গত কয়েকদিনের বিষন্নতা কাটিয়ে দিলেন মিঃ অনন্ত জলিল। আহনাফের চিকিৎসার জন্য যখন টাকার জন্য হাহাকার চলছে, যখন কিছু ছেলে রাস্তা-ঘাটে, মার্কেটে, রোদে পুড়ে , বৃষ্টিতে ভিজে অর্থ সংগ্রহের লড়াই করছে, যখন তারা আবার সারা রাত ধরে ফেইসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে,পেইজে এবং নিজের টাইমলাইনে, ব্লগে সমাজের সকলের কাছে আকূল আবেদন জানিয়ে চলেছে অর্থের জন্য, যখন সমাজের বিত্তবানদের ঘুম ভাঙ্গেনি এই আকুলতায় , ঠিক তখনই তিনি এলেন।
তিনি আর কেউ নয় যাকে নিয়ে চলে ফেইসবুক বিনোদন, যাকে নিয়ে খোলা হয় অশ্লীল কিছু পেইজ, যার ভিডিও নিয়ে সেলিব্রেটিরা পর্যন্ত আনন্দ খুজে পান। সেই জলিল। মিঃ অনন্ত জলিল এগিয়ে এলেন আহনাফের পাশে। সমালোচকদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিলেন, চিনিয়ে দিলেন মানুষ অনন্ত জলিলকে।
অনেকেই বলতে পারেন খ্যাতির জন্য, সস্তা প্রচারের লোভে। তাদের অবগতির জন্য জানাতে চাই এই অনন্ত জলিল বেশ কিছু গার্মেন্টসের মালিক হলেও লজ্জ্বা বোধ করেন না তার শ্রমিকদের সাথে ব্যসে খাবার খেতে, তাদের চিকিৎসার সব খরচই তিনি বহন করেন, শুনেছি তার একটা বৃদ্ধাশ্রম, একটি এতিমখানাও নাকি আছে।
কিছুদিন আগে তিনি বাংলার নবাব আনোয়ার হোসেনের চিকিৎসার খরচ বহন করতে এগিয়ে এসেছিলেন। অথচ শিল্পী কল্যান সমিতির সভাপতি নাম্বার ওয়ান (!)শাকিব খান টাইম পান নাই মৃত্যুপথযাত্রী খ্যাতিমান অভিনেতার শয্যাপাশে এক মিনিট গিয়ে বসার, সমবেদনার কথা না হয় পরেই বলবো।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে আমাদের অনন্ত জলিল ভাই আর বর্ষা আপাই কিন্তু শাহবাগে ছুটে গিয়েছেন সবার আগে দেশের ডাকে। তিনি একজন মহানুভব-ই নন, একজন দেশপ্রেমিক মানুষও বটে। রেসপেক্ট।
যে জলিলকে নিয়ে এত বিনোদন সেই জলিল আজ সত্যিকারের নায়ক হয়ে উঠলেন। স্যালুট ইউ ম্যান।
ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের আহনাফের সহপাঠীদের উদ্যগে তার জন্য চিকিৎসা ব্যায় সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। দেশের সচেতন সাধারণ মানুষের অনেকেই এগিয়ে আসেন। তবে নীরব দেখা যায় দেশের বিত্তশালী মানুষদের, দেশের মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের। এমনই সময় এগিয়ে এলেন বহুল আলোচিত ঢালিউড অভিনেতা ও নির্মাতা এমএ জলিল অনন্ত।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট ব্লগার, লেখক ও মেডিকেল শিক্ষার্থী আলিম আল রাজী ফেসবুকে লেখেন,
“বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া তারকাকে আমরা কখনো মানুষের পাশে দাড়াতে দেখিনা। তিনি শ্যুটিং নিয়েই ব্যাস্ত থাকেন। আমাদের নেত্রী ২০০ কোটি টাকা দিয়ে মৃত্যু কেনাবেচা করেন। সদ্য পাখনা গজানো সেলিব্রেটি কন্যা ভিক্ষুকদের ছবি দিয়ে ফেইসবুকে জোক্স করেন। আরেক প্লাস্টিক কন্যা রানা প্লাজার নিচে হাজার মানুষকে রেখে ইমরান হাশমী টাইমস পালন করেন।
মিছিলের বাইরে দাঁড়িয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে যান একজন। তিনি এম এ জলীল অনন্ত। স্বপ্ন দেখেন বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে। কিছুটা একগুঁয়েমী নিয়েই চেষ্টা করে যান বাংলাদেশের সিনেমাকে আন্তর্যাতিক অংগনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।
সিনেমার বাইরেও তিনি আরেক নায়ক। নিজের টাকায় এতিমখানা চালান, বৃদ্ধাশ্রম চালান। অভিনেতা আনোয়ার হোসেনের জন্য সবার আগে কেঁদে উঠে তার মন। তিনি আনোয়ার হোসেনের পাশে দাঁড়ান।
ফেইসবুকে কিছু ছেলেমেয়ে যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত আমাদের ভাই আনহাফকে বাঁচানোর জন্য চিৎকার করে তখন সেই চিৎকার গিয়ে পৌছায় অনন্ত জলীলের কানে। তিনি ছুটে আসেন আনহাফের কাছে, আনহাফকে বাঁচাতে।
আর কারো কানে গিয়ে পৌছায়না সে চিৎকার। রুপালী পর্দার মানুষগুলো পর্দার ওপাশেই থেকে যান, এ পাশে আর আসেন না।
প্রিয় অনন্ত জলীল,
আপনাকে অনেকবার পঁচানোর চেষ্টা করেছি। কখনো অজ্ঞানে, কখনো সজ্ঞানে।
সেই ধৃষ্ঠতার পূনরাবৃতি না করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো এখন থেকে।
ভালো থাকুন। শ্রদ্ধা।”
সোনেলার পাঠক যারা মেধাবী, প্রতিভাবান আহনাফকে সুস্থ্য সুন্দর জীবনের পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করতে চান তারা যোগাযোগ করুন- বিকাশে টাকা পাঠানোর জন্য নম্বরগুলো হচ্ছে- ০১৭২৪৯২১৮৮৯ আহনাফের মামা, ০১৬৮২৬০৮৬৬৪ তানজিল ০১৬৭১১০২০২৮ পাভেল, ০১৯২১৬৭০৬৮৩ আদনান, ০১৬৮১৬৮৫৭৮০ জালাল ও ০১৬৭৬৯৪২১৮৮ রুদ্র।
অথবা,
Golam Mahbub,Dutch Bangla
Bank, Digpait, jamalpur.
Account no. 200.103.200 এই অ্যাকাউন্টেও সাহায্য পাঠানো যাবে।
আহনাফের বিষয়ে আরও তথ্য জানার জন্য আহনাফের বাবা মো. আবুল কাশেমের মোবাইল নম্বরে (০১৯১৬২১৬৭৪৮) ও আহনাফের মা নূরজাহানের (০১৯১৭৬৩৭৩১০) মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
১৯টি মন্তব্য
শিশির কনা
স্যালুট ইউ ম্যান (y) আহনাফের চিকিৎসার জন্য সবার এগিয়ে আসা উচিৎ ।
নীলকন্ঠ জয়
হ্যাঁ যে যেভাবে পারি এগিয়ে আসি। বিত্তবানদের, সেলিব্রেটিদের গালে একটা থাপ্পড় বসাইয়া দিলেন মিঃ জলিল। জানিয়ে দিলেন কিভাবে অনুকরণীয় হতে হয়।
মা মাটি দেশ
সুন্দর পোষ্ট।
নীলকন্ঠ জয়
ধন্যবাদ ভাইয়াকে।
খসড়া
সুন্দর পোস্ট। সম্মান যেন আমর প্রতিটি মানুষকে করি। কাউকে ভাষার খারাপ ব্যাবহারে অসম্মান যেন না করি। একটি মানুষ প্রত্যেককে সুখি করতে পারে না। তাই যতই অপছন্দের মানুষ হোক আমরা তাকে অসম্মান করব না। ধন্যবাদ এই অসাধারন পোস্ট এর জন্য।
নীলকন্ঠ জয়
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন আপনি। অসুন্দরের মাঝে সুন্দর খুজি না কেন আমরা? এটাইতো হওয়া উচিৎ।
নীহারিকা
দ্য রিয়েল হিরো।
নীলকন্ঠ জয়
ইয়েস হি ইজ দ্য রিয়েল হিরো।
জিসান শা ইকরাম
অনুসরণীয় কাজ করেছেন উনি
এ বিষয়ে এগিয়ে আসা উচিৎ আমাদের সবার।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমরা কয়েকজন ফেইসবুক এর একটি গ্রুপ এর মাধ্যমে কিছু টাকা পাঠাচ্ছি।
নীলকন্ঠ জয়
Ruins of Poverty গ্রুপ থেকে আমরা এডোমিনরা এবং কয়েকজন মিলে সামান্য কিছু টাকা পাঠাচ্ছি। সব গ্রুপ থেকেই উদ্যোগ নেওয়া উচিৎ।
ধন্যবাদ প্রিয় জিসান ভাইয়া।
লীলাবতী
কত সমালোচনা ওনাকে নিয়ে । স্যালুট অনন্ত জলিল ।
নীলকন্ঠ জয়
সমালোচনা করার অধিকার যেমন আমাদের আছে তেমনি আছে তার ভালো কাজের মূল্যায়ন করার অধিকার । কিন্তু আমরা শুধু প্রথমটাই করে থাকি। স্যালুট।
আদিব আদ্নান
অবশ্যই সন্মান জানাচ্ছি তাঁকে এমন মহৎ কাজের জন্য ।
সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতেই হবে ।
নীলকন্ঠ জয়
হ্যাঁ আদিব আমাদের সকলেরই এগিয়ে আসা উচিৎ।
ধন্যবাদ জানিও।
তন্দ্রা
নীলকণ্ঠ জয়, আপনি অতি মুল্যবান শব্দ দিয়ে মুল্যবান মানুষকে শ্রদ্বা জানানর জন্য আত্তা থেকেই নমি আপনাকে। ভালো থাকুন।
নীলকন্ঠ জয়
অনেক ধন্যবাদ তন্দ্রা দি আপনাকে।
শুভেচ্ছা জানবেন।
স্বপ্ন
স্যালুট । চেস্টা করবো কিছু টাকা পাঠানোর।
নীলকন্ঠ জয়
টাকা পাঠাবেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন।
প্রিন্স মাহমুদ
স্যালুট ।