এক-
ঘাসের বুকে পিঠ ঠেকিয়ে যেনো জীবনের পথচলা—
সুস্বাদু পানীয়ে নেশায় মাতাল এক অস্থিরতার সমাধীস্থলে গিয়ে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাবার আগে চেয়ে দেখে, নরম রোদের আলোয় কচিঘাসের উপর শিশিরকণা কেমন হীরের মতো দ্যুতি তুলছে!
খুব ইচ্ছে করে তোমার চোখে-মুখে ওই শিশির মাখিয়ে দিতে দুষ্টুমীর খামখেয়ালিপনায়।
দুই –
উত্তুরে হাওয়ারা ওড়ো আরোও।
দস্যুর মতো হামলে পড়ার আগে
শাঁই শাঁই শব্দে ছুটে চলো—-
পরিযায়ী পাখীদের মতো শুধু এখানে এসোনা, এই ভাঙ্গা ঘরে;
মাটিতে শুয়ে থাকা মানুষগুলোর কাছে কৃত্রিম উষ্ণতা নেই।
তিন –
এই পৌষালি জ্যোৎস্নাতে আমার তোমাকে চাই।
অন্ধকারের শরীর ছুঁয়ে এই আলোতে আসতে বাধা কোথায়!
দেখো সময় কিন্তু স্থির নয়, এসো,
ওই চাঁদের পাহাড় ভেঙ্গে গড়িয়ে পড়ছে আলোর ঝর্ণা
একদিন আবার পৌষ আসবে, কিন্তু ফুরিয়ে যাবে এই উষ্ণতা।
চার –
একদিন এভাবেই পৌষের এক রাতে কবিতা লিখেছিলাম তোমায় নিয়ে
আজ আবার সেই হিম হিম ঋতু;
কাগজ-কলম নেই, সেই তুমিও নেই,
তবে থেকে গেছে কবিতারা।
ভাগ্যিস তুমি নেই,
জীবনে “তুমি”দের আনাগোনা থাকে,
কবিতা চলে গেলে আর ফিরে আসেনা।
************———**************
হ্যামিল্টন, কানাডা
২২টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
এই জন্যই বলি ব্লগের কবি-গুরু!!
লেখা -সার পাঠানো মাত্র মন্ত্রবৎ কাব্য গজিয়েই ওঠেনি,
ডালপালা বিস্তার করে জাঁকিয়ে বসেছে!!
চলে যাবে/ চলে যাওয়া কবিতার সাথে
ভাব করি-না/রাখি-ও-না,
কবিতায় বাঁধি স্বপ্ন, স্বপ্নে-ও বাঁধি কবিতা;
এ যেন বারে-বারে ছুঁয়ে যাওয়া স্বপ্ন-সাধ।
কবিতা আগলে রাখি, কবিতা আগলে রাখে
ঘুমিয়ে পড়ি কবিতাস্পর্শে, জেগে-ও থাকি
পেলবস্পর্শে;
কবিতার মায়াজাল/কুহকজালে জড়িয়ে
ওষ্ঠাগত প্রাণেও জাগে জোয়ার-জল……………………………
আর পারমু না!!!!!
নীলাঞ্জনা নীলা
আর পারমু না বললে তো হবে না! বলতেই হবে। এইটুকুতে সন্তুষ্ট হতে পারচায়না।
############
কিছু শব্দের অপচয় হোক, খুচরো কথার কাব্য নয়
মায়ামোহমাখা একটা কবিতার জন্ম হোক,
তারপরেই দেখবো,
ভাববো,
অক্ষরের বাক্য-কথন।
############
ভাগ্য ভালো কবিগরু বলেননি! 😀
ছাইরাছ হেলাল
বালাই সাঁট। গরু ভেবে ঝামেলায় জড়াতে চাই না,
এমনিতেই লিখে-টখে আপনি চ্যাপ্টা করে ফেলেছেন।
শেষে পূজো-টুঁজো দিতে হবে যে!!
দুমদাম করে এভাবে লেখা যায় নাকি!! নাকি লেখা ঠিক!!
কী না কী লিখে ফেলব শেষে ভজঘট বাধিয়ে বসব!!
নীলাঞ্জনা নীলা
সবসময়ই কি ভেবেচিন্তে বলতে হয় কুবিরাজ ভাই? 😃
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন বইন!! ঐ যে ভাবিয়া কাজ/অ-কাজ বলে একটি কথা চালু আছে;
যাক, ভাবনার দায়িত্ব যখন আপনার তখন আর চিন্তা কী!!
মনে রাইক্কেন কিন্তু, পরে যেন কোন ট্যাঁ-ফ্যোঁ না হয়!! করি-ও না!!
নীলাঞ্জনা নীলা
কথা রে ক্যাম্নে উল্টাইয়া ফ্যালাইতে হয়, এইডা শিখন লাগবো আফনের থাইক্যা কুবিরাজ ভাইসাব । 😁
জিসান শা ইকরাম
হুম উষ্ণতা সব সময় থাকেনা,
কত ‘ তুমি ‘ আসবে যাবে, কবিতা চলে গেলে আর ফিরে আসবেনা,
দুষ্টুমীর ইচ্ছেটা খুব সুন্দর।
অনু কাব্য খুবই ভাল লেগেছে নাতনী -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
তোমার ভালো লেগেছে নানা? জেনে খুব খুশী হয়েছি।
ভালো থেকো। 🌹
জিসান শা ইকরাম
হ্যা, অনেক ভাল লেগেছে -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
খুব খুশী হোলাম আমি। 😃🙏
মায়াবতী
কি চরম সত্য আপু! জীবনে ” তুমি ” দের আনাগোনা আসলে ই থাকে কিন্ত কবিতার আনাগোনা….. দারূণ কবিতা আপু, খুব ভালো লেগেছে। (3
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতা ভালো লেগেছে জেনে মনটা আনন্দে নেচে উঠলো।
প্রিয় মায়াবতী অনেক ভালো থাকুন। 🌹
সাবিনা ইয়াসমিন
এই পৌষালী জোছনাতে আমার
তোমাকে চাই,,
অন্ধকারের শরীর ছুঁয়ে এই আলোতে
আসতে বাধা কোথায় ??
এতো অনুভবে,অনুরাগের স্বকাতর আমন্ত্রনে যে সাড়া না দেয়,,তার প্রতি শত করুনা,,বৃথা জন্ম তার এই ধরনীর বুকে,,,
চমৎকার অনুকাব্য উপহার দিলেন নীলা আপু।মুগ্ধতা রেখে গেলাম। (3
নীলাঞ্জনা নীলা
এভাবে বাস্তবে কেউ কি কাউকে ডাকে? কাব্য যে কতো কী ই না দেখায়! তাই না?
সুন্দর মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। 🌹
রিমি রুম্মান
কীভাবে লিখো এমন করে ছোট ছোট কথায় ! মুগ্ধ। (3
নীলাঞ্জনা নীলা
রিমি আপু এসব এলোমেলো আঁকিবুঁকি আর কী! তোমার মন্তব্য প্রেরণা জাগায়, জানো তো?
ভালো রেখো।
মাহমুদ আল মেহেদী
মুগ্ধতা রেখে গেলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
পরিযায়ী পাখীদের মতো শুধু এখানে এসোনা, এই ভাঙ্গা ঘরে;
মাটিতে শুয়ে থাকা মানুষগুলোর কাছে কৃত্রিম উষ্ণতা নেই।
একদম ঠিক
তবে আছে মাটির গন্ধ ভরা সজীব ভালবাসা।
দারুন লাগল -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই কি সুন্দর বলে দিলেন! মাটির গন্ধ ভরা সজীব ভালোবাসা।
অনেক ভালো থাকুন।
তৌহিদ
আপু অসম্ভব ভালো লাগলো অনুকাব্য। জীবনে কিছু তুমিদের আনাগোনা থাকেই তবে কিছু স্মৃতি হয় মলিন আর কিছু হয় উজ্জ্বল। কি করে লিখেন এত সুন্দর করে?
নীলাঞ্জনা নীলা
সুন্দর কই আর লিখি! বরং আপনারাই আমার লেখার মধ্যে সুন্দর দেখেন। তাই তো লেখাও সুন্দর হয়ে সেজে ওঠে।
অশেষ ধন্যবাদ লেখাটির পাশে থাকার জন্য।