
গান আমরা সবাই কম/ বেশি শুনি। আনন্দ বা বিষাদে নিমজ্জিত সময়ে প্রিয় গান শুনে গানের কথার মাঝে বিলীন হয়ে যাই।
একটি জীবনে ভালো লাগা গানের সংখ্যা অজস্র। কিছু গান নতুন প্রকাশ হবার পর বেশ ভালো লাগে৷সময়ের সাথে সে ভালো লাগা ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়।
কিছু গান কখনোই পুরান হয়না। ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হতে থাকে গানগুলো প্রথম পরিচয়ের পর হতেই। সবচেয়ে বেশী শ্রুত গানের তালিকা করা খুবই কঠিন। তারপরেও কয়েকটি গানের কথা আমি বলবো যা সবচেয়ে বেশী বার শুনেছি আমি।
১। প্রথমেই আছে মান্না দের গাওয়া ‘ কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই …….. ‘
কত হাজার বার এই গানটি শুনেছি তা জানিনা। তখন টেপ রেকর্ডার আসেনি দেশে।বড় রেকর্ডে রেকর্ড প্লেয়ারে প্রথম শুনেছি এই গান। মান্নাদের গাওয়া কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে গাওয়া গান আমার ভীত টাই কাঁপিয়ে দিয়েছিলো। কেমন এক হাহাকার, শূন্যতা অনুভব করি গানটি এখনো শুনে। প্রাণের প্রিয় বন্ধুদের জন্য হাহাকার।
টেপ রেকর্ডার বাজারে এলে একটি ১২০ মিনিটের টেপে যতবার ধরে ততবারই গানটি রেকর্ড করিয়ে বারবার শুনতাম। এরপর সিডি, পেনড্রাইভে, এখন তো ইউটিউবেই শুনি।
২। তালিকায় এরপরে আছে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় আর শ্রাবন্তি মজুমদারের গাওয়া ‘ কাটে না সময় যেন আর কিছুতে, বন্ধুর টেলিফোনে মন বসেনা ….. জানালার গ্রীলটাতে ঠেকাই মাথা, মনে হয় বাবার মত কেউ বলে না, আয় খুকু আয় ….. আয় খুকু আয়…… ‘
একটি কন্যা সন্তানের জন্য হাহাকার আমার প্রথম ছেলের পরেই। এরপরে কন্যা সন্তানের জন্য আরো দুই ছেলে আমার সংসার আলোকিত করে এলো। কিন্তু কন্যার মুখে বাবা ডাক আর শোনা হলো না এ জীবনে। কন্যার প্রতি আমার ভিতরে জমে থাকা স্নেহ আবেগ এখনো নদীর পানির মত বহমান। একারনেই অনলাইনের মাধ্যমে পরিচিত শাহরিন, প্রভা, উর্মি, ফারহিন, পলি সাই কে বাবার শ্নেহ দিয়েছি। উর্মি,ফারহিন বাবা ডাকত আমায়। আমার স্ত্রীও উর্মি, ফারহিনের বাড়িতে গিয়েছি, কন্যা হিসেবে মেনে নিয়েছি দুজনেই। উর্মির পড়াশুনার দায়িত্বও নিয়েছি যেভাবে একজন বাবা মা নেয় তার কন্যার দায়িত্ব। প্রতিবন্ধী মেয়ে ছিলো উর্মি, ক্রাচ নিয়ে চলাফেরা করতে হত।
পলি সাই থাইল্যান্ডের মেয়ে, বাবা ডাকে আমাকে। ব্যংকক হাসপাতালে প্রতিবছর চিকিৎসা নিতে যাই , আর আমার মেয়ে হাসপাতালে সারাক্ষণ সাথে থাকে। নিজেই ছোটাছুটি করে টেস্ট, রিপোর্ট, ডাক্তারদের সাথে কথা বলা ইত্যাদি সব কিছু ওই ম্যানেজ করে।
প্রভা বুঝতো আমি ওকে আমার মেয়ে হিসেবেই জানি। দাদা ডাকলেও ও মেয়ের মতই আবদার করতো আমার কাছে।
শাহরিন এর দাদা হয়েই আছি আমি।ও কি জানে ওর প্রতি আমার পিতৃ স্নেহই কাজ করে বেশী ?
গানটি যতবার শুনি, ততবারই মনে হয় ওদের কারো সাথে গানটি আমি গাইছি। মানুষের কত ধরনের অপূর্ণতা থাকে!
৩। এরপর আছে একটি উদাস হওয়া গান। শিল্পী লাকি আখন্দ এর নাম বর্তমান প্রজন্মের কাছে হয়ত অচেনা। তার গাওয়া ‘ এই নীল মনিহার…… এই স্বর্ণালী দিনে… তোমায় দিয়ে গেলাম……শুধুই মনে রেখো… ‘
গানটি মুখস্থ হয়ে গিয়েছিলো। সারাক্ষণই এই গানটি মনের মধ্যে বাজতো। একা একা জোরে জোরেও গেয়েছি বহুদিন।
এই ধরনের গানের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে প্রিয় বন্ধু নাসির সারোয়ার। গিটার এবং গান পাগল নাসির আমাকে বাংলা ব্যান্ড এবং ইংরেজী গানে আসক্ত করে দিয়েছিলো। স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে নাসিরের গিটারের সাথে সাথে বন্ধু অনুপ সহ নাসিরদের বাড্ডার বাসায় রাত জেগে দরাজ গলায় সমবেত কণ্ঠে এই গানটি গাওয়ার কথা।নাসিরের বাসায় এখনো যাই, খুব মিস করি সেই সব রাতের কথা, ওদের পূর্বের বাসা, আম গাছ, খালাম্মার কথা।
৪। চার নাম্বারে আছে শিল্পী George Michael এর Careless Whisper গানটি। এই গানটি যতবার শুনি আমি কোথায় যেন হারিয়ে যাই। এই গানটিও দিয়েছিলো নাসির। ইংরেজী গানের মাঝে এটিই আমার সবচেয়ে প্রিয় এবং বহু শ্রুত। গানটির কথা দিয়েই দিলাম এখানে-
I feel so unsure
As I take your hand and lead you to the dance floor
As the music dies, something in your eyes
Calls to mind a silver screen
And all its sad good-byes
I’m never gonna dance again
Guilty feet have got no rhythm
Though it’s easy to pretend
I know you’re not a fool
Should’ve known better than to cheat a friend
And waste the chance that I’d been given
So I’m never gonna dance again
The way I danced with you
Time can never mend
The careless whispers of a good friend
To the heart and mind
Ignorance is kind
There’s no comfort in the truth
Pain is all you’ll find
I’m never gonna dance again
Guilty feet have got no rhythm
Though it’s easy to pretend
I know you’re not a fool
I should’ve known better than to cheat a friend
And waste the chance that I’d been given
So I’m never gonna dance again
The way I danced with you, ohh
Never without your love
Tonight the music seems so loud
I wish that we could lose this crowd
Maybe it’s better this way
We’d hurt each other with the things we’d want to say
We could have been so good together
We could have lived this dance forever
But no one’s gonna dance with me
Please stay
And I’m never gonna dance again
Guilty feet have got no rhythm
Though it’s easy to pretend
I know you’re not a fool
Should’ve known better than to cheat a friend
And waste the chance that I’d been given
So I’m never gonna dance again
The way I danced with you
Now that you’re gone
(Now that you’re gone) Was what I did’s so wrong, so wrong
That you had to leave me alone?
৫। পাঁচ নাম্বারে আছে হিন্দি গান মেরা জীবন কোরা কাগজ, কোরা হি রয়ে গেয়া……… কিশোর কুমারের গাওয়া হিন্দি কোরা কাগজ সিনেমার এই গানটিও কতবার শুনেছি জানিনা।কিশোর কুমারের মত এত মেলোডিয়াস কণ্ঠ আর কারো আছে কিনা আমার জানা নেই। সম্ভব হলে আপনারা কোরা কাগজ সিনেমাটি দেখতে পারেন।
৬। ছয় নাম্বারে আছে হিন্দি সিনেমা অমর প্রেম এর কিশোর কুমারের গাওয়া Chingari Koi Bhadke গানটি। রাজেশ খান্না আমার তখন অত্যন্ত প্রিয় নায়ক। গানটির কথা, সুর আমাকে অন্য লোকে নিয়ে যায় এখনো। হুহু করে ওঠে আমার হৃদয়।
আমি কি কিছুটা দুঃখবাদী মানুষ? সব গানগুলোতেই বিষাদ জড়িয়ে আছে। হয়ত দুঃখ গাঁথাই জীবনে সবচেয়ে বেশী দাগ কেটে থাকে আমাদের।
উৎসর্গঃ
প্রিয় বন্ধু নাসিরকে। খুব মিস করি তোকে।
২১টি মন্তব্য
বন্যা লিপি
প্রত্যেকটা উল্লেখিত গানগুলোর মধ্যে শেষরটা তেমন একটা পছন্দের না হলেও,শোনা। ‘ কফি হাউজের সেই আড্ডাটা….’ বোধ করি সর্বকালে সমান শ্রোতাদের পছন্দের তালিকাী শীর্ষে।
আমার বিয়ের পর ঢাকায় চলে আসার পর, মুক্তি আমাকে একটা চিঠি লিখেছিলো– ‘ জানিস লিপি, এখন আর কিচ্ছু ভালো লাগে না। কেমন যেন সব হঠাৎ করে নাই হয়ে গেলো,তুই নাই, মালা নাই, আগের মত আর কোনো বান্ধবিরা আসে না। কচিটাও শশুড় বাড়ি। ” কফি হাউজের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই..… আজ আর নেই”…. আমি অনেক কেঁদেছিলাম সে চিঠি পড়ে।
তারপরের গানটা শুনতাম আর আব্বাকে মনে করে কাঁদতাম। আব্বা খুব শুনতো ওই গানটা। “আয় খুকু আয়….” আমার গায়ে হলুদের দিন আব্বার ইচ্ছে ছিলো গানটা বাজাবার, আমার কান্নার আওয়াজ পেয়ে আব্বা বাসা থেকে বের হয়ে বাইরে চলে গেলেন। আমাকে হলুদও লাগান নি।
আর লাকি আখন্দ এর ” এই নীল মনিহার….” আমার ঠোঁটস্থ মুখস্থ ছিলো এক সময়ে। আমিও সেই রকম গান পাগলা একজন😊😊
সেই রেডিও শোনার যুগ থেকে এই এখনকার ইউটিউব যুগ পর্যন্ত। গান মানুষের মানসিক পরিস্থিতী সম্বল করেই যেন তৈরী হয়। বিষন্নতা,আনন্দ,খুশি,হালকা মেজাজ, পার্টি সংগীত, অথবা আধ্যাত্মিকতায়,দেশ প্রেমে কোন পর্যায় নেই যা গানে উপস্থাপিত নেই?
খুবই চমৎকার পোষ্ট। আপনাদের বন্ধুত্তের প্রতি রইলো শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
এই সব গান কালজয়ী গান, কালকে অতিক্রম করে যুগ যুগ এ সমস্ত গান মানুষের হৃদয়কে দোলা দিয়ে যাবে।
কফি হাউস, আয় খুকু আয়, এই শীলমনি হার এখনো আমি শুনি প্রায় রোজই।
মন্তব্যে স্মৃতিকাতরতা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।
শুভ কামনা।
স্বপ্নীল মেঘ
গান মনের খোরাক। আপনার পচন্দের লিষ্টে থাকা গান গুলো প্রায় সব ই শোনা।
গান হয়ে যায় নির্জন বিকেলর সঙ্গী, গান হয়ে যায় একাকী রাতের ঘুম।
আপনার জীবন দুঃখের নয়। কিন্তু জানেন তো, মনে বিষাদ না জমলে গান শুনে আপনি তৃপ্তি পাবেন নাহ।
সুন্দর লিখেছেন। গানের বিশ্লেষণ অসাধারণ। যদি আপনার ছেলের অভাব থাকতো, আমি বাবা ডাকতাম। আমার ও তো আর বাবা নেই!
আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুন। আরো লিখুন। শুভকামনা।
জিসান শা ইকরাম
‘ গান হয়ে যায় নির্জন বিকেলর সঙ্গী, গান হয়ে যায় একাকী রাতের ঘুম ‘ — মন্তব্যের মাঝে এমন সুন্দর বাক্য মন্তব্যকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিচ্ছি।
রোকসানা খন্দকার রুকু
বাইরের হাসিখুশি মানুষটার অজানা কষ্ট জানা হলো। জীবন এমনই কখনই পূর্নতা দেয় না। কোথায় যেন খালি থেকে যায়, ব্যাথা বহন করে। এজন্যই বোধহয় কলম নিয়ে বসা হয়!!
ইংলিশ গানটি শোনা হয়নি বাকিগুলো আমাদের মোটামুটি সবারই পছন্দের তালিকায়। সোনেলার মানুষগুলি সবাই আমরা কোন কোন জায়গায় পোড় খাওয়া বলেই হয়ত এমন মিল।
আমার নিজের দশবছর বিবাহিত জীবনে বাচ্চা নেই। দত্তক নিয়েছি ভাইয়ের ছেলেকে, একটা মেয়ে নেয়ারও ইচ্ছে। জন্ম না দিলেও নিজের করা যায় বরং তৈরি ভালবাসার টান একটু বেশি!!!!
শুভ কামনা আমার ভাইটির জন্য।
জিসান শা ইকরাম
সবার জীবনেই কিছুটা হলেও অতৃপ্তি থাকে। আর এই অতৃপ্তি ক্ষণে ক্ষণে আমাদের মনকে এলোমেলো করে দেয়।
ইংলিশ গানটি ক্লিক করে অবশ্যই শুনবেন, ভালো লাগবে আশাকরি।
হ্যা সোনেলা পরিবারে আমরা যারা আছি, কিছু না কিছু মিল অবশ্যই আছে সবার মাঝে।
আপনার ছেলেকে নিয়ে হাসি, আনন্দের মাঝে থাকুন। সমস্ত অপুর্নতা পূর্ন হোক, এই দোয়া করি।
শুভ কামনা।
আরজু মুক্তা
৬ নং গানটা বাদে সবগুলো গান এখনো শুনি। আমার মেয়ে বলে এতো পুরাতন গান এখনও শোনো!! ওরা বোঝে না। গান গুলো সার্বজনীন। দুখ সুখ সব তো আপেক্ষিক। গান অনেক সময় জীবনে গতি আনতে সাহায্য করে। আমার মন ভালো না থাকলে এমন অনেক গান শুনি। অথবা গানও চলে। কাজও চলে। লেখালেখিও তাই। লিখতে পারছি না। গান শুনি।
বন্ধু ও আপনি সবাই ভালো থাকেন। প্রতিটা কাজের পিছনে একজন বন্ধু থাকে।
দুঃখগুলো উড়িয়ে দিলাম, সুখ আসবে বলে।
জিসান শা ইকরাম
এসব গান কখনো পুরাণ হবে না। যুগ যুগ ধরে এর আবেদন থাকবে।
অবশ্য আমাদের পরবর্তী জেনারেশন এর কাছে এই গানের কদর নেই।
” দুখ সুখ সব তো আপেক্ষিক। গান অনেক সময় জীবনে গতি আনতে সাহায্য করে। ” – এই বাক্যের সাথে শতভাগ সহমত পোষণ করি।
দুঃখ গুলো দূর হয়ে যাক, সুখ আসুক।
শুভ কামনা।
নাসির সারওয়ার
মিস করি কিছু ভালোবাসার মানুষ।
মিস করি পিছু দিনের কথা।
আসছি পরে একটু সময় নিয়ে।
জিসান শা ইকরাম
বর্তমানের বাড্ডার বাসায় যাই, আমি অতীতে চলে যাই। সামনের রুম, খাবার রুম, পিছনের বারান্দা, আম গাছ, খালাম্মার শ্নেহ, সেই স্মৃতিময় স্বর্ণালী সময়। সব যেন মুহুর্তের মাঝে চলে আসে চোখের সামনে, স্মৃতিতে।
আচ্ছা, অপেক্ষায় আছি।
ছাইরাছ হেলাল
এই গানটি শুনে দেখুন, আপনার লেখার বিষযগুলো এখানে আছে।
https://www.youtube.com/watch?v=6VdZd9Q8Lx4
জিসান শা ইকরাম
আরে তাইতো! আগে জানলে তো এই গানটি পোষ্টের নীচে দিয়ে দিতাম।
এমন গানের লিংক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
গান গুলো শুনেছি। নীল মণিহার গানটি আমাকে আবেগে ভাসায়, কেন তা জানি না। ঐরকম কোন ব্যাথা বেদনা আমার নাই।
প্রতিটি গানের সাথে একেকটা গল্প! পড়ে নিই, আবারও আসবো 🙂
জিসান শা ইকরাম
ব্যাথা বেদনা না থাকলেও এসব বিষাদের গান আমাদের ভালো লাগে। কেন লাগে এর কারণ বুঝতে অক্ষম আমরা।
প্রতিটি গানের পিছনে অবশ্যই একটি গল্প থাকে,
ভাবছি এরপর আনন্দ, উচ্ছাসের গান নিয়ে একটি পোষ্ট দেবো।
আচ্ছা আসুন, শুভ কামনা।
হালিমা আক্তার
গান নয় জীবন কাহিনী। আসলেই গান জীবনের কথা বলে। গান গুলো কখনোই মনে হয় না যে পুরাতন গান। ৪ও ৬ নং সবগুলো গান ভীষণ প্রিয়। শুভ কামনা। ভালো থাকবেন।
হালিমা আক্তার
৪ও৬ নং বাদে।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
শেষের গানটি মনে হয় শোনা হয়নি। কফি হাউজের , আয় খুকু আয় গানগুলো একসময় মুখস্থ ছিল । সবসময়ই শোনা হতো । কলেজের বান্ধবীরা মিলে কোলাজ করে গেতাম লালমাটিয়ার সেই আড্ডাটা আজ আর নেই। আহা সেইসব দিনে ফিরে গেলাম গানগুলোর কথা মনে করে। ধন্যবাদ দাদা ভাই। চমৎকার পোস্ট। শুভ সকাল
জিসান শা ইকরাম
গানের এই সিরিজটি চালু রাখব বিভিন্ন শিরোনামে ভাবছি।
শুভ কামনা।
হালিম নজরুল
এক সময় গানের পোকা ছিলাম। ছোটবেলায় গান না চালালে আমার অংক মিলতো না। এই পথ ধরে হাঁটতে খুব ভাল লাগায় একসময় গানও লিখতে শুরু করলাম। জীবনে প্রথম যেদিন টেলিভিশনে শিল্পীকে আমার লেখা গান গাইতে শুনেছিলাম, সেদিনের সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এখনো বহু গান শুনলে আমার গায়ের লোম নড়েচড়ে বসে।
জিসান শা ইকরাম
আপনার গান টেলিভিশন এ প্রচার হয়েছিলো! জানিনা তো ভাই।
শুভ কামনা অনেক অনেক।
উর্বশী
কালজয়ী এই গান গুলো আমার মনে হয় বেশীর ভাগই সবার পছন্দের লিষ্টে আছে। গান তো মনের খোড়াক,কিছু সময়ের জন্য অনেক কিছু ভুলে থাকাও যায় আবার কিছু নতুন উপাদান ভাবাও যায়। অনেকেরই বিরহের গান পছন্দ হয়তো,জীবনমুখী ছন্দ কথামালায় সাজানো বলেই। গান শোনা নেশার মত, স্কুল ও কলেজে গান গাওয়া এটা ছিল ঠেলে ঠুলে বাধ্য করাতো,আর যখন লেখার জগতে এলাম তখন গান ও লেখা শুরু করলাম।
বিটি বিতে জমা দেয়া থাকলেও কারো তোয়াজ করতে যাইনি। যারা তোয়াজ করতে গিয়েছিলেন তারা তিনজন ই বিটিবির গীতিকার হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন,তার মধ্যে একজন আমার লেখা চুরি করেছিলেন,বর্তমানে তিনি আর বেঁচে নেই,ভয়াবহ করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেন।তবে তারা গীতিকার হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগেই আমার ৯ টি গান কিংবদন্তী ও বিশিষ্ট কন্ঠ শিল্পী জনাব খসরু ওয়াহিদ আমার গুরুজি গান গুলো পরিবেশন করেন। ২০ টি গান নিয়ে আমাদের প্রজেক্ট শুরু প্রাথমিকভাবে। কখনো গুরুজির সমস্যা,আর কখনো আমার সমস্যার কারনে থেমে আছে,আবার ভাবছি শুরু করবো।ইচ্ছে আছে গুরুজির মেয়ে,শায়ান,তার ভাই ফেরদৌস ওয়াহিদ,তার ছেলে হাবিব ওয়াহিদ তাদের দিয়েও একটি করে হলে গান গাওয়াবো।হাবিবের সাথে প্রাইমারি কথা বলে রেখেছেন।দোয়া করবেন যদি বেঁচে থাকি আর আল্লাহ পাক যদি সহায় হন সফলতা আসবে।এক কথায় চমৎকার পোষ্ট ভাইয়া।
আন্তরিক ধন্যবাদ সহ সালাম।