
আজ ১৫ই আগস্ট ‘২০২১। আজ থেকে শত বছর আগে এই বাঙলার বুকে জন্ম নিয়ে এক বাঙালিও জীবন পথে হেঁটে গিয়ে প্রমাণ করেছিলেন ভোগে নয়, ত্যাগেই সুখ। তাঁর জীবন পথের প্রতিটা পদক্ষেপ বিশ্লেষণ করলেই স্পষ্ট ফুটে ওঠে জীবনের একটা মুহূর্তও মনেহয় তিনি নিজ সুখ খুঁজতে সময় ব্যয় করেননি। তাঁর সমস্ত সুখ ছিল তাঁর দেশের মানুষকে ঘিরে। এজন্য মুছে ফেলার সর্বোচ্চ রকমের চেষ্টার পরও তিনি বারবার প্রতিবার জীবন্ত হয়ে ফিরে এসেছেন। এ যেন কল্পজগতের ফিনিক্সের ডানাকেও হার মানায়। তাঁকে যতো কঠিনভাবে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়, ততো শক্তিশালী রূপেই তিনি ফিরে আসেন। ফিরে ফিরে আসেন। বারবার ফিরে এসেই তিনি জানান দেন তিনি এ বাংলার বন্ধু যাকে আমরা উপাধি দিয়েছিলাম ‘বঙ্গবন্ধু’। বন্ধু বলতে কী বুঝায় জানেন তো? নাহ, আজকের দিনের ভাবনায় যেমন বন্ধু, তেমন নয়। আজকের দিনের বন্ধুদের বেশিরভাগই একহাতে গোলাপ আরেক হাতে ছুরি নিয়ে ভাব জমায়। হয়তো সিস্টেমের শিকার বলেই। প্রকৃত বন্ধু বলতে যা বুঝায়, বঙ্গবন্ধু তেমন চরিত্র। যাকে খুন করা যায়, নির্বংশ করা যায় কিন্তু মুছে ফেলা যায়না। কারণ বঙ্গবন্ধু তাঁর আপন মহিমাতেই সমুজ্জ্বল। এ বাংলার মাটি বাতাস তাঁকে সমস্ত গুনের সমাহারে জন্ম দিয়েছে আর এ বাংলার মানুষ তাঁকে তাঁদের নিজবুকে ধারণ করেছে। কাজেই এ মানুষটিকে আপনারা মুছবেন কীভাবে?
১৫ আগস্ট ১৯৭৫, সদ্য জন্ম নেয়া জাতির জন্য এ দিনটি ছিল এক বিভীষিকাময় দিন। বিশ্বাসঘাতকতার এ দিনটি জাতি কোনোকালেই ভুলবে না।
যিনি আপন মহিমায় উচ্চতার শিখরে পৌঁছে গিয়েছেন, তাঁকে কি চাইলেই নীচে নামিয়ে আনা যায়? বরং যারা এই চেষ্টা করেছে তারাই তলিয়ে গিয়েছে ইতিহাসের চোরাবালিতে। ইতিহাসের সত্যকে যে আড়াল করা যায় না।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু!
৭টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
বঙ্গবন্ধু আসলেই সেই বন্ধু যাঁকে কখনো মুছে ফেলা যাবে না। তাঁকে নিশ্চিহ্ন করতে গিয়ে তাঁরাই শেষ হয়েছে। ইতিহাস সবসময় সত্য কথা বলে।
বিনম্র শ্রদ্ধা জাতির জনকের প্রতি
নিতাই বাবু
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ও ১৫ই আগস্টের সকল শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
হালিমা আক্তার
বঙ্গবন্ধুর নাম মুছতে গেলে নিজের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। বিশ্বের ইতিহাস থেকে কখনোই বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যাবে না। খুনিরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা যাবে। বঙ্গবন্ধু আগের চেয়ে আরো বেশি এখন শক্তিশালী। শুভ কামনা রইলো।
রোকসানা খন্দকার রুকু
সকলের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
সত্যকে কখনো ধামাচাপা দেয়া যায় না
ঠিক তা উদিত হবেই সভ্যের আকাশে
বারে বারে নবরূপে প্রাতের সূর্য হয়ে।
আন্তরিক শুভ কামনা রাখলাম পাতায় নিরন্তর।
আলমগীর সরকার লিটন
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই
মোহাম্মদ মনজুরুল আলম চৌধুরী
” তাঁর সমস্ত সুখ ছিল তাঁর দেশের মানুষকে ঘিরে। এজন্য মুছে ফেলার সর্বোচ্চ রকমের চেষ্টার পরও তিনি বারবার প্রতিবার জীবন্ত হয়ে ফিরে এসেছেন। এ যেন কল্পজগতের ফিনিক্সের ডানাকেও হার মানায়। তাঁকে যতো কঠিনভাবে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়, ততো শক্তিশালী রূপেই তিনি ফিরে আসেন” সত্যিই বলেছেন। আসলে তিনি একটা স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্নের পাশাপাশি পরাধীন জাতির মুক্তির জন্য আমরণ আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি শুধু দিয়েই গেছেন , ভোগ করেননি কিছুই।