অহল্যার চোখে চোখ রেখে জানতে চাই—এখন কেমন আছো এ বেলায়?
আহা সে সব দিন, বড় বেশী বুনো, বেশিই লুকানো নির্জনতায় ঝড় তোলা সমুদ্রে
আকণ্ঠ নিমজ্জন, রাশি রাশি অনন্ত অবগাহন, কাকে বেশী মনে পড়ে? গৌতম না ইন্দ্র?
বুকে হাত রেখে বলতো একবার হলেও।
পাথুরে অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়ে কার কথা প্রথম ভেবেছিলে?
ভালোবেসে বা ঘৃণায় ? সহজ নয় ভুলে যাওয়া আকণ্ঠ ইন্দ্রসুখ।
আদরে সোহাগে জন্ম থেকে এ অব্দি লালন-পালন সব ই কি বৃথা!
অহল্যাহৃদয়ের অলিন্দ-নিলয়েও কিছু পাওয়ার চাওয়া থাকে,
৫৩টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
কোন অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার পরেতো ভালোবাসার কথাই মনে হবার কথা। কিছুই বুজিনাই।
যাক, বেশী বোজা ভালোনা।
ছাইরাছ হেলাল
দু’জনের কাছে দায়বদ্ধতা থাকলে তখন কী হবে?
বেশি না বোঝাই ভাল।
নাসির সারওয়ার
এ অহল্যা কাহিনী বেজায় কঠিন। যতটুকু জানি তাতে ইন্দ্র আর গৌতম একই ব্যাক্তি। খোলস পরে কি ভিতরটা বদলানো যায়! তারপরও ইন্দ্রের কথাই বেশী বলি।
ভুল চুক মাফ কিন্তু।
আমার টিচার কই! হেয় অনেক বেশী জানে …।
ছাইরাছ হেলাল
গৌতম ও ইন্দ্র এক ব্যক্তি নয়,
অবশ্যই কঠিন, আপনি বরং মাস্টারাফার কাছে প্রাইভেটে এক খতম দিয়ে আসুন,
সবই ফকফকা হয়ে যাবে।
হে অনেক বেশি বেশি জানে, হেই লইগ্যাই হের জন্য লিখছি, যদি আরও কিছু জানতে পারি,
নাসির সারওয়ার
আমি এগুন পড়ুম না। বেজায় কঠিন ঠ্যায়ে!
ছাইরাছ হেলাল
হেয়া পড়বেন ক্যা!! পড়বেন আউল ফাউল।
কবিরা পড়তেই চায় না,
অনিকেত নন্দিনী
প্রস্তরীভূতা দশা থেকে রক্তমাংসের নারীতে পরিণত হবার পর হয়তোবা ইন্দ্রের কথাই প্রথম মনে পড়েছিলো। দেবতাকর্তৃক সমাদৃতা হয়ে তাঁর আলিঙ্গনে ঠাঁই পাওয়া কি চাট্টিখানি কথা! বিশেষ করে ওই সময়টাতে যখন কিনা অগণিতা নারী-অপ্সরা-দেবী ধ্যানমগ্না হতেন দেবতাসান্নিধ্যের আশায়।
আমি কইলাম অহল্যা না, হেরপরেও আমার হৃদয়ের অলিন্দ-নিলয়ের চাওয়াপাওয়ার কোনো শ্যাষ নাই।
সোজাসুজি মাস্টারাফা বানায়ে দিলেন? যাউজ্ঞা, বানাইলেনই যহন এইবার ডেভু ভাইয়ারে কন সোনেলায় সানগ্লাস/চশমাপিন্দা ইমোর ব্যবস্থা করতে। নাইলে কইলাম ঈদের পরেত্তে হরতাল আন্দোলন দিমু।
ছাইরাছ হেলাল
হরতাল আন্দুলুনে আফনের লগেই থাকুম কিন্তু,
খালি আওয়াজ দিলেই হবে।
ও আপনি অহল্যা না!! তাইলে শিউর আত্মীয় লাগেন!
চাওয়াগুলো জানতে চাই না, পাওয়া গুলোর হিসাব দেন।
এ জন্য দুন্যাইতেও ইন্দ্রবাদীদের জয়গান, দ্যাহা সাক্ষাত পাইলে আমাগোও জানায়েন।
গৌতমেরা এখানেও অবহেলিত থেকেই গেল।
যে যা তাকে তো তাই বলা উত্তম, নবীশ তো আরও কয়েক কাঠি এগিয়ে।
অনিকেত নন্দিনী
মানিনা, মানপোনা। আমার ঘোর বেকায়দা দিনে এইরাম আড্ডাবাজি পোস্ট!
ভেটো দিলাম, ভেটো। :@
নাসির সারওয়ার
@অনিকেত নন্দিনী
ও টিচার! আপ্নে কোনে। এম্মে আইয়া আমারে এত্তু উদ্দার করেন। হেয় কয় গৌতম আর ইন্দ্র একজন না!
ছাইরাছ হেলাল
কথা দিন, পরে হবে, তাহলে এ যাত্রা রেহাই দেই।
অনিকেত নন্দিনী
সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখের পরে জম্পেশ আড্ডা হবে ইনশাআল্লাহ। 😀
আপাতত কচুরিদামে আটকে আছি। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
মাশাল্লা হবেই হবে জম্পেশ আড্ডা,
এ আটকা আটকা না,
অপেক্ষা রইল।
ইঞ্জা
বিমুগ্ধতা রইল।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
এই ল্যাহার শানে নজুল কি?
শানে নজুল ছাড়া মন্তব্য কেম্নে দেই?
এত্ত পেইন দ্যান কেন আপনি? কোথায় খুজুম শানে নজুল?
ছাইরাছ হেলাল
একদম নাক বরাবর মাস্টারাফার সাথে যুগাযুগ করেন,
একচিমটি লবণ আর এক চিমটি গুড় মিলিয়ে ঘুটা দিয়ে খাইয়ে দেবে,
সব ফকফকা হয়ে যাবে।
পেইনের আর দেখলেন কী!
আসিতেছে ফোড়া কথন!!
জিসান শা ইকরাম
মাষ্টারাফারে ডর লাগে, লীলাবতী কি এক ডর লাগাইয়া দিছে মাষ্টারাফার হাতে মানুষ কোপাইন্যা দা দিয়া,
এরপর আবার ফোড়া!! আমার কোন ফোড়া টোড়া নাই কইলাম,
গৌতম না ইন্দ্র এই প্রশ্নের উত্তর কেবল নারীকুলই দিতারেন,
উত্তর দিতে হইলে নারী হওন লাগপে।
ছাইরাছ হেলাল
ডাক্তারে যখন চিৎ করবে তখন টের পাইবেন, ফোড়া আছে কী নেই।
আমাগো মাস্টারাফা আছে, হে তো ইন্দ্রের লাইনে হাত উঁচা করছে,
এখন বুইজ্জা লন কি অইতারে।
প্রহেলিকা
এতো এতো প্রশ্নবাণে জর্জরিত অহল্যার সাধ্যে কি কুলোবে মুখ হা করে কিছু বলার? প্রশ্নরা না আবার প্রশ্নই থেকে যায় আজন্ম জন্মান্তরে! কে জানে!!!
শানেনজুল আমিও জানতে চাই জিসান ভাইয়ের সাথে সাথে। গৌতম না ইন্দ্র সেটার কথা আমরাও শুনতে চাই।
কবিতা পড়েই ক্ষান্ত থাকতে শিখে গেছি আর তাই সেই মহল্লার দিকে পা বাড়াই না।
ছাইরাছ হেলাল
এই তো আকলমান কে লিয়ে ইশারাই কাফি।
গুড বয়,
অপার্থিব
ইন্দ্রের কথা মনে হয় প্রথম ভেবেছিল তবে সেটা প্রেম জনিত ভাবনার চেয়ে ঘৃণা জনিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সুজয় ঘোষের অহল্যা শর্ট ফিল্মটা দেখেছেন? এখানে মহাভারতের উপাখ্যানকে কিছুটা ফেমিনিষ্ট দৃষ্টিকোন থেকে দেখানো হয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=Ff82XtV78xo
ছাইরাছ হেলাল
এটা দেখছি। কিন্তু আমার মনে হয়েছে আসল কাহিনীটি না জানা থাকলে এই ছবিটি দেখে
বুঝে ফেলা মনে হয় কঠিন, ঘটনাটি জানা থাকলে নানা ভাবনা করাই যায়,
আমি যেমন আমার মত করে প্রশ্ন করেছি।
মিষ্টি জিন
ভাইজান মাথা তো ঘুরান্তি দিছে.,
আমারে মনে হঁয় অহল্যার দুজনের কথাই মনে পরেছিল। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ভাইজান, এক সাথে তো দু’জন হবে না, আমার প্রশ্ন ছিল
একজন হলে সে কে!!
আপনি কোন দলে!!
নীলাঞ্জনা নীলা
অহল্যা জীবন। ইন্দ্র/গৌতম সব এক। যুগটা আজও ইন্দ্র আর গৌতমেরই চলছে। অহল্যাদের জীবনের বদল হয়নি।
কবিতা মন ছুঁয়ে গেলো। আজ আমার মনের মতো একটা কবিতা লিখেছেন। :c
ছাইরাছ হেলাল
আহ, শান্তি শান্তি এত্ত দিনে মনের নাগাল পেলাম,
তয় কথা হলো এত্তদিন যে সব ফুলঝুরি ছিটিয়েছেন তা কী কবি আব!!
নীলাঞ্জনা নীলা
বেশী ভাব ধরবেন না। মনে হয় আমার মনের নাগাল পেতে লিখছেন? কবিরাজ ভাই কথার ফুলঝুরি ছিটিয়েই তো মানুষ নিজেকে বাঁচিয়ে রাখে। আপনি নিজেকে দিয়েই তো বোঝেন, জানেন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার কথার ফুলঝুরি কিন্তু সব সময়ের জন্যই দারুণ।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঘটনা কি? ইহা কোন তৈল? অলিভ অয়েল হইলে কোনো কথা নাই। কিন্তু সরিষার তেল হইলে দুইখান কথা আছে। 😀
ছাইরাছ হেলাল
অলিভ খুবই স্বাস্থ্যপ্রদ!!
ক্রিস্টাল শামীম
অহল্যার চোখে চোখ রেখে জানতে চাই—এখন কেমন আছো এ বেলায়?
আহা সে সব দিন, বড় বেশী বুনো, বেশিই লুকানো নির্জনতায় ঝড় তোলা সমুদ্রে,,,
ভালো লাগলো (y)
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে।
মোঃ মজিবর রহমান
অহল্যাহৃদয়ের অলিন্দ-নিলয়েও কিছু পাওয়ার চাওয়া থাকে, পুরণ করুন।
মাস্টারনিরে আপনি মাস্টারাফাকে বানাইলেন? যাক কবিটাটা আজ খুব ভালই লাগলো
আপনারে ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
সবার সব কিছু পূরণ হয় না ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
কিসের কবি আপনি
লেখার খরাক করতে পারেন
আর ইচ্ছে পূরণ করতে পারবেন না???????
ছাইরাছ হেলাল
ভাল করে দুয়া করে দিয়েন।
মুশকিল আছান দুয়া!!
সকাল স্বপ্ন
ভালো—— লেখায়—
ছাইরাছ হেলাল
বুঝলাম।
প্রহেলিকা
আজকে পাইলাম না কিছু। গ্যাপ দেয়া যাবে না।
ছাইরাছ হেলাল
পুরানো ইঞ্জিন বেশি চা্লিয়ে সিজ হয়ে গেলে আপনি কী আমার লেখা লিখে দেবেন!!
ব্লগার সজীব
আদরে সোহাগে জন্ম থেকে এ অব্দি লালন-পালন সব বৃথাই হয়, এসব হয় ডাল ভাত 🙂 অহল্যার ইন্দ্রকেই ভেবেছিল প্রথমে।
ছাইরাছ হেলাল
‘ইন্দ্র’ ছাড়া আমাদের চলেই না!!
একদম ঠিকঠাক ধরে ফেলেছেন দেখতে পাচ্ছি,
ব্লগার সজীব
উহু, ইন্দ্র ছাড়া চলবে না, এটিই চির সত্য 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনার দেখছি ইন্দ্রালু ভাব এসে দেছে।
ব্যাপারনা।
মৌনতা রিতু
অহল্যা যে কারে ভেবেছিল ! সেটাই ভাবনার বিষয়। তয় কইতে গেলে মন্তব্য বিশাল আকার হইয়া যাইব।
অহল্যারে লইয়া কেন টানেন ?
কল্পনায় ইন্দ্রের ও যে কেউ ভাসে না, তাও তো বলা মুশকিল।
আপনি অহল্যারে জিগাইলেই কি সত্য কথা কবে, কেমন আছে ?
কবিতা চরম হইছে কবি।
ছাইরাছ হেলাল
মন্তব্য বিশালতায় তিমি আকৃতির হলেই বা সমস্যা কি?
আমি ভাই টানাটানি করলাম কখন!!
ইন্দ্র সাহেব আর গৌতম সাহেব টেনেই কুল পাচ্ছেন না, আমি আর কে হে!!
ইন্দ্রদের একটু আধটু ইয়ে থাকেই, সেটি সবার ই জানা, অহল্যাই তো কুপোকাত,
উনারা দেবতা, আর যা হোক মিথ্যে বলতে পারেন না,
না জিগাইলে কি মুখ ফুটে বলতে পারে সব কথা!!
ভাইয়া, আমি কবি-ফবি কিছু না কইলাম!!
শুন্য শুন্যালয়
ভালোবাসার ক্ষমতা বেশি নাকি ঘৃণার? অভিশপ্ত আগুনের ক্ষতে হাত রেখে ইন্দ্র কী শুধুই অহর্নিশ যন্ত্রণার আরেক নাম নয়? অভিশাপ মুক্ত হলেও একদা এক অবিশ্বাসের বিষ আদৌ ছায়া ছাড়েনা বলেই মনে হয়, তাই ইন্দ্রই কী নয়? প্রশ্ন তো আমারো আছে, লেখক ইন্দ্র নাকি গৌতম?
লেখাটা কিন্তু একটু বেশিই ভালো হয়েছে। এখন আর চাষাবাদের সময় নয়, সময় শুধুই চকচকে সোনালী ফসলের দিকে ইন্দ্রালু চোখে চাওয়া, প্রাপ্তি।
ছাইরাছ হেলাল
এখানে লেখকের প্রচণ্ড পক্ষপাত ইন্দ্রের দিকে, ইন্দ্র ছাড়া আমাদের চলেই না।
দেখবেন ইন্দ্রালু ভাব নিয়ে আবার কারফা লেগে না যায়।
আপনার সকৃপণ প্রশংসা আনন্দধ্বনি হয়ে বাজুক।
হাজার যন্ত্রণায়ও অহল্যার প্রাণে ইন্দ্রধ্বনি বাজবেই!!
শুন্য শুন্যালয়
দেবতাদের হাজার খুন মাপ, পক্ষপাত তো যাবেই। 🙂
আচ্ছা ইন্দ্রসুখ শব্দটার কী এখান থেকেই জন্ম?
আমি কিন্তু গৌতমের পক্ষে। আদরে সোহাগে জন্ম থেকে এ অব্দি লালন-পালন বৃথা হয়না, যদি তাতে বিশ্বাস আর সত্যি থাকে। রামায়ন, মহাভারত সব বেটে খেতে হবে কী এমন লিখতে?
ছাইরাছ হেলাল
মহাভারত বেটে খাওয়ার মত শিল-নোড়া সংগ্রহ করতে পারিনি,
বেটে-বুটে সামান্য এদিকে দিলে মন্দ হয় না।
ইন্দ্রসুখ কীভাবে এসেছে বলতে পারি না, তবে অহল্যার সব থেকেও কিছু একটা ছিল না,
যা সে একমাত্র ইন্দ্রের কাছেই পেয়েছিল।
লালন- পালন যত্ন-আত্তি সবই ছিল, একটি জায়গায় বড়ই অপূর্ণতা ছিল, যা গৌতম মুনি দিতে অপারগ ছিলেন।
আবু খায়ের আনিছ
বিপদে পড়িয়া কোন শব্দ প্রথমে মনে আসে, ও মাগো আমি এহন কি করি।
ছাইরাছ হেলাল
ঘাবড়ানোর কিছু নেই।