
ডাকিস দোস্ত যাবো এক সাথে মোরা তো জানের জান,
এপারে খেলেছি দু’জনে যেমন এক গলে গেয়ে গান,
ওপারেও যেয়ে হাতে হাত ধরে
বেড়াবো তেমনই আলোকে বা ঘোরে।
আত্মার গিরা এমনই তো হয় ঠিক কি না তুই বল?
বুঝি না তবুও ভাবনা কেন যে অক্ষিতে আনে জল!
এই তো সে’দিন ঠান্ডার তোড়ে এসেছিলো বলে জ্বর,
খবর পেয়েই ছুটে এলি তুই পথে সয়ে শত ঝড়।
দেখে বুঝেছিনু মনে তোর কতো
আমার জন্য মায়া অবিরত
জ্যোৎস্নার মতো ঝরে পড়ে রোজ ছড়াতে স্নিগ্ধ ছটা,
নিশীথের বুকে বারে বারে দিয়ে খুশিতে আলোর ফোঁটা।
কৈশোর মোরা মাঠে ঘাটে ছুটে খুলে স্বপ্নের দ্বার,
যৌবনকাল বক্ষে জড়ায়ে করেছি আশায় পার।
কখনও ক্ষণিক থেকেছি কি ভুলে?
নিয়েছি দিয়েছি অন্তর খুলে,
বেঘোরেও কভু বুঝিনি আমরা পর কারে কয় ভবে,
ভেবেছি কি তবু এ দেহে আসলো বুড়া-জরা চুপে যবে?
কতো কথা জাগে মনের গহীণে কতো স্মৃতি গায় গান,
শত আশা আজ চঞ্চলা হয়ে বিচলিত করে প্রাণ।
ভাসে না দোস্ত সে’দিনের কথা
অন্তরে আমি পাবো বলে ব্যথা
উদরী কুনান গোপনে লুকাতে ধরে কষ্টের ঘাড়,
আমারই থালায় করেছিলি বসে ঝাঁঝালো ভাত আহার?
বহুদিন হলো তটিনীর তীরে খেরো খাতা মন্থনে,
ভাটা-জোয়ারের তাণ্ডব দেখি একা বসে নিরজনে।
তোর আশে করি ব্যাকুলে সবর
মিলে না তবুও টিকির খবর
এদিকে আবার খেয়ার তরণী ভিড়ে বুঝি কাল ঘাটে।
তুই সাথে মোর যাবি না দোস্ত সূর্য যে নামে পাটে?
ছবিঃ সোনেলা গ্যালারী থেকে।
৮টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতি উপলদ্বিকর প্রকাশ কবি দা ভাল থাকবেন সব সময়
মোঃ মজিবর রহমান
বোরহান ভাই পরে আসি।
হালিমা আক্তার
অসাধারণ লিখেছেন কবি।
মোঃ মজিবর রহমান
ফিরে গেলাম বাল্যকালে
খেলেছিনু খেলা সবে মিলে
সৃতি বড়ই সম্মুখে খোলা।
ছাইরাছ হেলাল
সাথে এমন কেউ থাকুক, এ আমাদের কাম্য,
কিন্তু শেষে যে নিদারুণ একাকীত্ব।
মনির হোসেন মমি
মধুর সেই দিনগুলো বড় মনে পড়ছে।ধন্যবাদ কবি।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ইহকালে যারা থাকে তারাই পর হয়ে যায় বিদায় বেলা, এটাই চরম সত্য বাণী। বন্ধুকে পাশে পাবার আকাঙ্ক্ষা পূরণ আর হয় না। সুন্দর কবিতা। শুভ রাত্রি
রোকসানা খন্দকার রুকু
কেউ কেউ থেকে যায়, অধিকাংশই থাকে না। তবুও মন ডেকে মরে প্রিয় বন্ধুকে!! শুভ কামনা সবসময়,,,