আমি তো স্বীকৃত-ই চেয়েছি মনে মনে, কবিতার কাছে,
ঘুমিয়ে-ঘুমিয়ে শুনতে থাকা পরণ কথার মত;
আবরণহীন সূচনা-রাত্রির মত, অরণ্য-দিনে ছিন্ন-বস্ত্রের মত,
ফেনিয়ে ওঠা সূচী-শুভ্র ঘূর্ণাবর্তের মত;
আড়াল-হীন রঙ্গ মঞ্চে প্রতিধ্বনির কলরোল তুলে
হাজারো সম্মুখ দৃষ্টির তোয়াক্কা না করে
হস্তান্তরিত হোক এ অদম্য কবিতা;
বিষে বিষক্ষয় সে তো জানাই আছে,
নির্ঘুম ঝর্ণা-বকুনির দেয়া বিষ নিয়ে নেব অঢেলে;
নিষ্কৃতি!! সে তো নয় কোন বুড়োর হাতের মোয়া!
প্রাণদাতা উন্মুক্ত কবিতা, হোক না সে যতই অপরাধী।
প্রহেলিকাকে!!
১৮টি মন্তব্য
রিতু জাহান
কবিতার জন্য যা কিছু অদম্য শব্দ তা অতুলনীয় হয়ে ফুটে ওঠে, উঠেছেও।
যান্ত্রিক জীবনে এই একমাত্র সস্তি তা হলো অদম্য কবিতার শব্দমালা। জীবন সে তো বড় ঠুনকো জিনিস।
তবু বড় শক্ত এক মস্ত বড় পাথর খন্ড।
ছাইরাছ হেলাল
যাক্, অনেক দিন পরে হলেও ব্যস্ততার মধ্যেও এসেছেন/পড়েছেন দেখে আনন্দিত।
কিছু শব্দ আমাদের বাঁচার পথে পাথেও হিশেবে সাথে থেকে যায়।
পাথার মাড়িয়ে/এড়িয়েই আমাদের বা৬চলে হয়, বাঁচিও।
বন্যা লিপি
বিষে বিষক্ষয় সেতো জানাই আছে!! গভীরের কতকথা নিয়ে সোচ্চারিত শব্দের শর্তাবলী! অনূপম!
শুভ কামনা -{@
ছাইরাছ হেলাল
নিরুত্তর উত্তরে কিছু কথা রয়েই যাই।
ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
স্বীকৃতি কে না চায়?
উতসর্গ যথার্থ হইছে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই স্বীকৃতি দরকার।
সে আমার প্রিয় কবি।
সাবিনা ইয়াসমিন
বুঁড়োর হাতের মোয়া থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া একেবারেই সম্ভব হবে বলেতো মনে হচ্ছে না !
স্বীকৃতি দেয়া-নেয়া চলুক,,আমরা দর্শক-শ্রোতা হয়ে হাততালি দেওয়ার প্রহর গুনি,,এই শীতে আর কিইইবা করার আছে । :T
ছাইরাছ হেলাল
স্বপন কে স্বপ্নে নিয়ে হাত গরম রেখে তালিয়া দেয়া কিন্তু কঠিন হবে,
যতই চা/ফা খান না কেন!!
অপেক্ষা আমারাও জারি রাখলাম।
সাবিনা ইয়াসমিন
অপেক্ষার কথা শুনিয়ে ভয় দেখালেন মহারাজ !! নতুন পদবী চাইছেন বুঝতে পারছি। তা কি বলে ডাকবো আপনাকে ★শব্দ সম্রাট ★ ;?
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে ভয় দেখানোর মত সাহস নেই।
তবে আপনার স্বপন তা দেখিয়ে পার পাবেন না।
উপাধি/ফুফাধি দিয়ে ভয় দেখানোর কী দরকার!!
প্রহেলিকা
আরে বাহ বাহ! তালি তালি!
যদি শীতের প্রকোপে ঝরে পড়ে আমের মুকুল তাইলে বৈশাখে কি আর আমের দেখা পাওয়া যায়। এত এত্তো ভয় দেখালাম তবুও কবিতার পেছন ছাড়লেন না! তবে এবার স্বীকৃতি আর ঠেকায় কে!
তা নিজ কক্ষপথ থেকে একটু হেলে লিখেছেন মনে হচ্ছে লেখাটা। অদম্য বলাই যায় কবিতাটাকে। কোথাও কোথাও নিজেরই মনে হয়েছে। আসলে কথা হলো, যে পারে সবখানেই পারে, পারবেও।
কবি, কবিরাজ, মহারাজ এত এত স্বীকৃতি থাকতেও নতুন স্বীকৃতি পেলে জানান দিয়েন।
ছাইরাছ হেলাল
“আমি কোনো স্বীকৃতি চাইনি
চাইনি, মিহি কোনো গল্পে ঢুকে যেতে
ঘরের পাশেই দীপাবলির গলি, তবুও
আমার দৃষ্টি ছিলো হুইসেলমুখী!”
এখানে এই লেখার কবি ‘চাইনি’ বলে বলে যা বলতে চেয়েছেন, তা আমরা বুঝতে পেরেছি
বলেই এই সামান্য লেখাটির উদ্ভব!! কেউ নিজে না বলতে চাইতেই পারে, সমস্যা নেই,
আমরা সুদে-আসলে বুঝে নিয়েছি।
আপনি যে ভাবে হাতে তালাতালি করেছেন সেটি ঠিক-ই আছে, নিজের কথা অন্যের মুখে শুনতে পারার
আনন্দ আছে বৈকি!! ব্যাপার না।
দেখুন আজকাল কিন্তু এই ঘর শীত কালেও আমাদের দেশে সুস্বাদু আমের সফল চাষ হচ্ছে, পাওয়াও যাচ্ছে,
নো চিন্তা।
কবিতা/ফবিতার মধ্যে এই বান্দা নেই!! ছিল-ও না কোন কালে, থাকবে-ও না। সে নিশ্চয়তা দেয়াই আছে।
একদম সহি বলেছেন, যে পারে না, সে হেলে-দুলেও পারে না।
অবশ্য্যই সবাই জেনে যাবে!! এই যে জানিয়ে দিলাম।
মোঃ মজিবর রহমান
এতো শব্দের খেলা , শব্দে বানায় মালা, সে কি স্বীকৃতি না পেয়ে থাকে বলুন? মন প্রান উজাড় করে বলা যায় সে স্বীক্রিত যাবেই ঘরে।
আড়াল-হীন রঙ্গ মঞ্চে প্রতিধ্বনির কলরোল তুলে
হাজারো সম্মুখ দৃষ্টির তোয়াক্কা না করে
হস্তান্তরিত হোক এ অদম্য কবিতা; অধম ভাল লাগা রেখে দিল স্বযত্নে।
ছাইরাছ হেলাল
স্বীকৃতি ফিকৃতি কিচ্ছু না, আপনারা পড়ছেন
এই ই অনেক।
মোঃ মজিবর রহমান
এটাই ভাইয়া, ভাল থাকুন।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ও ভাল থাকবেন
নীলাঞ্জনা নীলা
দেয়া-নেয়া দেখি চলছে দারুণ। তাতে অবশ্য আমাদের পাঠকদের যথেষ্ট লাভ ই হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে সোনেলা ভান্ডার আরোও সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠবে। চলতে থাকুক তবে…
কবিতার ব্যাপারে কিছু বলার নেই। তবে কবিকে সালাম।🙏
ছাইরাছ হেলাল
খালি ছালাম বললে তো মন উঠছে না,
আপনার লেখা কবিতা পড়তে মুঞ্চায়!!
আপনি তো কিছুই দ্যান না, দিতেও চান না!!