আমি মানুষটা কেমন? জ্ঞানী নই, আবার খুব সিরিয়াস নই, খুব বেশী ইমোশনাল, নাহ তাও ঠিক নই। তবে অন্তত আঁতেল নই, নৈরাশ্যবাদী তো নই-ই। কেন এসব বলছি? এখন তো চিঠি নিয়ে কথা বলার কথা! প্রতিযোগিতায় অংশ নেবার জন্য প্রস্তুতি, যে করেই হোক প্রথম পুরষ্কারখানা চাই-ই চাই। আর আমি কিনা বিরক্তিকর টপিকস নিয়ে লিখছি? নাহ নীলা তুই গেছিস। কি করবো? বেশ কয়েকদিন থেকে রিক্সা খুঁজেই চলছি। কিন্তু কিছুতেই পাচ্ছিনা। এভাবে কি মাথা ঠিক থাকে?
যাক আজ অবশেষে রিক্সা খুঁজে পেলাম। আমার ছেলেটা রিক্সা খুঁজতে সাহায্য করেছে। কম করে হলেও পনেরো থেকে বিশবার রেকর্ড করেছি আর মুঁছেছি। কি করবো? আমি কি আর সেই নীলাঞ্জনা আছি যে কিনা যখন-তখন বুড়ো আর আনন্দ কবির বিশাল বড়ো বড়ো কবিতা না দেখে আবৃত্তি করতো? নাহ নেই! প্রহেলিকা ‘র জ্বালায় এই ঘাতুম-ঘুতুম কন্ঠকে (যে কিনা ভুত-পেত্নীদের রানী শাঁকচুন্নী হয়ে আছে বহুদিন থেকে) শোনাতেই হলো। আমার কি দোষ!
শুনুন গতমাসে সরস্বতী পূজো হলো। পনেরো দিন আগে হঠাৎ করে অনেক সিনিয়র এক দিদি ফোন দিয়ে বললো, “নীলাঞ্জনা তোমাকে এবারে গান গাইতেই হবে।” বললাম দিদি আমায় দিয়ে কিছুতেই হবেনা। হারমোনিয়ম বাজানোই ভুলে গেছি। তাছাড়া আমার কন্ঠ এখন আমার নিজেকেই শোনাইনা। কিন্তু যথেষ্ট সিনিয়র, এই প্রথম আমাকে অনুরোধ করলেন, গাইতে হলো। হারমোনিয়ম নেই, কি করি! ইউএসএতে আমার বোন বাণী থাকে। বললো, “নীলাদি তুই ট্র্যাকে কর।” বললাম আমি রিক্সার যাত্রী, ট্রাকে চড়তে পারবো না। বললো, “ফাজলেমি রাখ, ট্র্যাক ঠিক করে পাঠাচ্ছি।” জীবনে প্রতিযোগিতার জন্যও এমন প্র্যাক্টিস করিনি। ভালো কথা, গেলাম, যখন ডাকলো হাত-পা কাঁপছে ভয়ে। প্রথমেই মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বললাম জীবনের প্রথম ট্রাকে চড়তে যাচ্ছি, ভুল হলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। দেখুন হাত-পা সব কাঁপছে। সকলে বেশ মজা পেয়ে হাসলো। কাহিনী হলো যখন সঞ্চারীতে এলাম। মিউজিক একদিকে, আর আমার গান আরেকদিকে। কিভাবে যে দ্বিতীয় অন্তরা মিলিয়েছি সেটা আমি জানি। আর কিছু বলার নেই। কেন বললাম এই কথাগুলো জানেন? আমি রিক্সার যাত্রী, খুব প্রিয় যান আমার এটা।
আগামীকাল ১২ মার্চ বাপি-মামনির ৪৬তম বিয়েবার্ষিকী। সবাই ওঁদের জন্য প্রার্থনা করবেন, যেনো সুস্থ থাকে। ভালো থাকে। যেনো আমার কাছে খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে আসতে পারি। মানুষ দুটোকে সবসময় অনুভব করি। ভাষা পাচ্ছিনা খুঁজে।
“রিক্সা কোথায়!” এই লেখাটি যখন লিখি, ভাবিনি অনেকের এতো ভালো লাগবে। সকলের অনুরোধে বিশেষ করে প্রহেলিকার বারবার করা মন্তব্য আমাকে বাধ্য করলো লেখাটিকে কন্ঠের মাধ্যমে প্রকাশ করতে। একে আমি আবৃত্তি বলতে পারছি না। কারণ একমাত্র কবিতা-ই আবৃত্তি করা হয় যে! পটর পটর অনেক হলো। এবারে রিক্সা কিভাবে পাওয়া গেছে সেটার ভিডিও দেখুন।
হ্যামিল্টন, কানাডা
১১ মার্চ, ২০১৭ ইং।
৫০টি মন্তব্য
নীহারিকা জান্নাত
শাঁকচুন্নির কণ্ঠ যদি এমন মিষ্টি হয় তবে তাই ভালো।
ভাবছি, কত মিষ্টি হতে পারে কারো কণ্ঠ।
মুগ্ধতা প্রকাশের কোন ভাষা খুঁজে পেলাম না।
মেহেরী তাজ
ভ্যা এ্যা এ্যা…… ;(
আমি প্রথম মন্তব্য দিতে চাইলাম। আপনি কেনো দিলেন??? হুম্ফ হুম হুম হুম…… ;( ;(
নীহারিকা জান্নাত
আমিতো প্রায় দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করলাম। দেখি কেউ কিচ্ছু লিখে না। শেষে নিজেই দিলাম। আমার কি দোষ বলো!
নীলাঞ্জনা নীলা
ও পিচ্চি আপু কাঁদেনা সোনামনি। এই নাও তোমার জন্য গরম চা’। :T
মেহেরী তাজ
দেড় ঘন্টা যখন অপেক্ষা করেছেন তখন আরও একটু নাহয় করতেন।
🙁
নীলা আপু আপনি ঘুস দিচ্ছেন? তাও আবার চা? আচ্ছা মাফ মাফ নীহারিকা আপুর সব মাফ।
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু ঘুষ না, ভালোবাসা। আমার বানানো চা খেলে সত্যি বলছি পছন্দ হবেই হবে। এই একটা জিনিসে আমার ১০০% কনফিডেন্স। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
নীহারিকা আপা শাঁকচুন্নীর অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। হিসেব করেছে সে বিশবার একই লেখা পড়েছে আবার রেকর্ড করেছে। তখন নাঁকি গলার কিছুটা বদল এসেছে। তা নইলে তো এভাবে হতো, “রিঁক্সাঁ কোঁথাঁয়ঁ!” 😀
আপনার মুগ্ধতাকে আলগোছে আবেগের আলমারিতে তুলে রাখলাম। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
নীহারিকা আপা কোনো দোষ নেই। পিচ্চি আপু এখন চা’ পান করছে। 😀
মেহেরী তাজ
আপনার লেখা প্রিয়তে নেওয়ার জন্যই এলাম।
এ আপনার কন্ঠ? ভিশন ই অপরিচিত লাগছিলো অথচ আমি আপনার কন্ঠ চিনি! সুন্দর! অসম্ভব সুন্দর আপু!
নীলাঞ্জনা নীলা
প্রিয়তে এই পোষ্ট! তার মানে যতোটা খারাপ হবার কথা, ততোটা খারাপ হয়নি।
পিচ্চি আপু আবৃত্তি আর কথা বলার মধ্যে পার্থক্য থাকে।
সেই ১৯৯৯ সালে শেষবারের মতো আবৃত্তি করেছিলাম আর এই ২০১৭ সালে। দেড় যুগেরও বেশী।
সেই সময়ের ধারেকাছেও যায়নি গো আপু।
অফুরান ভালোবাসা রইলো। -{@ (3
মেহেরী তাজ
আপনার লেখা আবার খারাপ হয় নাকি? “খারপ/ পঁচা/ ” এসব কি জিনিস আপনি জানেন? উহুম! মনে হয় না।
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু বলেন কি!!!
কেউ আমার লেখার সত্যিকারের সমালোচনা করেনা, ভাবে যদি আমি কষ্ট পাই।
তা নইলে অনেক অনেক লেখা আছে আমার যা বিরক্তিকর, অসহ্যের। কিন্তু তা-ও দেই, কারণ চাই মনমতো লেখা শিখতে।
ভালো থাকুন।
মেহেরী তাজ
আপু আমার কাছে আপনার লেখা ভালো লাগে তাই বলি।
বলেন এটা আমার দোষ?
নীলাঞ্জনা নীলা
পিচ্চি আপু আপনারা ভালোবাসেন বলেই তো লেখা দিতে পারি এখানে। তা নইলে তো লেখাগুলো ডক্যুমেন্টসেই পড়ে থাকতো। অনেক ভালো থাকবেন আপু। নতুন লেখা কোথায়? অপেক্ষা করছি।
ইঞ্জা
আপু, আপু একি কি শুনলাম, আপনার কণ্ঠ তো নয় যেন পাখি ডাকছে, আহ আমি আরো ভক্ত হয়ে গেলাম যে আরো, মুগ্ধ হয়ে কয়েকবার শুনেছি, আহ সেকি কণ্ঠ, মাশা আল্লাহ্।
বাবা মার বিবাহবার্ষিকীতে আমার অনেক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা জানাবেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া কাকও কিন্তু পাখী। :p 😀
তবে এভাবে উৎসাহ পেয়ে আরোও ইচ্ছে জাগছে। হয়তো আবার শুরু করে দেবো আবৃত্তি।
একটা সময় মুখস্থ করে আবৃত্তি করতাম। বই খুলে আমার একেবারেই ভালো লাগতো না।
শেষ আবৃত্তি ছিলো ‘কথোপকথন।” আমি আর আমার বন্ধু মিন্টু করেছিলাম শমশেরনগর কবিতার আসরে।
এভাবে প্রেরণার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভাইয়া। ভালো থাকুন।
ইঞ্জা
শুভকামনা আপু
নীলাঞ্জনা নীলা
🙂 -{@
নিতাই বাবু
-{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ধন্যবাদ!
বায়রনিক শুভ্র
গান ভালোবেসে গান । শুভকামনা ।
নীলাঞ্জনা নীলা
গান কোথায় পেলেন? বুঝলাম না।
ব্লগার সজীব
আঁতেল থেকে দূরে থাকি আমি। আপনার কন্ঠতো খুব ভালো দিদি। আবৃত্তি চালু থাকুক। আপনার বাবা মা এর বিয়েবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা। আপনার ইচ্ছে পুর্ন হোক।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভাভু বাইয়া আপনি থাকেন কোথায় বলুন তো! আমাকে রম্য লেখা শিখিয়ে দেবেন কবে?
কম কথায় কি সুন্দর মন্তব্য করেন আপনি, আমি জানেন পারিনা? 🙁
হুম যেভাবে উৎসাহ পাচ্ছি মনে হচ্ছে আর থেমে থাকাটা ঠিক হবেনা।
কৃতজ্ঞ এমন প্রেরণাদায়ক মন্তব্যের জন্য।
ব্লগার সজীব
আমি তো আছি আপনাদের সবার চোখের মনিতে 🙂 দেখতে পাননা বুঝি 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
সেই থাকায় কি আর লেখা খুঁজে পাওয়া যায় ভাইয়া?
তাছাড়া আমার চোখের অবস্থা খুবই খারাপ, চশমা ছাড়া দেখিনা কিছুই। 😀
ব্লগার সজীব
চশমা ছাড়াই দেখা যাবে আমাকে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি শাঁকচুণ্ণি আর আমার ভাই কি তবে ভূত? 😀
রিফাত নওরিন
অসম্ভব সুন্দর আপু….আপনার কন্ঠ ভীষন মিষ্টি !!
এতো ভালো লাগল কয়েকবার শুনলাম !!
নীলাঞ্জনা নীলা
কি আর বলবো বলুন!
এমনভাবে বললেন সত্যি ভীষণ লজ্জ্বা পাচ্ছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
শুন্য শুন্যালয়
ওমা কানাডার শাঁকচুন্নির কন্ঠ বুঝি এমন বিশ্রী হয়? একদম যা তা। ভালো লাগাবার জন্য কতোবার যে শুনতে হলো! উহ আর পারিনা।
এই শোন প্রেমপত্র কখানা পেয়েছো বলোতো? এই কবিতার পর? আমাকেও একটু ভাগ দিও, উক্কক্কে?
এত্তো এত্তো মিষ্টি কন্ঠ, কবিতা তো নয় যেন চুরির রিনিঝিনি। (3
নীলাঞ্জনা নীলা
এই দেখো সবাই কিন্তু সুন্দর বলছে শাঁকচুন্নীর কন্ঠ শুনে। আর তুমি কিনা বলছো যা তা? :@
হায়রে ভগবান ভালো লাগাবার জন্য কয়েকবার শুনেছো? তাইলে ভালো না লাগলেও আপত্তি নাই। শুনছো তো তাতেই খুশী। 😀 \|/
দুঃখ এটাই একখানা প্রেমপত্রও আসে নাই। ;( আমার একমাত্র বয়ফ্রেন্ড কই যে ভাগাল দিলো, এই দেখি, এই নাই। বুইড়ারে কই যে খুঁইজ্যা পাই! খালি দৌঁড়ের উপ্রে থাকে। ভাবছি সামনের অলিম্পিকের মশালটা হাতে ধরাইয়া দিমু। বুদ্ধিটা কেমন কও তো আপু?
ইসসিরে এত্তো মিষ্টি? খাইছে আমারে। পিঁপড়ার আক্রমণের ভয় পাচ্ছি।
তিলোত্তমা নিজেকে ভালো রেখো। অনেকদিন আড্ডা হয়না। চলো একদিন বসা যাক। -{@ (3
প্রহেলিকা
বাপ-মামনির বিবাহবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।
আবৃত্তি নিয়ে পরে বলছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাপি-মামনিকে জানিয়ে দিয়েছি আপনাদের সকলের শুভেচ্ছা।
খুশী হয়েছে খুব।
অপেক্ষা করছি কিন্তু চিবুকে হাত রেখে। ;? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এই রে, কিন্নরী-ফিন্নরী আগেই বলে ফেলেছি, মহা ঝামেলায় ফেলে দিলেন,
তবে শাঁকচুন্নি মাস্ট!!
কার না কার আবৃতি দিয়ে নিজের বলে চালিয়ে দেয়া মন্দ না, ধরা না পড়লে,
অনেকবার বার কিন্তু শুনেছি!!
মা-মনিকে শুভেচ্ছা, বাপি কে-ও।
ফেবু লিংক দিয়েন তাঁদের।
‘রিক্সা কেন আস্তে চলে না’, গানটির কথা মনে পড়ে গেল।
নীলাঞ্জনা নীলা
এত্তো হিংসা করেন ক্যান? আমার কন্ঠ শুইন্যা কেউ কয় নাই যে মিষ্টি না। বরং সবাই বলে একেবারে বালিকা কন্ঠ।
আর আপনে কিনা! :@
কুবিরাজ ভাই এসব কিন্তু ঠিক না। বুজছেন? সবার কাছে আমি শাঁকচুন্নি হয়ে দাঁড়াই না।
বাপি-মামনি বলে দিয়েছে কিছুতেই যেনো আপনাকে তাঁদের ফেবু লিঙ্ক না দেই। 😀
মিষ্টি জিন
তুমি পোষ্ট দেয়ার পর পরই শুনেছি।
কি আদুরে মিষ্টি কন্ঠ শাকচুন্নী তোমার। এই কন্ঠ আবৃত্তি , উপস্থাপনার জন্য ।
অনেক ভাল হয়েছে আবৃত্তি।
মা-বাপ্পির বিবাহ বার্ষীকিতে শুভেচ্ছা এবং শ্রদ্ধা।
নীলাঞ্জনা নীলা
মিষ্টি আপু কিভাবে জানলে উপস্থাপনার কথা?
যখন আবৃত্তি করছিলাম অনেক স্মৃতি মনে চলে এসেছিলো। আমার বাপি দারুণ আবৃত্তি করে। আর মামনিও। গানও গাইতো দুজনে। এখন আর পারেনা। যখন বাবা-মেয়ে আবৃত্তি করতাম, সেই সময় রেকর্ড কেউ করেনি। আর এখন কতো ব্যবস্থা, কিন্তু আমার বাপি কথা বলতে গেলেই জিহবা জড়িয়ে আসে।
ভালো থেকো আপু। অনেক ভালো।
মিষ্টি জিন
মিষ্টি আপুর কঁথা বলতে একটু সমস্যা ছিল ।সুন্দর করে গুছিয়ে কঁথা বলতে পারতাম না।তাই কিছুদিন টিএস সি তে কন্ঠ অনুশীলন করেছিলাম। আবৃত্তি, উপস্হাপনা সব ই এর মধ্যে ছিল।আসাদুজ্জামান নূর, প্রজ্ঞালাবনী, ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের মত বড বড মানুষেরা তখন আমাদের ক্লাশ নিতেন।
কোর্স টা পুরো শেষ করতে পারিনি। তাই কঁথা বলার সমস্যাটা আজও রয়ে গেছে। তবে একা একা আজও আবৃত্তি করি।
তুমি ও ভালো থেকো।
নীলাঞ্জনা নীলা
ও মা তুমি কন্ঠশীলনে ছিলে? কোন সালে আপু? জানো আপু আমি গিয়েছিলাম ভর্তি হতে, কিন্তু এমনই ভাগ্য আমার নরেণ স্যার সেদিনই দেহ রাখলেন। আমার বন্ধুরাও কন্ঠশীলনে যাওয়া ছেড়ে দিলো। অথচ কি যে আনন্দ নিয়ে সেদিন গেলাম। 🙁 জীবনে অনেকগুলো ইচ্ছের মধ্যে বেশ কয়েকটি কোনোদিনই পূর্ণ হবেনা। তার মধ্যে একটা হলো ছায়ানটে গান শেখা। তবে এজন্য আফসোস নেই। না-পাওয়ার থেকে অনেক চাওয়া পাওয়া হয়েছে যে।
যেটুকু শিখেছো তুমি তা দিয়েই অনেক ভালো আবৃত্তি করতে পারো তুমি, সেটা আমি জানি। কবে শোনাবে বলো না প্লিজ।
অপেক্ষায় থাকলাম। কথার কথা ভেবোনা কিছুতেই যেনো। ভালো থেকো আপু।
প্রহেলিকা
আবৃত্তি শুনতে চাওয়ার পেছনে অনেক কারণ এর মাঝে একটি কারণ ছিলো, লেখক যে ঢঙে লেখে পাঠক সেটি পড়ার সময় এলোমেলো করে ফেলে। মৃদু ছন্দের তালে লেখাটিকেও বেঢপ করে তুলে। এই যে আপনার আবৃত্তি শুনে সেখানে দৃশ্যকল্পগুলো অনায়াসে ফুটে উঠেছিল। ব্যাকগ্রাউন্ড ইন্সট্রুমেন্টালটিও বেশ ভালো ছিল। বেশ কয়েকবার করে কয়েকবার শুনেছি। আর আবৃত্তি কেমন করেছেন না করেছেন তা অবশ্য অন্যান্য ব্লগাররাই বলেছে, সেদিকে না গিয়ে আমি এক আস্ত ধন্যবাদ দিচ্ছি, অনুরোধ রাখার জন্য। অবশেষে একজন আবৃত্তিকার পেলাম। অভিনন্দন জানাচ্ছি কিন্তু।
নীলাঞ্জনা নীলা
আউল-ফাউল কয়েকটা লাইন পটর-পটর করে বলার জন্য এতো সুন্দর মন্তব্য? এখন থেকে তাহলে দেখছি আরোও বেশি পটর পটর করতে হবে। বিরক্ত হলে কিন্তু চলবে না। ঠিক আছে?
তবে আপনার অনুরোধে অনেকগুলো স্মৃতি চলে এলো মনে। ঘুরপাক খাচ্ছে এখনও। খেয়েই চলছে।
কৃতজ্ঞ আমি আপনার কাছে, কারণ ভুলেই গিয়েছিলাম যে একসময় আবৃত্তি করতাম। সতেরো বছর কম সময় নয়, কি বলেন?
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
কৃতজ্ঞতা।
প্রহেলিকা
বিরক্ততো হবোই না ভাবছি বিরক্ত করবো। হাতের কাছে এমন আবৃত্তিকার পেয়ে কে ছাড়ে? এবারতো আপনার বিরক্ত হবার পালা। দুটো কবিতা দিব, আবৃত্তি করে দিতেই হবে যে। হেলাল ভাই থেকে শুনেছিলাম একটা কথা, পড়েছেন মোঘলের হাতে, খানা খেতে হবে একসাথে।
নীলাঞ্জনা নীলা
বলেন কি! আমি করবো আবৃত্তি? শুনুন মজা করে বলেছিলাম বিরক্ত করবো, আমি এই নিন কান ধরেছি ভুল করে বলে ফেলেছি।
তার মানে আপনি কি মোঘল? না আমি খাওয়া-দাওয়া করিনা। শুধু পান করি। ;(
আবু খায়ের আনিছ
এই রিক্সা নিয়েই তো আমার গল্প লিখার কথা ছিল, সব বেমালুম ভুলে গিয়েছি।
এই দিদি তোমার বয়স কত? কণ্ঠ শুনে তো মনে হচ্ছে কুড়ির বুড়ি তুমি। অসাধারণ। সাধু সাধু
নীলাঞ্জনা নীলা
আনিছ ভাইয়া আমার বয়স ৪৩ বছর ৬ মাস ১২ দিন। 😀
তার মানে দুই কুড়ি তিন।
হুম রিক্সার গল্পের জন্য অপেক্ষা করছি কিন্ত। লিখে ফেলো ভাইয়া।
মৌনতা রিতু
আপু প্রথমদিনই পড়েছি। মন্তব্য করার আগে ছুটে গিয়ে তোমার কন্ঠে আবৃত্তি শুনেছি তোমার অনুমতি ছাড়াই শেয়ার দিয়েছি।
মাপ করে দিও। ও আমি ডাউনলোডও দিয়েছি। কাল কয়েকবার শুনেছি।
কেমন লেগেছে তা মুখে বলব না বুঝে নাও।
ইনবক্সে যেটা দিয়েছো। ঘুম তা তো মনের মধ্যে রেখেছি।
অনেক বেশি ভালবাসা নিও আপু। ভাল থেকো।
নীলাঞ্জনা নীলা
শেয়ারও করেছো? তুমি না একটা আস্ত পাগলী।
অসম্ভব মাফ করা যাবেনা। কেন মাফ করা হবে তার জন্য কারণ দর্শাও। 😀
তুমি খুব ভালো একটা মেয়ে, কেন জানি মন বারবার বলে। ভালো মেয়ে কি বলছি একজন ভালো মনের মানুষ।
এমনই থেকো শান্তসুন্দরী।
নিতাই বাবু
দিদি, আপনার প্রিয় রিকশা যদি এদেশ থেকে কোনদিন ওঠে যায়, তখন আপনার প্রিয় যান কোনটি হবে? জানাবেন কি?
নীলাঞ্জনা নীলা
আর যা ভালো লাগে সেটা হলো ট্রেন। তবে রিক্সার বদলে ভালো লাগে ভ্যান গাড়ী। ঢাকায় একবার কিসের জানি ধর্মঘট হলো, রিক্সাও চলেনা। ওদিকে ঢাবিতে যেতেই হবে। ভ্যানে চড়ে গেলাম। এখনও ভুলিনি। আর পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে আমার ভাশুরের ওখানে গেলে ভ্যান চড়ি। খুব ভালো লাগে। 🙂