
ঝলক-বৃষ্টির ছোঁয়ায়
প্রশান্তির-জলেরা গড়ায় আলপথের ভাঁজে ভাঁজে,
গ্রীষ্মের দাবদাহ শেষে,
ফোটা-ফোটা বৃষ্টিতে জল-ধোয়া পাতারা-ও হাসে
সবুজ নিঃশ্বাসে;
উষ্ণিত বাতাস দাঁতে দাঁত চাপে,
অচিরেই আসবে ফিরে সে নীরব-নিবিড়ে
দাহের হাসি ঝুলিয়ে,
অনায়াসে ঢুকে যাবে বুকের গভীরে,
চ্যাংদোলা করে ফেলে দেবে
উত্তপ্ত গিরি খাদের উষ্ণ-প্লাবনে,
অগ্নিগিরির জ্বালামুখে;
অরণ্য-বৃষ্টি চকচকে খোলা চোখে
হাসির ফুলঝুরি ছুটিয়ে গোল-চোখে বলে,
ভাঁড়ারের চাবি কিছুতেই পাবে-না,
দেবো-ও-না, আঁকড়ে ধরে
চূর্ণ-বিচূর্ণতার ভয় দেখালেও-না।
ছবি নেটের।
৩৪টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আহারে কি সুন্দর বৃষ্টি। গরম একদম ভালো লাগে না। গরমকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে । ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন
ছাইরাছ হেলাল
কিন্তু গরম আর বৃষ্টি যে অন্য আয়োজনে ব্যস্ত! তা কী টের পাচ্ছেন!
অবশ্যই বিশেষ ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
পাচ্ছি মনে হয়। 🙂🙂
ছাইরাছ হেলাল
খাইছে আমারে!!
তৌহিদ
বৃষ্টি এলে শান্ত প্রকৃতি ভালোই লাগে তবে বৃষ্টি শেষে কড়া রোদে অসহ্য গরমে যেন নেতিয়ে পড়তে হয়।
ভালো থাকবেন ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
প্রকৃতি তার নিজ নিয়ম নিয়ে থাকে, আমাদের থোরাই কেয়ারে নেয়!
শুভেচ্ছা, আপনাকে।
আতা স্বপন
অরণ্য আর বৃষ্টির খেলায়
কবি মন গেল হারায়
ধন্যবাদ!! ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
্নাকে।হারাতে পেরেছি কী না জানিনা,
তবে এদের কাম কাইজ গভীর পর্যবেক্ষণে নেই।
ধন্যবাদ।
দালান জাহান
সুন্দর লিখেছেন অরণ্য বৃষ্টি কাব্য
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
একটু অনিয়মিত পাচ্ছি আপনাকে, হয়ত ব্যস্ততা!
ভাল থাকবেন।
সুরাইয়া নার্গিস
দারুন লেখা, মুগ্ধ হলাম।
বৃষ্টি আমার খুব প্রিয় খুব, এখনো মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজতে ভেজা হয়।
তবে ইদানিং বৃষ্টি শেষে কড়া রোদটা খুব খারাপ লাগে, তারপরও বৃষ্টিতে মনের শান্তি আসে..
ছাইরাছ হেলাল
ঠিক আছে, একটি বৃষ্টি-লেখা দিয়ে আমাদের সাথে গলা মিলান এবারে।
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে………………
ভাল থাকুন।
সুপায়ন বড়ুয়া
সবুজ গাঢ় অরন্যে
ফোটা-ফোটা বৃষ্টিতে জল-ধোয়া পাতারা-ও হাসে
সবুজ নিঃশ্বাসে;
আমরা যদি হাসতে পারতাম এই করোনা কালে
ভাল লাগতো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
বিধাতা আমাদের অবশ্যই হাসি সংরক্ষণ করে রেখাছেন।
আমরা সবাই মিলেই হাসবো।
ভাল থাকবেন ভাই।
ফয়জুল মহী
সুন্দর, চমৎকার লেখনী
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ।
সাবিনা ইয়াসমিন
ছবিটা খুব সুন্দর। একমনে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মন্তব্যটিও অনেক অনেক সুন্দর, মন লেগে যাওয়ার মত।
ভাল থাকুন, নিরাপদে থেকে।
হালিম নজরুল
আপনার কবিতার বৃষ্টিতে ভিজতে চাই।
ডুবে যেতে চাই তৃপ্তির সাগরে।
ভাল থাকুন কবি।
ছাইরাছ হেলাল
এহেন শুকনো বৃষ্টিতে ভিজে বেশী জুত হবে বলে মনে হয় না।
ডুবাডুবি তো অন্নেক পরের কথা!
ভাল থাকুন।
কবিতা পড়তে চাই তো।
হালিম নজরুল
আমি গরীব মানুষ, অল্পে তুষ্ট, আপনার যতটুকু গভীরতা, তাতেই আমি তলিয়ে যাই। এতেই চলবে, এর বেশি প্রয়োজন নেই গো কবি।
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো মনে-প্রাণে আপনার কথাই বিশ্বাস করতে চাই!
কিন্তু আপনি যে কবি!!!!!!!
শান্ত চৌধুরী
অরণ্য-বৃষ্টি চকচকে খোলা চোখে
হাসির ফুলঝুরি ছুটিয়ে গোল-চোখে বলে,
ভাঁড়ারের চাবি কিছুতেই পাবে-না,
দেবো-ও-না, আঁকড়ে ধরে
চূর্ণ-বিচূর্ণতার ভয় দেখালেও-না।
অসাধারণ
ভালো থাকুন অনাবিল
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
কামাল উদ্দিন
ভাঁড়ার ঘরে কি এমন আছে যে, শত চেষ্টায় তার চাবি ধরে রাখতেই হবে। আগে তো জানতাম ওখানে শুধু কলা থাকে।
ছাইরাছ হেলাল
আগের জানা দিয়ে দুনিয়া চলবে-না, ভাঁড়ার ঘর সকল ক্ষমতার উৎস।
ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
করোনার সময়টায় দুনিয়াটা সত্যিই উলট-পালট হয়ে গেলো দেখছি।
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক, দম বন্ধ বন্ধ লাগে।
আরজু মুক্তা
যে কাঁঠাল পাকা গরম পরছে। একটা হিম শীতল বৃষ্টি চাই
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই একটু শীতলতা আমাদের চাই-ই।
ধন্যবাদ।
পার্থ সারথি পোদ্দার
বা! বেশ ভালো লাগল,ভাই।বৃষ্টি এসে এভাবেই যদি ভিজিয়ে দিত আমার আমিকে এই উষ্ণ জীবনে।
শুভ কামনা নিরন্তর।
ছাইরাছ হেলাল
প্রত্যাশা থাকে এই শীতলতার আমাদের সবার।
ভাল থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
বাপ্রে, কবিতা পড়ে ভয় পাইছি,
” উত্তপ্ত গিরি খাদের উষ্ণ-প্লাবনে,
অগ্নিগিরির জ্বালামুখে; ” – পুড়ে না যাই আবার।
তবে শীতল সবুজাভ অরণ্য রক্ষা করবে, এই আশায় আছি।
ছাইরাছ হেলাল
একদম পুড়ে না গেলেও আগুনে-হলকা থেকে রেহাই পাইয়া কঠিন।
আশাই জীবন। আশাই অক্কা পাওয়া!