কবি হবো পোস্টের জবাবেঃ
ছোট্টবেলায় পাড়ার ক্লাবে কবিতার আসরে কবিতা পড়তে গিয়ে শুনেছিলাম ‘কি হচ্ছে! কবিতা না পড়ার বই রীডিং পড়া?’ দমে গেলাম। আরো পরে গানের আসরে কি একটা প্রথমবার শুনিয়ে বললেন গাও ‘গান নাকি কবিতা পড়লে!’ শুনে সেও ছাড়…
এরপরে ক্লাশ এইটে থাকা অবস্থায় কোচিং এর এক মারকুটে অংকের শিক্ষক একদিন ধুম করে বলে বসলেন ‘সবাই একটি একটি কবিতা আবৃত্তি করবে, পড়া শেষে আমি তোমাদের শেখাবো। এক সপ্তাহ সময়, পরের শুক্রবার রেডিওতে তোমরা সেই কবিতা শোনাবে।’ রেডিও বলতে চট্টগ্রাম বেতার!! ঘোরের মধ্যে চলে গেলাম, সপ্তাহ কেটে গেলো আর এলো শুক্রবার। মা চুল আঁচড়ে দিয়ে পরিপাটি করে পাঠালেন সবার সাথে মিশে স্যারের কথামতো চলতে। গেলাম, রেডিও এসিরুমে বসে সেই অসমান্য মমতাময়ী আপুর উপস্থাপনায় কি বলেছি খেয়াল নেই। এসে শুনলাম পাড়ার সবাই রেডিও অন করে শুনেছে!!! এরপর!
এগুনোর কথা ছিলো। কিন্তু সেই স্যার ধুম করে আবার মরেই গেলেন একদিন সকালে। সেই শেষ কান্না করেছিলেম কারো মৃত্যুতে। নিজের রক্তের কেউ মারা গেলেও পরে কোনদিন কান্না আসেনি আর।
তারপর? ২০১০ সাল। ২০০৭ থেকে ফেবু শুরু করে টুকটাক নিজের ফেবু নোটে লিখে রাখতাম। এক গায়ক (বলা ভালো আমার শোনা ও দেখায় বাংলাদেশের সেরা রিসাইটার) বন্ধু বললো “নীতেশ তুমি নিজের লেখার ধরন কিছুটা “এদিক ওদিক করে লিখো, ভালো হবে। আমি, তুমি ছাড়ো” এরপরে! সেই গায়ক বন্ধুর গানের দলে কি করে যেন দুটো কবিতা নিয়ে গানও করে ফেললো বুঝিনি। কিছু বন্ধু(বান্ধবী)র সাহচর্যে ও এক শিক্ষকের অদম্য উৎসাহে কবিতার গ্রুপে মিশে যাওয়া, শিখে নেওয়া। ২০১৩ এর শাহবাগে রাজাকার বিরোধী উত্তাল সময়েও বইমেলায় সেইসব বন্ধুরাই কবিতা নিয়ে সম্মিলিত কবিতার বই করে ফেলেন কয়েকটি প্রকাশনী থেকে! আমার কবিতা ছেপেও যায় তাঁদের সাথে, আবারো কি করে হলো বুঝিনি।
এরপরে?
আবারো ছন্দপতন। রাজাকার বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে যাওয়ায় অফিস ছাড়তে বাধ্য হয়ে বেকার জীবনে ঢুকে এখনো বেরুতে না পারা!
মাঝে এক নাটকের লোকের সাথে পরিচয় হয় মিডিয়া হাউজ গড়ার চেষ্টায় বসে এক চতুর মুনাফালোভীর খপ্পরে পড়ে আবারো ফিরে আসা।
কিন্তু সেই ছোট্টবেলার সাধ পূরণে থামিনি-লিখতে হবে। কবিতায় মন বসেনা তেমন। মাথায় ঘুরে ছোট ছোট গল্প যা কবিতার ছন্দে বা ভাবে আনতে পারি না আর। মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে হয় কবিতায় ঢুকে পড়ি, ছন্দ বুনতে না পারলেও ভাবে লিখে ফেলি। কিন্তু হয়ে উঠে না। মনের কোন এক কোণায় বারেবারে প্রত্যাখ্যানের সুতোটুকু আটকে রেখেছে। তবুও থামতে মন চায় না।
আজো ঘাসের ডগায় সূর্যের আলো ঢলে পড়া দেখি,
দেখি সোঁদা মাটি হতে জলের সাথে সূর্যের আলোর খেলা,
পুকুরে ছোটমাছের বুদুবুদে খুঁজে পাই ঢেউয়ের ছন্দখেলা,
পিচঢালা পথে ঝরাপাতায় পাই সবুজের আরোহণের কলা।
ঠকে যাওয়া, প্রত্যাখ্যানের অভিমানে ফেবু হতেই নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি কিন্তু মনকে থামাতে পারি না! তারপর?
এরপর! সোনেলা…
৫৭টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
তারপর আর কি মন্তব্য মন্তব্য আর শুধুই মন্তব্য। দুদিন সময় দিলাম। এর মাঝে যদি কবিতা না দিয়েছেন তো দেখেন নীতেশ দা আপনার কি হাল হয়,,,,,, 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
;? :c
আগে হাল দেখি, যদি পাই তো পানি ঢালা যাবে :D)
অরুনি মায়া
পানি আপনার মাথায় ঢালা হবে মনে রেখেন,,,,,
নীতেশ বড়ুয়া
গরম পড়ছে অনেক। পানি ঢাললে ভালই লাগবে 😀
অরুনি মায়া
এত খুশি হবার কিচ্ছু নেই। সামনেই কিন্তু শীত কাল
নীতেশ বড়ুয়া
শীতকালে গরম পানিতে নাইতে যাওয়ার অভ্যেস নেই। অতএব-
পানি পানি রেএএএএএএএএএএএএ :D)
অরুনি মায়া
রাতে ঘুমাবার আগে কম্বল ছিনিয়ে নেওয়া হবে :@
নীতেশ বড়ুয়া
আরো ভালো… শীতের রাতে আপনার গান শোনা হবে তবে 😀
(বাই দ্য মন্তব্যঃ আপনাকে এখন কম দেখা যায় কেন? একা একা আমি কতক্ষণ চেঁচাবো! :@ )
ছাইরাছ হেলাল
প্রথম মন্তব্যকারীর সাথে একাত্মতা ঘোষনা পূর্বক হুঁশিয়ারী প্রদান করা হলো।
নীতেশ বড়ুয়া
আমিও হুঁশিয়ারি দিলাম। হুঁশিয়ার…হুঁশিয়ার…হুঁশিয়ার 😀
মেহেরী তাজ
তার আর পর নাই। এখন এই সোনেলায় বিভিন্ন লেখায় খালি ধিন্তাক ধিন্তাক করে নাচা আর হা হা হা করে হাসা!
আপনি কবিতা লিখতে পারেন অথচ ট্রাই করেন না। আপনি ভিশন পসা…. 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
আমে কোবেতা লেক্তে ফারিনা তা ছাপু 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রথমেই একটা বকুনী ফাজিল বদমায়েশ ছেলে,
তারপর রাগ চড়িয়ে দাঁত ফেলা হবে
এরপর শুন্য আপুর ডিউটি।
ইডেনের ক্যাডার হয়ে আইজ মাইরাইলামু, চুলের বারোটা বাজামু। চিনোস আমি কেডা?
তারপর চিল্লানো ওই কবে লিখবেন লেখা বান্দর?
সবশেষে আহ্লাদী ও ভাইডি ও দাদা কবিতা লেখো গো। প্লিজ। তুমি না অনেক ভালো।লক্ষ্মী দাদা আমার। প্লিজ রাখো কথাটা। লেখো কবিতা। -{@ (3
নীতেশ বড়ুয়া
:D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D)
দাঁড়ান, আগে হেসে নি’
:D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D)
হাসির ফাঁকে বলে নি’
:D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D)
কবিতে আর লিখতে না পারি।
:D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D)
:D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D) :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিতা আর লিখতে না পারি বলতে কি বোঝানো হলো? দাদা গো সাপ দেখেছেন, সাপের পাঁচ পা তো দেখেননি। রসগোল্লা চেহারা দেখিয়া ভুলিবেন না, কৃষ্ণ লঙ্কা খেয়েছেন? ৫ ফিট ২ ইঞ্চির ঝাল কিন্তু নারকেল গাছকেও নোয়াতে পারে।
লিখতে হবেই। যাবা কই বাপধন? চুলকানি পাতা পেষ্ট বাটিতে নিয়ে দাঁড়ানো দরোজায়। হয় লিখবা নইলে পেষ্ট। :@ :@
নীতেশ বড়ুয়া
আপনি আপনাদের কবিতা অন্য কোথাও লিংক্সহ পেস্ট করি পড়ানোর জন্য।
তো কি হলো এইবার?
আমার গল্প ফুরলো, নটে গাছটি মুড়লো 😀
যেদিন আবার স্বাবলম্বী হবো সেদিন থেকে ‘ক্ষুদার রাজ্য পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’ ভাবনা ছেড়ে ‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হইতে দু’পা ফেলিয়া”তে মজে যাবো নীলা’দি।
এই বেশ আছি, আপনাদের সাথে, আপনাদের হাসি আনন্দে নিজেকে খুঁজে নিচ্ছি 😀 (3 -{@
পূজো কেমন কাটছে জানাবেন। ছোট্টবেলার সেই সব পূজোর স্মৃতি খুবই মিস করি।
নীলাঞ্জনা নীলা
নীতেশদা মনটা খারাপ করিয়ে দিলেন এভাবে? আমি হাসতে ভালোবাসি, হাসাতে সেভাবে পারিনা। আমার হাসিতেই না বুঝে মানুষেরা হাসে। যারা আমাকে ভালোবাসে।
আমার এতো অনুরোধ-আবদার আপনার কাছে গৌণ হয়ে যেতে পারে, তা ভাবিনি আসলে।
পুজো এখন রংচঙে শাড়ী পড়ে আর সাজুগুজু করে সেলফি তোলাতেই ব্যস্ত থাকে। ফেসবুকের প্রোফাইল ছবিতে ১০০ লাইক আর কমসে কম ৮০/৯০ টি কমেন্ট পাবার আশায় থাকি। :p
তবে নীতেশদা আপনি আমার মনে গভীর কষ্ট দিয়ে ফেললেন।
ভালো থাকুন।
নীতেশ বড়ুয়া
দিদি, কষ্ট নয়, আমি আপনাদের সাথে হাসিতে ঠাট্টায় আছি। কবিতায় ডূবে যেতে হলে নিজের আখের ঠিক রাখতে হয় তা নাহলে কবিতা বড্ড একপেশে আর নেতিবাচকতায় ডূবে যায়। নিজেকে কবিতায় টাইপড হয়ে যেতে দেখতে চাইনি কোনদিন তাই নিজেই নিজের কবিতায় হতাশায় না ডুবার জন্যই দূরে আছি। তবে সময় নিয়ে অন্য কিছু পোস্ট দিবো নিশ্চিত।
আপাতত, আপনার, অরুনিমার, হেলাল ভাইয়ার কবিতায় কবিতাকে নতুন করে চিনে নিচ্ছি। শিখছি অনেক কিছুই।
সত্যি বলছি, এই এখানেই আক্টানো সময়টুকুই আমি অনেক আওন্দের সাথে কাটাই। তাই সমানে হামলা চালাই :D)
নীতেশ বড়ুয়া
ইশশশশ! পূজোতে পাশের বাড়ির মাসীমার হাতে নারকেলের নাড়ু!!! কবজি অবদি ডুবানো তেলে ইলিশ মাছের তরকারি…
বাজনার তালে তালে ধূপের ঝাঁঝালো গন্ধে নিজের মনকে নাচিয়ে বেড়ানো সেই পূজো কি এখন হয় না ওখানে?
নীতেশ বড়ুয়া
নীলা’দি তোমার জন্য পূজোর এই গানঃ https://youtu.be/AmLgs37SOhs
(3 -{@ 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
গান দিয়ে ঘুষ? :@
ঠিক আছে এবারের মতো ছাড় দিলাম। কিন্তু পোষ্ট এতো দেরী করে করে দেয়া যাবেন বলে দিলাম কিন্তু। অন্তত সপ্তাহে দুটো পোষ্ট দিতেই হবে।
আর কষ্ট যদি দিতে চান তাহলে লাগবে না পোষ্ট দেয়া। 🙁
নীতেশ বড়ুয়া
এইবার এই গানটিঃ https://youtu.be/nXQw7ggHufo 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
সেলফোনে গানটি রেখেছি।
মনটা কি যে করে ফেলে ব্যস্ত পথে যখন দৌঁড়ুই, তখনও আচ্ছন্ন থাকি গানটিতে।
দাদা গো আমার পছন্দ আপনি বুঝে যাচ্ছেন। আরোও কিছু দিন। 😀
“থাক অপেক্ষাতেই থাক।” অপেক্ষায় রইলাম দাদা গানের জন্য। -{@
নীতেশ বড়ুয়া
😀 \|/ 😀 (3 -{@ (3 -{@
অরুনি মায়া
হা হা হা তোমার জবাব নেই নীলু (y)
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু জবাব আসলেই নেই। আমি শুধু ভাবি আমার ভাবনাগুলো এমন উদার কেন? (নিজের প্রশংসা নিজেই করি) 😀 :D)
নীতেশ বড়ুয়া
জোকের মুখে লবণ দিলে কি হয় জানেন তো অরুনি? জোক ছিটকে পড়ে যায়। কিন্তু আবার নতুন করে অন্য কোথায় ঠিকই লেগে যায়। অতএব যেমন বুনো ওল (নীলা’দি) তেমনি বাঘা তেঁতুল (আমি) হয়েই আছি। মুয়াআআআআআআআহাহাহাহাহহাআহহাহাহা 😀 :D) :D) :D) :p
অরুনি মায়া
তাইতো দেখছি 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
:D) 😀 \|/ :p মজা বুঝবেন :D)
মেহেরী তাজ
আপু ইউ আর ইউ….. :D)
নীতেশ দা বেশি আহ্লাদ পেয়ে বাঁদর হয়ে যাচ্ছে। নু আহ্লাদ…..
নীতেশ বড়ুয়া
আদরে বাঁদর
স্বভাবে কাতর
শিরোনামে?
ভোঁদর :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু আমার আহ্লাদকে নীতেশদা পাত্তা দিলোনা। উনার অহমটা আগে কিনা।
নীতেশ বড়ুয়া
অহমের সাথে ‘অহো!’ লেগে আছে যে নীলা’দি
নীলাঞ্জনা নীলা
কথা দিয়ে সবসময় কিন্তু চিঁড়ে ভেঁজেনা। বলে দিলাম। 😀
নীতেশ বড়ুয়া
কথাই যদি না বলে তবে চিঁড়ে ভেজাবে কে!! :D)
নীলাঞ্জনা নীলা
বাপু এভাবে হাসাইলে দাঁত ভাঙ্গিয়া পড়িবে। 😀
নীতেশ বড়ুয়া
হাসপাতালে চিঁড়া আছে বুঝি? সাথে দই আর গুড়! জমবে ভালো 😀 \|/
নীলাঞ্জনা নীলা
সিলেটে চিটা গুড় খাওয়ানো হয় হাম্বাকে :p 😀 :D)
গুসসা করলে কিন্তু খবর আছে। বুজছইননি? :D)
নীতেশ বড়ুয়া
বুঝরাম না খেনে!
বাউয়ে চিটা ডাইনে গুড় রাখছইন?
আমি গুড় নিতান্ম নায়নি! :p
নীলাঞ্জনা নীলা
ইস দই আর গুড়। চিটা গুড় আপনাকে খাওয়াবো। বুঝেছেন? 😀 :D)
নীতেশ বড়ুয়া
ও আচ্ছা! চিতই পিঠা আর গুড়? দারুণ হবে তো 😀 \|/
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
যারা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মায় না তাদের জীবনটাই সংগ্রামী।ঘাত প্রতি ঘাতে জীবন কখনো মেঘে ঢাকা অন্ধকার কখনো বা মশৃৃণ।
আমিতো মনে করি আমি লিখি কেবলি মনের খোরাকে আপনিওএর ব্যাতিক্রম নয়।
ভাল থাকুন -{@
নীতেশ বড়ুয়া
মনের কথাটি বলেছেন মনির ভাইয়া 😀
-{@ অনেক অনেক ধন্যবাদ -{@
ব্লগার সজীব
আগে বলেন তো সোনেলাই কি শেষ গন্তব্য?নাকি এখান থেকেও নিরুদ্দেশ হয়ে যাবেন?কতটা উৎসাহ পাই আপনার মন্তব্যে কিভাবে বুঝাই?
যাতে আপনি সাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাই করবেন।মনের টান সবচেয়ে বড়,কবিতা যদি মিশে থাকে আপনার হৃদয়ে ,লিখুন কবিতা। অথবা অন্য কিছু অথবা কবিতা+ অন্যকিছু।যা ইচ্ছে তাই 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
মনের টানের কথা যখন বললেন তবে একটা গুপন কথা বলি কানে মুখে (মনের টানে আসি সোনেলাতে বা সবখানেই। মনের টানেই থাকি। কিন্তু সেই মনের সাথে যখন দেখি চেনা অলিগলি, ঝুলবারান্দা কি চিলেকোটা, জোছনার আলো সব আমাকেই না চেনার ভান নিয়েছে আর আমাকে অচিন করে নিজেরা এগিয়েছে তখন নীরবেই বিদায় নিবো। কারণ যাদের জন্য টান সেই তারাই যখন টান অস্বীকার করে তবে সেখানে মন রাখার কিছুই নেই)
সোনেলাতে আমার নিয়মিত হওয়া কিন্তু লীলাপুর কারণেই। সোনেলাকে চেনা জিসান ভাইয়া ও হেলাল ভাইয়ার কারণে, সোনেলাকে সাহসের সাথে সময় দেওয়া শুন্যাপুর কারণে আর সোনেলাতে আড্ডা দেওয়া নীলা’দির কারণে। আর সোনেলায় হাসতে পারা আপনার কারণে।
যেদিন এইসব মানুষেরা ও নতুনেরা টান অস্বীকার করবে সেদিন নিশ্চিত অন্য কোথাও নিজেকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করবো ভাভু থুক্কু সজু বাইয়া :p
লীলাবতী
আমার কথা এখানে কে বলেরে? কি ব্যাপার শুনি? ও সজু নীতেশ দা কি লিখলোরে? আমাকে একটু পড়ে শুনাও তো ভাইয়ামণি।
-{@ -{@ -{@ -{@
নীতেশ বড়ুয়া
আমরা বলতেসি আপনার কথা 😀 আপনাকে আর আগের মতো পাই না ;(
লীলাবতী
আগে কেমন করে পেতেন একটু বলুনতো শুনি 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
আপনাকে আগে ফুলে ফলে বনে বাদাড়ে, মাঠে ঘাঠে, সবখানে নেচে গেয়ে প্রয়োজনে বকু দিয়ে পেতাম।
আর এখন? 🙁
নাসির সারওয়ার
একেই বলে এক ঢিলে দুই পাখি। আবৃতি শুনবো। ইউটিউব দেন তাড়াতাড়ি, নইলে………
শুভকামনা।।
নীতেশ বড়ুয়া
আমি আবৃত্তি করতে জানি না। উচ্চারণ ঠিক নেই। সেই ভোকাল ট্রেইনিং আর উচ্চারণের ট্রেইনিং সেই ছোটবেলাতেই ভুলে গিয়েছি। নিজের মনে গুনগুন করি কোন কবিতা ভাল লেগে গেলে 😀
আর আমার রেকর্ড কোথাও নেই কারণ করিই নাই :D)
আপনার কবিতা চাই কিন্তু দ্রুতই 😀
জিসান শা ইকরাম
লেখকদের কত কথা থাকে
অলেখকদের কোন স্মৃতিই থাকে না।
ছোট বেলার ইচ্ছে পূরণের ইচ্ছে এখানেই করে ফেলুন
নিজের ইচ্ছেয় যা খুশী লেখা যাবে এখানে
কারো উপরে নির্ভর করতে হবেনা………
আর শুভাকাঙ্ক্ষী পাঠকের অভাব নেই এখানে।
লেখা ভালো লেগেছে …।
শুভ কামনা।
নীতেশ বড়ুয়া
আমার কত কথা বলার আছে কিন্তু বলার মত শব্দ খুঁজে পাই না কারণ আমি লেখক না :D)
এখানে ইচ্ছে পূরণ করা যাইয় বলেই তো মন্তব্যে খেয়াল খুশী মতো বলে যাই, কখনো দু’এক লাইন কবিতার মতো কিছু বা হাসির কিছু। এই তো সোনেলা। নিজের মতো 😀
সোনেলা দেখানো শুরু আপনার আর বাকিরা সাথে করে এখানে রেখে দিয়েছে প্রতিদিন (3 -{@
শুন্য শুন্যালয়
আপনার শুরুর দিকের কবিতাগুলো মনে আছে আমার, বাপরে। কতো যে রেগে রেগে লিখেছিলেন সেসব, তবে আলাদা করে নীতেশ দা কে চিনেছিলাম তখন থেকেই, তাই যখন এখন বলেন কবিতা বোঝেন না, আমি তখন একটু মুচকি হাসি। 🙂
কারো জন্য কোন সাইট ছেড়ে চলে যাওয়া ঠিক নয়। অন্যের জন্য নয়, নিজের টানেই থাকুন।
গানটা এখনো মনে আছে। গানের মাঝে স্লোগানের ফিউশান দারুন লেগেছিল, গানের কথার কথা বলে নীতিয়েছ দা কে তালগাছে চড়াতে রাজি না 🙂
নীতেশ বড়ুয়া
শুরুর দিকের কবিতাগুলোর অনেকগুলোই ২০১০-১১-১২ তে লিখেছিলাম। ২০১৩-১৪তে নিজের কবিতার ধরন কখন পাল্টে গিয়ে কমে গিয়েছে জানি না। আর ২০১৫ তে এসে থেমেই গিয়েছে। আগে কবিতা নিয়ে নিজেই নিজেকে ভাংতাম প্রতিবার কবিতাকে জানার বা বুঝার জন্য। এখন সেই ইচ্ছেটুকু বা সেই মনটুকু আর লাগে না।
সত্যি বলতে গেলে এখন সব কবিতা বুঝি না। কবিতার ভেতরে ঢুকতে পারি না। আরো একটা ব্যাপার ২০১৩ এর শুরু থেকে কবিতায় কবিতা নিয়ে কথা বলার ধরন পাল্টে গিয়েছে। আগে কেউ কবিতা দিলে তা নিয়ে আমরা কত কথা বলতাম, প্রতিটি শবদ, লাইন নিয়ে ভাবের বিশ্লেষণ করতাম সবাই মিলে। কিন্তু হঠাৎ করে সবাই কবি হয়ে যাওয়ায় কবিতা নিয়ে কথা বলার পাঠক নেই!
আর গানের কথা! সে এক কাহিনী। কিন্তু গান হবে ভাবিনি কোনদিন। কি থেকে কি হয়েছে জানিও না :p
এখন গান তো দূর দু চার লাইনের বাইরে কিছুই আর আসে না। তাছাড়া গান লিখতে হলে সুর, তাল, লয় সম্পর্কে জ্ঞান থাকা লাগে যা আমার একদমই নেই 😀
এখানে কয়েকজনের কবিতা পড়ে মুগ্ধ হই। ভাবি, কবিতার প্রতিটি লাইন নিয়ে কথা বলা যেতো!
শুন্য শুন্যালয়
কিন্তু হঠাৎ করে সবাই কবি হয়ে যাওয়ায় কবিতা নিয়ে কথা বলার পাঠক নেই! 🙂 দারুন বলেছেন কিন্তু। আমাদের এখানে সেরকম কেউ নেই। নির্ধ্বিধায় প্রত্যেক লাইন নিয়ে বলুন। আমরাও শিখি কিছু। শেখবার জন্যেই তো আসা। যার ভেতরে কবিতা একদা ছিল, তার এখনো আছে। যে ভাঙ্গে একবার সে বারবারই ভাঙ্গে। অভিমান করে নিজেকে ঠকানো ঠিক না। আর হ্যাঁ লেখা কিন্তু একটু বেশি বেশি দিতে হবে। কিংকর্তব্যবিমুঢ় র দ্বিতীয় পর্ব চাই। চাই তারাদের ছিপ ফেলে শিকার করার গল্পটা।
নীতেশ বড়ুয়া
সবাই কবি তাই কবিতা নিয়ে কথা বললেই অহ্মে লাগে কবিতার চাইতে বেশী :p
The Kings কর্তব্যবিমুঢ় নিয়ে ভাবনা আছে সত্যি। ভাল বলেছেন সেই ছিপ ফেলে তারা শিকারের কথা বলে। হুউউম ;?
গুরুগম্ভীর কথা বাদ দিন, আসুন আবার হাসি ঠাট্টায় মাতি 😀 (সবার পোস্টেই হাসি আর নিজের পোস্টে কিনা এমন গম্ভীর পরিবেশ??? মোটেই উচিত নয় কিন্তু :@ )