
কোন এক বিবস্ত্র তিথিতে অনুভূতি প্রদক্ষিণ করে
চুপিসারে দাঁড়াবো সোনেলার গা-ঘেঁসে সবার অলক্ষ্যে,
আশ্চর্যরকম সতর্কতায়; ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ইন্দ্রিয় টান টান করে,
দেখে নেব এখানে-সেখানে কী-হয়, কে কী-লেখে, লিখবে বলে ভাবে;
ভেবে ভেবে টো টো করে, ইতিউতি-ও;
শুনতে পাই, এখানে অতি সামান্যের একটি মাত্র অক্ষর এঁকে দিলে,
আনন্দ-বেদনা নিয়ে ভাবলেও, সেই ভাবনার সুলুক সন্ধান
সমুত্থিত রোদ্দুরের মত স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়, অদৃশ্যের কোন আয়নায়!
টান-টান হাসাহাসি, টুটি-চাঁপা হাসি, পাঁজর ভাঙ্গা দৃশ্যমান-অদৃশ্য অভিমান,
দ্বিধাহীন বিলাসী প্রতিজ্ঞা, ধরা-ছোঁয়ার বাইরের কোন অভিশাপ;
জানি, দাঁড়িয়ে থাকার এই স্বতঃস্ফূর্ত অপব্যয়তা, কোন মানেই নেই,
জানি, এ নয় কোন শিবরাত্রির উপাসনা, ব্যস্ত ব্যাকুল অন্তরে,
জানি, এই যে পলক-পলক ঝুলে থাকা, আঁকড়ে থাকা প্রাণপণে;
অতঃপর মরি-বাঁচি ঝাঁপিয়ে পড়া, পাঁজরের নিচে উন্মনা জৈবতার
নির্দোষ স্পন্দন সবুজ হৃদয়ের আঙিনায়,
উপেক্ষার নয় মোটেই, নুয়ে পড়া আবছা আলোর অসারতায়;
ছবি নেট থেকে।
৩২টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
আমি শুধু পড়ে গেলাম…..
একটা লাইন মাথায় আটকে নিয়ে গেলাম “জানি, দাঁড়িয়ে থাকার এই স্বতঃস্ফূর্ত অপব্যয়, কোন মানেই নেই,” যখন কোনোকিছুরই কোনো মানে নেই………
তখন দাঁড়িয়ে থাকারও মানে নেই, তবু দাঁড়িয়ে থাকাটাই অভ্যাসে নিয়েছি ধরে…… তবে তাই হোক!!
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন যে কিচ্ছু পারে-না/পারবে-না, এই ল্যাখকের মত! তার দাঁড়িয়ে থাকাটুকুই সম্বল;
আপনি সাথে তাম্বুল নিয়ে নিবেন নিশ্চয়ই!
‘আমি শুধু পড়ে গেলাম…..’ কিন্তু এখানে তো দেখা যাচ্ছে কিছু লিখেও ফেলেছেন!
ভাল থাকবেন।
সুরাইয়া পারভীন
অবজেক্টশন! অবজেক্টশন!
এই ল্যাখকের কিচ্ছু পারে না🤔🤔
তাইলে এই ল্যাখকের মতো আমিও দাঁড়িয়ে থাকাকে সম্বল করে নেবো
তাইলে যদি ল্যাখকের মতো….
এখনো পড়ার সুযোগ পাইনি
বন্যা লিপি
কিছু লিখে ফেলেছি? ওইযে!! “যখন কোনোকিছুরই কোনো মানে নেই………
তখন দাঁড়িয়ে থাকারও মানে নেই, তবু দাঁড়িয়ে থাকাটাই অভ্যাসে নিয়েছি ধরে…… তবে তাই হোক!!”” এটুকুই তো!!
আপনি যদি বলেন ” এই ল্যাখকের মত! তার দাঁড়িয়ে থাকাটুকুই সম্বল;”” তাহলে আমার ছায়া অনেক আগেই দাঁড়িয়ে গ্যাছে বৃক্ষের তলে। লিখতে পারিনা এখন আর কিছু। আপনাদের লেখা পড়ে পড়ে তৃষ্ণা মেটাই।
ছাইরাছ হেলাল
পাঠককে তো দেখছি কিছুই শেখাতেও চাচ্ছেন না!!
এ ভারী অন্যায্য!!
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের তৃষ্ণা মেটাতে না হয় সামান্য করল্লা জুসের ব্যবস্থাও কেউ করতে চায় না।
আহা তৃষ্ণা, আহারে তৃষ্ণা।
সুরাইয়া পারভীন
আমি কিন্তু করলার জুস দারুণ বানাতে পারি। স্বাদেও দুর্দান্ত হয়। চাইলে আমার বানানো করলার জুসে তৃষ্ণা নিবারণের চেষ্টা করতে পারেন🤦🤦
ছাইরাছ হেলাল
বুঝছি জীবনটা ত্যানা ত্যানা করার প্লান!!
মোঃ মজিবর রহমান
অতঃপর মরি-বাঁচি ঝাঁপিয়ে পড়া, পাঁজরের নিচে উন্মনা জৈবতার
নির্দোষ স্পন্দন সবুজ হৃদয়ের আঙিনায়,
উপেক্ষার নয় মোটেই, নুয়ে পড়া আবছা আলোর অসারতায়; বিশাল লেখায় বিশাল অর্থ খুজে ফিরতে হবে দেখি। বেঁচে থাকায় বড় পাওনা ।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই এ সময়ে বেঁচে থাকা বেঁচে যাওয়া কম কথা নয়।
ভাল থাকুন।
লেখা কৈ!!
মোঃ মজিবর রহমান
শুভেচ্ছা অবিরত
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।
হালিমা আক্তার
একবার পড়েছি। মন্তব্য করার জন্য আরো কয়েকবার পড়তে হবে।
ছাইরাছ হেলাল
ধুর, এ তেমন কিচ্ছু না,
যা হোক লেখার স্বাধীনতা আপনাকে দেয়াই আছে।
সুরাইয়া পারভীন
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবার উপর যখন নজর রাখা হচ্ছে
কে কী করছে, কে কী লিখছে, কার কতোটা অভিমান জমে আছে, কে হাসতে, কে কাঁদাচ্ছে…ইত্যাদি
তবে এই চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা অপব্যয় কেনো?
সোনেলার দেয়াল ঘেঁষে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থেকে যদি
এতো এতো কিছু করা যায় তবে তো এমনি করে
যুগ যুগ ধরে বটবৃক্ষ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক তৃপ্তির, অনেক শান্তির
ছাইরাছ হেলাল
দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে পা ব্যাথা হলে কু কু করা চলবে না,
এটি যেন মনে থাকে।
প্রকৃত পাঠক লেখকদের মনের নাগাল পেলেও পেয়ে যেতে পারে সাধ্যানুযায়ী।
ভাল থাকুন।
আরজু মুক্তা
সোনেলায় লিখি সোনেলায় ভাসি।
শুব সকাল। শুভ কামনা
ছাইরাছ হেলাল
এ দেখছি হাড় কেপ্পন।
শুভ কামনা আপনাকেও।
রিতু জাহান
উপেক্ষা!!
বড় কঠিন করে সবকিছু। একদম আগলে রাখতে নুয়ে পড়লেও যেনো উপায় নেই।
অবজ্ঞারা তখন জাল ফেলে।
পরিমিতিবোধটুকু থাকুক সকল আবেগজুড়ে, তাই উপেক্ষা না বরং কৃতজ্ঞজলতুলিতে আঁকি কিছু অভিমান অবয়ব।
ছাইরাছ হেলাল
আগলে রাখার প্রত্যয় থাকলে কিছু ত্যাগ তো মাথা পেতে নিতেই হয়। আমরা নেই-ও।
হ্যা মাত্রাতিরিক্ত কোন কিছু হতে পারে না।
শুভেচ্ছা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
আপনার লেখা বোঝার তাবিজ থাকলে দিয়েন। কি যে হবে?
ছাইরাছ হেলাল
তাবিজ ছাড়াই তো ফাটিয়ে ফেলতেছে!!
ভাল থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
কেডায় কইছে আপনারে এইভাবে দাঁড়িয়ে উঁকিঝুঁকি মারতে? ইভ টিজিংয়ের মামলা খাইতে পারেন! সবাইকে দেখলে হবে না ,লেখার জন্য সাহায্য করতে হবে। কিছুই লিখতে পারছিনা, যাচ্ছেতাই অবস্থা। উপেক্ষা, অবজ্ঞা জিনিস টা খুব পীড়াদায়ক। একদম নিতে পারিনা। সবকিছুতেই পরিমিতিবোধ টা থাকা খুউব দরকার। অফুরন্ত শুভকামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো আপনাগো অবাধ সাহায্য সহোযোগিতা নিয়ে লেখা চালাচ্ছি,
আপনার এমন পা-হড়কানোর ভাব নিয়ে পিছু হাঁটা শুরু করলে কৈ যাই কী করি!!
আপনি, পারিব-না ও কথাটি বলিও না আর………এর পরেরটুকু মুনে করতে পারছি না।
ভুজুং ভাজুং বাদ দিয়ে গাল-গল্প লিখে দিন, জমা আছে দেখেতে পাচ্ছি।
শুভেচ্ছা।
তৌহিদুল ইসলাম
অভিমানে কে কি করছে সেটা মনের মাঝে চেপে রেখেছি। বলেকয়ে ভালোবাসা আদায় করা যায়না তাইনা? ভালোবাসলে যেমন পাওয়া যায়, ভালোবাসা পেতে হলেও ভালোবাসা দিতে হয়। প্রয়োজন এখানে মুখ্য হয়ে উঠেছে। তাই আর ভাবিনা।
এরচেয়ে নিজের মত লিখে যাই, সোনেলার উঠোনে সোনাঝরা রোদ্দুরের আলো ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে।
শুভকামনা ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
নিজ মনে লিখে যাওয়াতেই আনন্দ কুড়িয়ে নিতে হয়/হবেও।
অনেক কিছুই ইগ্নোর করেই আমাদের পথ চলা।
ভাল থাকুন, আমে আমে।
দালান জাহান
“নির্দোষ স্পন্দন সবুজ হৃদয়ের আঙিনায়”
ছাইরাছ হেলাল
বহুদিন পরে এমন কপি-পেস্টে খুশি খুশি লাগছে না তো।
আর একটি বাড়িয়ে না হয় লিখুন।
ভাল থাকুন।
সাবিনা ইয়াসমিন
মহারাজ, আপনার ব্লগ প্রপিক ভালো করে একবার দেখুন। কি দেখতে পাচ্ছেন?
একটা লোক সোনেলার জন্ম থেকে এভাবে মুখ ফিরে কিছুই না দেখার বাহানায় দাঁড়িয়ে আছে। দেখতে পাচ্ছেন?
হু, ওটাই আপনি। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে শেকড় গজিয়ে মহীরুহে পরিনত হয়ে গেছেন।
শুধু কি তাই! লতানো বৃক্ষের মতো ডালপালা সব মেলে পুরোটা উঠোন জুড়ে আছেন, তাতেও হচ্ছে না!
এখন আবার আশেপাশে দাঁড়িয়ে সব দেখা লাগবে!
ছাইরাছ হেলাল
ছবি তো এই একখানাই সম্বল!! আপনি কী চাচ্ছেন ভুইত্তামারা নগদা-নগদির ছবি চালু করি!!
মহীরুহ কী না জানি না, ব্লগে দাঁড়ালে যা দেখতে পাই তা তো অনেক পাওয়া, দূর অব্দি যে দেখতে পাচ্ছি।
সোনেলারা সোনেলায় সুন্দর, অন্যেরা যে যার জায়গায়!!
মুল্যবান সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
ভুইত্তামারা ছবি! এগুলো কেমন হয়? মানে এই টাইপের ছবি কীভাবে তুলতে হয়? কারা তোলে!!
ছাইরাছ হেলাল
এগুলো সবার জন্য না, ফলোয়ার কুইম্মা যায় এতে দ্রুত।
বিশেষ টেকনিক জানতে হয়।