মেঘেদের দীঘল চোখে
জ্যোৎস্নার হাতছানি,
হোক না তা ক্ষণিকের ঝিকিমিকি।
উঁচু পাহাড়ি কোল ঘেসে
বাতাসি হাওয়ায় ভেসে
অনুষ্টুপ ছন্দে,
দিনমান ঘুরে ফিরে কী দেখ? কী ই বা কর !
পেঁজা তুলোর বেশে বা
গোমরা মুখে কলসি কলসি পানি বয়ে,
কোথা ফেল? কোন উর্বরতায় বাঁশি বাজাও?
মেঘ, তুমি কী ‘মেহ্জাবীন’?
৩৬টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
এতদিন ধরে ভাবনা জমিয়ে জমিয়ে এমন সুন্দর করেতো লিখবেনই। অনুষ্টুপ অর্থ কি? টুপটাপের মত কিছু?
মেঘ যখন থেকে মেহজাবীন তখন থেকেই তার রূপ বদলে গেছে। কি মিস্টি করে লিখেছেন, গোমরা মুখে কলসি কলসি পানি বয়ে, কোথা ফেল? এভাবেই কি মেহজাবীন কে চিনতে হবে? চোখে জ্যোৎস্নার হাতছানি বোঝা আমাদের সবার কম্ম নয়, তবে এটা বুঝেছি, কবিতাটা একটু বেশিই সুন্দর হয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
অনুষ্টুপ অর্থ সংস্কৃত ছন্দবিশেষ। সুন্দর হয়েছে বললে শুনতে ভালই লাগে।
আমিও ভাবি এই মেহজাবীন কিডা! কোথা থেকে এলো।
দেখুন আমিও কিন্তু ‘সব বুঝে ফেলেছি’র ‘ দলে নয় কোন ভাবেই।
কবিতা লেখা সহজ কাজ নয়। এটিও তেমন কিছুই হয়নি।
ধন্যবাদ লেখার জন্য।
আজিম
উচ্চমার্গের কবিতা, আমার মত একবারেই অকবি’র পক্ষে বোঝা মুশকিল।
শুভকামনা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার জন্য ও শুভকামনা,
তবে ‘মার্গ’ যখন বুঝে ফেলেছেন তখন আর অ-কবি ভাবি কী করে!
অনিকেত নন্দিনী
মেঘের ভেতর মেহ্জাবীন তায় আবার চোখে জোছনার হাতছানি! সুন্দর তো হবেই।
ছাইরাছ হেলাল
জ্যোৎস্নার হাতছানি এড়ানো খুবই কঠিন, তাও যদি হয় মেহজাবিনের।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
ভাকুর্তা হয়ে গেলেন এখন মেঘ!!
মেহ্জাবীন মেঘ বা মেঘের চেয়েও বেশী
ক্ষনিকের ঝিকিমিকি স্থায়ী হবার উপায় নেই কোন?
দৃষ্টি যখন আছে উর্বর হবেই কিছু একটা।
ছাইরাছ হেলাল
মেহজাবীনের অনেক রূপ, ক্ষণে ক্ষণে যা পাল্টে যায়।
স্থায়ী না হওয়াই উত্তম। উর্বরতা আমাদের কাম্যই।
খেয়ালী মেয়ে
গোমরা মুখে কলসি কলসি পানি বয়ে,
কোথা ফেল? কোন উর্বরতায় বাঁশি বাজাও?—–প্রশ্নও এতো সুন্দর হয় জানা ছিলো না….
মেহজাবীন এখন মেঘ ;?
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা, মেহজাবীনকে এখন মেঘই মনে হচ্ছে।
সুন্দর কী না জানি না, যা মনে আসে তাই লিখি। আপনারা পড়েন বলে।
ব্লগার সজীব
কবিরা কত উপমা দিয়ে কথা বলেন 🙂
ছাইরাছ হেলাল
এ সব আউল ফাউল লিখেই চালিয়ে দিচ্ছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
মেঘ বুঝি মেহজাবীন? :c
ছাইরাছ হেলাল
আপাতত মেঘ হয়েই ভেসে বেড়াচ্ছে।
পানি সরবরাহের দায়িত্ব নিয়ে।
মেহেরী তাজ
আমি কবিতার ব্যপারে বরাবরি কাঁচা।
খুব মন খারাপ,কবিতা বুঝি না বলে।……..
ছাইরাছ হেলাল
এ এমন কিছু না।
মেঘকে নারী রূপে ভেবে কথাবার্তা অ নানা প্রশ্ন।
পড়েছেন জেনে আনন্দিত।
মোঃ মজিবর রহমান
কবির মনে তৃপ্তির ভাবনা
পাঠকের মনের খোরাক।
ভাবতেই ভাল লাগে সুন্দর করে ভাবার জন্য
শুভেচ্ছা।
ছাইরাছ হেলাল
বহুকাল পরে দেখা হোল, তাও হোল তো!
মন্তব্য পড়ের ভালই লাগল।
লীলাবতী
দীঘল চোখে
জ্যোৎস্নার হাতছানি……… সাবধানে থাকা উচিৎ,হাতছানিকে উপেক্ষা করা ভালো।পটলেই ধরা 🙂
ছাইরাছ হেলাল
সাবধান!!!!! করার জন্য ধন্যবাদ। কিছুতেই পটা চলপে না।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
হুম! বটে পুরাই মন্ডভ্রম।
ছাইরাছ হেলাল
ভ্রম অবশ্যই, তবে সর্প ভ্রমে রজ্জু, না রজ্জু ভ্রমে সর্প সেটিই ভাবনার বিষয়।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
প্রজন্ম ৭১
মেঘের মাঝেও এত কিছু দেখা যায়?
ছাইরাছ হেলাল
আরও অনেক কিছুই দেখা যাবে।
অপেক্ষা করুণ।
স্বপ্ন
‘মেহ্জাবীন’ মেঘ হলেও হতে পারেন।রহস্যের সীমা নেই ‘মেহ্জাবীন’ এর 🙂
ছাইরাছ হেলাল
মেহজাবীন যে কিডা তাই ই জানি না। মেঘ যদি তা হয় মন্দ হয় না।
মিথুন
দিনমান কি এত দেখে ঘুরে ফিরে, আমাদেরও প্রশ্ন। উত্তর কে দেবে?
ছাইরাছ হেলাল
আমিও আপনার মতই ভাবি, এত দেখাদেখির কী আছে।
মেহজাবীনকেই উত্তর দিতে হবে। কিন্তু সে তো মেঘের বেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ইমন
😮
ছাইরাছ হেলাল
লিখে বলতে হবে।
রাসেল হাসান
অসাধারন!
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা।
অরুনি মায়া
মেঘ হয়ে মেহজাবিন ভিজিয়ে দিয়ে যাক কবির দেহ মন উঠোন সব সব সবকিছু, শুধু কাকাতুয়া বেঁচে থাক এক টুকরো সোনালি রোদে -{@
ছাইরাছ হেলাল
মেহেজাবিন কিডা? বুঝলাম না।
কাকাতুয়া কাকাতুয়াই।
অরুনি মায়া
কে বেশি প্রিয়, মেহজাবিন নাকি কাকাতুয়া? কানে কানে বলে যান 🙂
ছাইরাছ হেলাল
মুনে লয় ক্যাক্যাতুয়া!!