
লেখার পর লেখা (সবার বিরক্তি নিয়ে)!
এ-যেন এক মৌন উৎসব,
সীমিত বেহায়া নির্লজ্জ খেয়ালি অপুষ্টত্ব নিয়ে
বিরতিহীন বিদ্যুৎ চমকের মত বিচ্ছুরিত হচ্ছে,
ক্রমাগত ঝরে-পড়া ভোরের শিউলি ঘ্রাণের খোঁজে,
নিঃশব্দে কেউ তা তুলে-ও নিয়ে যাচ্ছে
নিরিবিলিতে মমতা জড়ায়ে; অলক্ষ্যে;
আজন্ম লালিত গন্তব্যের কাছে, স্বপ্নের মত।
ধুলো আর নর্দমার নড়নড়ে দেয়াল টপকে
পৌঁছে যাবে সে দূরের আকাশে দাঁড়িয়ে থাকা
নীলের কাছে, অজানার ঠিকানায়।
ছবি নেটের।
৩৬টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
লেখার পর লেখা (সবার বিরক্তি নিয়ে)!
এ-যেন এক মৌন উৎসব,
সীমিত বেহায়া নির্লজ্জ খেয়ালি অপুষ্টত্ব নিয়ে
বিরতিহীন বিদ্যুৎ চমকের মত বিচ্ছুরিত হচ্ছে- কে বলেছে বিরক্ত হয়েছে? আপনি যদি অপুষ্টতায় ভুগেন তাহলে আমাদের তো আরো করুণ অবস্থা। আপনি লিখবেন আর আমরা তা মমতার বন্ধনে জড়ায়ে নেব এটাইতো স্বাভাবিক। অজানা ঠিকানায় হারিয়ে গেলে কেমনে হবে ভাইয়া?? ভালো থাকবেন। শুভ সকাল
ছাইরাছ হেলাল
রোজ রোজ লিখি তো, নিজ মনে যা আসে তাই, বেহিসাবির মত।
কিলবিল করা লেখার একটি অংশ প্রকাশিত হয়।
আপনাদের লেখা স্বাস্থ্যবান, নীরোগ অবশ্যই।
কে আর কোথায় হারায়! সোনেলা রেখে!
ভাল থাকুন।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আমার টা বাদে সবার লেখা স্বাস্থ্যবান, নীরোগ। যা মাথার উপ্রে দিয়ে যায়। কেমনে লিখে বুঝিনা। শব্দার্থ দিয়েও সারমর্ম খুঁজে পাইনা যেমন বন্যা আপু 🙄🙄। ভালো থাকবেন
ছাইরাছ হেলাল
কী না কী কন, আপনি নীরোগ।
তৌহিদ
আমি মোট্টেও বিরক্ত হইনি কিন্তু। লিখে মনের দুটোকথা সবার সাথে শেয়ার করতে পারি এটাতেই তৃপ্তি।
ভালো থাকুন ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
আসলেই, বিনা হিসাবে মনের কথা বলি।
বিরক্ত হলে আপনার কিন্তু খবর আছে, প্রতিশ্রুতি মনে থাকে যেন।’আমি মোট্টেও বিরক্ত হইনি কিন্তু।’
ভাল থাকবেন এ সময়ে।
সুরাইয়া পারভীন
ভোরের শিউলির মন মাতানো
ঘ্রাণে মাতোয়ারা মন ও মনন
আজন্ম লালিত গন্তব্যে পোঁছে যেতে
সীমিত আকারে বেহায়া নির্লজ্জ হলে হবে!!
দূরে দাঁড়িয়ে থাকা নীলের কাছে পৌঁছাতে হলে
নীলকে ছুঁতে হলে অনেক বেশি বেহায়া নির্লজ্জ হতে হবে।
কবিতা প্রেমীদের কবি বা কবিতা বিরক্তি নয়
বেঁচে থাকার, ভালো থাকার রসদ সরবরাহ করে
তাই আরো বেশি বেশি লিখুন, লিখতেই থাকুন
ছাইরাছ হেলাল
আপনি-ই প্রকৃত সুহৃদ, কত কত সাহস-অনুপ্রেরণা দিলেন।
কবিতার আকাশ ছুঁয়ে দেখতে চাই, নির্লজ্জ হলেও, লিখে লিখে, বিরতিহীনতায়।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সুরাইয়া পারভীন
কতোটুকু কবিতা বুঝি
সেটা বড় কথা নয়
কতোবার কবিতা পড়ি
এটাই হলো কথার কথা
পড়তে পড়তেই একদিন
অবশ্যই পরিপূর্ণ বুঝে আসবে কবিতা
সেই প্রত্যাশায় পড়ি, পড়ছি আর পড়তেই থাকবো কবির কবিতা।
ছাইরাছ হেলাল
কবিতা আসলে বোঝার বিষয় নয়, এটি অনুভবের বিষয়,
একটি লেখা হলো আয়নার মত, সামনে দাঁড়াবেন, মন দিয়ে খুঁটিয়ে দেখবেন, যে ছবি এসে উঠবে,
এটি তাই-ই। তাতে যে ছবি-ই উঠে আসুক না কেন।
আমি তো খালি পড়ি আর পড়ি, তাল বেল আম জামরুল বেল। কিছুতেই অরুচি নেই। কাঁচকলা হলেও।
আবার ধন্যবাদ।
কামাল উদ্দিন
আমাদের খামখেয়ালি লেখাগুলো সব দেয়াল টপকে আকাশের নীলে জমা হচ্ছে। হয়তো অজানা ঠিকানার কেউ ওটা পড়ে ভাববে আজ হতে শত বর্য আগে………….
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তো ছবি তোলেন!
এ সব কথা কৈ থেকে বলেন! লক্ষণ কিন্তু সুবিধের মনে হচ্ছে না।
ভাল থাকুন।
কামাল উদ্দিন
হুমম, করোনার প্রভাবে অনেক কিছুই হচ্ছে ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
করোনা থেকে যদি এমন কিছু হয়, হোক তা আরও বেশী করে।
ফয়জুল মহী
বেশ মন ছুঁয়ে গেল লেখা। ভালোবাসা ও শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
নিয়মিত পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
বন্যা লিপি
তাই ভাবছি বিরক্তিপণা মানুষগুলা কই? ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম না থাকলে দিনে ২৪টা লেখা পড়ার সুযোগ হতো এখানের বাসিন্দাদের।
তাতে মৌণ শব্দেেরা খেলতো নিশ্চুপ উঠোনের রোদে। কুড়িয়ে নেবার সুযোগে শিউলীরা জমে উঠতো কারো আঁচলে বা হাতের আজলে।
লেখেন লেখেন…. রোজ রোজ লেখেন যকতে শব্দের যোগান দেখতে পাই।
ছাইরাছ হেলাল
এগুলাইন সবাই লিখতে পারে, কষ্ট করে লেখে-না শুধু।
আমি তো এমনি এমনি লিখি।
অনেক সুন্দর করে বলার জন্য ধন্যবাদ।
সুপায়ন বড়ুয়া
“ধুলো আর নর্দমার নড়নড়ে দেয়াল টপকে
পৌঁছে যাবে সে দূরের আকাশে দাঁড়িয়ে থাকা
নীলের কাছে, অজানার ঠিকানায়।”
কবিতা গুলো পৌঁছে যাবে আপন ঠিকানায়
কবির নিজস্ব ক্যারিশমায়।
ভাল লাগলো। শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই এত সুন্দর করে বলে কীভাবে তাই ভাবছি।
কারিশমা-টারিশমা বলে কিচ্ছু নেই। শুধুই ভাবের প্রকাশ সাদামাটা ভাবে।
ভাল থাকবেন।
নাজমুল হুদা
সকল অনুভূতি প্রকাশ বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগায়। বিরক্তিকর ব্যাপার সেক্ষেত্রে মূল্যহীন। প্রকাশ ঘটুক সকল অনুভূতির।
ছাইরাছ হেলাল
আসলেই, আমারা শুধু ক্রমাগত আমাদেরকেই প্রকাশ করি,
নির্দিধায় নির্বিবাদে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ইঞ্জা
সরল প্রকাশে মুগ্ধতা অনিঃশেষ।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই হলেই এমন সুন্দর করে বলতে পারে।
ভাল থাকুন।
ইঞ্জা
ভালোবাসা জানবেন ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
শুভেচ্ছা আপনাকেও ভাই।
জিসান শা ইকরাম
দূরের আকাশে চলে গেলে আমরা নাগাল পাবো কিভাবে!
তাও আবার অজানা ঠিকানায়,
লেখা চাই নিয়মিত।
ছাইরাছ হেলাল
কোথায় আর যামু এই পোড়া-ফাডা কপাল লইয়া!
নিয়মিত লিখব ভাবছি।
সাবিনা ইয়াসমিন
প্রকৃতির মাঝে যত প্রাকৃতিক সৃষ্টি-সৌন্দর্য আছে, তার প্রতি আমার যত মুগ্ধতা আছে, এর শতভাগের মুলভাগ দূর্বলতা অসীম আকাশ ঘিরে।
মহারাজ, আপনার কবিতার সারমর্ম/ ভাব বিশ্লেষণের দুঃসাহস দেখাতে আমি একদমই ইচ্ছুক নই।
কমেন্ট রাখছি আকাশ ছবির..
আমি আজ আর কথাও যাব না
এই নীলাকাশ ছেড়ে….
কোথাও নাহ, আর না,
দুই ভ্রূর মাঝে আর এক চোখ দিয়ে শুধুই দেখে যাব…।
সীমাহীন নীলাকাশ……
ছাইরাছ হেলাল
এ মন্তব্য নিয়ে আমিও কিছু বলার চেষ্টা নিছি না।
তবে এইটুকু বলে চাই, বাকীটুকু লিখে পোস্ট দিয়ে দিন।
ক্যামনে লেখে এসব!! বাপ্রে!!
সাবিনা ইয়াসমিন
তথাস্তু!
ক্যাম্নে লিখি এটা আমার নিজের কাছেই এক রহস্য। কিন্তু মহারাজ, আপনি যেভাবে তারস্বরে আপনার পূর্বপুরুষকে ডেকে উঠেছেন, তাতে ভয়ানক ভীত-সন্ত্রস্ত বোধ করছি। আল্লাহই জানেন এর ব্যাখ্যা কি!!
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন পূর্বপুরুষেরাই একমাত্র সহি, তাদের ডেকেই এই সুদিনে আশ্রয় চাই।
ক্যাম্নে লেখার রহস্য নিজের কাছেই রাখতে চান! এটি কিন্তু ঠিক না।
আরজু মুক্তা
নীলের আমন্ত্রণ গ্রহণ করলাম
ছাইরাছ হেলাল
মনে থাকে যেন। যা ভুল মন আপনার।
ধন্যবাদ।
হালিম নজরুল
এত সুন্দর লেখা পড়াই হয়নি! !
ছাইরাছ হেলাল
এইতো পড়া হয়েই গেল।
ধন্যবাদ দিলাম।