ফোনের শব্দ বাজতে শুরু করলো
শিমুল লাফিয়ে উঠলো ঘুম থেকে
ফোন হাতে নিয়ে দেখে নীলার ফোন
নীলা হ্যালো হ্যালো হ্যালো ……………
কোন উত্তর না পেয়ে নীলা ফোন কেটে দেয় ……………
শিমুল ভাবছে উফ এটা স্বপ্ন ছিলো । স্বপ্ন এতো বাস্তব হতে পারে শিমুলের জানা ছিলো না
স্বপ্নের ঘোর কাঁটার জন্য কিছু সুমায় লেগে যায় শিমুলের ।
স্বপ্ন দেখার সুমায় যোত টা ভালো লাগতেছিল এখন তত টাই খারাপ লাগছে এখন
শিমুল তো এভাবে ওকে নিয়ে কখনো ভাবে নাই তাহলে এ রকম স্বপ্ন কেনো দেখলো নীলা কে নিয়ে ……………
আজ ক্লাস এ যাওয়া প্রয়োজন কিন্তু এখন আর যেতে ইচ্ছা করছে না
বিছানা থেকে উঠে জানা গেলো আজ নাকি কাজের বুয়া এখনো আশে নাই এ জন্য সকালের রান্না ও হয় নাই
শিমুলের কাছে টাকা নাই তাই ঠিক করেছে সকালে আর খাবে না আবার ঘুমাবে একবারে দুপুরে উঠে খেয়ে পরাতে যাবে । যে কথা সেই কাজ বিছানায় এসে ঘুম
কিন্তু ঘুমানোর কোন উপায় থাকে না একটার পর একটা ফোন আসতেই থাকে
এর মধ্যে এক ছাত্র ফোন দিয়ে বোলে ভাইয়া আজ বিকালে পরতে পারবো না দাওয়াত খেতে যাবো আপনি পারলে এখন আসেন
মহা ঝামেলায় পড়লো শিমুল আজ এই ছাত্রের টাকা দেয়ার কথা আজ না গেলে টাকা পেতে দুই দিন লেট
শিমুল রেডি হয় পরাতে যাবার জন্য
কিন্তু এ কি জালা বাইরে বার হতেই খুদা লেগে গেলো
না খেয়ে যাওয়া যাবে না কিছু খেয়ে নেওয়া জাক পাশের হোটেলে গিয়ে বসতেই
হোটেলের মামা পড়োটা আর ডিম দিলো
আর বল্য খবর শুনছেন নি মামা
শিমুল কি খবর
হোটেলের মামা … চাচা তো পল্টি মাড়ছে
শিমুল ……… কউ কি কখন
হোটেলের মামা …… চাচা তো আর নির্বাচন করবে না বইলা হাঁসতে হাঁসতে মনে হয় মাটি তে পরবো এমন ভাব
শিমুল এর মন খুব একটা ভালো না এজন্য মজা করার কোন ইচ্ছা নাই শুধু বল্য চাচায় জন্য একটা সুন্দরি চাচি জোগাড় কইরা দেউ সব সমাধান
হোটেলের মামা … মামা আপনার কি মন খারাপ
শিমুল না সব ঠিক আছে জাউ ভাগো
শিমুল নাশ্তা কোরে হোটেলে বিল দিয়ে পরাতে আশে
পরানো প্রায় শেষ কিন্তু ছাত্রের মা এখনো টাকা দিতেছে না
শিমুলের টাকা চাইতে ভালো লাগে না কিন্তু আজ তো উপায় ও নাই কাছে আছে ২০টাকা
শিমুল ছাত্র কে বল্য তুমার মা কে গিয়ে বলতো আমার টাকা টা দিবে কিনা
ছাত্র ফিরে এসে বলে মা বাসায় নাই দাওয়াত খেতে যাবে তো তাই পার্লারে গেছে আসতে নাকি একটু দেরি হবে ভাইয়া
আপনি বসবেন না চোলে যাবেন ………
শিমুলের মেজাজ এবার চরম আকারে খারাপ হয়ে গেলো
কিছু বলতে ও পারতেছে না সহ্য করাও কঠিন হয়ে জাইতেছে
শিমুল বল্য আচ্ছা আমি তাহলে একটু বসি আসো তুমাকে অ্যারো কিছু পরাই
ছাত্র না ভাইয়া এখন এর পরবো না ……………
ভাইয়া আসেন গেম খেলি ………
চলো খেলা যাক
কিন্তু সেখানেও বিরব্বনা …
ভাই বোনে লেগে গেলো মারামারি
শেষমেশ ছাত্রের বড়ো বোন শিমুল কে দেখে কম্পিউটার ছেরে দেয় কিন্তু যাবার আগে বলে যায় মা আসুক তোর খবর আছে ………
বেচারা ছোট ভাই সব সুমায় দৌরের উপরে থাকে
কিছু ক্ষণ পরে ছাত্রের বোন এসে বলে স্যার আপনি কি টাকার জন্য বসে আছেন
শিমুল এবার লজ্জা পেয়ে গেলো ছাত্র বল্য
দিদি মা বলছিল স্যার কে টাকা দিবে আজ ভাইয়ার কাছে নাকি টাকা নাই তুই মা কে একটা ফোন দিয়ে বল না
শিমুল মাথা নিচু কোরে বসে আছে আর আর ভাবছে আজ সকাল হওয়া টাই ভুল হইছে কেনো যে টাকার কথা বোলতে গেলাম
এই বাসায় সবাই শিমুল কে ঘরের মানুষ মনে করে ৫ বছর ধরে এই বাসায় শিমুল এই বাসায় পরাতে আশে কিন্তু আজকের মতো এ রকম অবস্থায় কখনো শিমুল কে পরতে হয় নাই ছাত্রের বোনের উপরে শিমুলের অনেক রাগ হইতেছে এই ভাবে টাকার কথা কেউ বলে
একটু পরে ছাত্রের বোন এসে শিমুল কে টাকা দেয় আর বলে আজ মা আসুক মা সব সুমায় এইরকম করে …………
আজ আর লিখবো না বাকি টা ……
১৫টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আর একটু লিখলে মন্দ হত না । পড়তে ভালই লাগছিল ।
ছন্নছাড়া
হুম লিখবো …… আপনাদের ভালো লাগলে লিখতে তো হবেই ……
ধন্যবাদ ভালো লাগার জন্য ………
মা মাটি দেশ
মন ভরে গেল (y)
ছন্নছাড়া
আমি মনে হয় এতটা ভালো লিখি না …………………
ধন্যবাদ ………………… 🙂
হতভাগ্য কবি
ছাত্র ছাত্রীর পরিবার গুলা তিন দিনের বাসি পাউরুটি খাওয়াইয়া বিদায় করে দিবে, মাগার টেকা দিবে না। জীবন মুখী লেখা, চলুক।
ছন্নছাড়া
হুম ………… ঠিক বলেছেন ………… তবে কিছু বেতিক্রম আছে …………
হুম ……… আপনারা সাথে থাকলে এ লেখা থামার নয়
হতভাগ্য কবি
চলুক চলুক
নীলকন্ঠ জয়
হুম গল্পে রোমান্স আছে। চলুক…
ছন্নছাড়া
হুম ……………… তুমার রোমান্স ও আসছে অপেক্ষায় থাকো ……… :p
জিসান শা ইকরাম
ভালো লাগছিল তো -{@
ছন্নছাড়া
🙂 ………………….. (3
আদিব আদ্নান
অপেক্ষায় রাখলেন কেন ?
শুরুটা ভালই মনে হচ্ছে ।
ছন্নছাড়া
লিখার সুমার বার করতে পারি না ……………
একটু একটু করে লিখি ……… আর আমি তো ভালো লিখাতে পারি না লিখার চেষ্টা করি …………
ধন্যবাদ আমার লিখা পরার জন্য
খসড়া
দ্রুত শেষ হয়ে গেল। ভাল লাগল।
ছন্নছাড়া
গল্প তো শেষ হয় নাই ভাইয়া …………… পরের ঠুকু লিখতেছি