বাতাসে আজ সবুজের গন্ধ, আঁটকে রাখা নিঃশ্বাসেও, হে সবুজ উপত্যকা তাকাও, হাসো, এখুনি নামবে অঝোর শ্রাবণ।
বৃষ্টির সোনা পায়ে রুপোর মল, নাচবে যে সে পেখম মেলে; প্রদীপের সবুজ শিখা জ্বালিয়ে খুঁড়লেই পেয়ে যাই জলশুশ্রূষার অগাধ গোলায় সারিসারি ধান, এই যে হাওয়ার টুং টাং , বিকেলের বালিয়াড়ি পেরিয়ে বনবালাদের কানেকানে কি কথা বলে যায় বনঝুপির আড়াল নিয়ে!!
হে বুনোলতা, তোমাকেই খুঁজি তৃষ্ণার বুক চিরে, ভিড় শোকে নয়, বিশুদ্ধ অন্তর্লোকের অনন্ত নৈমিত্তিক আনন্দে, শৃঙ্খলের জাগরণে গোঁয়ার শিশু ভেবে জেগে রাখি নিজেকে চিরন্তন নিদ্রায় আর শোব না বলে, আকাশ যখন আকাশে চোখ মেলে, এক আকাশ নীলে গহীনের সমুদ্রই দেখে, অশিল্পীর স্বপ্নের দু’চোখে স্বদেশী এক নদী হাসে স্বর্ণচাঁপার মত,
৬৭টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
খুঁজুন ভাই বনলতাকেই। পাবেন কিনা সন্দেহ!
আমি তাকে পকেটে ভরে হাঁটছি। পরে আসছি লেখার মন্তব্যে।
ছাইরাছ হেলাল
পাই বা না পাই খোঁজাখুঁজি বন্ধ করছি না।
লতাপাতা পকেটে নিয়ে হাঁটা ঠিক না, আপনি বার জড়িয়ে না পড়েন।
অপেক্ষা,
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম কবিতা অনেক কষ্টে বোঝার চেষ্টায় যা পেলাম, সেটা বলি। যাকে চাওয়া সে কবির নয়। অন্য কারো। তবুও চাওয়া। চাইতে তো দোষ নেই। এটাই কি মানে? \|/
লতা-পাতা উপড়ে ছিঁড়ে নিয়ে হাঁটছি। পকেটে রেখেছি। শুকিয়ে গেলে ফেলে দেবো। বুঝলেন কবিরাজ :p (কবি+রাজ 😀 )?
ছাইরাছ হেলাল
বুনোলতা কার বা কার না তা ভেবে তো চাওয়া নয়, বা পাওয়ার নয়।
এ চাওয়া চিরন্তন, তা চালু ও থাকবে।
শুকিয়ে গেলেই যদি ফেলে দেবেন তাহলে পকেটে নিলে কেন!!
কবি+ গুরু হয়েছেন বলে এত্ত কিছু।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাইয়া গো + চিহ্ন দিয়ে কি বোঝালেন এখন এই রাত ৩ টার সময় মাথায় চুলকেও তো বের করতে পারবো না। গুরুতে উ-কার ঠিক আছে তো? ;? ^:^
ছাইরাছ হেলাল
গো দেবতারাও গুরু,
তাই গুরুরাও গরু হতেই পারে।
অরুনি মায়া
বনলতার প্রতি যে আবেগ তা অতি পবিত্র বোঝাই যাচ্ছে। এযুগের বনলতা খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। নকলের ভিড়ে আসল সোনা চিনে নিতে হলে সেই অন্তর্চক্ষুর জন্ম দিতে হবে। তবুও চেষ্টা চলবে তা আমি জানি,,,,,
আমি লিখতে বসেছিলাম এযুগের বনলতা সেন নামের একটা কবিতা। দুলাইন লেখার পর আর লিখতে পারিনি। ভাগ্যিস লিখিনি কিছু,,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
বুনোলতা এ যুগেও পাওয়া যায়না না এমন না।
আপনি লিখতে পারেননি এটা মানছি না , সেটা কিন্তু চাই।
অরুনি মায়া
আমাকে কেউ একজন বলেছিল আমি নাকি এযুগের বনলতা সেন। তখন আমার ফেসবুক আইডির নাম ছিল বনলতা। কিন্তু কেন যেন কিছু লিখতেই পারলাম না। চেষ্টা করেছি ভাইয়া। নাহ হবেনা,,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের ও বনলতা আছে ভাবতেই কেমন যেন আঁচ অনুভব করছি।
চেষ্টা ভাল করেই চালু রাখুন ভাই।
অরুনি মায়া
এমন আবদার করলে হয়,,,,, ;(
ছাইরাছ হেলাল
আবদার আছে বলেই আবদার জানাই।
না হওয়ার কী আছে ভাই।
অপদেবতা
মজার তো, অনেক সময় কবিতায় কোন কবিতার ঘ্রাণ পাই না , আবার গদ্যেও তার গভীর ঘ্রাণ পাই, ;?
আশ্চার্য না । ;?
শুভ কামনা । :c
ছাইরাছ হেলাল
ভাই আমি কিন্তু কবিতা লিখি না, পারি না বলে।
আবার গদ্যে এমন ঘ্রাণ পেলে সে দায় আপনার নাকের ই।
আপনার জন্য ও শুভ কামনা।
জিসান শা ইকরাম
সবুঝ হোক সব কিছু
বুনোলতাকে খুঁজে পাওয়া গেলে মন্দ হয় না 🙂
ছাইরাছ হেলাল
সবুজের মাঝেই খুজে নেব বুনোলতাদের আবাসস্থল।
জিসান শা ইকরাম
আমারো একটি রুপোর মল কেনার পরিকল্পনা আছে
একজনকে দেয়ার জন্য………
ছাইরাছ হেলাল
আমিও কিনে রাখব,
কাউকে না দিয়েই।
অরুনি মায়া
আপনারা দুজন মল কেনাকাটা করতেছেন তাও আবার রেখে দেবার জন্য 🙁
কেন ভাঙা হলেও আমাদের কি পা নেই নাকি,,,,, :@
আবু খায়ের আনিছ
পাওয়ার কি আকুলতা। কিছু কথা মনে আসে মুখে আনতে পারছি না। অনেক অনেক ভালো লাগল ভাইয়া। কোথায় যেন আমিকে খুজে ফিরেছি……………….
ছাইরাছ হেলাল
খুঁজুন ভাল করেই, পাইলেও পাইতে পারেন অনেক রতন।
আবু খায়ের আনিছ
(y) (y)
লীলাবতী
খুঁজুন খুঁজুন আমিও সাথে থাকবো 🙂 পেয়ে গেলে একসাথে আনন্দ করবো \|/
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, আপনাকে জানান দেব অবশ্যই।
শুন্য শুন্যালয়
লেখায় বুনো বুনো সবুজ ঘ্রাণ পাচ্ছি। আপনি আবার আমার বুনো দি কে খুঁজছেন নাতো? অই ভূত্নীটা আমার অত্যাচারে কই যে পালালো !! মরুক পোড়ামুখি, এরপর এলে না চেনার ভান করবো।
অশিল্পীর স্বপ্নের দু’চোখে স্বদেশী এক নদী হাসে —এই লাইনটা নিয়ে নিলাম, পরে যেন আবার চোর বলবেন না। অন্তর্লোকের নৈমিত্তিক আনন্দে আড়াল কিছু থাকাই ভালো। চিরন্তন নিদ্রা আপনাকে ছাড়বে না বুঝতে পেরেছি।।
ভাবছি আমিও একটা রূপকথা নিয়ে আসবো 🙂
ছাইরাছ হেলাল
বাহ, আপনার নাক তো বেশ লম্বা মনে হচ্ছে!! সামান্য ঘ্রাণ তাও নিয়ে পেয়ে গেলেন!
সে আপনাদের ব্যাপার, সেখানে আমি নেই।
লাইন কেন, জা খুশি নিন, নিচ্ছেন এতেই ভাগ্যবান ভাবতে ইচ্ছে করছে।
নিজেই যেখানে টুকে চলি অন্যকে আর কই বলা যায়, আপনি ই বলুন। আচ্ছা আড়াল থাকলো।
চিরন্তন নিদ্রার চির সত্যতা উপেক্ষায় আসে না।
রূপকথায় স্বাগতম আপনি।
শুন্য শুন্যালয়
ভাইয়ো, অঝোর শ্রাবণ একা একাই দেখছেন নাকি? গোঁয়ার শিশুর মতো জেগে থাকলে স্বদেশী নদী হাসবেই, চোখেরও ঘুম চাই। চিরন্তন ঘুম!! সে আবার কি? মরবোই না কোনদিন। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
যারা হাসার তারা হাসবেই, হাসুক। স্বর্ণচাঁপার মতই, ঘুমহীন চোখে শুধু তাকিয়েই থাকি।
আপনি মরতেই পারন না, দেশ ও জাতিকে নদীতে চুবিয়ে।
ব্লগার সজীব
সোনেলায় রূপকথার যুগ চলছে, চলুক 🙂
ছাইরাছ হেলাল
তা হলে তো ভালই হয়,
আপনিও এক খানা ছাড়ুন, অতি দ্রুত।
অরুনি মায়া
কি দিন কাল আইলো নতুন পোস্ট কারো চোখেই পড়েনা। খালি লিখতে বলে।
হুহ আর লিখব না,,,, 🙁 ;( :@ (-3
ছাইরাছ হেলাল
এই তো লিখতে যাচ্ছিলাম।
অরুনি মায়া
থাক থাক লাগবেনা ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেছে 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আহারে, কথা দিছি পুষিয়ে দেব মন্তব্য লিখে লিখে।
আসলে রূপকথা …৫ নিয়ে আটকে পড়েছি, শেষ করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না,
যদিও ভাবটুকু আয়ত্ত্বে।
অরুনি মায়া
আচ্ছা ঠিক আছে।তবে আর আড়ি নিলাম না। আমার ভূত বন্ধুকে আপনার সুপারিশ করবানে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনার বন্ধুকে খুব দরকার।
অরুনি মায়া
কিন্তু আমি ভাবছি অন্য কথা। না মানে আপনি যে কি কাজে তাকে খুঁজছেন তা আমি বুঝেছি। উল্টো সে যদি আপনার ক্ষতি করে ফেলে তখন আমি এই মুখ আপনারে দেখাব কি করে।
বন্ধু বলে কথা,,,,, ;?
ছাইরাছ হেলাল
আমি কী কাজে খুঁজছি তা তো জানার কথা না।
আপনার বন্ধু আমার ক্ষতি করতেই পারে না।
আপাতত মুখ না দেখেই তো আলাপচারিতা চলছে,চলুক।
অরুনি মায়া
না মানে ওই যে অন্ধকারের মাঝে এক চিলতে মুখ দেখা যাচ্ছে এখন বন্ধুর কল্যানে সেইটুকুও না আবার ঢেকে ফেলতে হয়। আচ্ছা ঠিক আছে বন্ধু এলেই বলব এক নিমিষেই উড়ে যেন আপনার কাছে চলে যায় ওই যে সেই ঠিকানায় যে ঠিকানায় কাকাতুয়া এসে পালক ফেলে যায় 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ঠিকানা ভাল করে লিখে দিয়েন কিন্তু,
বেমাক্কা বেকায়দার কোন জায়গায় যেন চলে না যায়।
নাসির সারওয়ার
বনলতা ! পাবেননা ! কেউ পাইনি এখনো। কারন ওটা নাকি শুধু সপ্নে্র গোঁড়ে দেখা দেয়। তার চেয়ে এক কাজ করুন, সবুজ আর নীল এর একটা মিক্সার করুন। পেলেও পেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত রঙ। যার ছোঁয়ায় আপনি নতুন রঙ ছড়াবেন আমাদের মাঝে। আর আমরা সেটা দিয়ে ছবি আঁকবো যা কখনো আঁকা হয়নি।
ভাল লেগেছে আপনার সৃষ্টি। ৫ এর জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। জানেততো, অপেক্ষা কত ভয়ংকর। শিশুটাকে কি আনতেই হবে? হোকনা সে গোয়ার।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ, এই তো কথা ফুটছে দ’দিনেই, ফুটুক, কে করেছে মানা!!
তবে মহাশয়, ওটি কিন্তুক বনলতা নয়, (এখানে কিন্তু এ নামে কিন্তু দ্বিগজ ব্লগার আছেন, সাবধান, চাইলে
দু’এক খানা টেনে দেখতে পরেন) বুনোলতা।
মেরুদণ্ডের ও হাঁটুর যে ঘোর অচলাবস্থার আভাস আসছে তাতে নূতন কিছু বহনেচ্ছার সাধ হলেও তা সাধ্যের
বাইরে রেখেই আপনাদের আশার অনলে পরিষ্কার জল নয় বরফ খণ্ড ফেলে দিচ্ছি।
আচুক্কা বাতির মত টিপলেই সুড়সুড় করে বা পিল পিল করে রূপকথা বের করার মত যোগ্যতা এ শর্মার হবে না,
ছিল ও না। অতএব অপেক্ষাই শ্রেয়তর। তবে পাওয়া যাবে, সে কথা দিতেই পারি।
শিশুকে বাদ রাখলাম, আপাতত।
নাসির সারওয়ার
ভাগ ব্যাটা ভাগ। এসব তোর কম্ম নয়। কি দুঃসাহস বনলতা আর বুনোলতাকে এক করে ফেলেসিছ! তোর ডিকশনারীতে বুনোলতা নেই। তাই বলে খুঁজে দেখবিনা! চলে যা সুন্দরবন না হলে বেড়িয়ে পর লন্ঠন নিয়ে। আশে পাশেই আছে হয়তো। এ যাত্রা মনে হয় আস্ত আছিস। তবে সাবধান রে গবেট, পার পাবিনা পরের বার।
“আশার অনলে পরিষ্কার জল নয় বরফ খণ্ড ফেলে দিচ্ছি”! আহা, কি শীতল পরশ।
শিশুটির কিন্তু কোন অন্যায় নেই। ওরা ভুল করতে জানেনা।
ছাইরাছ হেলাল
আসেই যখন পড়েছেন ভেগে যাওয়া সহজ হবে না।
শীতলে শীতল হন ,সমস্যা নেই।
শিশুদের জন্যই ঢ্যামনা বাপ বেঁচে যায় বার বার।
নাসির সারওয়ার
যাক, বাঁচলাম এ যাত্রায়। শীতল পরশ, আহা! কে না চায় বলুন? কেউ পায় কেউ বা পেয়েও হারায়।
শিশুদের জন্য মায়ার কোন কমতি হবেনা। আর এই ঢ্যামনা বাপের দেখা পেলে বলে দেবো, শিশুটাকে ঝাপটে ধরে রাখরে বাবা।
ছাইরাছ হেলাল
পাওয়া না পাওয়ার জটিল হিসাবে না তাকানোই আমাদের জন্য ভাল।
শিশু শিশুই, ওরা ফুলের মত, ওরা নিজ গুনে ভালোবাসা আদায় করে নেয়।
ঢ্যামনার দেখা পেলে খবর আছে তার।
নীতেশ বড়ুয়া
প্রকৃতির অদ্ভুত সব ঘ্রাণ আপনার শব্দে অনুভব করি প্রতিবার… -{@
ছাইরাছ হেলাল
নীতেশ না ছুঁলে যে কিছু বাকী ই থেকে যায়।
নীতেশ বড়ুয়া
তাই তো ছুঁতে আসি 😀 -{@
ছাইরাছ হেলাল
তাই অপেক্ষাও থেকেই যায়।
নীতেশ বড়ুয়া
:p
ইদানীং কবিতায় ডূবতে পারি না ভাইয়া 🙁
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না।
নীতেশ বড়ুয়া
🙁
মেহেরী তাজ
রাই,মেহেজাবিন সব বাদ এখন বনলতার পেছনে লেগেছেন।??? ;?
নীতেশ বড়ুয়া
জীবন বাবুর খোঁজ সম্পন্ন করতে বোধহয় :p
ছাইরাছ হেলাল
ভাগ্যিস জীবন বাবু নেই,
ইক্ষুপেটায় মাফ পেতে আপনাদের ডাকাডাকি করতে হতো।
নীতেশ বড়ুয়া
অবশ্যই ডাকবেন… শীতের আগে আগে শেষ ইক্ষুরস আস্বাদনের তৃপ্তিটা বাদ দিতে চাই না :p
ছাইরাছ হেলাল
ইক্ষু রস অতি মিষ্ট, আহারে……
মেহেরী তাজ
জীবন বাবুটা আবার কে….. ;?
ছাইরাছ হেলাল
জীবনানন্দ দাস।
নীতেশ বড়ুয়া
:@ জীবন বাবুরে চিনেন না?? তবে বনলতাকে চিনলেন কি করে ;?
ছাইরাছ হেলাল
একদম ঠিক।
ছাইরাছ হেলাল
ভাই, আমিতো বুনোলতা খুঁজছি।
নীতেশ বড়ুয়া
কবেকার কবে কার সেই বুনোলতা? ;?
ছাইরাছ হেলাল
নামের সীলমোহর তো খুঁজে পাচ্ছি না।
মেহেরী তাজ
অ আচ্ছা আচ্ছা।ঠিক আছে খুঁজে পেলে আমাদের জানাতে ভুলবেন না। উক্কে???
ছাইরাছ হেলাল
জী, ভাই মনে থাকবে।