ফোনের রিংটোনের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় বাতেনের। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে একটু ঝিমুনির মত এসে গিয়েছিল তার। সবেমাত্র ঘুমটা একটু গাঢ হয়েছে, এমন সময় বেজে উঠেছে বাল্য বন্ধু শিপনের ফোন।
-হ্যালো বাতেন, তোর ডিএসএলআরটা কি কাইল ফ্রি আছে ?
-কেন ডিএসএলআর দিয়ে কি করবি?
-কাল পনেরই আগষ্ট ছুটি তো, তোর ভাবীরে লইয়া ঘুরতে যামু। ভাবছিলাম কিছু ছবি উঠামু।
-ডিএসএলআর আমার দুলাভাইয়ের কাছে। কাইলকা পাবি না।
-ও আচ্ছা। কিরে ঘুমাইছিলি নাকি ?
-হ
-আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে রাখি।
-আচ্ছা।
ফোনটা রাখতেই মেজাজ খারা্প হয়ে যায় বাতেনের। সত্যিই তো আগামী কাল পনের আগষ্ট, সরকারী ছুটি। বাতেনের মনে পড়ে গত বছরের পনেরই আগষ্টের কথা। ধানমন্ডী লেকে মলির সঙ্গে কত সুন্দর সময় সেবার কাটিয়েছিল সে। আজ মলি নেই, পনেরই আগষ্টের হিসাবও নেই। বাতেনের মনে হয় এই তো সেদিনের ঘটনা। দেখতে দেখতে কিভাবে যে এক বছর পার হয়ে গেল ভেবেই পায় না সে। মলিবিহীন আর একটা বিশেষ ছুটির দিন তাহলে এসেই গেল!
পাড়াতো মেয়ে হলেও মলি আক্তার ওরফে এঞ্জেলিনা মলির (ফেসবুক আইডি) সাথে বাতেনের যোগাযোগ মূলত ফেসবুকে। প্রথম রিকোয়েষ্টটা বাতেনই পাঠিয়েছিল। কয়েকদিন ঝুলিয়ে রেখে একদিন সেটা একসেপ্ট করেছিল মলি। প্রথম ডেট এক একুশে ফ্রেব্রুয়ারীর পড়ন্ত বিকেলে। বাংলার যুব সমাজ আজকাল ২১শে ফেব্রুয়ারীতে শহীদ মিনারের চেয়ে পার্ক আর আবাসিক হোটেলগুলোতে বেশি ভিড় করে। মলি আর বাতেনও সেবার ভিড় করেছিল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ভিড়ের মধ্যে কোন রকমে ২১টা গোলাপ সেদিন মলির হাতে ধরিয়ে দিয়ে বাতেন বলেছিল-আই লাভ ইউ। জবাবে মলির সেই বিখ্যাত লাজুক হাসি। তারপর কিভাবে কিভাবে যেন মলি আর বাতেনের প্রেমটা গাঢ হয়ে গেল। রাত জেগে ফোনে কথা বলা, চন্দ্রিমা উদ্যানে এক সঙ্গে বাদাম চিবানো, ব্লক বাষ্টারে সিনেমা দেখা, মাঝিহীন ভাড়াটে নৌকায় দূর দিগন্তে ভেসে চলা, আহা কি দিনই না ছিল সেসব! তারপর একদিন রঙ্গমঞ্চে কমন ফ্রেন্ড কাশেম বিন আবুবকর ওরফে কিউট বয় কাশেমের (ফেসবুক আইডি) আবির্ভাব তারপর বাকিটা ইতিহাস। ফেসবুকে কাশেমের মাঞ্জা মারা পিকচার, গিটারের মূর্ছনা, চামড়ার আড়তদার বাপের টাকায় কেনা ৫০০ সিসি বাইকের টানে মলি যে কবে তার নেটওয়ার্কের বাইরে চলে গেল টেরই পায়নি বাতেন। তারপর এক বৈশাখী ঝড়ের হাতে সবে মাত্র কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘুমানোর পরিকল্পনা করছিল বাতেন। হঠাৎ বেজে উঠেছিল মলির ফোন।
– শোন বাতেন, আজ থেকে তোমার লগে আমার রিলেশন ব্রেক আপ।
ব্রেকআপ শব্দটা শুনে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেছিল বাতেন, বলেছিল- জানপাখি তোমার আল্লার কসম লাগে তুমি এই কাম কইরো না।
-কেন করুম না কও? তুমি আজ পর্যন্ত আমারে কি কেয়ার করছো কও দেখি? তুমি জান কাশেম আমারে কত্তগুলান কেয়ার করে, আমারে কত সুন্দর সুন্দর গিফট কিনে দেয়?
-কি কও তুমি এই গুলান জানপাখি? তোমারে একদিন না দেখলে আমার কইলজা পানি পানি হইয়া যায়। আর তুমি কইতাছ তোমার জন্য আমি কিছুই করি নাই?
-কি করছো তুমি আমার লাইগা?
-আমি তোমার জন্য তাহসানের মত হেয়ারকাট দিছি, গিটার বাজানো শিখছি, জোরে বাইক চালানো শিখবার যাইয়া ঠ্যাং ভাইঙ্গা তিন মাস হাসপাতালে থাকছি।
-তাহসানের মত হেয়ারকাট দিলেই তাহসান হওয়া যায় না বুঝলা আর গিটার তোমার থেকে কাশেম আরো ভাল বাজায়।
-কাশেমের গলা কেমন তুমি জান না? ওর গান শুনলে তো কাউয়াও লজ্জা পায়।
-কাশেমের গলা কাউয়া হলে তোমার গলা কি?
-আমার গলা মিষ্টি। বেবি তুমি জানো কাশেমের কি পরিমাণ চুল ওঠে? ও তো আর কয়দিন পর টাকলা হইয়া যাইবো। তুমি কি টাকলা জামাইয়ের ঘর করবা নাকি?
-তুমি যাই কও তোমার লগে রিলেশন আর রাখুম না। তুমি আমারে কিরণমালা কিইনা দিছ? দেও নাই। কাশেম দিছে, তাহলে বুঝ কাশেমের মহব্বত কত বেশি।
– তুমি জান হবিগঞ্জে কিরণ মালা দেখা নিয়ে সংঘর্ষে শতাধিক লোক আহত হইছে। কিরণ মালা কোন ড্রেস হল? আমি তোমারে এর থেকেও ভাল ড্রেস কিইনা দিব।
-তোমার কথার কোন দাম নাই।
-কে বলেছে দাম নাই? ময়না পাখি, তুমি জান আমি প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজে তোমার জন্য আল্লার কাছে দোয়া করি।
-যতই দোয়া করো রিলেশন রাখুম না।
-আমি তো নেক্সট মঙ্গলবার তোমার জন্য গামছা বাবার দরবারে মুরগী মানত করছি, ব্রয়লার না একেবারে খাটি দেশী মুরগী ।
-যতই মানত করো রিলেশন রাখুম না।
-বেবি রাখো না প্লিজ ?
-না রাখুম না।
-আমার সাথে রিলেশন না রাখলে তোমার উপর আল্লার ঠাঠা পড়বো।
-পড়লে পড়বো।
-বেবি রাখো না?
-না।
সেই থেকে মহল্লার মোষ্ট এলিজেবল ব্যাচেলরের তকমাটা আপাতত বাতেনের ঘাড়ে। তবে এই তকমাটা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা যে বাতেন করেনি এমনটা না। মাঝখানে কয়েকদিন পাড়ার আরেক মেয়ে সুমির পিছনে ঘুরঘুর করেছে, ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট পাঠিয়েছে, সুমির কলেজের সামনে যেয়ে ঝিম মেরে বসে থেকেছে কিন্ত প্রতিবারই তাকে দেখে সুমি তার মুখটার এমন ভঙ্গীমা করেছে যে বাতেনের আর সামনে এগোনোর সাহস হয়নি। অতঃপর আজ সে একা, বড় একা। কাল ১৫ই আগষ্টের ছুটিতে বন্ধুরা গার্লফ্রেন্ড লইয়া আনন্দ করবে, ফুচকা খাবে আর সে একা বসে থাকবে কথাটা ভাবতেই বুকটা ফেটে যায় বাতেনের। কিন্ত কি আর করা যাবে? কপাল সবই কপাল! হঠাৎ ফোনটা আবারও বেজে ওঠে বাতেনের। এবার ফোন করেছে মহল্লার ছোটভাই মারুফ। ফোনটা ধরতেই অপর প্রান্ত থেকে মারুফ বলে-হ্যালো বাতেন ভাই, কেমন আছেন?
-ভাল। তুমি কেমন আছ মারুফ?
-জ্বি আছি ভালই, ভাই আপনের ডিএসএলআরটা কি কাল দেওন যাইব ?
-কেন মারুফ, ডিএসএলআর দিয়া কি করবা ?
-কাইলকা পনেরই আগষ্ট, ছুটিতো। গার্লফ্রেন্ড লইয়া ঘুরতে যামু। কিছু ছবি উঠাইয়া পার কইরা লমু।
-আমার ডিএসএলআরটা তো শিপন লইয়া গেছে। সেও তো কাল ঘুরতে যাইতাছে।
-ও আচ্ছা, কপালটাই খারাপ। রাখি তাহলে বাতেন ভাই।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
ফোনটা রাখতেই মেজাজটা আরো খানিকটা বিগড়ে যায় বাতেনের। সেদিনের সেই পিচ্চি পোলা মারুফ যার নাক টিপলে দুধ বের হয়, সেও গার্ল ফ্রেন্ড লইয়া ঘুরে, আর তাকে মোস্ট এলিজেবল ব্যাচেলরের তকমা লাগিয়ে ঘুরতে হচ্ছে। হায় হায়, এই দুঃখ সে রাখে কোথায় ? বিরক্তি আর দুঃখবোধের চরম তিক্ত অনুভূতি গুলোকে সঙ্গী করে বারান্দায় এসে দাঁড়ায় বাতেন। দূর আকাশের নক্ষত্রগুলোর দিকে একদৃষ্টিতে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থাকে সে। জ্যোছনাময় রাত। বারান্দার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে হাত দুটো বের করে জ্যোছনা ধরতে ইচ্ছে করে বাতেনের। রাত বাড়ছে, হাজার বছরের পুরোনো সিঙ্গেল রাত। মহল্লার মোড়গুলোতে ছাত্র, পাত্র, যুব, ডুবো, স্বেচ্ছাসেবক, অনিচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কে কত আয়োজন করে শোক দিবস পালন করতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে। কাঙ্গালী ভোজের খিচুরি রান্না হচ্ছে, সেই রান্নার মিষ্টি গন্ধ নাকে এসে বাতেনের নাকে লাগছে। মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের ফাঁকে ফাঁকে চিটিয়া কালাইয়া বে বাজছে। এই তো আর কিছুক্ষণ, বারোটা পেরোলেই পনেরই আগষ্ট, শোক দিবস। বাতেন শোকাহত, গার্লফ্রেন্ড এঞ্জেলিনা মলিকে হারানোর মর্মভেদী শোক..
৩১টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
আহারে বাতেন! :D) :D) :D) :D)
বেচারা! 🙁
কি আর বলি! আহারে মলি
কোথায় গেলি চলি
ঘুরি অলি-গলি। 😀
অপার্থিব
কাশেমের ফ্লাটে
মলি এখন থাকে
ভাঙ্গা বুকে
বাতেন মিয়া হাঁটে
পার্ক,কলেজ, ভার্সিটি
ঘুরে ফাঁকে ফাঁকে
নুতুন কোন মলির
আশায় বসে থাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
নতূন মলি নতূন মলি
তাড়াতাড়ি এসো
বাতেন বেচারা আছে বসে
তাকে ভালোবাসো। 😀
অপার্থিব
নুতুন মলি খোঁজার মিশন
হয়ে গেছে স্টার্ট
বাতেন মিয়া ঢাকার পোলা
ভেরি ভেরি স্মার্ট। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
কেমন স্মার্ট দেখা গেছে
মলি ভেঙ্গেছে হার্ট
বাতেন আবার খাবে ছ্যাঁকা
করে যদি ফ্লার্ট। 😀
অপার্থিব
মলি ভাঙ্গেনি বাতেনের হার্ট
ভেঙ্গেছে কাশেমের বাইক
সেই দুঃখেতে বাতেন এখন
টানে হুক্কা-পাইপ।
নাচতে নেমে ঘোমটা কিসের
ভয় কি দুঃখ-ছ্যাকা
বাতেন মিয়া করিয়াছে প্লান
থাকিবে না কভু একা।
নীলাঞ্জনা নীলা
শুনিয়া হইলাম প্রীত
আমি তবুও ভীত
বাতেনের পোড়া কপাল
আবার না হয় বেতাল।
শুন্য শুন্যালয়
হা হা শোক দিবসের গল্প পড়ে আর তোমাদের মন্তব্য পড়ে আমার দাঁত বের হয়ে গেছে, তবেই বোঝ কেমন এই জামানার শোকদিবস। 😀
শুন্য শুন্যালয়
এঞ্জেলিনা মলি 😀
লেখা রম্য হলেও এ বড়ই যন্ত্রণাদায়ক লেখা। বাঙালী যখন শোকদিবসকেও এমন উৎসবে রূপান্তরিত করেছে, তখন গিনিজবুকে বড় পতাকা বানিয়ে কী দেশাত্মবোধ প্রমাণ করতে চায় জানিনা।
বাতেনের জন্য আক্ষরিক অর্থেই শোক অনুভব করছি। চমৎকারভাবে লিখেছেন বর্তমানের শোকদিবসের কথা। (y)
অপার্থিব
গিনিজবুকে বড় পতাকা বানানোও একালে প্রচার পাওয়ার নব্য টেকনিক ছাড়া আর কিছু নয় । বাতেনের শোকে শোকাহত হবার জন্য আপনাকে বাতেনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। 🙂
জিসান শা ইকরাম
আজকাল শোক দিবস হয়ে গিয়েছে আনন্দ উল্লাসের দিবস,
একটি আনন্দময় ছুটি,
যুগলদের পার্কে ঘুরতে যাওয়া, জব্বর সময় কাটানো, কাঙ্গালি ভোজের নামে আনন্দ করে খাওয়া দাওয়া, চাঁদাবাজী,
শোক দিবসকেই শোক প্রকাশ করতে হবে এখন হতে।
” মাঞ্জা মারা পিকচার, গিটারের মূর্ছনা, চামড়ার আড়তদার বাপের টাকায় কেনা ৫০০ সিসি বাইকের টানে মলি যে কবে তার নেটওয়ার্কের বাইরে চলে গেল টেরই পায়নি বাতেন। ” ………গিটার বাজানো/ বেশি সিসির বাইকের প্রচন্ড গতি মেয়েদেরকে টানে খুব আজকাল।
বাতেন আর মলির কথোপকথন দারুন হয়েছে।
সব কিছু মিলিয়ে খুব ভাল একটি পোষ্ট।
শুভ কামনা।
অপার্থিব
পৃথিবীটা আজকাল অনেক গতিশীল হয়ে গেছে তো মেয়েরা বোধ হয় গতিশীলতা পছন্দ করে!!
ঠিকই বলেছেন শোক দিবস হয়ে গেছে আনন্দ উল্লাসের , যেটুকু শোক আমরা পালন কর্র, সেটাও অনেক সময় ব্যক্তিগত, বাতেনের মত!!
ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
দিনগুলো আর নেই, সেই স্ব স্ব মহিমায়,
হাওয়া মে উড়তা হয়ে গেছে,
দারুণ উপস্থাপন।
অপার্থিব
আহা বাকের ভাই, সেই বাকের ভাই !!
ধন্যবাদ।
ইলিয়াস মাসুদ
বাসায় যাতে হবে, অনেক রাত হয়ে গেছে,চলে গেছিলাম ব্লক থেকে,বের হয়ে যেতেই আপনার লিখা টা চোখ পড়ল,ফিরে এসে মন্তব্য করতে বাধ্য হলাম-
শুধু এই কথা টুকু বলতে এসেছি মানুষের বিবেক কতটা পঁচে গেলে এই স্তরে নেমে আসে……।।
রম্যকরে খুব ভাল বলেছেন ভাইয়া (y)
অপার্থিব
বাসায় ফিরে শান্তিতে একটা ঘুম দেন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
মিষ্টি জিন
আজকালকার তরুন সমাজের কাছে শোক দিবস মানে চাঁদা তুলে কাংগালী ভোজের নামে পিকনিক করা ,ছুটির আমেজে বান্ধীকে নিঁয়ে ঘুরতে যাওয়া।
এভাবেই একটু একটু করে ক্ষয়ে যাচছে আমাদের সমাজ।
অনেক ভাল লিখেছেন।
অপার্থিব
সত্যি বলতে কি আপনি এটা ঠেকাতে পারবেন না। মানুষ অতীতেকে আঁকড়ে ধরে থাকে না, থাকে বর্তমানকে। তবে ইতিহাসের শিক্ষাকে ভুলে যাওয়াও উচিত নয়। ছুটির দিনে প্রিয়জনের সঙ্গে একটু সময় কাটানোও দোষের কিছু নয়। কিন্ত যে প্রক্রিয়ায় তথা যে আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে শোক দিবস উদযাপিত হচ্ছে তাতেই মুলত প্রশ্নটা আসে।
ধন্যবাদ।
নাসির সারওয়ার
আমরা আমাদের সামাজিক মূল্যবোধের চূড়ান্ত তলানীতে নেমেছি।
ভালো উপস্থাপনায় কঠিন বিষয়। শুধু বোধ হতে যা সময়। এরককম থাকতে পারেনা বলেই আমার বিশ্বাস।
অপার্থিব
বোধটা তাড়াতাড়ি তৈরী হলেই ভাল, আশা করা ছাড়া আর উপায় নেই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
রম্য কথন ভাল লাগল
কারো পৌষ মাস কারো বা ভাদ্র মাস -{@
অপার্থিব
আমার জন্য ভাদ্র মাস। বৃষ্টিতে ভিজতাছি !!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
মানুষের বিবেকবোধ আজ নর্দদমার কিটে খেয়েছে আর সেই কারণেই শোকের দিনে টাংকি মারা, বেড়ানো, কাঙ্গালি ভোজের নামে পিকনিক তিত্য নৈমেত্তিক ব্যাপার হয়েছে। 🙁
বায়েন কথন কি দারুণ লেগেছে। :D)
অপার্থিব
ঠিকই বলেছেন, শোক দিবস আজকাল ভোগ দিবস হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
বাতেন★
ব্লগার সজীব
শোক দিবস আর শোক দিবস নেই, এটি হয়ে গিয়েছে আনন্দ দিবস, উৎসব। বৃহস্পতি অথবা রোববার যদি শোকদিবস হয় কোনদিন তবে তো ঈদের আনন্দ হবে।
ভাল লেগেছে লেখা।
অপার্থিব
ধন্যবাদ। বৃহস্পতি অথবা রোববার যদি শোকদিবস হয় তবে অধিকাংশ লোকই লম্বা ছুটিতে দেশের বাড়ি কিংবা অন্য কোথাও ঘুরতে চলে যাবে। আমি নিজেও যাব। আমার জন্য অবশ্য সোমবার হলে ভাল হয়। আসলে এটা দোষের কিছু নয়। সমস্যা মূলত যে লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা এবং যাকে কেন্দ্র করে এই শোক দিবস উদযাপিত হচ্ছে তাকে মানুষ আদৌ কতটা স্মরণ করছে তা নিয়ে।
ব্লগার সজীব
কিছু মানুষ অবশ্যই স্মরণ করেন আন্তরিক ভাবেই। যারা স্মরণ করছেন তারা আসলে পাদ প্রদীপের আলোতে নেই।
আবু খায়ের আনিছ
ছুটির এই দিনগুলোতে কত যে অপকর্ম হয় তার কোন ইয়াত্তা নেই। একুশে ফ্রেবুয়ারী ফুল দিতে যায় শহিদ মিনারে আর যাওয়ার পথে গান বাজায় হিন্দি।
খারাপ করে তা বলতে পারি না, একদিন ভাষার প্রতি প্রেম দেখিয়ে কি লাভ, তারচেয়ে যেমন আছে তেমন চলুক না।
পড়লাম আর হাসলাম, কিন্তু হাসির অন্তারালে……………………… না থাক কিছু না।
অপার্থিব
ধন্যবাদ। ২১শে ফেব্রুয়ারীতে আজকাল লোকজন শহীদ মিনারের চেয়ে পার্ক আর আবাসিক হোটেলগুলোতে বেশি ভিড় করে। অনেকে শহীদ মিনারে কোন রকমে ফুল দিয়ে , দু চারটা সেলফি তুলে, পারলে দু একটা টিভি চ্যানেলে চেহারা দেখিয়ে চলে যায় পার্ক কিংবা আবাসিক হোটেলে। অতঃপর হ্যাপি শহীদ দিবস!!!!
আবু খায়ের আনিছ
নোংরামীর এই খেলায়, এত জীবন যাচ্ছে, এত জীবন নষ্ট হচ্ছে তবু যদি মানুষের বোধ উদয় হতো। পার্ক পর্যন্ত ঠিক থাকতো যদি বর্তমান নোংরা অবস্থা না হতো, কিন্তু আবাসিক হোটেল।
জীবন দুটো, বিয়ের আগে বিবাহিত আর বিয়ের পর মৃত।