এতো সুখ কোথায় রাখবিরে!
কেনো?
ঘর ফাকি দিয়ে পরকে নিয়ে এতো মাখা মাখি যে..
কে বললো তুমি পর?
তুমিতো আর নও এখন আমার বররে
এক সময়তো ছিলাম আরো অনেক কিছুই
ও তাই,তবে কেনো করলে অন্যকে আপন
সামাজিক মর্যাদায় তুমি আমি নই সমান,আমি সভ্য সমাজে আর তুমি ছিলে অন্ধকারের বাসিন্ধা ‘ন পুরুষ ‘ন নারী
নারী পুরুষ যাই ভাবিস আমরাও কিন্তু মানুষ,আমাদেরও ইচ্ছে জাগে ঘর বাধারঁ,অথচ ভাগ্যের কি পরিহাস জানিস,মানুষ হয়েও তোমার আমার মাঝে তোমরাই করলে কত ব্যাবধান।
তোমরা কি এসব ছেড়ে ঘর বাধতেঁ জানোনা?
“তুমিই তো দিলে না আশ্রয় আমায় আর কে দেবে বল নারে…?
এমন কিছু আলাপনে মত্ত ছিলাম বেশ কিছু ক্ষণ।আমাদের পাশের বাড়ীতেই ভাড়া থাকত আল আমিনের পরিবার।সে তখন আট দশ বছরের ছোট বালক। ছোট বেলা থেকেই তার চলা,কথা বলার ডঙ ইত্যাদি অস্বাভাবিক ছিল।দিন মাস বছর অতিবাহিত হবার সাথে সাথে তার শারীরিক পরিবর্তনও আসতে থাকে।তার পিতা মাতা নিতান্তই গরীব,দিন আনে দিন খায় তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি তাকে বড় কোন ডাক্তারকে দেখাতে তাই সে প্রকৃতির নিয়মে সে বেড়ে উঠতে থাকে।বয়স বাড়ার সাথে সাথে খেলা ধুলায় পাড়ার স্বাভাবিক ছেলে মেয়েদের থেকে ধীরে ধীরে সে দুরে সরে যেতে থাকে।এক সময় সমাজ তাকে অস্বাভাবিক মানুষ হিসাবে ছুড়ে ফেলে দেন অন্য সব হিজড়াদের মাঝে।হঠাৎ সে এলাকা থেকে উদাও…ফিরে আসে প্রায় বছর খানেক পর তখন তার দেহ সম্পূর্ণই চেঞ্জ।মা বাবা প্রথমে তাকে তেমন চিনতে না পারলেও কিছুক্ষণ কাছা কাছি থাকার পর বুঝতে পারেন,…এ সেই তাদের ছেলে আল আমিন,এখন সে প্রায় ষোল বছরের কিশোরী।যেমন তার রূপ তেমনি দেহের গঠন।প্রথমে যে কেউ দেখে আফসোস করবে তাকে আপন করে পাবার তাকে নিয়ে ঘর বাধার স্বপ্ন যে কোন যুবকের জন্য হবে স্বপ্নের রাজ কন্যাকে পাওয়া।তার সব কিছুতে আকর্ষন থাকলেও যখন সে কথা বলবে তখন সব আকর্ষনই ম্লান হয়ে মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।এ সব তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ গুলোকে এ সমাজ মেনে নেয় না যা অমানবিক।
বিস্তারিত:
হিজড়াদের কিছু কমন কথা আছে যা সত্যিই খুব বেদনা দায়ক যেমন “কোথা কবে রই ঘর জন ছেড়ে ঘুরি পথ পানে।খুঁজে ফিরি ধুঁকে ধুঁকে জীবনের মানে। তোমাদের মত আমরা যদিও নই, তবুও মানুষ।ইস্ সিরে,ঐ মাগী, ইত্যাদি সব বিচিত্র শব্দ ব্যাবহার করে যা ওদের মুখেই শুনতে পারফেক্ট।
সম্ভবত পৃথিবীতে দুই ধরনের হিজড়া রয়েছে তার মধ্যে পুরুষের মতো শারীরিক গঠন আর মানসিক ভাবে নারীর স্বভাব যাদের তাদেরকে সাধারনতঃ অকুয়া বলা হয়।এ ছাড়া অন্য প্রকৃতির আরো যারা আছেন তাদেরকে জেনেনা বলা হয়।এই অকুয়া এবং জেনেনা জাতির হিজড়া হচ্ছেন প্রকৃতির সৃষ্টি।আর মানুষের হাতে সৃষ্ট বা ক্যাসট্রেড পুরুষদের বলা হয় চিন্নি।
হিজড়া সৃষ্টি সম্পর্কে বিজ্ঞান যা বলে তা হলো: XX প্যাটার্ন ডিম্বানুর সমন্বয়ে কন্যা শিশু আর XY প্যাটার্ন থেকে সৃষ্টি হয় ছেলে শিশু।ভ্রুনের এমন পূর্ণতার স্তর গুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ আর কন্যা শিশুর মধ্য ডিম্ব কোষ জন্ম নেয়।অন্ডকোষ থেকে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন এবং ডিম্ব কোষ থেকে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন।ভ্রুনের বিকাশ কালে নিষিক্ত করন ও বিভাজনের ফলে বেশ কিছু অ-স্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন XXY অথবা এক্স ওয়াই ওয়াই। এর ফলে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়।এ সম্পর্কে সোনেলা ডাক্তারা আরো ভাল বলতে পারবেন।
হিজড়া কথাটার শাব্দিক অর্থ ওসঢ়ড়: বহপব- অর্থাৎ এক জন অক্ষম ক্লীব,নপুংশক বা ধ্বজ ভঙ্গ।এদেশে তথা বিভিন্ন দেশের হিজড়াদের মতে তারা জন্ম গত ভাবেই একা ধারে স্ত্রী ও পুং লিঙ্গ সংবলিত বা উভয় লিঙ্গ প্রাণী।তবে প্রতিটি লিঙ্গেই অস্পষ্ট ও অনির্দিষ্ট।এ দের ভেতর কেউ কেউ অস্ত্রো পচারের মাধ্যমে স্ত্রী অথবা পুরুষ রূপে আত্মপ্রকাশ করে থাকেন তবে তা অসৎ কর্মের জন্য।
ঢাকায় হিজড়া সম্প্রদায়: বিশ্বে হিজড়ারা একটি কমিউনিটি মেইন টেইন করে চলেন এবং নকণ কমিউনিটি এর মধ্য তারা আবার যোগা যোগ রক্ষা করে থাকেন প্রতিনিয়ত।ঢাকার হিজড়ারা সাধারণতঃ পাঁচটি দলে বিভক্ত হয়ে থাকে।এক দলের হিজড়ারা অন্য দলের এলাকায় গিযে তোলা বা চাদা তুলতে পারবেন না।তাদের এই পাঁচটি দলের প্রত্যেকটিতে আছেন একজন করে গুরু।
(y) শ্যামপুর,ডেমড়া ও ফতুল্লা, গুরু- লায়লা হিজড়া।
(y) শ্যামলী,মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গুরু- হামিদা হিজড়া।
(y) সাভার,ধামরাই, গুরু- মনু হিজড়া।
(y) নয়াবাজার ও কোতোয়ালী, গুরু-সাধু হিজড়া।
(y) পুরোনো ঢাকা,গুরু- দিপালী হিজড়া।
দেশে প্রায় ৫০ হাজার হিজড়ার মধ্যে ঢাকায় প্রায় ১৫/২০ হাজার হিজড়া আছে।এ ছাড়াও দেশের টঙ্গী ও আশ পাশের এলাকায় প্রায় দুই শতাধিক হিজড়া বাস করেন।তাদেরও একাধিক গ্রুপ রয়েছে।তুরাগ, উত্তরা, উত্তর খান, দক্ষিণ খান থানায় আছে অন্তত প্রায় ২২ টি গ্রুপ।দক্ষিণ খানের ফায়দা বাদ,কাঁঠাল তলা,কোর্ট বাড়ী, আজম পুর কাঁচা বাজার, কসাই বাড়ী ও আশ কোনায় আছেন প্রায় ৩৫ টি গ্রুপ।একেকটি গ্রুপের সদস্য ১০ থেকে ১২ জন।কয়েক জন দল প্রধানদের হিজড়ার কয়েকটি বাড়িও রয়েছে।এমন একজন হলেন রাহেলা,থাকেন দক্ষিণখান।তাঁর একটি পাঁচতলা বাড়ি আছে।ওই বাড়িতে হিজড়ারা বসবাস করেন।তুরাগের কামার পাড়া,রাজাবাড়ী,ধউর,রানাভোলা,বাউনিয়ায় থাকে প্রায় ১১ টি গ্রুপে।তাদের প্রধান হচ্ছেন কচি হিজড়া তাকে গুরু বলে ডাকেন সবাই।তিনি কোটি পতি বনে গেছেন।তাঁর আছে দুটি বাড়ি।
তাদের ভাষ্য একটাই ‘আমরা কোন অন্যায়,অত্যাচার করি না।বাড়ি বাড়ি ঘুরে তোলা তুলে,নাচ গান করে উপার্জন করি।প্রকৃত হিজড়ারা চাঁদা বাজি করে না। এক শ্রেণির পুরুষ সহজ উপায়ে টাকা কামাতে ভারতে গিয়ে যৌনাঙ্গের অপারেশন করে হিজড়ার বেশ ধরেন।তারাই চাদাবাজী বা অন্য সব অপকর্ম করে। সবার গ্রামের বাড়িতে তাদের স্ত্রী-সন্তান রয়েছে জানিরে…।
অপরাধে হিজড়া:
একটি অসাধু চক্র সরল সুন্দর সপ্তম-অষ্টম শ্রেণীর কিংবা বয়স কম বারো-তেরো বছরের ছেলেদের ফুসলিয়ে হাস পাতাল ক্লিনিকে শিক্ষিত ডিগ্রিধারী ডাক্তারের মাধ্যমে পুরুষাঙ্গ কেটে,ওষুধ খাইয়ে আকৃতি বিকৃত করে,ইনজেকশন দিয়ে বা অপারেশন করে স্তন বড় করে এদের হিজড়ার খাতায় নাম লেখায় পরে তারা চাঁদাবাজি,মাদক ব্যবসা,পতিতা বৃত্তির মতো জঘন্য অপরাধে জড়িত হয়ে পরে।ইচ্ছে করলেও বাড়ি ঘরে ফিরে যেতে পারেন না।ফ্যামিলি এবং সমাজ থেকে দূরে থেকে যাচ্ছেতাই করে বেড়ায়।
সামাজিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হিজড়াদের দাবি সাধারণ মানুষের মতো কবর না দিয়ে পানিতে ভাসিয়ে বা মাটির গর্তে পুঁতে রাখা হয় তাদের।কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে নিয়োগ পায় না তারা।এ সব অভিযোগের ভিত্তিতে হিজড়া এ দেশে এখন স্বীকৃত,তৃতীয় লিঙ্গ হয়ে রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ সুবিদা পাবেন।
ইসলাম ধর্মের ব্যাখ্যা:
‘ইসলাম অন্য সব মানুষের মতোই একজন মানুষ হিসেবে দেখেছে।পুরুষ হলে পুরুষের,নারী হলে নারীর বিধান মেনে চলতে হয় তাদের।এক জন নারীর যেমন নামাজ, রোজা ও পর্দাসহ ইসলামের সব বিধান মানতে হয়, এক জন নারী হিজড়াকেও এগুলো মেনে চলতে হয়।এ ভাবে পুরুষের মতো পুরুষ হিজড়াকেও।মারা গেলে সাধারণ মানুষের মতোই তাদেরও কাফন,দাফন ও জানাজা দিয়ে কবর দেয়ার হুকুম রয়েছে।ইসলামী দেশ গুলোর মধ্যে ইরানে সব থেকে বেশী রুপান্তর কামি অপারেশন করা হয়।তারা তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিকে যে কোন এক লিঙ্গে রুপান্তর হওয়ার সুযোগ দেয়।
হিজড়ার বংশ বৃদ্ধি রোধে করণীয়:
প্রথমত হিজড়া প্রজনন কেন্দ্র বন্ধ এবং এর কারিগর ডিগ্রিধারী ডাক্টারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত: বিভিন্ন পত্রিকায় এদের চিহ্নিতও করা হয়েছে।তাতে হিজড়া উৎপাদন বন্ধ হবে।এরপর সামাজিক ভাবে আড় চোখে না দেখে একজন মানুষের মতো সুবিধা দিতে হবে।এছাড়াও মৌলিক হিজড়াদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে স্থায়ী ব্যবস্থা নিলে হিজড়ারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে বলে আশা করা যায়।’ অভাব এবং অ-সচেতনতাই এ কাজকে ত্বরান্বিত করে বেশী।মানুষের সম্মানের ভয় হিজড়াদের অপরাধ প্রবণতা বাড়িয়ে যায়।তারা যেখানে সেখানে কাপড় উদাম করে ফেলেন।হিজড়া,অসহায় এবং অভাবীদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করলে অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশেই কমে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।২০০৫ সালে মাত্র ১০-১৫ জন হিজড়াকে নিয়ে ঢাকার শ্যামপুরে গড়ে তোলেন ‘সুস্থজীবন’ নামে হিজড়া সংগঠন যার নির্বাহী পরিচালক লায়লা হিজড়া,বর্তমানে সেই সংগঠনের সদস্য ১৫০-এর উপরে।ভারতের মতো আমাদেরকে সরকারী ভাবে আরো বেশী করে স্কুল তৈরী করে তাদের শিক্ষা দিতে হবে।
সংসার:
হিজড়া শব্দকে তারা অভিশাপ বা গালি হিসেবে মনে করেন।আসলে তারা হচ্ছেন,ট্রানজেন্ডার।হিজড়ারা মেয়েলি মনের মানুষ হয়।ছেলেদের সাথে মেলামেশা আর তাদের সাথে প্রেম করাই তাদের একমাত্র ইচ্ছা।এছাড়া ছেলেদের সাথে যৌনাচারে লিপ্ত হওয়া তাদের অন্যতম কাজ বলে মনে করেন।তারা মেয়েদের সাথে মিশতে অনিহা প্রকাশ করে।শার্ট ও প্যান্ট পড়ে ঘুরে বেড়াতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন তারা।
হিজড়াদের অধিকাংশই সংসার সংসার খেলা খেলে।হিন্দু ধর্মের হিজড়ারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তারা ভগ বানকে বিয়ে করেন।আর সন্ধ্যার পর তারা সাদা কাপড় পড়ে বিধবা হয়।
হিজড়ারা লিঙ্গ বৈকল্য হলেও তাদের যৌন চাহিদা প্রবল।তাদের জীবনেও প্রেম ভালোবাসা আসে। তারাও ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে।তাইতো দেখতে পাই মাঝে মাঝে দুজন হিজড়াকে ভালোবেসে ঘর বাঁধতে।পুতুল কোলে নিয়ে বাচ্চার স্বাধ মেটায়।কখনো কখনো অনেকে নিজেদের গন্ডি পেরিয়ে অন্য পুরুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে। তবে সে বিয়ে বেশি দিন টিকে না কারন তারা বংশ বৃদ্ধি করতে পারেনা।তা ছাড়া আমাদের দেশে হিজড়াকে বিয়ে করা সামাজিক ভাবে বৈধও নেই।
সমাধি:
এক সময় হিজড়াদের নিয়ম ছিল,যদি তারা মারা যায় তাহলে যেখানে তারা রাতে ঘুমাতো সেখানেই তাদের কবর দেয়া হতো।আর কবর দেয়ার নিয়ম হচ্ছে, প্রথমে কবরে লবন দেয়া হয়।পরে লবনের উপর লাশ রাখার পর তার উপরে ফুল দেয়া হতো।আবার ফুলের উপর লবন দিয়েও কবর দেয়া হতো।তারা এমন রীতিতে মনে করেন আগের পাপ মোচন হয়ে পূর্ণ নারী বা পুরুষ হয়ে জন্ম গ্রহণ করবেন।
আমার কেনো জানি মনে হয় ওদের কথায় কথায় টাস টাস হাত তালি দেয়া মানে ঘূণে ধরা সমাজকে তিরস্কারে বুঝাতে চাচ্ছেন…ওরাও মানুষ ওরাও বাচতে চায় সমাজের একজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই।তাদের এমন পরিণতির জন্য ওরা দায়ী নয়,দায়ী আমরাই,দায়ী অশিক্ষিত মা বাবা,দায়ী এ সমাজের অতি ভদ্র মানুষেরা যারা ওদেরকে সামাজিক ভাবে মেনে সর্ব ক্ষেত্রে সাথে রাখেন না।
“হিজড়া শব্দটি তাদের জন্য একটি অভিশপ্ত শব্দ ‘আসুন তাদেরকে আমরা সেই শব্দে সেই ভাবে না ভাবি না বলি”।
সহযোগিতায়:
বিভিন্ন অনলাইন ও বই ।
২৪টি মন্তব্য
ইঞ্জা
ভাই কঠিন বিষয় নিয়ে লিখেছেন বলে সাধুবাদ জানাই, লেখাটি বেশ বিশ্লেষণ মূলক, যা থেকে অনেক কিছুই জানলাম।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ
এ লেখাটি লিখতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে।প্রথম চিন্তা: আমি সোনেলায় মাঝে মাঝে কবিতাকারে স্বামী স্ত্রী অথবা প্রেমিক প্রেমিকর টেলিফোন সংলাপ োষ্ট দেই এ লেখাটি তাই লিখতে ছিলাম,লিখতে গিয়ে লেখা প্রথমে পরকিয়ায় মোড় নেয় এর পর ভাবলাম এ লেখা পরকিয়াদের উৎসাহ দিবে বাদ তারপর পতিতা চরিত্রের রূপক কথোপকথন কথা লিখতে গিয়ে মনে পড়ল এদের এর পর হিজড়া নিয়ে লেখা। -{@ সত্যিই অবাক লাগে আমাদের মত এরাতো মানুষ তবে কেনো তাদেরকে এতো সামাজিক রাষ্ট্রীয় ভাবে এরা অবহেলিত।
ইঞ্জা
দুঃখজনক।
নীহারিকা জান্নাত
অনেক তথ্য ও বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট। এদের পুনর্বাসন ও কাজের সুযোগ করে দিলে চাঁদা নেয়া বা অপরাধ কিছু কমবে। আর কিছুদিন আগে খবরে দেখলাম অনেক সুস্থ মানুষ হিজড়া সেজে আজকাল চাঁদাবাজি করছে। এটি কিন্ত ভেবে দেখার বিষয় যে এ শ্রেণীর সরলতার সুযোগ না নিয়ে কেউ যেন আবার ব্যবসা ফাঁদতে না পারে।
ধন্যবাদ এ বিশাল পোস্টটি কষ্ট করে তৈরি করবার জন্য।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
নিঃসন্দেহে বলতে পারি এক শ্রেনী চক্র এ ফায়দা অলরেডি নিচ্ছেন।যার কারনে হিজড়াদের আমরা খারাপ ভাবি।ধন্যবাদ -{@
নিতাই বাবু
দারুণ লিখেছেন মানির দাদা। আপনার লেখা পড়ে হিজড়া সম্পর্কে অনেক কিছু জানা হলো দাদা। তবে কষ্টের ব্যাপার হলো দেশের অনেক অনেক হিজড়াদের এখনো দুরবস্থা চলছে দাদা, তাদের কেউ দেখার নেই।
তাই তাঁরা দোকানে দোকানে চাঁদা তুলে দিনাতিপাত করে থাকে।
একবার শুনেছিলাম দেশের সব হিজড়াদের তালিকা করে তাদের পুনর্বাসন করে দিবে সরকার। কিন্তু তা আর দেখছি না দাদা।
চাই খুব তাড়াতাড়ি হিজড়াদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হোক।
ধন্যবাদ দাদা ভালো থাবেন আশা করি।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
যতই আইন হউক আমাদের মানষিকতা পরিবর্তন না এর কোন ফল আসবে না। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
মনির ভাই দারুণ একটি লেখা লিখেছেন। হিজড়া সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা ছিলোনা, সেসব জানলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ আপনাকেও -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করতে হয়েছে দেখছি,
আমাদের এ সমাজে এ সমস্যাটি দীর্ঘ দিনের, এরাও মানুষ, এই মানবিক
দিকটি বিবেচনা করে আমাদের আরও সহনশীল হওয়া উচিৎ,
সুষ্ঠ পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজে ফিরিয়ে আনা জরুরী।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সহমত এছাড়া উপায় নেই কিন্তু এদেশে কে ভাববে কার কথা নিজের ভাবতেইতো বেলা শেষ। -{@
মিষ্টি জিন
মনির ভাই অসাধারন একটা পোষ্ট নিয়ে এলেন।
হিজরাদের ব্যাপারে জানতে আমার বেশ আগ্রহ ছিল। আপনার পোষ্ট পডে বিস্তারিত অনেক কিছু জানলাম।
পৃথিবীর যে দেশেই গিয়েছিনা কেন সব দেশেই কিছুনা কিছু হিজডা দেখেছি। তবে সেই সব হিজডাদের অবস্হা আমাদের দেশের হিজডাদের চেয়ে অনেক ভালো। তাদের কিছু সংখক পতিতাবৃত্তি করলেও অনেককে বিউটিশান বা ফ্যাশন ডিজাইনার হিসাবে দেখেছি। ইন্দোন্শিয়ায় আমার বিউটিশিয়ান ও হিজডা ছিল। প্রখম দিন যখন ও আমার কাজ করতে আসলো আমি একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম পরে বিউটি পারলারের মালিক আমাকে বোঝালো তুমি যদি ওদের সুযোগ না দাও তাহলে এরা খারাপ পথে যাবে। ভাবলাম ঠিক ই তো। সেই থেকে ওর সাথে আমার একটা ভালো বন্ধুত্ব হয়েগিয়েছিল।
আসলে এদের ঘৃনা না করে বিভিন্ন বিষয়ে ট্রেনিং দিয়ে পূনর্বাসন করা দরকার। তাহলে ধীরে ধীরে এদের অবস্হার উন্নতি হবে।
ইন্দোন্শিয়ায়
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ঠিক বলেছেন আপু ওদের আমাদের দেশে সেই সুযোগটিই দেয় না।আমিও সিঙ্গাপুর দেখেছি ওরা অনেক উন্নত।সরকার তাদেরকে বিশেষ ভাবে টেককেয়ার করেন।ওরা যখন সাধারন মানুষের সাথে মিশে তখন বুঝাই যায় না ওরা অন্য জাতে তবে চিন্নি এবং অকুয়া অনেক খারাপ কাজে জড়িত থাকে।এদের পুলিশে ধরলেও আবার ছেড়ে দেয়।ধন্যবাদ আপু -{@
মৌনতা রিতু
হিজড়াদের অধিকাংশই সংসার সংসার খেলা খেলে।হিন্দু ধর্মের হিজড়ারা প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর তারা ভগ বানকে বিয়ে করেন।আর সন্ধ্যার পর তারা সাদা কাপড় পড়ে বিধবা হয়।
এইসব কিছুই তো জানতাম না।
সৈয়দপুর, পার্বতীপুরে প্রচুর এমন হিজড়া আছে যারা খুবই খারাপ কাজের সাথে জড়িত। মাদক চোরাচালান থেকে শুরু করে চাঁদা তোলা অনেক অপরাধের সাথেই এরা জড়িত।
টিভিতে এর উপর একটা বড় প্রতিবেদন দেখেছিলাম। তাদের দেখলাম গ্রামে বৌ বাচ্চা আছে।
কেন যেন এদের কাউকেই আমি কখনোই ভাল দেখিনি।
কেন যেন তাই একটা ঘৃণাবোধ আমার কাজ করে। মাফ করে দিবেন ভাই।
একটা সিনেমা দেখেছিলাম হিন্দি। আছে দু’ একজন অবশ্যই তো ভাল।
ঠিকই বলেছেন ওদেরও কিন্তু ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার বিধান আছে। কিন্তু এরা তা মানেই না। এজন্য আমরাই দায়ী কারণ আমরা আমাদের কাতারে তাদের দাঁড়াতেই দেইনা।
অনেক পরিশ্রমি পোষ্ট।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ বড় মন্তব্যের জন্য।আমার দেখা সেই আল আমিন ছেলেটি এখন পুরোপুরি তাদের দলে অথচ আমাদের সমাজে যদি এদের বিষয়ে নজর দিতে তবে এর হ্রাস পেত। ধন্যবাদ -{@
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আসলে এদের ঘৃনা না করে বিভিন্ন বিষয়ে ট্রেনিং দিয়ে পূনর্বাসন করা দরকার। তাহলে ধীরে ধীরে এদের অবস্হার উন্নতি হবে।
মিষ্টি আপনির সাথে একমত। (y)
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ধন্যবাদ।সহমত -{@
অরণ্য
“আমার কেনো জানি মনে হয় ওদের কথায় কথায় টাস টাস হাত তালি দেয়া মানে ঘূণে ধরা সমাজকে তিরস্কারে বুঝাতে চাচ্ছেন…” – ভাবালো ।
ভাল লেগেছে লেখাটি। (y)
মোঃ মজিবর রহমান
এদের নিয়ে বর্তমান ইকবারুল রহিম এম পি দিনাজপুরে একটি শিক্ষালয় এবং কাজের প্রতিস্টহান খুলেছেন এখানে তাঁরা কাজ করবে এবং আয় করবে। এর জন্য জনাব এম পি সাহেব বেদেশি একটি পুরুস্কার পেয়েছেন ।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ভালো একটি লেখা মনির ভাই। যেই সৃষ্টিতে মানুষের হাত নেই, তাকে এভাবে তিরস্কার করে দূরে সরাতে পারিনা আমরা। আমাদের কারণেই বিপথে যাচ্ছে এরা। সমাজের নীচু থেকে উঁচু স্তরের বহু পুরুষ রা এমনকি মন্ত্রী লেভেল পর্যন্ত এদের ইউজ করা লোক রয়েছে অথচ ওদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই। হ্যাটস অফ ওদের নিয়ে লেখার জন্য।
বাঁধন নামে ওদের একটা অর্গানাইজেশন ছিলো, এখন আছে কিনা জানিনা।
জিসান শা ইকরাম
অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা দিয়েছেন।
আমাদের দেশে এরা বেশ অবহেলিত,
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরা অত্যন্ত সম্মানের সাথে জীবন অতিবাহিত করে।
ভয়াবহ একটা তথ্য জানলাম, সুন্দর কিশোর ছেলেদের অপারেশন করে হিজরা বানিয়ে ফেলা হয়।
ধন্যবাদ এমন লেখার জন্য।
শুভ কামনা।
মেহেরী তাজ
সোনেলা এর মাঝেই বেশকিছু ইউনিক পোষ্ট পেয়েছে। তার মধে এটা অন্যতম!
আমরা অবশ্য হিজরা প্রাণী যেমন গরু,ছাগল নিয়ে পড়েছি। আজ তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ নিয়ে বেশ বিশ্লেষণ ধর্মী একটা লেখা পড়লাম!
অপার্থিব
ভাল লিখেছেন। পোস্ট প্রিয়তে নিলাম। হিজড়াদের নিয়ে আগেও বিভিন্ন মাধ্যমে কিছু লেখা পড়েছিলাম তারপরও এই লেখায় কিছু নুতুন তথ্য পেলাম। ভাল লাগলো।
নীরা সাদীয়া
ধন্যবাদ ভাই। আপনার মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম।