ঞা পালটে যেতে থাকে আমার। বন্ধুর মৃত্যুতে করুণ স্ট্যাটাস দেয়া, মনে হয় যেন বন্ধুর মৃত্যুতে তার হৃদয়ের অর্ধেক মৃত্যু হয়েছে। পরক্ষণেই অন্য বন্ধুর হাসি ঠাট্টার লেখায় গিয়ে ফুর্তি করা। এসব দেখি আমি আর ভাবি, বন্ধুর মৃত্যু তার লাইক কমেন্ট বৃদ্ধির একটি পন্থা মাত্র, আর কিছু নয় (অবশ্য সবাই এমন নয়)। এদের থেকেও নিজেকে দূরে রাখি।
সাম্প্রতিক ‘গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না’ নিয়ে উন্মাদনা চলছে ফেইসবুকে। নিজস্ব পরিচিত জনেরা যখন অত্যন্ত কুৎসিত ভাবে এ বিষয় নিয়ে লেখে, মন্তব্য করে তখন খুব অসহায় লাগে নিজেকে। ফটো এডিট করে তা মডেলের ছবিতেই প্রকাশ করা হয়। ‘গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না’ এটি তো একটি শ্লোগানই ছিল মাত্র। পথে ঘাটে বাসে নারীরা যে চরম অস্বস্তি নিয়ে চলাফেরা করে এটি তো সত্যি। গা ঘেঁষে দাঁড়ানোর লোকের কি অভাব আমাদের দেশে? যেখানেই ভিড় সেখানেই তো নারীদের আতংক নিয়ে চলাচল করতে হয়। বাঙালীর ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখেও নারীদের চলাফেরা সীমিত হয়ে গেছে প্রায়। এই শ্লোগানটি আমরা পজেটিভ ভাবে নিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারতাম।
মেয়ে মডেল দুজন টি-শার্ট গায়ে দিয়ে এই মডেলিং করেছে। আপত্তিটা বা সমালোচনাটা এই প্রশ্নে সীমাবদ্ধ থাকলে হতো। টি-শার্ট পরিধান করে আমাদের দেশের মেয়েরা বাইরে বের হন না। সেলোয়ার কামিজ ওড়না নিয়ে চলাচল করেন অধিকাংশ মেয়ে নারী। ইদানিং অবশ্য বোরকা/ হিজাবের প্রচলন হয়েছে খুব। টি-শার্টের পরিবর্তে কামিজ বা বোরকার উপরে এই শ্লোগান লিখলেও সমালোচনা হতো। কারণ নারীর প্রতি হিংস্রতা আমাদের ভিতরেই রয়ে গিয়েছে।
আশে পাশের অনেক কিছুই এখন আর নিতে পারছিনা আজকাল, প্রচন্ড অসুস্থ বোধ করছি। আমিই বেমানান হয়ত এসবে। নইলে সবাই সহ্য করতে, মেনে নিতে পারলে আমি কেন পারছি না? তারচেয়ে বরং নিজেকে অপছন্দের বিষয় থেকে সরিয়ে এনে নিজের মাঝেই থাকি।
৫৩টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
🎖🎖🎖
তৌহিদ
এইবারো ফাস্টো হইতে পারলাম না😭
তৌহিদ
প্রথম হাজিরা☺
প্রহেলিকা
হে হে হে, তাই বুঝি?
তৌহিদ
আপনের কালা যাদু আম্রেও শেখান দাদা☺
প্রহেলিকা
শিখাশিখি পরে। জিসান ভাই গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট দিছে, এখানে এভাবে আড্ডা দিলে, বেত নিয়ে দৌড়ানি খেতে হবে। পোস্ট নিয়েই কথা বলি।
তৌহিদ
বিষয়টি আসলেই গুরুত্বপূর্ণ এবং সেন্সেটিভ ইস্যু।
প্রহেলিকা
হু, আসলেই তা।
প্রহেলিকা
হা হা হা এইবারও পত্থম। লেখা নিয়ে পরে বলছি, পড়ে বলব।
মাহমুদ আল মেহেদী
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে ……। গা ঘেঁসে দাঁড়াবেন না এ কথায় আমারা নিজেদের অপরাধী ভাবি কেন? সময়পযোগী চমৎকার লেখা ।
জিসান শা ইকরাম
আমরা এক অদ্ভুত জাতি, যে কোন শুভ কাজেকেই এমন ভাবে পচাই যে তা আর বেঁচে থাকেনা।
একজনে আরম্ভ করলেই হয়, সবাই সেভাবেই ট্রল করতে থাকে।
তৌহিদ
বিষটি নিয়ে আমিও খানিক চিন্তা করেছি ভাই। আমার কাছে এটা লোক দেখানো মনে হয়েছে। কিন্তু গা ঘেষে দাঁড়ানো এটা সত্য, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন জরুরী। ফেসবুকে মানুষ এখন আর মোটিভেট হয়না, এ কারনে ফেসবুকে লিখতে ইচ্ছে হয়না। এখানে রংতামাশা করলেই আপনি আমি সেলিব্রিটি। ভালো কিছু লিখলে সহমত ছাড়া আর কিছুই পাবেননা।
আমার কথা হলো সবাই নিজের পরিবারের ছেলেদেরকে মেয়েদের সম্মান করতে শেখাতে হবে। বাসের মধ্যে এসব লিখে না ঘুরে কেউ সেই গা ঘেষে দাঁড়ানো ছেলেটাকে দুটো চড় মারলে অন্যান্য ছেলেরাও তখন সেই মেয়েটির পাশে দাঁড়াবে।
আর লোকাল বাসের ভীরে না উঠাই ভালো। বরং সিটিং সার্ভিস উন্নত করলে এ সমস্যা অনেকাংশেই লাঘব পাবে।
সমসাময়িক বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রহেলিকা
“আমার কাছে এটা লোক দেখানো মনে হয়েছে।”
কোনটাকে মনে হয়েছে লোক দেখানো ঠিক বুঝিনি।
তৌহিদ
মেয়েদুটোকে নিয়ে যারা ফেসবুকে ইচ্ছেমত ট্রল করেছে তারা লোক দেখানো নাম কামানোর জন্য এসব করেছে বলে মনে করি। সস্তা মানসিকতা ভাই।
@প্রহেলিকা ভাই
জিসান শা ইকরাম
মেহেদি, তৌহিদ ভাই, গত কয়েকদিনের কিছু ঘটনায় আমি প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছি।
আমার স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এসব ঘটনা সমূহ।
জিসান শা ইকরাম
ওটা একটি বিজ্ঞাপন ছিল, দুটো মেয়ে একটি খালি বাসে মডেল হয়ে এই শ্লোগান লেখা টি-শার্ট গায়ে মডেলিং করেছে।
আমরা শ্লোগানকে উপেক্ষা করে অন্য দিকে মনোযোগী হয়ে অনেক নোংরামি করেছি।
আমাদের দেশে এমন মেয়ে নারী কি পাওয়া যাবে যিনি পুরুষদের লালসায় নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে?
আমরা নিজেদের মা, বোন, কন্যাকে অভয় দিয়ে জিজ্ঞেস করেছি এ বিষয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা বলার জন্য? করিনি।
প্রতিটি মেয়েই হয়রানির শিকার তৌহিদ ভাই, আমরা তা জানিনা।
মাহমুদ আল মেহেদী
সহমত ভাই। অনেক সুন্দর করে বলেছেন।
তৌহিদ
আপনার সাথে সহমত পোষন করছি জিসান ভাই। আমাদের নারীদের প্রতিনিয়ত যে বঞ্চনা নিপীড়ন সহ্য করতে হয় একজন পুরুষ হিসেবে আমি লজ্জিত।
নিজের মা বোনকেও রক্ষা করতে পারছিনা।
প্রহেলিকা
“তারচেয়ে বরং নিজেকে অপছন্দের বিষয় থেকে সরিয়ে এনে নিজের মাঝেই থাকি।”
এটাই করা উচিত, সাময়িক পরিচিতিতে তৈরি হওয়া চক্ষুলজ্জা বা বন্ধুত্ব রক্ষ করতে গিয়ে যদি তাদেরকে সমর্থন দিতে যান তাইলে হয়তো পরিচিতি বা বন্ধুত্ব টিকে থাকবে ঠিকই কিন্তু নিজের কাছেই নিজে ছোট হয়ে থাকা হবে। নিজের কাছ থেকে নিজেকে যদি হারিয়ে ফেলে কেউ সেটা খুব পীড়াদায়ক। আপনি সঠিক পথেই আছে, আপনাকে অনুসরণ করা যায়, করা উচিত ও বটে। টি-সার্টের স্লোগানটা নিয়ে যা হয়েছে বা হচ্ছে এটা নিয়ে আর কথা বলতেই ইচ্ছা করছে না।
জিসান শা ইকরাম
তাই করেছি প্রহেলিকা,
যে বিষয় আমার চিন্তা চেতনা নীতি বিরুদ্ধ, সেখানে কেবল মাত্র বন্ধুত্বের কারণে সমর্থন দেয়া যায় না।
ফেইসবুক থেকে কিছুদিন বিশ্রাম নেবো। ওটা এখন একটা মানসিক যন্ত্রনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আইডি ডিএকটিভেট করতে পারছি না, কেবল মাত্র আমার আইডি দিয়ে সোনেলা পেইজে অটো শেয়ার হয় বলে।
প্রহেলিকা
বন্ধু চিনতে অনেক সময়ই আমরা ভুল করি, ডেডিকেশন যতটুকু না জরুরী, আমার মনে হয় সাথে আরও বেশি জরুরী সমমনা হওয়া।
জিসান শা ইকরাম
সমমনা হওয়াটা সবচেয়ে জরুরী।
তবে ইদানিং গত ৮-১০ বছর যাবত যাদের সমমনা ভেবেছি, তাঁদের এখন আর চিনতে পারছি না।
প্রহেলিকা
বহুরূপীতা চেনা যায় না। বহুরূপী মানুষগুলো বিষধর সাপের চেয়েও ভয়ঙ্কর।
জিসান শা ইকরাম
এদের মোটামুটি সনাক্ত করেছি,
এদের থেকে অনেক দূরে রয়েছি এখন।
মনির হোসেন মমি
সমাজের অনেক কিছুর সাথেই আজ আমরা বড় বেমানান।আজ নেইউজ ২৪ এ একটি রিপের্ট দেখলাম সেখানে যে ভাবে এ বিষয়ট উল্লেখ করেছিল তা পড়তে আমি কয়েক বার হোচটই খেয়েছি।আমরা আজও নিজেকে মানুষ ভাবতে পারলাম না এটাই আফসোস।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা ভাই আফসোস এটিই,
যতই শিক্ষিত হই আমরা, ভিতরে আমার অন্ধকার।
সেডরিক
আমি ফেসবুক খুব ঠেকায় না পরলে ব্যবহার করি না। পরিচিতজনদেরই অনেক অনাকাংক্ষিত রুপ দেখা যায়। তাই আইডি ডিএ্যাক্টিভ করে রেখে দিছি।
আর আমি পারতপক্ষে ইস্যুর পক্ষে-বিপক্ষে কিছুই বলি/লেখি না। পেইন মনে হয়। টিশার্ট ইস্যুতেও আমার কোন কিছু বলার নাই, তাদের ইচ্ছা হইছে “গা ঘেষে দাড়াবেন না” লেখা টিশার্ট পড়ছে (যদিও সেটা বিজ্ঞাপন/প্রোটেষ্ট)। যার যেমন পছন্দ, তেমন পোশাক পড়ার অধিকার আছে। অনেক ছেলেরাইতো ইংলিশে ফাক-ফুক লেখা টিশার্ট পরে। সেটা অবশ ষ্টাইল বা স্যোয়্যাগ বলে পরিচিত!
জিসান শা ইকরাম
অংশ না নিলেও পেইন অনুভব করি, যাদের অন্যরকম ভাবতাম, তাঁদের অনেক আচরনই মেনে নিতে কষ্ট হয়।
এক দুঃসময়ের মধ্যে অতিক্রান্ত হচ্ছে আমাদের দিন গুলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা তোমার পোস্ট পড়ে মনে হলো তুমি নিজেকে এই সমাজের সাথে মেলাতে পারছো না। তাতে সমস্যা কি? কে থাকলো আর কে গেলো সেসব নিয়ে ভাববারই দরকার নেই বলে আমি মনে করি। সত্যি বলতে কি আমি ভার্চুয়াল বন্ধুত্বকে খুব কাছে টেনে আনিনা এখন।
“গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না”—কয়েকদিন আগে মাদ্রাসার একটা ছাত্রীকে অগ্নিদগ্ধ হতে হলো। আর তো কিছুই বলার নেই।
তুমি তোমার মতোই থাকো। কিচ্ছু ভেবোনা তো। কেমন?
জিসান শা ইকরাম
একটি সমাজে থাকতে হলে কিছু সমমনা লাগেই নাতনী। নতুবা বোবা হয়ে থাকতে হয়, চিন্তার প্রসার বাঁধাগ্রস্থ হয়।
তোরা কয়েকজন বাদেও বেশ কিছু অনলাইন বন্ধু আছে আমার, যাদের সাথে কখনোই ব্যক্তিগত যোগাযোগ হয়নি, বিভিন্ন বিষয়ে সমমনা ছিলাম আমরা। ধীরে ধীরে বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁদের ভিতরের রূপটা দেখছি এখন, যা মেনে নিতে কষ্ট হয়।
শান্তির জন্য এসব থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
নানা সরে আসাই ভালো।
ভালো থেকো।
জিসান শা ইকরাম
সরে এসেছি নাতনী,
দোয়া করিস।
শুন্য শুন্যালয়
বন্ধু তা যতো কাছেরই হোক, সব মতের সাথে মিলবেনা। কিন্তু সমস্যা হলো ভাষার ব্যবহার! মানুষে মানুষে সম্মান থাকলে কেউ নোংরা করে কথা বলতে পারতোনা, আসতোই না।
এই স্লোগান নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিনা। জরুরি নয় আমি মানবো কি না মানবো! আমি অবাক হইনি অন্যদের কুকথায়। এরা মুশফিকুর এর মাকেও ছেড়ে দেয়না, আর মেয়েদের এইসব ঔদ্ধত্য সহ্য করবে!
এইসব নিয়ে ভাবা বন্ধ করুন, ওকে শান্তি। সোশাল সাইটের বন্ধুত্বকে নেটেই রাখুন। কিছু মানুষ জীবনেও শেখেনা, আপনি তাদের একজন।
ওম শান্তি বস!
জিসান শা ইকরাম
ভাষার ব্যবহারই আমি মেনে নিতে পারছি না, যে কোন কিছুতে দ্বিমত থাকতেই পারে,
কিন্তু কুৎসিত ভাষা ব্যবহার করে এর প্রতিবাদ মেনে নেয়া যায় না।
হ্যা বার বার একই ভুল করি আমি, শিখতে পারিনা আসলে।
ভালো থাকুন প্রবাসে।
ছাইরাছ হেলাল
থাকুক যে যার মত, সব কিছু মাথার নিতে হবে এমন ও কথা নেই।
জিসান শা ইকরাম
হুম থাকুক যে যার মত,
আপাতত চোখের সামনে দেখতে চাইনা এসব আর।
সাবিনা ইয়াসমিন
অনেকদিন পর একটি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লিখলেন। ভালো লাগলো।
জিসান শা ইকরাম
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
এখন থেকে চেষ্টা করবো আমার সামর্থ আনুযায়ী সমসাময়িক বিষয় নিয়ে লেখার।
ইঞ্জা
ভাইজান, আপনাদের ব্লগিং, গণজাগরণ মঞ্চ সব কিছুই আমি অনেকটা জানি, তাই ওদিকে গেলামনা।
মডেলের টিশার্টে লেখা গা ঘেসে দাঁড়াবেননা, ছবিটি প্রথম যেদিন দেখলাম তখনই একটা পজিটিভ ভাইব পাচ্ছিলাম, কিন্তু দুঃখজনক ভাবে তখনই দেখলাম শত শত মানুষের বিশ্রী ভাবে সমালোচনা, যা দেখে নিজের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হলাম, কারণ আমিও তো পুরুষ, এদের সাথেই আমি চলাফেরা, আড্ডা দিই, আমি তখন থেকেই চুপ করে গেলাম, কারো সাথে এ নিয়ে আলোচনা তো হবেইনা, উল্টো আমাকেই হাজারটা কথা শুনিয়ে দেবে, এতশত ভেবে চুপই থাকলাম, নিজেকে প্রবোধ দিলাম, আমরা কখনোই মানুষ হবোনা। 😒
জিসান শা ইকরাম
আমিও কোন আলোচনা বা প্রতিবাদে যাইনি, ফেইসবুকে আনফলো করেছি সবাইকে যারা এ নিয়ে কুৎসিত পোষ্ট মন্তব্য দিয়েছে তাঁদের।
আমাদের মানুষ আর কখনোই হওয়া সম্ভব কিনা জানিনা।
ইঞ্জা
আমি আমার মেয়েকে নিয়ে শংকিত ভাইজান, আমরা দিনকে দিন জংলি হয়ে যাচ্ছি। 😢😳
জিসান শা ইকরাম
শংকিত না থেকে কোনো উপায় নেই,
শুভ কামনা ভাই।
ইঞ্জা
দোয়া রাখবেন ভাইজান।
জিসান শা ইকরাম
দোয়া তো করি ভাইজান।
ইঞ্জা
আলহামদুলিল্লাহ্
তৌহিদ
ফেসবুকে সবার সাথে মানসিকতা মিলবেনা ভাইয়া। আমি নিজেই অনেকেই পোস্ট এড়িয়ে যাই। মন্তব্য করলে তেঁতো হয়ে যায়।
জিসান শা ইকরাম
এড়িয়ে যাওয়াই উচিৎ,
আমরা আমাদের পরিবার, আত্মীয় স্বজন, এরপর পাড়া প্রতিবেশী দের এ বিষয়ে সচেতন করতে পারি।
তাঁদের সাথে উঠোন বৈঠক করতে পারি।
তৌহিদ
এটি কিন্তু চমৎকার আইডিয়া দিলেন, নিজের পরিবার থেকেই শুরু করা যেতে পারে।
নিতাই বাবু
ফেসবুকের লাইক/কমেন্ট নিয়ে অনেক সমালোচনা করে অনেক লিখেছি। ফেসবুকে থেকেও ফেসবুকের সমালোচনা করে লিখেছি। এরপর দেখে ফেসবুক বন্ধুদের কাছে নিজেই ঘৃণিত হয়ে যাই। তাই আর কিছু লিখি না। মনে মনে স্বাদের ফেসবুকটাকে ঘৃণাই করে যাই। ঘৃণা থাকা সত্ত্বেও সময়সময় কিছু পোস্ট করি। তবে লাইক আর মন্তব্যের আশা করে নয়। নিজের আসক্তির কারণে। ২০১১ সাল থেকে ফেসবুকে নিয়মিত আছি। কিন্তু নিজের একটা প্রোফাইল ছবি ছাড়া, নিজ পরিবারবর্গের কারো ছবি আজ পর্যন্ত ফেসবুকে দেইনি। দিবো-ও-না। আর অন্যসব মানুষকে দেখি, নিজের যুবতি মেয়ের ছবি, নিজের সুন্দরী স্ত্রীর ছবি, নিজের প্রেমিকার ছবি ঘণ্টায় ঘণ্টায় ফেসবুকে আপলোড করছেই করছে। তাঁরা কেন যে কোটি কোটি মানুষের সামনে নিজের যুবতী মেয়েকে, স্ত্রীকে, বোনকে, মাকে, ভাইকে, প্রেমিকাকে উপস্থিত করছে; তা আমার মাথায় খেলছে না। তাঁদের ছবি পোস্ট দেখে আমি নিজেই লজ্জায় লাল হয়ে যাই। হাসি, একা একাই হাসি। তবুও দেখি, দেখতেই হচ্ছে। কেননা বড়বড় লেখক, লেখিকা, ব্লগাররাও নিজের পরিবারবর্গের ছবি ইচ্ছেমত ফেসবুকে আপলোড করছেই। তাই দেখতেই হচ্ছে।
জিসান শা ইকরাম
দেখে যাই আমিও সুধু, এদের কাছে পরিবারের চেয়েও ফেইসবুকের লাইক কমেন্টের মুল্য বেশি।
এদের থেকে নিজকে দুরে রাখছি।
ধন্যবাদ দাদা।
রিমি রুম্মান
সমাজের অনেক কিছুই আমরা মেনে নিতে পারি না, দাদা ভাই। ক’দিন বেশ অসুস্থ বোধ করছি, মেয়েটি শেষ পর্যন্ত মরেই গেলো বলে। সমাজের গায়ে চপেটাঘাত নয় কি ? এখানেও আবার পক্ষ বিপক্ষ দেখলাম ! একটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সকলে এক হতে পারি না কেন ? অনেক প্রশ্ন মনের ভেতরে ঘুরছে।
জিসান শা ইকরাম
এসব বিষয়ে বিকৃত মানুষদের মন্তব্য দেখে হতবাক হয়ে যাই দিদি ভাই। অত্যাচারের জন্য ভিকটিম নিজেই দায়ী এমন মনোভাবে মানুষের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রিতু জাহান
আমার ভিতরটা শুকায়ে যায় অনেক কিছুতে ইদানিং। অসহ্য লাগে সবকিছু।
সেদিন রংপুরে ডাক্তারের চেম্বারে বসে থাকতে থাকতে দেখলাম মানুষ তার নিজেন শরীরের কাছেই কতোটা অসহায়! অথচ বাহাদুরি করে এটা নিয়েই।
আমাদের দেশে মানুষকে দমিয়ে রাখার একটা উপায় হচ্ছে একটা তকমা লাগিয়ে দেয়া।