৭১ এ যুদ্ধ শুরুর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এম.এ শেষ বর্ষের ছাত্রী রওশন আরার বীরত্বগাঁথা নিয়ে জনাব আরাফ কাশেমী’র গতকালের লেখা “স্মৃতিকথা ১৯৭১ পর্ব: রওশন আরা” পড়েই আজকের এই লেখাটি।
@৪৩ বছর আগে-“মেজর, অপেক্ষা করো -আসছি”
৪৩ বছর পরে-“ম্যারি মি আফ্রিদি”
@৪৩ বছর আগে যেই পাকিরা খামচে চিড়ে খুলে নিয়েছিলো সাড়ে ৪ লাখ বাঙালি নারীর পোশাক,
৪৩ বছর পরে সেই বাঙালি মেয়েদের আধুনিক পোশাক হয়ে উঠেছে পাকিস্তানি লন।
লেখটি মুলত উপরের দুটু পয়েন্টের উপড় আলোকপাত করেই আবর্তিত।
বিশ্বাস করি, এখনও শেষ হয়ে যায়নি প্রজন্মকে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার সময় ।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমরা আমাদের দায়িত্ব কতটুকু করেছি বা করছি?
সোনেলা ব্লগে জনাব আরাফ কাশেমী’র গতকালের লেখাটি কি প্রজন্মের মনে দোলা দেবে না? নিশ্চয় দেবে।
আমাদের দায়িত্ব প্রজন্মকে এ পর্যন্ত টেনে আনা। তাদের কাছে জন্মইতিহাস তুলে ধরা। দোষ আমাদের; অবশ্যই আমাদের। আমরা প্রজন্মের সুপ্ত মস্তিষ্কে সংগ্রামের ইতিহাস কতটুকু তুলে ধরেছি?
জন্মের পরই সন্তানকে ‘A’ for Apple, ‘C’ for Cat শিখিয়ে তাকে বিদ্বান করে তুলতে চেয়েছি। শিক্ষিত করতে চেয়েছি, কিন্তু সুশিক্ষা কতটুকু দিয়েছি। নিজেদের গৌরবময় ইতিহাস কতটুকু তাদের জানিয়েছি? বড় হয়ে ইংরেজী জানা হয়ে নাম কামাবে বলে তাকে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পাঠিয়েছি।
ঘর হতে মানবশিশুর শিক্ষার শুরু-সে ঘরেই শিশুটি দেশের জন্মইতিহাসের কিছুই জানতে পারেনা। আর বিদ্যালয়ের পাঠ? ইংলিশ মিডিয়াম? তার দায় কতটুকু?
এরপর আসে প্রশাসনের দায় কতটুকু ছিলো? ৭৫ পরবর্তী প্রশাসনতো দীর্ঘকাল স্বাধীনতা বিরোধীদের দখলেই ছিলো। আর এই সুযোগে ৭১ এর পাকপ্রেমীরা ধর্মের লেবাস লাগিয়ে ধর্মের নামে পানি পড়া খাইয়ে কচ্ছপ গতিতে আজকের প্রজন্মের মগজ ধোলাই করেছে।
আর আজ! স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর ঘুমন্ত বাঙালী জেগে দেখে তাঁর রক্ত দিয়ে কেনা অহংকার ‘বাঙালীত্ব’ আজ প্রায় নিলামে উঠেছে।
এখন আর বাঙালীরা ভাবে না—
“মায়ের দেয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই,
দীন-দুঃখিনি মা যে আমার এর বেশি তার সাধ্য নাই।”
বিঃ দ্রঃ আগামীকাল ২৫ শে মার্চ। ১৯৭১ সালের এ রাতে ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যা সংঘটিত হয়। আসুন..
শুধিতে হবে জন্ম ঋন, আলোর মিছিলে যোগ দিন। ” ২৫ মার্চ হোক আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস “
৩৩টি মন্তব্য
শিশির কনা
‘আমাদের দায়িত্ব প্রজন্মকে এ পর্যন্ত টেনে আনা। তাদের কাছে জন্মইতিহাস তুলে ধরা। দোষ আমাদের; অবশ্যই আমাদের। আমরা প্রজন্মের সুপ্ত মস্তিষ্কে সংগ্রামের ইতিহাস কতটুকু তুলে ধরেছি?’– আপনার লেখার সাথে একমত আপু।আমরা জানিনা আমাদের জন্মের যন্ত্রনা।আমরা যদি জানতাম আমাদের এই সবুজ দেশে কতটা রক্ত ঝরেছে,কত মা বোন কর বীভৎস ভাবে ধর্ষিতা হয়েছেন,তবে আর আফ্রিদি মেরি মি বা পাকিস্থানি লন আমাদের মা বোনদের মাঝে আসতো না।
অনেক ইতিহাস জানছি এই সোনেলার মাধ্যমে যা কখনোই জানা হতোনা এই ব্লগে না আসলে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
পাকিস্তানের প্রতি ঘৃনা তখনই কিঞ্চিত লাগব হতে পারে, যদি পাকিস্তান রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাদের কৃতকর্মের জন্য। কারন তাঁদের অপরাধটা ছিলো রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে। অনেকেই প্রতিবেশি দেশ ভারতের প্রতি বাঙালী জাতির বিদ্বেষ বাড়াতে ভারত এবং পাকিস্তানকে এক কাতারে ফেলতে চান (মুলতঃ চেষ্টা করেন)। এই কদিন আগে ক্রিকেট নিয়ে তাই হলো এবং বিরুদ্ধবাদিরা এই সুযোগকে লুপে নিতে একটুও দেরী করেনি।
হ্যাঁ, আমিও ভীষন মর্মাহত হয়েছি, ক্ষুব্ধ হয়েছি কিন্তু তাই বলে পাকিস্তানের সাথে তুলনা!!! একবার ভাবুন তো, আজ ২৫শে মার্চ, ভয়াল সেই কালরাত্রি। ৯ মাস বাদ দিলাম, শুধু আজকের এই রাত্রিতে পাকিস্তান বাঙালী জাতিকে নিধনে যে পোড়ামাটি নীতি গ্রহন করেছিলো বিশ্বের ইতিহাসে এতোবড় গণহত্যা আর একটিও কি আছে?
এগুলো প্রজন্মকে জানাতে হবে। শেকড়ের সন্ধান না দিলে প্রকৃতির প্রতিশোধ হিসাবে মায়ের কোল ছেড়ে সন্তানরা শ্বাশুড়ীমার কোলে গিয়েই প্রাউড ফিল করবে।
একটা মায়ের সন্তান প্রসব করতে যতোটা কষ্ট হয়, আমার দেশমা’রও ঠিক তেমনই কষ্ট হয়েছে।
কৃন্তনিকা
আমরা যারা একাত্তরে বিশ্বাস করি, বোধহয় সবাই এমনটা চাই।
যে পাপ একদিনেই বেড়ে দ্বিগুন হয়, তা ৪৪ বছর ধরে বেড়েছে…
ক্যান্সারের মতো আমাদের দেশটাকে শেষ করে দিচ্ছে…
তাও আমরা আশা রাখি, বড় ডোজের ক্যামোর… এই পাপকে শেষ করতে হবে…
মারজানা ফেরদৌস রুবা
জাগরন, একমাত্র ব্যাপক জাগরনেই তা সম্ভব। একটা ঘটনা বলি, আমি কোন এক শুক্রবার ঠিক জুম্মা শুরু হবে এসময় বড়রাস্তা থেকে হেটে বাসায় ফিরছি। আমার প্রতিবেশি মধ্যবয়স্ক একজন হাটছেন মসজিদের উদ্দেশ্যে, সাথে আরেক প্রতিবেশির কিশোর সন্তান। তাদের কথোপকথন শুনার মতো দুরত্বেই ছিলাম। ধর্মের নামে মগজ ধোলাই যে তারা কিভাবে করে বেড়ায়, একটু চোখ-কান খোলা রাখলে খুব ভালোভাবেই তা টের পাওয়া যায়। কাজেই প্রজন্মকে মুলধারায় ফিরিয়ে আনতে গেলে ধোলাই করা মগজে শেকড়ের সন্ধান দিতে হবে।
প্রহেলিকা
জন্ম ইতিহাস সঠিকভাবে তুলে না ধরার কারণে আগামী প্রজন্ম এখন অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে। যথাযথ পদক্ষেপ যদি এখনি না নেওয়া হয় তাহলে অন্ধকারে যে তলিয়ে যাবে তা নিশ্চিত। নিজের পরিবারের ভুমিকা সেখানে মুখ্য। কিছুদিন আগে একটি ভিডিতে দেখেছি যা দেখে আসলেই শংকিত প্রজন্মকে নিয়ে।
https://youtu.be/3dM4u3osXic
আর এখন যারা ম্যারি মি আফ্রিদি করছে তাদেরকে নিয়ে কিছুই বলার নেই, লাত্থি মেরে পাঠিয়ে দেয়া হোক তাদেরকে সেই পাকিস্তানে।
***আগামীকাল ২৫ শে মার্চ। ১৯৭১ সালের এ রাতে ইতিহাসের ভয়াবহতম গণহত্যা সংঘটিত হয়। আসুন..
শুধিতে হবে জন্ম ঋন, আলোর মিছিলে যোগ দিন। ” ২৫ মার্চ হোক আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস “**
এতেও যদি কিছুটা ঋণ কমে আমাদের।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
অন্ধকারের দিক থেকে ফেরাতে গেলে আলোর পথের সন্ধান তাদের দিতে হবে।
অবশ্যই, পরিবার থেকেই তো শিক্ষার শুরু। জীবনের শুরুতে পরিবার থেকে যে শিক্ষা পাবে, মানবশিশু সেটিকেই পুঁজি করে সামনে এগিয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ, বোধ-বুদ্ধি হওয়ার পর সে বিচার-বিশ্লেষণ করেই নিজেকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর ধর্মের আফিম এমন একটা জিনিস, সুপ্তমস্তিষ্কে একবার ডুকিয়ে দিতে পারলে, যদি পাল্টা যৌক্তিক সাপোর্ট না থাকে তবে তাকে ফেরানো অনেক কষ্টসাধ্য।
কাজেই প্রজন্মকে মুলধারায় ফিরিয়ে আনতে গেলে শেকড়ের সন্ধান দিতে হবে, জানাতে হবে, চেতনায় জাগরণ তৈরী করতে হবে।
ভিডিওটা পরে দেখে নেবো।
সঞ্জয় কুমার
আমিও চেষ্টা করছি কিছু পুরনো লেখা সংগ্রহ করার । মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা সংগ্রহ টা আমাদের ব্লগকে আরও সমৃদ্ধ করুক । ধন্যবাদ আপনাকে । নতুন প্রজন্ম কে মুক্তিযুদ্ধ কে চেনানোর দায়িত্ব আমাদের ই
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমরা আমাদের সে দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি, যে যেভাবে সুযোগ পাই। মুলধারায় ফিরিয়ে আনতে গেলে শেকড়ের সন্ধান দিতে হবে। আমাদের জন্মইতিহাস যতোটা গর্বের, যতোটা অহংকারের, পৃথিবীতে খুব কম দেশই আছে এমন।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
খুবই যুক্তিযুক্ত কথা।তবে যার যার অবস্থান থেকে সে সে সতর্ক থাকলে কিছুটা দেশপ্রেম রক্ষা সম্ভব।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
জাগতে হবে, জাগাতে হবে। দায় এড়িয়ে গেলে প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবে। কিছু না করতে পারি, কিন্তু কাছের মানুষটি যাতে বিভ্রান্তির কবলে না পড়ে সেদিকে তো নজর রাখতে পারি।
ছাইরাছ হেলাল
বিস্মৃতি আমাদের চেপে ধরছে ক্রমাগত।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, বিস্মৃতির আড়ালে তলিয়ে যাচ্ছি আমরা।
ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে একদিন নাঙা তলোয়ারের নীচে পড়ে ভাই ভাইয়ের হাতে খুন হবে।
নুসরাত মৌরিন
আমরা যেন কখনই আমাদের অতীতকে ভুলে না যাই।
রক্তের ঋণ মনে রেখেই যেন জীবনে আগাই।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
রক্তের ঋন শোধ হওয়ার নয়, তবুও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে নচেৎ হায়েনারা এভাবেই রক্তের মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দেবে।
খেয়ালী মেয়ে
ইতিহাস যে কতভাবে বিকৃত হচ্ছে–সঠিক ইতিহাস এখনো আমাদের নতুন প্রজন্মের সামনে সঠিকভাবে উপস্হাপন করা হচ্ছে না–বিদ্যালয় পাঠ্যসূচীতে তেমন কোন কিছুই অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি এখনো–আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এমন অনেক ঘটনায় এখনো আমাদের কাছে অজানা রয়ে গেছে–এমন অনেক বীরগাঁথায় জানা নেই আমাদের অনেকেরই…ধন্যবাদ পোস্টের জন্য..
মারজানা ফেরদৌস রুবা
জানা আমাদের অনেক কিছুই ছিলো না। মুলতঃ ৭৫ এর পর এগুলো সব চাপা দিয়েই রাখা হয়েছিলো, যার ফলে আজকের এই কেলেংকারীগুলো দেখতে হচ্ছে।
কাজেই জানার সাথেসাথে জানানোটাও এখন গুরুদায়িত্ব।
জিসান শা ইকরাম
আজকের প্রজন্মকে আমাদের জন্ম ইতিহাস ভুল ভাবে শিক্ষা দেয়া হয়েছে
অথবা দেশের এই সব গুরুত্বপুর্ন অধ্যায় যে গুরুত্বপূর্ন তা ভুলিয়ে রাখা হয়েছে
আমাদের বীরের অভাব নেই
অথচ ভিনদেশী তীতুমীর হয়ে যায় আমাদের জাতীয় বীর
তীতুমীরের বাশেরকেল্লা সমর্থক শিক্ষিত প্রায় ১০ লাখ মানুষ।
তবে আশার কথা আপনার মত বেশ কিছু অনলাইন একটিভেটর এ বিষয়ে অনলাইনে এসেছেন
বিনা যুদ্ধে আমরা আর কোন কিছু পাল্টাতে দেবনা।
” ২৫ মার্চ হোক আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস “
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ঠিক, যুদ্ধ অব্যাহত রাখতে হবে। এ যুদ্ধ তথ্যবিভ্রাট থেকে প্রজন্মকে সরিয়ে এনে সঠিক তথ্য সরবরাহ করে ভুলপথ থেকে ফিরিয়ে আনার।
ফাতেমা জোহরা
এই আক্ষেপ নতুন নয় আপু। এটাই চলে আসছে ৭৫ এর পর থেকে। মূলত ইতিহাস বিকৃতি এর মূল কারণ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হাল ছাড়লে হবে না ফাতেমা। বিকৃতি রোধ করতে গেলে সঠিক তথ্য সামনে আনতে হবে।
লীলাবতী
আমরা ‘বাঙালীত্ব’ নিলামে উঠতে দেবনা আপু।যতদিন বেঁচে আছি ততদিন এটি আগলে রাখবো পরম যত্নে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
সোচ্চার এবং সজাগ থাকতে হবে। ইনশাআল্লাহ্ সত্য প্রতিষ্টিত হবে।
মামুন
“সাধীনতার ৪৪ বছর পর ঘুমন্ত বাঙালী জেগে দেখে তাঁর রক্ত দিয়ে কেনা অহংকার ‘বাঙালীত্ব’ আজ প্রায় নিলামে উঠেছে।
এখন আর বাঙালীরা ভাবে না—
“মায়ের দেয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই,
দীন-দুঃখিনি মা যে আমার এর বেশি তার সাধ্য নাই।” নতুন ভাবে ভাবার সময় এসেছে। আমরা আমাদের নিজস্ব জাতিসত্তায় স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে এগিয়ে যাবো।
অনেক ভালো লাগা পোষ্টটিতে।
শুভ রাত্রি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, আমরা আমাদের নিজস্ব জাতিসত্তায় স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য নিয়ে এগিয়ে যাবো, এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
শুভেচ্ছা।
শুন্য শুন্যালয়
কি বলবো আপু, সেদিন এক ভিডিও দেখলাম, বাংলাদেশ আর পাকিস্তানের খেলা হলেও তারা পাকিস্তানকে সাপোর্ট করবে। কেমন অসাড় হয়ে যাই এসব শুনলে। সত্যিই কি ইতিহাস পৌঁছাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে? আমি শংকিত। খুব ভালো লিখেছেন আপু।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
পৌঁছাবে। আমরা সোচ্চার থাকলে ঠিক পৌঁছাবে।
শংকিত হওয়া চলবে না। সত্যের পথ কঠিন কিন্তু জয় অবশ্যম্ভাবী।
বন্দনা কবীর
আমাদেরকেই জানাতে হবে নতুন প্রজন্মকে।আমাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে এদেরকে জানানোর,অন্যায়ের প্রতিবাদ করা শিখাতে হবে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ আপু, ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা প্রয়োগ করে তাদের চেতনাকে উগ্রবাদীতার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে আমাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
ব্লগার সজীব
এই মেরি মি আফ্রিদি শুনলেই মাথা গরম হয়ে যায়।এদেরকে ধরে পিয়াইএর বিমানে উঠিয়ে দেয়া দরকার। কোন পাসপোর্ট বাদেই।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
এইগুলোরে আর কি দোষ দেবো। এগুলো তো জানেই না তাদের দেশের জন্ম ইতিহাস। যদি ঠিকঠিক জানতো, তাহলে আত্মসন্মানে ঘা লাগতো, আর ভালোবাসার বদলে বুকে ঘৃনা জন্ম নিতো।
মোঃ মজিবর রহমান
৭৫, ত্তর পরবর্তী সরকার মুক্তিযুদ্বের সব জয়গান মুঝে দিতে সকল ধরনের কাজ করেছে। হোক সরকারীভাবে বা মিডিয়া সবক্ষেত্রে। কিন্তু জিয়া এবং এরশাদ সরকার যা করেছে।
মুক্তিযুদ্বের বা মুক্তিযুদ্ব পরিচালনাকারী দল বা সরকার এবার ক্ষমতায় এসে তাদের নিতি বা আদর্শে ফিরে জেতে পারেনি।
বা সামর্থ্য হয়নি। জানি ফিরে আশ খুব কষ্ট সাধ্য। তারপরও সরকারী ভাবে যদি ফিরে আস্তে না পারে সাধারন মানুষ ঐ কলুষিত অধ্যায় মুক্ত করা কি সম্ভব?
আজ সমাজে নিতি যদি নিজে প্রতিষ্ঠা না করে নিজে দুর্নীতি ও কলুষিত হয়ে কাউকে দুরনিতিবাজ বা গালিগালাজ করলে সাধারন জনতা তা আজ মানতে নারাজ।
সমাজে আজ দুই ধরনের প্রতিনিধি করছে।
এক ধর্ম নিয়ন্ত্রিত্বকারী দল।
দুই ধর্ম নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠা করার জন্য একদল।
এখানে আমার জানার আগ্রহ- এই যে মানুষ বেশি অতীত নিতে চাচ্ছেনা ।
কারণ ধর্ম নিরপেক্ষকারী দল নিতির বা মুক্তিযেদ্বের চেতনায় নায়। তাঁরা এই প্রতিষ্ঠা করতে ব্যারথ।
তাঁরা ৭৫ ত্তর পর সরকারের ন্যায় দেশ চালাচ্ছে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, কথা ঠিক যে এখনো মুক্তিযুদ্ব পরিচালনাকারী দল সরকারে এসে তাঁদের পূর্বেকার নীতিতে ফিরে যেতে পারেনি।
কারনটি অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৭৫-৯০ নতুন জন্ম নেয়া দেশটির শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হয় জন্মশত্রুর নির্দেশনায়। ফলে প্রশাসনে জগদ্দল পাথরের মতো ঘাপটি মেরে বসে থাকা বেশিরভাগ আমলা বা সরকারী অফিসার এসব কাজের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা।
এসব পরিস্থিতি মোকাবেলা করেই সরকারকে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। তাছাড়া ঘরের শত্রু বিভীষণ তো আছেই।
মোঃ মজিবর রহমান
হ্যাঁ আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত।
কিন্তু মুল কাজ সরকারকেই করতে হবে।
আর সাধারন মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া প্রধান লক্ষ্য থাকতে হবে।
তানাহলে সাধারন মানুষসের আস্থা অর্জন করা অসম্ভব, আর সাধারন জনগনের আস্থা অর্জন না করতে পারলে
অতীতে ফিরে যাওয়া কি সম্ভব?