হ্যালো দাদা
মায়ের সিটি স্ক্যান রিপোর্ট চলে এসেছে । ডাক্তার বলেছেন রিপোর্ট ভাল খুব তারাতারি জ্ঞান চলে আসবে । আপনি সময় পেলে বিকালে আসবেন । রাখলাম ।
ঠিক আছে ।
বিকালে মিলন বলল চল তোর মাসিমাকে দেখে আসি ।
দুইজন একসাথে সদরে এলাম । অর্পিতা এবং রাজু তখন মাকে ঔষধ খাওয়াচ্ছিল ।
জ্ঞান না আসা পর্যন্ত এবং যতদিন মুখে খাবার খেতে না পারে ততদিন নাকের ভিতর দিয়ে নল (পাইপ) দিয়ে খাওয়াতে হয় ।
ঔষধ গুলো ভালোভাবে গুড়ো করে পাওডার বানিয়ে দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়াচ্ছে ।
আমরা দুই বন্ধু অবাক হয়ে দেখছি কিভাবে ওরা দু জন অসুস্থ মায়ের সেবা করছে ।
ঔষধ খাওয়ানো শেষ ।
আপনি কখন আসলেন দাঁড়িয়ে কেন বসুন ।
পাশের জনকে তো ঠিক চিনলাম না ।
ও বলতে ভুলেই গেছি
ও হচ্ছে মিলন আমার বন্ধু এবং রুমমেট ।
মিলন: আপনার মা এখন কেমন আছেন?
আগের চেয়ে অনেক ভাল ডাক্তার বলেছে আজ রাতেই জ্ঞান আসার সম্ভাবনা আছে । রিপোর্ট ও ভাল ।
রাজু তুই মায়ের কাছে থাক । চলুন আমরা নিচে যাই ।
আবার সেই কফি শপে আসলাম । মিলন বলল কি খাবি বল ।
কিছুনা
কিছুনা আবার কি খালি মুখে বসে থাকব নাকি ?
আচ্ছা দিদি আপনিই অডার্র দিন
আমি দেব ?
ঠিকআছে দুইটা কফি একটা চা
মিলন: একটা চা কার জন্য ?
ওনার জন্য উনি বোধহয় কফি পছন্দ করেন না ।
একবার আড়চোখে অর্পিতার দিকে তাকালাম মুখে দুষ্টু হাসি । এই কয়েক দিনে এই প্রথম ওর মুখে হাসি দেখলাম । যে কোন মানুষের সৌন্দর্য কে বহুগুণ দেয় তার হাসি ।
এরপর ওকে হাসপাতালে পৌছে দিয়ে আমরা দুই জন হোষ্টেলের দিকে পা বাড়ালাম ।
রুমে পৌছায়ে মিলন বলল দোস্ত পার্টি দিচ্ছিস কবে ?
কিসের পার্টি ?
এত সুন্দরী একটা জিএফ পেলি আবার বলছিস কিসের পার্টি?
আরে তুই যা ভাবছিস ব্যাপার টা তা নয় । আমি তো ওকে…
থাক আমাকে বোঝাতে আসিস না ।
যা তোর জন্য ছাড় দিলাম শুধু আমাকে একা খাওয়া । কেউ জানবে না নয়ত কাল ক্যাম্পাসের সবাই জেনে যেতে পারে ।
মাফ কর দোস্ত আমি রাজি ।
পরদিন শুক্রবার কম্পিউটারে মুভি দেখছিলাম । প্রায় মাঝ রাতে অর্পিতার ফোন ।
হ্যালো জয় বলছেন ?
চলবে……………….
১৪টি মন্তব্য
মা মাটি দেশ
যে কোন মানুষের সৌন্দর্য কে বহুগুণ— দেয় তার হাসি।খুব ভাল লাগছে।
সঞ্জয় কুমার
যথার্থ বলেছেন । :@ :D)
সঞ্জয় কুমার
সরি একটা ভুল ইমো চলে এসেছে ।
পুষ্পবতী
মাঝ রাতে অর্পিতার ফোন কেনো?
সঞ্জয় কুমার
এটা জানতে পরের পর্বটা পড়তে হবে ।
শাহ আলম বাদশা
বড়গল্প মনে হয়–আগের পর্বগুলো পড়ে মন্তব্য দিতে হবে– লেখায় কিন্তু প্রচুর বানানভুল আছে ভাই–
আগের পর্বটি চলতি পর্বে লিঙ্ক আকারে দিলে আমার মতো যারা আগে পড়েনিনি তাড়া অনায়াসেই পড়তে পারবে।
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ বাদশা ভাই । নিজের ভুল নিজে বোঝা যায় না । । একটু কষ্ট করে ভুল বানান গুলো ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকব । আর বাকি পর্ব গুলো পড়তে আমার নামের উপর ক্লিক করুন । আশাকরি সব পার্ট গুলো একত্রে পেয়ে যাবেন । ।
শাহ আলম বাদশা
যেমন কিছু ভুল-তারাতারি=তাড়াতাড়ি, ঔষধ গুলো=ঔষধগুলো, বোধহয়=বোধ হয়/বোধ’য়, গুড়ো=গুঁড়ো, খালি মুখে=খালিমুখে ইত্যাদি
লীলাবতী
আমি কিন্তু জেনে গিয়েছি , আমাকেও খাওয়াতে হবে 🙂 ভালো লাগছে গল্প । নিটোল প্রেমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কাহিনী -{@
সঞ্জয় কুমার
কবে কখন কোথায় ?
গল্পটা এখনো আর দশটা গল্পের মতই মনে হচ্ছে । কিন্তু জল যে কোন সময় যে কোন দিকে গড়াতে পারে ।
শুন্য শুন্যালয়
কোথায় থামতে হবে ঠিক জানেন আপনি. সাসপেন্স এর জায়গায় লিখে দেন চলবে 🙂 আচ্ছা চলুক।
সঞ্জয় কুমার
ঠিক ধরেছেন । ধন্যবাদ আপনাকে ।
সঞ্জয় কুমার
:Overjoy: :Approve: :Overjoy:
স্বপ্ন নীলা
খুবই ভাল লাগলো —– সাবলীলভাবে এগিয়ে যাচ্ছে গল্প ——চলুক —-