“অপেক্ষায় থেকো, আমি আসবো”—নাহ এ কথা বলেনি সে, তবুও কেন জানি মনে মনে অপেক্ষা করে যেতেই থাকি। কখনো বসন্ত বেলায় কৃষ্ণচূড়া ফুল আমার খোঁপাতে পড়িয়ে দিয়ে বলেনি, “তোমাকে বেলী ফুলে নয়, এই কৃষ্ণচূড়াতেই মানায়।” যদিও জানি ওর প্রিয় ফুল কৃষ্ণচূড়া নয়। ওর সাথে খুব কম কথা হতো, আমি বলে যেতেই থাকতাম, আর ও টুকটাক। ওর একটা প্রিয় শব্দ হলো “হুম!” আমার রাগ হতো খুব, কেন এতোটা চুপচাপ, শান্ত? তবে যখন পাগলামো শুরু করতো সেকেন্ডকে মনে হতো ঘন্টা, আর ঘন্টাকে আস্ত একটি দিন। অথচ দেখা যেতো সমস্ত দিনের এক সিকিভাগ সময় আমি পেয়েছি, তাতেই সন্তুষ্ট। আসলে এ জীবনে খুব বেশি কিছু চাইবার তালিকা আমার নেই। তাই হয়তো ওর যখন ইচ্ছে আসা-যাওয়ার ভেতরেই থেকে গেছি, বুঝে গেছি এভাবেই আমাকে নিয়ে আমার থাকতে হবে। আমি কেন যেনো ডুবেই যাচ্ছিলাম, ডুবতে ডুবতে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যেতো। তারপরেও মন চাইতো না, ভেসে উঠে বাঁচিয়ে রাখি নিঃশ্বাসকে। কোনো একদিন সে তো আসবেই। এসে জিজ্ঞাসা করবে, “আমার অপেক্ষায় কি থেকেছো? নাকি…অন্য কেউ!” তখন আমার এতোদিনের নীরবতা ভেঙ্গে দিয়ে ওর চুল টেনে ধরবো, মারবো, আঁচড়ে, খামচে ছলছল করা চোখ নিয়ে বলবো, যাও তুমি। কেন এসেছো?
৩৪টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
আজ তার খবর পেলাম বাতাসে।
কান পেতে শুনতে পেলাম,
বড় বেশি অস্থির সে।
কি এক অচেনাতে পেয়ে বসলো যেন,
সেই চির চেনা সুরটিতে কোথায় কোথায় যেন বাঁধা পেলো।
শুধু বলল,” আজ বড় বেশি প্রয়োজন তোমায়।”
এই অচেনা তাকে শুধু বললাম, ” নিজের সাথে কথা বলো।”
যে সুর মোর বাঁধা ছিল চিঠির ভাজে
তা খুলতেও ভয়। বইটা ছিল দর্পচূর্ণ।
যখন হঠাৎ দেখাতে খুলতে গেলাম, তাতে যতো দুঃখ দুর্দশা জমা দেখলাম।
তার খবর পেলাম, সে একটু হাসতে চায়।”
বলে দিলাম, ভাল থেকো।” এই তুমি তোমাকে ভালবাস।
হঠাৎ সব খবরে সব ব্যাকুলতা ঝেড়ে উঠে বসতেও এক বিষাদ ছায়া এসে ভর করলো। অপরাধ বোধ কি তবে চেপে বসলো?
না যে চিঠির প্রতিউত্তর হয় না, তাতে কোনো কথা দেওয়া ও থাকে না।
অসম্ভব ভাল লিখেছো। তুমি বোঝো কি করে কখন কোন লেখাটা তোমার শান্ত সুন্দরীর দরকার? অনেক ভাল লাগলো।
আমার কৃষ্ণচূড়া খুব পছন্দ।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো সুন্দর কবিতা? ওয়াও! দারুণ একটি মন্তব্য দিয়ে রাঙিয়ে দিলে আমার লেখাটি।
এই আপু কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে তোমার বাসায়? না থাকলে লাগিয়ে নিও কিন্তু।
কৃষ্ণচূড়া তোমার জন্যে।
বাবু
অসাধারণ লেখনী পড়ে মুগ্ধ হলাম। লিখুন আরো বেশি করে আমরা পড়বো। ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
দাদা অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাদের সকলের প্রেরণাদায়ক মন্তব্য আমাকে লিখতে সাহায্য করে।
ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
ওহ! দারুন আবেগে অপেক্ষার স্বাদ। মন্দ কি আপু ভালবেসেই তো অপেক্ষা, ভালনা বাস্লে কি অপেক্ষায় থাকা যায়!!!
মনে পড়ে রুবি রায়
কবিতায় তোমাকে, একদিন কত করে ডেকেছি
আজ হায় রুবি রায়,ডেকে বল আমাকে
তোমাকে কোথায় যেন দেখেছি ।।
রোদ জ্বলা দুপুরে,সুর তুলে নূপুরে
বাস থেকে তুমি যবে নাবতে ।।
একটি কিশোর ছেলে,একা কেন দাঁড়িয়ে
সে কথা কি কোন দিন ভাবতে ।
মনে পড়ে রুবি রায়
কবিতায় তোমাকে, একদিন কত করে ডেকেছি
আজ হায় রুবি রায়,ডেকে বল আমাকে
তোমাকে কোথায় যেন দেখেছি ।।
দ্বীপ জ্বলা সন্ধ্যায়
দ্বীপ জ্বলা সন্ধ্যায়,হৃদয়ের জানালায়
কান্নার খাঁচা শুধু রেখেছি ।।
ও.. পাখি সে তো আসেনি,তুমি ভালবাসনি
স্বপ্নের জাল বৃথা বুনেছি।
মনে পড়ে রুবি রায়
কবিতায় তোমাকে, একদিন কত করে ডেকেছি
আজ হায় রুবি রায়,ডেকে বল আমাকে
তোমাকে কোথায় যেন দেখেছি ।।
দিলাম আমার প্রিয় একটি গান। ইয়উ তিউব সংযোগ দিতে পারলাম না।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজিবর ভাই এই গান তো আমারও পছন্দ।
নিন আপনি শুনুন।
https://www.youtube.com/watch?v=hXSeNpkLP14
মোঃ মজিবর রহমান
ওকে ধন্যবাদ আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো থাকবেন মজিবর ভাই।
ইঞ্জা
মন ভিজে গেল আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
বেশি ভিঁজেছে নাকি? তাহলে রোদে মেলে দিন শুকিয়ে যাবে। :p 😀
মজা করলাম, রাগ হলো না তো? ;?
ইঞ্জা
;( এ্যা এ্যা এ্যা ;(
নীলাঞ্জনা নীলা
আরে আরে এতো কাঁদলে বন্যা হবে তো!
কান্দে না কান্দে না হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া। এই যে দেখুন আপনার জন্য চা এনেছি। পান করুন। :T
ব্লগার সজীব
হুম। হুম তো আমিও বলি নীলাপু 🙂 আমার জন্য কি তাহলে অন্য কেউ অপেক্ষা করবে নাকি? 🙂
এমন বর্ননা আমি কেবল পড়তে পারি, লিখতে পারিনা। যাক সব ভাল তার শেষ ভাল যার। খবর পাওয়া গেল তাহলে:) কিভাবে এত সুন্দর লেখা লেখেন আপু?
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু ভাইয়া অবশ্যই অপেক্ষা করে আছে। একদিন ঠিক পেয়ে যাবেন।
ছুঃ মন্তর ছুঃ! একমাসের মধ্যে পেয়ে যাবেন। না যদি পান, তাহলে বুঝবেন ফ্রীতে কাজ হয়না। 🙂
মেহেরী তাজ
যাক বাবা অবশেষে তার খবর পাওয়া গেলো!
আরে আরে আমি তো জানতাম তারার মৃত্যুতে ব্ল্যাকহোল সৃষ্টি হয় এখন দেখি অনুভূতি দিয়েও কেমন কেমন করে যেনো আপনি ব্ল্যাকহোল বানায়ে ফেললেন। 🙂
আপু ভালো লাগলো। কেনো যেনো বেশি বেশি ভালো লাগলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু অনুভূতির ব্ল্যাকহোল আরও মারাত্মক। জীবন্মৃত হয়ে থাকা।
হুম অবশেষে খবর পাওয়া গেলো। আচ্ছা কার খোঁজ করছিলাম জানি আমি! ;?
আপনি কি জানেন? 🙂
মেহেরী তাজ
আমায় আগে কানেকানে বলে যান। পরের বার ঠিক মনে করে দেবো। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
ফিসফিসফিসফিস…শুনেছেন তো পিচ্চি আপু? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
খবর না পেলেই ভাল হতো,
আবার খবর পেলেও সমস্যা নেই।
সবই চলবে সময়ের হাত ধরে।
বেশ রসাল আবেগাপ্লুত লেখা!!
লিখতে পারলাম না…………………
মার্কেজের একটি অতি বিখ্যাত উপন্যাসের কথা বলা গেল না!!
নীলাঞ্জনা নীলা
এসব ঠিক না। এই বয়সে এসে শূণ্যস্থান পূরণ করা সম্ভব না। লিখতে পারলেন না কারণ কি? লিখে ফেলুন, পুরষ্কার দিমু।
হাছা কইরাম, দিমু নে পুরুসকার।
ছাইরাছ হেলাল
আগে ভাগে অনেকেই অনেক পুরস্কারের কথা বলে
শেষে সব ফকফকা!!
সব ভাব কী সবাই প্রকাশ করতে পারে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কার এত্তো সাহস আপনারে পুরষ্কার দেয়ার কথা বলে দেয়না?
আজ তার একদিন কি আমার একদিন! :@ :@ :@ :@ :@ :@ মাত্থায় আগুন জ্বলিতেছে।
আপনার দ্বারা অসাধ্য কিছুই নাই কুবিরাজ ভাই। 😀
নীহারিকা
অপেক্ষা করতে করতে একসময় অনুভুতিগুলো ভোঁতা হয়ে যায়। কি দরকার অপেক্ষা করার? যে চলে গেছে যাক। খবর পেলেই কি অনুভুতিগুলো আগের মত জাগে আবার?
নীলাঞ্জনা নীলা
একেবারে ঠিক কথা। আজকে থেকে কোনো অপেক্ষা-টপেক্ষা নাই। 🙂
আপু এভাবে মন্তব্য করেন বলেই তো লিখতে ইচ্ছে করে। 🙂
নীহারিকা
আর যদি বলি এত ভালো লেখেন বলেই এমন মন্তব্য করি 🙂
দিদি লিখতে থাকুন।
নীলাঞ্জনা নীলা
নীহারিকা আপু দেয়া-নেয়াতে কি লাভ হয় জানেন? মন ভালো থাকে।
ঠিক বললাম কি?
আপনি দিতে জানেন, আর তাই পেয়ে যানও সুন্দর। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
আন্ডা বাচ্চা কয়খানা হয়েছে অপেক্ষার এদ্দিনে?
লিখেছো কিন্তু আহ্লাদে গদগদ প্রেমময় লেখা। বয়স কমে গেলো নাকি খবর পেয়ে? ভালো ভালো।
তারপরের অংশ কই?
আচ্ছা কিসের অপেক্ষা যেন ;? আমার জন্য অপেক্ষা কইরা লাভ নাই। শুন্যই শুন্য, সবই দুনিয়ার খেলা।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার বয়স তো মাত্র আঠারো। আমার দুজন বাবা, একজনের বয়স ১৫, আরেকজনের ৭৫। বুঝেছো আপু? :p
আর আমার একজন ওর খবর পাবার পরে লজ্জ্বার চোটে প্রচুর খাবার খেয়েছি। আরেকজন ওর খবর এখনও পাইনি। পাবার পরে না বাকি অংশ লিখবো। 🙂
জিসান শা ইকরাম
এত ভাল লিখতেছ কিভাবে আজকাল?
ধারাবাহিক ভাল লেখা, ঘটনা কি?
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার নানা আজকাল খুব ভালো লিখতেছে। নাত্নী খারাপ লিখলে কি ভালো হয়, বলো? 🙂
চাটিগাঁ থেকে বাহার
মনে পড়ে তোমার লাজুক সম্বোধন
আবার হবে দেখা…….আ
রইলো নিমন্ত্রণ!
এমন মানুষের অপেক্ষা বৃথা যেতে পারে না। লেখা সুন্দর হয়েছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
শূন্যস্থান পূরণ করতে পারিনা কিন্তু।
তবে প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 🙂
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ওটা শূন্যস্থান না, দেখা কে একটু টেনে লম্বা করে গাইতে হবে। তাই ডট ডট দেয়া হয়েছে। :v
নীলাঞ্জনা নীলা
এখন বুঝেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂
ভালো থাকবেন।