দুম করে এসে তো পড়িনি এই ধরার ধামে
দশ মাস, সাথে আরও এক বা আধা কুড়ি দিন
অথৈ যন্ত্রণার সাগর পাড়ি উত্তাল ঢেউয়ে।
তিল তিল করে রক্ত শুষে লাথি দিয়ে বেড়ে উঠি
কৈ তেমন কে আর মনে রাখি এই সহস্র বাতিল ব্যস্ততায়।
তিন দিনের পরপার শেষে আবার ফিরে আসা
চোখ মেলে নাড়ী ছেঁড়া ধন বুকে তোলা
চাট্টিখানি কথা নয়।
সহসাই ভুলে যাই ভুলে থাকি বাজার ব্যঞ্জনায়
হে মাতৃত্ব জেগে থাকো, আমাদের আবারও জাগাও।
কুহকের বস্তি থেকে।
৩৬টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
হুম মা ডাক শোনা টা আসলেই কত কঠিন। অনেক সাধনার। তাই মায়ের মর্যাদা টাও সর্বাধিক।
আমরা তার মান রাখতে পারিনা সেটা আমাদের ব্যার্থতা,,,,, তাতে মায়ের অবস্থানের কোনই পরিবর্তন হয়না। ঘৃণিত হই মায়ের সন্তানেরা,,,,,,,,
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকেই ধন্যবাদ এ লেখায় প্রথম মন্তব্য করলেন।
হ্যা, মা’দের আমরা প্রকৃত মর্যাদায় নিয়ে যেতে পারিনি, এ ব্যর্থতার দায় আমাদের সবার।
সীমান্ত উন্মাদ
মায়ের প্রতিদান দেওয়া আসলে কখনো সম্ভব না কিন্তু মর্যাদাদিতে না পারার ব্যারথতা আমাদেরই নিতে হবে।
তবে সীমান্ত উন্মাদ তার মা ছাড়া একেবারেই প্রতিবন্ধী। কয়েকদিন ধরে মা নেই আমার কাছে, আসতে আরো বেশ কিছুদিন লাগবে, এতেই আমি মোটামুটি শেষের কবিতার মত শেষ হবার পথে। মা আশা পর্যন্ত নিঃশ্বাসটা থাকলেই হবে, মা এসে মাথায় হাত দিলেই আমি আবার সুস্থ হয়ে যাব এটা নিশ্চিত আমি।
কবিতার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা নিরন্তর।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ, আপনি তো বেশ মা ভক্ত, আজকাল প্রায় বিলুপ্ত আমাদের এই
চিরঅম্লান এই সম্পর্ক, আপনার সম্পর্কে জেনে ভালো লাগল।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাহ! আমি অভিভূত!
অবাক হয়ে গেলাম, জানেন আমার মামনির জন্মদিন ২৫ আগষ্ট?
কবিতাটা পড়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে গেছি।
কান্না পাচ্ছে, কিন্তু কাঁদতে পারিনা তো আমি।
যেদিন মা হয়েছি, সেদিন বুঝেছি মা কি? অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে কবি ভাই। আমার শ্রদ্ধা আপনার এমন কাব্যভাবনার প্রতি। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনি তাঁকে নিয়ে লিখবেন এমন জানা ছিল না।
কিছুটা ভিন্ন ভাবনা থেকেই লেখা।
তাঁকে শ্রদ্ধা জানবেন, আমাদের পক্ষ থেকে।
আমরা যেন আমাদের সকল মা দের প্রকৃত মর্যাদায় দেখতে পারি।
নীলাঞ্জনা নীলা
কবিভাই একটা বিশাল চমক আছে আপনার জন্যে।
একটা লেখা লিখছি, সেখানে পেয়ে যাবেন।
আর মামনিকে জানিয়ে দিয়েছি আপনাদের সকলের শুভেচ্ছা বার্তা। -{@
ছাইরাছ হেলাল
অপেক্ষা করতেই আছি চমকের জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ ‘বার্তা’ পাঠানোর জন্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনি জীবনে চমক দিয়েছেন ক’জনকে?
ছাইরাছ হেলাল
শুধু আমাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
তাহলে তো হলোই।
ইমন
আমরা সবাই কিন্তু বৈমান না। যেমন ,আপনার মতো সন্তানরা 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আসলে মায়ের জায়গাটি অবদল যোগ্য।
ধন্যবাদ, নিয়মিত পড়ছেন বলে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
https://www.youtube.com/watch?v=w1GOCB5X4_w
মধুর আমার মায়ের হাসি……
পৃথিবীতে মায়ের মত কষ্ট সহ্য আর কেহ করেন না মায়ের মত ত্যাগ স্বীকার এ জগতে আর কেহ নেই।। -{@ শ্রদ্ধা জানাই জগতের সকল মাকে। -{@ -{@
ছাইরাছ হেলাল
অতি প্রিয় গানটি শুনলাম।
অবশ্যই শ্রদ্ধা জগতের সকল মাকে। অনেক সময় তা জীবনদায়ী ও হয়ে যায়।
আবু খায়ের আনিছ
আমার মনে হয়, ভাইয়া কোন একটা বিষয়ে গল্প বললেও ভাইয়া সেটাকে কবিতা বানিয়ে ফেলবে। সত্যিই অসাধারণ ভাইয়া। অনেক অনেক ভালো লাগল। মাকে নিয়ে কিছু বলার মত ক্ষমতা আমার নাই শুধু এইটুকু ছাড়া, মায়ের তুলনা হয় না।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ইচ্ছে করলে এর থেকেও ভালো লিখতে পারবেন, অবশ্যই।
সত্যি সত্যি ই মায়েদের কোন বিকল্প আমাদের জানা নেই।
আবু খায়ের আনিছ
ভাইয়া কবিতা লিখাটা আমার কর্ম নয়, বরং আপনিই লিখুন আমি পড়ি। আর আমি যা লিখি সেটাই ভালো করার চেষ্টা করি।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অবশ্যই আপনার মতই লিখবেন।
অনেক করে ভালো লিখবেন তাও চাই।
আবু খায়ের আনিছ
ধন্যবাদ
ব্লগার সজীব
মা শব্দটি এলোমেলো করে দেয় আমাকে। কি মন্তব্য করবো এই লেখায়? ভালোবাসি মা তোমাকে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই প্রাণ দিয়ে মাকে ভালোবাসি।
মেহেরী তাজ
এর পরেও “বৃদ্ধাশ্রম ” বলে একটা জায়গা রয়েই গেছে। সেই সব অভাগা সন্তানের জন্য আমার খুব কষ্ট হয় যারা “মা” আর “মাতৃত্ব ” শব্দের অর্থ বুঝলো না।
মাতৃত্বের জয় হোক।
ভাইয়া এটা প্রথমে কবিতাই ভেবেছিলাম, প্রে দেখলাম না। ভাল্লাগছে ভাইয়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়ায়া।
ছাইরাছ হেলাল
যাক এত্তো দিনে বুঝলেন আমি কবিতা লিখি না,
ধুর, সে চেষ্টাও করিনি কষ্মিন কালেও। অনুভুতির প্রকাশ মাত্র।
তাহলে দেখা যাচ্ছে কিছুই আর কঠিন বলা যাবে না!!
আচ্ছা আপনাকে সবাই পিচ্চি বলে কেন!!
দিন শেষে মায়েরাই মা।
মেহেরী তাজ
সেই প্রশ্ন তো আমারও।
সবাই আমায় পিচ্চি ডাকে কেনো??
আমি মোটেই পিচ্চি না কিন্তু।
ইয়ে ভাইয়া পিচ্চি কথাটা আস্তে বলেন সবাই আবার দৌড়ায়ে আসবে আমায় পিচ্চি বালার জন্য। 🙁
কিন্তু হঠাৎ এই প্রশ্ন কেনো?? ;?
ছাইরাছ হেলাল
আমিও বলি আপনি কিছুতেই পিচ্চি হতে পারেন্না।
ইদানিং আপনার লেখা ও মন্তব্য তা প্রমাণ করে।
বেশ সুন্দর মন্তব্যে থাকেন সারাক্ষণ।
ভালোতো।
জিসান শা ইকরাম
মা জন্মদিয়েছেন আমাকে
এ জন্মের ঋণ কোন কিছু দিয়েই শোধ করার উপায় নেই।
যদিও ব্যস্ততায় অনেক সময় খেয়াল রাখা হয়না,এটিও মা এর প্রশ্রয়ে–
ছাইরাছ হেলাল
এ ঋণ তামাদি হতেই থাকে।
অবশ্য মায়েদের প্রশ্রয়েই……।
লীলাবতী
মা এর কথা এমন করে ভাবলেই কান্না পায় ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে কান্না লুকিয়েই লিখি এমন লেখা।
আজিম
আসলে মা-কে আপনি খুবই ভালবাসেন।
ছাইরাছ হেলাল
আসলে মা-কে আমিও খুবই ভালোই জানি।
শুন্য শুন্যালয়
যন্ত্রণার বীজ বড় হয়ে শাখা-প্রশাখা হয়ে যায়, তখন যে যার যন্ত্রণায় ডুবে থাকে, ভুলে থাকে, ভুলে যায়। শিশু জন্মের পর থেকে কিছু অংশটুকু কেন যে মেমোরি থেকে চলে যায় কে জানে!! নিজে মা হবার মাকে ভালোবেসেছি সবচাইতে বেশি, এতটাই স্বার্থপর।
আবার আমাদের জাগাও, কুহকের বস্তি থেকে, বেশ লিখেছেন।
ছাইরাছ হেলাল
যাক, অবশেষে অধমের লেখাটি নজরে এনেছেন, অবশ্যই কৃতজ্ঞতা।
প্রশংসার জন্য ও ধন্যবাদ।
যন্ত্রণাটুকু শুধু মায়েদের জন্যই, অবিকল্প এ অনুভুতি।
শুন্য শুন্যালয়
লেখা এড়াবো কি করে? এইসব লেখা না পড়লে কে আপনাকে উদ্ধার করবে?
ছাইরাছ হেলাল
সাক্ষাত জগদ্ধাত্রীর সন্ধান পেয়েছি।
যাক দেবীর কৃপায় স্বর্গ প্রাপ্তি নিশ্চিত।