আজো ভুলিনি তোমায়……..(রহস্যগল্প)
*
তুমি ছিলে আমার চলার পথের সাথী। কত দিন তোমায় সঙ্গি করে ঘুরে বেড়িয়েছি রাত-দুপুর, দূর-বহুদুর। চষে ফিরছি গ্রাম-গঞ্জ-মফস্বল-শহর। তোমার কাঁধে ভর করে পাড় করেছি স্কুল ও কলেজ জীবন। তোমাকে যখন যেখানে নিয়েছি, আমাকে সাথে করে নিয়ে যেতে বলেছি, কোন প্রতিবাদ ছাড়াই নিয়েছো।
তিন দশক আগের কথা।
একদিনের কথা মনে পড়ে। সেদিন তোমাকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হবার সময় আম্মাকে বললাম- মা, আমি মির্জাখীলের দিকে যাচ্ছি। তোমাকে সাথে নিয়ে গেলাম মির্জিখীল বাংলাবাজার। তুমি সাথে থাকলে আমার সাহসটা বরাবরই একটু বেশী থাকে! তাই আরো সামনে যেতে ইচ্ছে হল। গেলাম বোর্ড-অফিস। তারপর গেলাম সেনেরহাট। না, মন ভরছে না। মন চাইছে আরো যেতে। আবার যেতে থাকলাম আরো দক্ষিণে। বড় হাতিয়ার উপর দিয়ে মালপুকুরিয়া। তারপর ফকিরহাট পাড় হয়ে, রশিদার ঘোনা পাড় হয়ে উঠলাম আরাকান সড়কে। চুনতি বাজার। এই সেই রাস্তা যেটা কক্সবাজার , টেকনাফ চলে গেছে । আমি তখন পর্যন্ত একবারও কক্সবাজার যাইনি। দেখলাম, বিশাল বিশাল দানবাকৃতির গাড়িগুলো শোঁ শোঁ করে চলে যাচ্ছে কক্সবাজারের দিকে। আবার উল্টা দিক থেকেও আসছে বড় বড় গাড়ি।
আমি ভাবলাম আর কোথায় যাওয়া যায়! পিছনে যেতে মন সাই দিচ্ছে না। হঠাৎ মনে পড়লো চকরিয়ায় আছে এক পরিচিত জন। অনেকদিন থেকেই বেড়াতে যেতে বলে আসছিলো। যাবো নাকি? তোমার দিকে তাকালাম! তুমি নিরবে সায় দিলে, সম্মতি জানালে। মনে ভরসা দিলে।যেন বললে- আমি আছিনা!
দুরত্বও কম নয়। ১৫/২০ কিলোমিটার তো হবেই।ইতিমধ্যে বাড়ি থেকে ৮/৯ কিলোমিটার দুরে চলে এসেছি। যৌবনের দূরন্তপনার কাছে আমি হেরে গেলাম। রমজান মাসে রোজাদার অবস্থায় আমি এবার চলা শুরু করলাম চকরিয়ার দিকে। এতদুর আসার কথা বাড়িতে বলে আসিনি, সেটা ভুলে গেলাম। পাকা রাস্তার দুই ধারে সবুজের সমাহার। প্রাণীদের অভয়ারণ্য চুনতির নয়ণাভিরাম দৃশ্য উপভোগ করে করে এগিয়ে চললাম।
আগামীতে কোন একসময় আকাশে এয়ার বাইকের যানজট হবে। প্রতিটি বিল্ডিং এর ছাদে স্কুটার ল্যান্ডিং প্যাড থাকবে। মানুষ দুই থেকে ছয় মিনিটের মাথায় বাসা থেকে অফিসে পৌছবে। এমনকি এয়ার টেক্সিকে ৩২ তলার ফ্ল্যাটের বেকনিতেই নামবে অফিস থেকে এসে। লিফটেরও দরকার হবে না। কিছু উচ্চবৃত্তের মানুষ পুরো মাসের মধ্যে একবারও মাটিতে নামবে না। তারা আকাশে(টাওয়ারে) ঘুমাবে, এয়ার ট্যাক্সিক্যাবে অফিসে আসা-যাওয়া করবে। প্রতিদিন আকাশে এক্সিডেন্ট হয়ে শত শত লোক মারা যাবে। আকাশ যানের ব্যবহার এত বেড়ে যাবে যে সেখানে ট্র্যাফিক ব্যবস্থার দরকার হবে। এসব যানগুলো ফুয়েল ছাড়াই চলবে। বায়ু বাতাসের ভিতর, সূর্যের আলোর মাঝে সেই জ্বালানী উপকরণ এখনও আছে। আগেও ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত মানুষ তা আবিস্কার করতে পারেনি। এটা যেমন এখন সবাই চিন্তা করতে পারে না, ইমাজিং করতে পারে না ঠিক তেমনি তখন মোবাইলের কথাও মানুষ চিন্তা করতে পারেনি। তাই ঘর ছেড়ে কখন কোথায় যাচ্ছি তা হ্যালো করে বাড়িতে বলে দেয়ার ব্যবস্থা ছিলো না। তাছাড়া বাড়িতে না বলে চলে যাবার মধ্যে একটা এ্যাডভেঞ্জার ছিলো যদিও এমনটি করা উচিত নয়।
আমি তখনও স্কুলের ছাত্র। বড় গাড়িতে চড়তে পারবো না, কারণ পকেটে টাকা নেই। তুমি সাথে থাকলে আমি কখনও বড় গাড়িতে চড়েছি? চড়ি নি। আমার দু’টি পা ছিল মুঘল সম্রাটের দুঃসাহসী যুদ্ধবাজ সৈন্যের ঘোড়ার মত। বড় গাড়ি ছাড়াই কত দূর-দূরান্তের পথ পাড়ি দিয়েছি তোমাকে সাথে নিয়ে। তুমি ছিলে আমার চলার পথের সাথী, অকৃত্রিম বন্ধু। তোমাকে সাথে নিয়ে আমি আরো গিয়েছি সাতকানিয়া থেকে বাঁশখালী। গিয়েছি সাধনপুর, গিয়েছি বঙ্গোপসাগরের সৈকত পর্যন্ত। আরো গিয়েছি সাতকানিয়া থেকে আনোয়ারা পাড় হয়ে এমনকি চট্টগ্রাম শহর পর্যন্ত।
ঐ যে সেবার এরশাদ শাহীর স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে আন্দোলন চলাকালীন যখন কার্ফিউ চলছিলো। উনিশশত নব্বই দশকের প্রথম দিকে। চট্টগ্রাম কলেজে আমার এম.এ প্রথম পর্বের রেজিস্ট্রেশনের শেষ দিন ছিল। যখন সাতকানিয়া থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে শহরে আসার কোন পথই খুলা ছিল না, তখন তুমিই হয়েছিলে আমার চলার পথের সাথী। কী দুঃসাহসিক অভিযান ছিলো সেবার। একা একা দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়া, শুধু তুমি আর আমি।
আজ বড্ড মনে পড়ছে তোমায়। এতদিনে নিশ্চয় তোমার হাড়গুড় মাটির সাথে মিশে গেছে। তখনও তো তুমি ছিলে অনেক দূর্বল। তোমার শরীরের জোড়ায় জোড়ায় অনেক আঘাতের চিহ্ন ছিল। সেলাইয়ের দাগ ছিলো। আমার বাবা যখন তোমাকে পুরোনো লক্কর-ঝক্কড় অবস্থায় ৫৫০ টাকা দিয়ে কিনে এনেছিলো তখন তোমার অবস্থা খুব খারাপ ছিলো। ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত হয়ে খড়-কুড়োই ভেসে আসা উৎভ্রান্ত কোন নারীর মতই ছিল তোমার অবস্থা। পরে তোমার সাথে আমার রিলেশনশিপটা বেশ জমে উঠেছিল। তুমি ছিলে আমার বিশ্বস্ত সহচর। বাড়ির বাইরে কাছারি ঘরে আমার রুমেই তোমার থাকার ব্যবস্থা ছিলো। আমার সাথে তোমাকে কোথাও যেতে বললে এক পায়ে খাড়া হয়ে থাকতে। তবে তুমি নারিকেল তেলটা একটু বেশীই খেতে! মুরগির পালকের মাধ্যমে নারিকেল তেল তুমি বেশ পছন্দ করতে।
সে যাই হোক তোমাকে নিয়ে চকরিয়া পৌছে ঐ পরিচিত জনের কাছে একটি রাত কাটালাম। পরদিন গেলাম মাতামুহুরী নদী পাড় হয়ে একেবারে বদরখালী। দূরত্ব কিন্তু নিতান্তই কম নয়।১২/১৩ কিলোমিটার তো হবেই। সবার চলাচলের বাহন চান্দের গাড়ি হলেও আমি চান্দের গাড়ি ছাড়াই গেলাম। যখন চান্দের গাড়িতে যেতে চাইলাম তখন তুমি অভিমান করলে। যেন বললে, আমি থাকতে আবার চান্দের গাড়িতে চড়তে হবে কেন! চান্দের গাড়ি যেন তোমার সতীন!
তখনও মাতামুহুরী ব্রীজ হয়নি, হয়নি বদরখালী/মহেশখালী ব্রীজও। রাস্তা, বেড়িবাঁধ ও লবণমাঠ এবং চিংড়ি মাছের ঘোনার মাঝখান দিয়ে যেতে ভালই লেগেছিলো। বদরখারী বাজারে সমিতি ঘরের পাশে পল্লী বিদ্যুতের কোয়ার্টারে মানিক ভাই’রা থাকতো। বদরখালীর তিন নাাম্বারে বাবুল স্যারের বাড়ি ছিলো। রমজান মাসে গাড়ি ছাড়া গিয়েছি বলে রোজা ছেড়ে দিতে হযেছিলো। বাবুল স্যারের আব্বা তাড়াতাড়ি পুকুরে জাল মেরে মাছ ধরলেন। ঐ মাছ রান্না করে বাবুল স্যারের আম্মা আমাকে ভাত দিলেন। ডালের ভিতর ডিম ছেড়ে দেয়া সেই মজাদার খাবারের স্বাদ এখনও আমার জিহবায় লেগে আছে। বাবুল স্যার ছিল আমার জেঠা চেয়ারম্যান বাড়ির লজিং মাস্টার। আমরা দুই জন একই রুমে থাকতাম। সেদিন অনেক দূরত্বের কারণে বাড়ি ফিরে আসতে পারিনি। চকরিয়া এসে আরো একটি রাত কাটাতে হয়েছে। ঐদিকে বাড়িতে আমাকে খোঁজতে তুলকালাম কান্ড হয়ে যাচ্ছে। কাউকে কিছু না বলে ২/৩ দিনের জন্য বেমালুম হারিয়ে যাওয়া মা-বাবার জন্য অনেক উদ্বেগের বিষয় ছিল। আমি তার কয়েকমাস আগে মাত্র মেট্রিক পরীক্ষা শেষ করেছি।
জানি আমার কৌতুহলী পাঠকমহল তোমার পরিচয় জানার জন্য ধৈর্যহারা হয়ে আছেন। আসলে দোষটা আমারই। আমিই তোমার পরিচয়টা সবার কাছে গোপন করে গেছি। তবে বুদ্ধিমান ও বিদগ্ধ পাঠক এতক্ষণে নিশ্চয় তোমার পরিচয়ের পোষ্টমর্টেম রিপোর্ট বের করে ফেলেছে । যারা বের করতে পারেননি তাদের জন্য আমার লেখা একটি কবিতা আছে। ‘বদরখারী ভ্রমণ’ নামের কবিতাটি পড়লেই সমাধান পেয়ে যাবেন। কবিতায় তোমার নামটা প্রকাশ করে দিলাম আরকি! ডোন্টমাইন্ট মাই লাভলী ডিয়ার।
#
বদরখালী ভ্রমণ
গিয়েছিলাম বদরখালী যাবো যাবো করে,
অনেক দিনের একটি আশা পূর্ণ হলো পরে।
রমজান মাসে যেতে হলো একটি রোজা ছাড়ি,
বদরখালীর তিন নাম্বারে বাবুল স্যারের বাড়ি।
আধ-ভাঙ্গা ইটা-সুরকি বদরখালীর রাস্তা,
দিন দুপুরে মানিক দিলো শরবত আর নাস্তা।
মাছের ঘোনায় মুখ-হাত ধুয়ে পেলাম লুনা পানি
পাশের খোলা মাঠে লবণ হয় বলল বুড়ি নানী।
ডোবার ভিতর মহিষগুলো নাকটি দেখা যায়
পশ্চিম পাশে মহেশখালী পাহাড় বয়ে যায়।
আসতে যেতে সাইকেল ছিল চলার পথের সাথী।
বদরখালী বাজারের পাশে আছে সমবায় সমিতি।
[কবিতাটির রচনাকাল: ১১/০৫/১৯৮৭, তবে গল্পটি লিখেছি, ০৪/০৩/২০১৭ইং]
২৭টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনি দেখছি অনেক পুরনো কবি!!
ভ্রমণ কাহিনীর সাথে সাই-ফাই গোগ করে নূতন- পুরোনোর সম্মিলন ভালই হয়েছে,
সাইকেল তা কিন্তু আগেই বুজে ফেলেছি।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আমি যদিও টুকটাক কবিতা ত্খনও লিখতাম কিন্তু নিজেকে কখনও কবি মনে করিনি। কারণ কবিতার নিয়মকানুনগুলো আমার কাছে জটিল মনে হয়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। -{@ -{@
অরণ্য
এমন বন্ধুকে নিয়ে এমন কবিতা লেখাই যায়; আর তাকে তা উৎসর্গ করাই যাই। ওর নারকেলের তেল খাওয়া দেখে বুঝতে পারছি ও কত আদরে ছিল আপনার। এমন বন্ধু আমারও ছিল আমার ভার্সিটি লাইফে। মনে পড়ে গেল।
ভাল লিখেছেন। (y)
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আপনার সুন্দর মন্তব্যে খুশি হলাম ও উৎসাহিত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। -{@
নিতাই বাবু
ভালো লেগেছে বন্ধুপ্রীতি গল্পকার কাহিনী পড়ে। বেশ লিখেছে দাদা, এমন বন্ধু নিয়ে লিখতে হয়।
নিতাই বাবু
লেখায় ভুল সংশোধনের অনুরোধ রইল দাদা। লিখেছেন
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
ভুলগুলো টাইপিং মিসটেক। আসলে ইহা ভুল নয়……
আবারো ধন্যবাদ। -{@
গাজী বুরহান
বোকা পাঠক!! অনেক পরে বুঝেছি। বাবা ৫৫০ টাকা দিয়ে কিনে দিয়েছিলেন পরে থেকে ঠাহর করতে পেরেছি।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সে জন্যেই তো কিঞ্চিৎ রহস্যগল্প বলা হয়েছে।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। -{@
নীহারিকা জান্নাত
ইয়ার ট্যাক্সি- এয়ার ট্যাক্সি
কার্ফিও – কার্ফিউ
এরকম কয়েকটি ভুল না হলে আরো ভালো লাগতো।
এমনিতে ভালো লেগেছে লেখাটি।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
ডিকশনারী আপু, আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করবো এভাবেই পাশে থাকবেন। -{@
নীহারিকা জান্নাত
হা হা হা নামটা পছন্দ হয়েছে 🙂
অবশ্যই পাশে থাকবো।
নীলাঞ্জনা নীলা
সাইকেল চালাতে পারিনা আমি। 🙁
গল-কবিতা-নতুন-পুরাতন সব এক হয়ে মিলে গেলো।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
গল্পে রহস্যের সমাধান দেয়া হয়েছে কবিতার মাধ্যমে। পুরাতন ঘটনা নিয়েই তো নতুন নতুন কাহিনী রচনা করা হয় তাই না! তারিখ গুলো দেয়া কি উচিত হয়নি?
পড়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
তারিখ দেয়ায় আমার মনে হয়নি খারাপ কিছু হয়েছে।
মোঃ মজিবর রহমান
মানিকের বন্ধুর শরবত বহুত সুস্বাদু তাইনা ভাই।
ভাল লাগলো বন্ধুর কে লেখা কবিতাখানি।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
মানিক ছিলো বাবুল স্যারের খালাতো ভাই ও বন্ধু। মানিকের কথা বাবুল স্যারের কাছে এত শুনেছি যে তার সাথে দেখা করাটা আমার ভ্রমণের অংশ ছিল। মানিককে সোজা বলে দিয়েছিলাম আমি রোজা রাখিনি। কারণ এতদুর সাইকেল চালিয়ে যাবার পর পেঠের ক্ষিধের অবস্থাটা বুঝুন।
মোঃ মজিবর রহমান
পেট ঠিক তো পথ খোলাসা।
শুন্য শুন্যালয়
খুব মজা করে লিখেছেন। আপনি সৌভাগ্যবান সার্বক্ষনিক একজন বন্ধু ছিলো আপনার। আমিতো তোলপাড় করে ফেললাম কোন বন্ধুর খোঁজই পেলাম না। শুধু নারকেল তেলেই এমন বন্ধুত্ব বিরল 🙂
বেশ লিখেছেন চাথেবা ভাই।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সুন্দর ও উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন। -{@
নীরা সাদীয়া
প্রথমে ভেবেছিলাম সাইকেল, তারপরপর ভাবলাম বড় গাড়ি, তারপর আবার ধরে নিলাম সাইকেল। শেষে এসে দেখি আমার ধারনাটাই সঠিক। বেশ লিখেছেন।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আপনাকে বিব্রত অবস্থায় ফেলার জন্য আমি দুঃখিত। সে জন্যে যেন আমার ব্লগ কুঠিরে আসা বন্ধ করে দিয়েন না। -{@
জিসান শা ইকরাম
সাইকেল নিয়েও এমন লেখা লেখা যায়!!
টাসকিত হলাম 🙂
ভাল লেগেছে আসলেই।
শুভ কামনা।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
রিক্সা নিয়ে যদি অসাধারণ সব গল্প লেখা যায় তাহলে সাইকেল নিয়ে নয় কেন?
অনেক তুচ্ছ জিনিস নিয়েও সাহিত্য রচনা হয়েছে, হচ্ছে। এমনকি গবেষণাও করা হচ্ছে।
যা নিয়েই লেখা হোক না কেন লেখাতে মনের মাধুরী মিশাতে পারলে লেখা অন্তর ছুঁয়ে যাবেই।
বেশীর ভাগ সময় আমরা ওয়ান টাচে লেখা ব্লগে ছেড়ে দিই।
যাই হোক একটু বেশীই বলে ফেললাম। আশা করি কিছু মনে করবেন না। -{@ -{@
মেহেরী তাজ
সাইকেল চালাতে গিয়ে হাত,পা কেটেছি। হাটু ছিলকে তুলে ফেলছি প্রায় ২০/২৫ বার। সাইকেল সহ রাস্তার পাশের ডোবায় পড়ে পচাঁ পানিও খাইছি অনেকবার। তাই সম্ভবত সাইকেল কে আপনার মত ফ্রেন্ড ভাবতে পারিনি কোন দিন।
তবে সাইকেল নিয়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার ইচ্ছে ছিলো বহু পুরনো। একবার দুচারটা ফ্রেন্ড মিলে নিরুদ্দেশ হওয়ার আশায় বের হয়ে আমার কাছে পাকড়াও হয়ে কানমলা খেয়ে সেই যে সাইকেল ছেড়েছি আর সাইকেলে চড়া হয় নি সেভাবে!
লেখা ভালো লেগেছে….. 🙂
চাটিগাঁ থেকে বাহার
সাইকেল নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা জেনে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে। -{@ -{@
আবু খায়ের আনিছ
অসাধরণ দক্ষতা দেখিয়েছেন লেখায়, বেশ ভালো লেগেছে গল্প।