আমেরিকার ২৩৯ তম জন্মদিন গেল। সন্ধ্যা আর রাত্রির মিলন ক্ষণে অদ্ভুত সুন্দর এক আকাশের নিচে হাজার হাজার উৎসুক মানুষ আকাশের দিকে চেয়ে। কেউ নদীর ধারে, কেউ বা ব্রিজের উপরে। কেউ হাত ধরাধরি করে দাঁড়িয়ে। কেউ বা ক’দিন আগে জন্ম নেয়া শিশুকে বুকে জড়িয়ে। পুরো পরিবেশটা কেমন সহজ, সরল, শান্ত আর স্বতঃস্ফূর্ত।
রিহান আজ জীবনের প্রথম আতশবাজি দেখতে যাচ্ছে। তাঁদের বাবা কাজ থেকে ফিরেই শরীর জুড়ে জেঁকে থাকা ক্লান্তির তোয়াক্কা না করে ছুটছে তাঁদের নিয়ে। হাতে সময় কম। গাড়ি হাইওয়ে ধরে ছুটে চলছে। একদিকে রাস্তা বন্ধ তো অন্যদিকে, অন্য রাস্তা ধরে। অবশেষে আমরা রিভার ভিউ পয়েন্টে ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে……
বাবার কোলে পিঠে চড়ে আগ্রহ ভরে আতশবাজি দেখার সময়টাতে তীব্র উচ্ছ্বাসে বারংবার বলে উঠছে__ আব্বুজি, লুক… লু-ক ! তাঁর ধারনা, আব্বুজিও হয়তো আজই প্রথম ঝলমলে আকাশ দেখছে। তাঁদের বাবাও “ওয়াও” “ওহ্ মাই গড” জাতীয় উৎসাহ ব্যঞ্জক শব্দগুলো বলে যাচ্ছিলো আতশবাজির ঠুস্ঠাস শব্দের মাঝে, আলোকোজ্জ্বল আকাশের পানে চেয়ে। বাবা’রা বোধ হয় এমনই !
২২টি মন্তব্য
মেহেরী তাজ
🙁 আপনি বুঝি বাবাকে খুব ভালোবাসতেন তাই না।
রিমি রুম্মান
বাবাকে এখনো ভালোবাসি। ভাল থাকুন। শুভকামনা।
ব্লগার সজীব
সুচিত্রা সেনকে নিয়ে এমন কবিতা এই প্রথম শুনলাম।আপু ছোট বেলার সেই সব দিন আর ফিরে আসবে না 🙁
রিমি রুম্মান
এটি আমরা অনেকেই আকাশে উড়োজাহাজ উড়ে যেতে দেখলে গেয়ে উঠতাম। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনার এমন আবেগময় লেখা পড়ে নস্টালজিক হচ্ছি।
রিমি রুম্মান
ভাল থাকুন সবসময়। শুভকামনা জানবেন।
লীলাবতী
আপুর লেখা পড়ে কাঁদি আমি 🙁
রিমি রুম্মান
আমি কাঁদি সকলের অগোচরে একাকি মনে মনে… 🙁
খেয়ালী মেয়ে
বাবাকে নিয়ে আপনার লেখাগুলো কেনো জানি না আমার হৃদয়টাকে ছুঁয়ে যায়, একটু করে যন্ত্রনা অনুভব করি…………….তাঁর ধারনা, আব্বুজিও হয়তো আজই প্রথম ঝলমলে আকাশ দেখছে—বাচ্চাদের এই ধারনাগুলো অনেক মজা লাগে…….ভালো লেগেছে লেখাটা (y)
রিমি রুম্মান
ভাল থাকবেন। বাবাকে নিয়ে লেখা বুঝি আর ফুরাবে না এই জীবনে।
পারভীন সুলতানা
খুউব সুন্দর বলেছেন, হ্যা বাবাকে মানে আমারও এই বয়সে আরেকবার আব্বুকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে হয় । ইস যদি পেতাম আব্বুকে আরেকবার।
রিমি রুম্মান
এই অতৃপ্তি, অপূর্ণতা থেকেই যাবে জীবনের শেষ দিনগুলো পর্যন্ত।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মমতার বন্ধন বড় আজব যে কোন আনন্দগন পরিবেশে নিজেকে ভাবায়। -{@
রিমি রুম্মান
সব আনন্দময় মুহূর্তগুলো কেমন যেন হুট করেই ছেয়ে থাকে অদ্ভুত এক বিষণ্ণতার ঘোরে। আর সেটা যদি হয় পিতা কন্যার সম্পর্কের মতন শক্তিশালী কোন সম্পর্কের মতন।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার বাবাকে নিয়ে এই লেখাগুলো আমাকে কষ্ট দেয়। কি কষ্টে মনটা মুচড়ে ওঠে, বলতে পারিনা।
সুচিত্রা সেনকে নিয়ে এই কবিতা তো আমিও শুনিনি কোনদিন। অশুদ্ধ উচ্চারনে শুনতে কেমন লাগবে ভেবে নিলাম 🙂
রিহানের জন্য এত্ত আদর রইলো।
রিমি রুম্মান
কবিতাটি আমার শহরের অনেকেই গেয়ে উঠতো যখন আকাশে কোন উড়োজাহাজ দেখা যেতো।
নীলাঞ্জনা নীলা
কতো বছর পর কবিতাটি শুনলাম। বাপির কথা মনে পড়ে গেলো। একটা দৃশ্য বাইসাইকেলে করে বাপির সাথে প্রায় প্রতি রোববার ঘুরতে যাওয়া আর অনেক কবিতা। এটাও ছিলো।
আকাশ থেকে নেমে এলো ছোট্ট একটি প্লেন
তার মধ্যে বসে ছিল লাল টুকটুক মেম
তাঁকে আমি জিগ্যেস করলাম,
হোয়াট ইজ ইয়োর নেম?
সে আমাকে উত্তর দিলো,
“মাই নেম ইজ সুচিত্রা সেন।”
আপনার লেখা তুলনাহীন। -{@
রিমি রুম্মান
যাক্, আপনাকে অন্তত পাওয়া গেলো যে ছোটবেলায় আমার মতোই কবিতাটি আওড়াতো । ভাল থাকবেন। 🙂
হিলিয়াম এইচ ই
ভালো লিখেছেন! 🙁
রিমি রুম্মান
ভাল থাকবেন। শুভকামনা নিরন্তর।
স্বপ্ন
এমন লেখা পড়ে আনন্দে মন খারাপ হয়ে যায় আপু।
রিমি রুম্মান
ঠিক বলেছেন। ভাল থাকবেন। শুভকামনা নিরন্তর।